এখন তরঙ্গ তে লেখা পাঠান প্রতিমাসের ৫ থেকে ২০ তারিখ অবধি

হঠাৎ চমক




আয়তকার রমণী


ঐন্দ্রিলা মহিন্তা


০১.
হিংলাজের মোজাইক শানবাক্সে 
দলাওঠা প্যালেস । কাসুন্দির বাতাসে 
    মঁ   মঁ  শ্বাস 
                     ডিসটেম্পার আঙুলে 
                   বটের ছাপ লেগে থাকে 

০২.
গলায় ঠাসা কঞ্চি 
এলোচুলে কালশিটে মাখে 
চেরিখুঁটে আঁকা ঠোঁটে : ইন্দ্রচমক 

জ্বলন্ত মেঘের কয়লায়
সরলরেখার পিথাগোরাস 

০৩.
কাঞ্চন স্লাইসের জমা খণ্ড 
ভূমধ্যসাগরের আপেল 

সাদা হাতে লোহার পাতার 
শূন্য তর্জনী 

টিমটিমে জমা ভ্রমর 
ছায়ার কাঠিন্য মাপে 






তোমার সমাধি ফুলে ফুলে ঢাকা / কে বলে আজ তুমি নাই.........




১-সহজিয়া চক্রব্যূহের প্রতিআক্রমণ
---------------------------------------------------------------
সময়টা ২০০৮।তখন কম্পিউটার জনপ্রিয় হতে শুরু করেছে।আমরা বিভিন্ন সফটওয়্যার নিয়ে ঘাটাঘাটি করছি।প্রায় দৈনন্দিন জীবনের অঙ্গ হয়ে উঠছে এই ডিজিটাল প্রযুক্তি।সরকারি চাকরি করি স্বাস্থ্য বিভাগে।পোস্টিং কোচবিহার।রাজনৈতিক সংগঠনের সাথে সম্পর্ক ছেদের পর লেখালিখি বহুবছর হলো বন্ধ।এমনই এক মুহূর্তে কিছু রুমমেটের অতি উৎসাহ ও প্রশ্রয়ে আবার শুরু হলো কবিতা লেখা।তখন শক্তি চট্টোপাধ্যায় পড়লে কাদি, সুনীল গাঙ্গুলীর কাছে নীরার পাঠশালা, জীবনানন্দ বাড়াচ্ছেন বোধ, শঙ্খ ঘোষ বা সমর সেন প্রভৃতি সকলেরই কাছে বাড়াচ্ছি অনুভূতি।অথচো, কেন জানি না নিজেই উপলব্ধি করছি কি যেন হচ্ছে না।যে ভাষায় নিজের আগ্রাসন চারিয়ে দিতে চাই তা কোথায় পাবো।
হাতে দ্বিতীয় বারের মতো চলে এলো বেশ কয়েকটি বই, অনলাইন ও প্রিন্টেড ছোটো পত্রিকা।যেমন, কবিতা পাক্ষিক থেকে পোস্টমডার্ন ৩০০ কবিতার সঙ্কলন, অনলাইন কৌরব, কালিমাটি, আই দুয়েন্দে ইত্যাদি।আর তখনই পরিচয় বারীন ঘোষাল নামটির সাথে।সেটা যে পরবর্তীতে কখন নিজের অজান্তে বারীনদা হয়ে গেলো বুঝি না আজও।অথচ, বিশ্বাস করুণ ব্যক্তিগত পরিচিতি কখনো ছিলো না।
কমলালেবুর বাগানে হাসিস ঝরে পড়ছে : স্রেফ এই একটা লাইন ভিতরটা ভাঙচুরের ক্ষেত্রে যথেষ্ট ছিলো।একেএকে হাসিস্ তরণী, সৎকার ইত্যাদি একের পর এক।এই শেষ কলকাতা বইমেলাতেও দেখলাম।হাতে নিয়ে বাড়ি ফিরলাম আলেকজান্ডার ও খালকো (প্রকাশনা ঐহিক)।ভেবেছিলাম এই তো মানুষটা, যাই না দুদন্ড কথা বলে জিরিয়ে আসি।কিন্তু না।আদরের বোহেমিয়ানপনা হয়তো কবির জন্মসিদ্ধ অধিকার।আজ সে বারীন - ল্যান্ডের অতিচেতনায় ঢুকে পড়েছে সশরীরে প্রত্যক্ষভাবে।আজ সে দেখতে পাচ্ছে মহাজাগতিক তেজস্ক্রিয় প্রসব।আজ সে বলতেই পারে কবিতায় ভিলেনরাই পারে সুখী গয়নাকে তছনছ করতে।আমরা চিরকালই এক দর্শক বেলুনের ভূমিকায়।অন্ততপক্ষে এটুকু কো-রিলেশনের জন্য অপেক্ষা করাই যায়

কয়েকটা লাইন একটু অযাচিত হয়েই আসুক।অন্ততঃ ইচ্ছে করছে


পর্যায়ক্রমে যেকোনো ১টি কবিতায়
----------------------------------------------------------------
নাভির ভিতর রয়েছে প্লুটোনিয়াম খনিজ

আমরা।এই মুহূর্ত থেকে স্রেফ হিসেবী আড়াল

নিসপিসে হাত : ছুয়ে দেওয়া ম্যাজিকে আবারও

পোড়া ব্লাউজের তলায় গরম চামড়া।ক্ষতি নেই

রক্ত মাংস মজ্জার অনুচক্রিকা সংরক্ষিত

ভাবছি : শেষরাতের ভিসুভিয়াস ও আদিম সঙ্গম

আদপে এসব চলমান মেটারনিটিক ফ্রেম

শাদাকালো হ্যালোজেন থেকে হোক শুরুবাদ

কিংবা : বর্ষার ব্যবচ্ছেদ।নাড়িতে শুকোচ্ছে চুনজল

হিমঘরের প্রতিআক্রমন : ক্রমশঃ নগ্নতাটুকু চুষেচুষে



শ্রদ্ধাযাপনে তরঙ্গ পরিবার
🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏