সিরিজ কবিতা
(পাবলো শাহি’র ‘দেহতলা’ সিরিজে ১০টি কবিতা)
বাক্যহীন ভবযন্ত্র
তোমার অতলান্তে দুএকটা পিঁপড়ের মতো, ভাষা হারিয়ে পড়ে থাকে শতাব্দীর
নির্জন রেল ইস্টিশন। তুমি মানে ভবযন্ত্র ঘড়ির কাঁটায় অর্থ না বুঝা নুনচন্দ্রকলা।
আমাদের মুখপোড়া যতকথা, তারা সব ষোড়শ শতকে; ভারতখণ্ডের দিকে- আজ
এইসব ঘুমন্ত পাগলের মাথা বেকে আছে। তবু এ যুগে বিষণ্নতার প্রেমিকের কি
কোনো গুহা আছে, এ কালে মানুষের মুখগুলি বিন্ম্র মাংসপেশির মতো মুখ
ফিরিয়ে নেয়। তারপরও তোমার কাছে ফিরে পাই ঘুমের অসুখের- জাগরণ
কাতরতা। পৃথিবীর যৌনতা এভাবে পাপড়ি ছিঁড়তে ছিঁড়তে তোমার মেঘলা
হাঁসের পিঠে চড়ে বসে; পৃথিবীর যৌনতা এভাবে অনেক্ষণ বেহালা বাজাতে
বাজাতে লোকায়ত সপ্তর্ষিকে নিয়ে আসে আমাদের ছিদ্রপথে। মানুষের বুকের
রক্তে বাক্যহীন সুস্বাদু ফল ঝুলে থাকে। একথা জেনে একদিন তুমিও পোড়া
মুখের কথা বাদ রেখে- ঝুলে থাকো স্ত্রীরঙের একফোঁটা নীল বৃষ্টির ভতের...
তোমার মুদ্রা
কোনো একদিন তুমি মানে আমাদের স্ত্রীযন্ত্র- অচেনা পাগলের মতো
সান্ধ্যপূরবী গাও। কোনো একদিন তুমি মানে আমাদের মাথাভর্তি জলপাই- স্বপ্ন
ও অদ্ভূত নুনজলে নিশ্চেতন ভূমার মধ্যে ঝরাপাতা ঝরাপাতা খেল। আমি ভাবি
তার কতটুকু শ্বাস ঝিনুকে ও পাতাপুঞ্জে পড়ে থাকে। ব্রহ্ম ও বিশ্বের মাঝে পড়ে
থাকে স্থলপদ্ম, চিঠিভর্তি নির্জন মেঘের পৃষ্ঠা, বৃষ্টি ভেজা মুদ্রা। বারবার তুমি,
কোনো একবার তুমি মানে সঙ্গমে বড় হয়ে ওঠা কেয়াফুল- হেরিকেল নিভে
যাবার পর কড়ি কাঠকে অবুঝ প্রেমিক ভাবছো। অথচ আমি মেঘলা ধানবীজের
ভেতর তোমাকে বিস্ময়ে পাবো বলে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছি। ধানকাটা মাঠে
পড়ে থাকে আমাদের বাদামী হাঁসের ডাল, লাল খরগোশের মুঠোভর্তি
তেজপাতা আর ক্রমাগত ক্রমাগত ক্রমাগত...। কোনো একদিন তুমি মানে
আমাদের স্ত্রীযন্ত্র, পরমেশ্বরী- গীটারে বিষণ্নসুর বাজাতে বাজাতে চিরকাল
জেগে থাকো ...জীবক্রিয়ার, প্রেমক্রিয়ার ঘুম না ভাঙা যৌন পুস্তিকার প্রথম অধ্যায়ে...।
আমাদের বাড়ি
আমাদের যুগসন্ধিক্ষণে অবিমিশ্র একটা স্তব্ধতা একদিন শেষ হয়ে এলো। তুমি
বললে, পৃথিবীর সর্বত্র এখন আমাদের বাড়ি। বৃষ্টি, আকন্দগাছ, গর্ভবতী
মেয়েদের পেট, যৌনময়ূর চক্র- সব আমাদের বাড়ি। এমনকি অন্ধকার,
এমন কি নাড়ীচক্র, জরায়ুর প্রথম কৃষিকর্ম- অতিরিক্ত এই চাঁদ, জলপাইগাছ,
আমাদের স্বপ্নকে পাহাড়ে পাঠানো দুটিপা সব; সব এখন আমাদের বাড়ি।
চূর্ণ অন্ধকার বক্ষে লাগিয়ে আমরা হাঁটি মাথাভর্তি জলপথের ভেতর। তবু
মৃত্যুকে চিবানোর পাশাপাশি বোবা পূণর্জন্মবাদ পার হয়ে; শুক্রাণু ডিম্বাণু
পার হয়ে- আমরা আদি অনবগুণ্ঠিত জন্মবাড়ির ঠিকানা খুঁজে পায়। তুমি
নিরক্ষর ঘুঘুদের বুকে নাক রেখে বলো- সন্ধ্যাজলে আমাদের ক্রিয়াকর্ম
শেষ। অথচ আমরা দুজন পাগলা জোঁকের মত শ্যামাশূন্য গোধূলিতে লেপ্টে
থাকি। বহুকাল আগে থেকে অগ্নিদগ্ধসন্ধ্যা- আমাদের ব্রহ্ম ও চাঁদমঞ্জুয়ার
মাঝে রেখে আসে। সেই দূরবর্তী তারাপুঞ্জ দেখলে আমাদের গ্রহদোষ বাড়ে।
এখন বলো পষ্ণমুখি ব্রহ্মজল- আর কতকাল আমরা নেংটা জ্যোৎস্নার আলোয়
স্তব্ধতা পার হয়ে একটা বাজপড়া গাছের মতো সিঁকি শতাব্দীব্যাপী জ্বলতে থাকব্..।
বিষণ্নসমগ্র
ভাঙা পৃথিবী জানে, সন্ন্যাসী হবার মতো আমার কোনো মৃদু তারাপুঞ্জ নেই। তবু
ভিখারীর মতো ব্রহ্মা-ের কোথাও না কোথাও বজ্র ও সন্ধ্যাসঙ্গীত হাতে পেতে চাই।
যারা জুঁইফুলের মতো শাশ্বত হবে, যারা চন্দ্রহীন শ্যামাপাখির মনের কথা বলে দিতে
পারে- তাদের জন্য শতাব্দী ধরে একটা ছোট ভূমিরন্ধ্র তৈরি করবো আমি। ছয়টি
মৃতদেহ অতিরিক্ত ভস্মভূমার মধ্যে মাধুরীমোচন হয়ে পড়ে আছে। ছয়টি জীবিত
দেহ বনপথে অগ্নি ও আলোকবর্ষে অসামান্য চুমু হয়ে পড়ে আছে। এইসব কিছু
জেনে একদিন জবাফুল ফোটে। তারপরও বাদামী বৃষ্টির দিনে তুমি কার সাথে কথা
বলো? তোমার স্ত্রীগর্ভে, নাভিচক্রে আর একবার ঘুমিয়ে পড়ি শান্ত পদ্মপাতা।
রক্তজবায় চুপি চুপি পরিব্যাপ্ত হয়; রক্তজবায় চিরকাল দিগি¦দিক বিষণ্ণ সমগ্রের মধ্যে
বাসা বাঁধি। আমি জানি একদিন তুমিও দেবে ধ্যানভূমির একখ- দেহপোড়াস্মৃতি।
আর আমি দশচক্রে- তোমার রক্তমাংস, যৌন সূঁচ হয়ে বেঁচে থাকি। তুমি চাঁদকে
ফুটো করো, তুমি আমার মাথাকে ফুটোকরো, তুমি সপ্তর্ষির জ্যোৎস্নাকে ফুটো করো;
পৃথিবীর অনিঃশেষ বীজ হাতে করে দাঁড়িয়ে থাকো- মৃদু খাঁচা খোলা আমার
মনভৈরবীর ভেতর...।
তুষাতুর অগ্নি
তোমার কাছে গিয়ে স্পষ্ট বুঝলাম, গাছেদের ভেতরে থাকে আমাদের জটিল
অধরা। যাকে আমরা মন বলি, তার ভেতরে বসে গাছতলা থেকে আমরা কাঁচা
পাকা অন্ধকার খাই। কতকাল আর থাকবে মেয়েদের বেণীর ভেতরে গরমের
ছুটি। কতকাল আর থাকবে মেয়েদের বেণীর ভেতরে সর্বনাশের পথচলা।
তোমার কাছে গিয়ে প্রথম জানলাম, কথা বলবে বলে কথা দিয়েছিল ধ্রুবতারা।
তোমার কাছে গিয়ে নিশ্চেতনে ফিরে আসি, ভেতরে আগুন থাকলে এ শহরে
আর মানুষ বোবা থাকেনা। আমাদের ভেতরে লুকিয়ে থাকে দুএকটা অসম্ভব
মহাকাল, আমাদের ভেতরে লুকিয়ে থাকে দুএকটা পাগলপূর্ণিমা। কথা বলবে
বলে কত কথাই না বলল এই গরমের ছুটি। দুএকটা বৃষ্টিভেজা রঙিলাচাঁদ
ওঠে আমাদের অধিক ব্রহ্মনীড়ে। আমাদের তামস শরীর ঘিরে। মেয়েদের
বুকের ভেতর আমি তুষাতুর অগ্নি রাখলাম। মেয়েদের নাভীচক্রে আমি
অসম্ভবের দুএকটা পুকুর, ডুবজল রাখলাম। পৃথিবীর অতিমুগ্ধ প্রেমিকা হয়ে
প্রতিদিন সে যেন পরাজিত রাজহংসের কান্না শুনতে পায়।
কোজাগরি
কেঁচোদের মত উভয়লিঙ্গ আমাদের যৌনজীবন। দেহের ভেতরে শুধু একগাল
মাটি আর সাধু ময়ূরের পাগলামি ছাড়া কিছু নেই। এইতো আমাদের কযেক
পৃষ্ঠা কোজাগরি, ভিজে ডুমুর ফুলের উপর উড়ে যাওয়া সারাদিনমান। অন্ধকারে
মৃদুতম কিছু চিহ্ন পড়ে থাকে। হাওয়াকলের পায়ের নখে পড়ে থাকে ক্রিস্টালসমাধি।
ভাবো, যদি ডালিমগাছ আমাদের যৌনসম্পত্তি পাহারা দেয়। ভাবো, যদি ভাটফুল
মেঘলা গ্রামের কিনারে আমাদের গল্প শুনছে যায়। তারা পাবে, দেহে দেহে
বাতাসের চিৎশক্তি; তারা পাবে মনে মনে শাঁখের তন্ত্রধ্বনি। আমাদের যে
কেঁচোদের মত উভয়লিঙ্গ যৌনজীবন, আমাদের যে বিষণ্ন আয়নাস্টেশন-
তার উপর ডুমুরমেয়ে গুলি বৃষ্টির ফোঠা হয়ে পড়ে। বিমর্শ বৃষ্টি ছড়ায়। কেঁচোদের
মতো আমাদেরও আছে মরুসন্ন্যাসী মন, বেদুঈন গীটার বাজাতে বাজাতে যে
অষ্টধাতুর আঙটি পরে। আর অনেক গুলো তারাপুঞ্জ এড়ো মেরে পেড়ে আনে জামগাছ থেকে।
ব্রজবুলি
তুমি কতদূর নিয়ে যাবে অভিকর্ষের ডালপালা। এইতো আমাদের অন্তরীক্ষ- এইতো
অভাগাদের অগ্নিবীণা। তুমি যতদূর যুথী ও কুয়াশার আখ্যান লিখে রেখে দাও- পৃথিবীর
বারান্দা পেরিয়ে আমি যাবো ততদূর। স্তব্ধ নক্ষত্রমুখী বোধিবৃন্দ থেকে যদি ঝরে পড়ে
অভয়ার জামপাতা- তুমি তাকে সাথে করে নিও, তুমি তাকে সঙ্গে নিও কৃষ্ণচূড়া রাধাচূড়া
এই নামে ডেকো। আমি শুধু বিশ্বাসের ডালপালা ভেঙে গেলে আদিবাসী মেয়েদের মতো
বর্ষাকে হিংসে করি। আমি শুধু বিশ্বাসের এপিটাকে চৈত্রের বাঁশপাতা মুখে নিয়ে বসে
থাকি। তুমি যতদূর নিয়ে যাবে অভিকর্ষের ফোঁটা ফোঁটা রক্ত জল। তুমি কতদূর নিয়ে যাবে
আমাদের চন্দনচিহ্নিত ব্রজবুলি ভাষা। দুএকটি প্রেমিকের, দুএকটি প্রেমিকার ঝগড়া ও
প্রলাপের রক্তমাখা ঝরাপাতা নিয়ে তুমি কতদূর কোন অভিকর্ষে যাবে। এইতো আমাদের
ঝাউবন, এইতো আমাদের স্ত্রীমাছেদের বুক- তুমি তারে নিয়ে কোন অভিকর্ষে যাবে।
তুমি তাকে সাথে করে নিও জবাফুল। ঘরপোড়া মানুষের মতো জীবচক্রে, নাভিচক্রে
মুষলধারে পড়া যৌনপুস্তিকার মধ্যে দাঁড়িয়ে তার জন্য দুএকটি সবুজ সন্ধ্যা গেঁথে রেখে দিও...।
ঋতুস্রাব
একদিন আমাদেরও হাতে ছিল বয়স্ক পৃথিবী, আমি তার শঙ্খচূড়কে আঁধাররক্তিমে
ভিজাবো বলে জলে নামালাম। আমি তার বিশ্বব্রহ্মান্ডের তাবুকে সংযুক্তায় নিয়ে
যাবে বলে নৌকা বানালাম। শোনো, জ্বলন্ত বাঁশপাতার খবর নেবার আগে দুএকটি
কথা বুঝে নাও আমার। উৎকীর্ণ জীবনের দিকে যাবো বলে আমি গাঢ় রক্ত দিয়ে
নিঃশ্বাস নিলাম। বিলম্বিত কান্না নিয়ে আমার ঘুম আসেনা। একদিন আমারও
হাতে ছিল অনশ্বর চাঁদ। অথচ সর্বনাশী উদ্ভিদ তুমি, একা একটা বিষণ্ণতার চারা
কোলে নিয়ে বসে আছো। তোমার ধানক্ষেতে আজ আতুর ঘরের গন্ধ। পৃথিবীর
সর্বশেষ ডালিম গাছের ফাঁক দিয়ে আমি তোমার রূপের সর্বনাশ দেখি। ভাবি,
ঈশ্বরের সৃজন অগ্নিতে পুড়েও কেন বকুলের ফুল ফোটা নিয়ে বেঁচে থাকো।
আমার দিবাস্বপ্নের পা কাটা, আমার বিষবৃক্ষের পা কাটা- তবু আমার হাতে থাকে
ভিখারীর একখ- ঋতুস্রাব। একদিন তোমাকে ডুবাবো বলে নৌকা বানালাম। এখন
দুধ ভাতে উৎপাত, এখন দুএকটা বাঁশপাতা- ভালোবাসার মন্বন্তরে নিঃস্ব হতে
হতে আমাদের বিষণ্ণ মশারির ভিতর দুএকটা প্রেমিক মশা ঢুকে পড়ে...।
বাক্যদোষ
ভুলে যাই টগর তোমার কিশোরীর বেণী। ভুলে যাই একদিন আমারও ঠিকানা ছিল-
বনপ্রান্তে, পদপ্রান্তে যুগে যুগে শুরুশেষহীন। ভুলে যাই টগর তোমার ছাইচাপা
বাক্যদোষ। একদিন আমারও ছিল দিগন্তের মতো ভূমিভস্মযুগ। ছিল চাঁদ ও অগ্নির
দেহযন্ত্র- জামপাতার বিমূঢ়তা নিশীতনির্বাণের সারাজীবন। আজ তুমি আছো, আজ
সন্ধ্যাতারার গাছে বৃদ্ধডুমুর। আজ তুমি আছো, আজ মাতৃগর্ভ শিরাপদ তবু শ্মশানের
চারপাশে ফুলের মতো ফুটে থাকে যুথীমালিকার ঘর। তারপরও তুমি জামরুলগাছের
মতো ঘ্রাণ নেবে আমার। তারপরও তুমি ঋতুগুলো অলৌকিক, খড়কুটো রেখে;
আমাদের কৃষিক্ষেতে মেঘাবৃত বাঁশতলা হবে। তবু টগর, আমার প্রেমভিখারী টগর;
তুমি মাথাভর্তি জলবেণী। তুমি, তুমি, তুমি- আমাদের পাইনবনের ঘরবাড়ি, আমাদের
অগ্নিতে পুড়ে যাওয়া দ্রাক্ষালতা। অতিদূর শান্ত বেণী, অতিদূর অবুঝের বনবীথি। আমি
ভুলে যাই টগর তোমার কিশোরীর বেণী। ভুলে যাই একদিন আমারও ঠিকানা ছিল
ভবচক্রে, নাভিচক্রে অনিঃশেষ কালচক্রে। তবু তোমার বেণীর কাছে অন্ধ ডুবজল-
যতটুকু ব্রীড়ানত তারও অধিক নিভৃতনিকুঞ্জ। তারপরও, ভুলে যাই টগর তোমার সন্ন্যাসী
জামপাতা, কয়েকটা শতাব্দী জুড়ে ভূমিভস্মযুগ...।
শাস্ত্রবিরোধী স্তব্ধতা
ভেবেছিলাম এরপর থেকে তুমি বুকভরা বৃষ্টি দিয়ে, ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় দিয়ে মেপে নিতে
পারবে সবকিছ- শ্মশানের তলদেশ, ভাঙা সাঁকো, স্তদ্ধতা। আমাদের জড়জীবনে
শরীরের ভেতর থেকে শরীরের কোনো সূক্ষ্মপথ- দরোজা, জানালা। তবু
ময়ূরাক্ষী, ময়ূরাক্ষী বলে তুমি আজও হয়ে আছো ছোট কয়েকটা আকন্দ গাছ;
সন্ধ্যাতারার ঝুলির ভেতর সারাদিন পড়ে থাকা রক্তমাখা ফুল। ভেবেছিলাম,
অনেক কিছুই এই জ্যোৎস্নার তিন ডানা ধরে মৃত ছাতিমগাছের একটা অভিসার
বিষয়ক গুপ্ত সংকলন লিখবো। তুমি থাকবে সে সংকলনের পুকুরে- ভাঙা ভাঙা
চাঁদের ঢেউয়ের ভেতর। আমি থাকবো তার অধিদেহে- আলো অন্ধকারে।
ভেবেছিলাম তোমার বকুলবৃক্ষ দেখে কেটে যাবে দিন, কেটে যাবে রাতের যৌন
ময়ূরচক্র। তবুও আজ বুকভরা বৃষ্টি কেবল দাঁড়িয়ে থাকে শাস্ত্রবিরোধী কঙ্কাল নিয়ে।
আর আমি থাকি এক টুকরা সপ্তর্ষির রশ্মি চিবাতে চিবাতে তোমার প্রেম ও বিকলাঙ্গ স্তব্ধতার মধ্যে...।
পাবলো শাহি |
No comments:
Post a Comment