এখন তরঙ্গ তে লেখা পাঠান প্রতিমাসের ৫ থেকে ২০ তারিখ অবধি

আরণ্যক




কবিতা (সাধারণ বিভাগ)




অন্তর্গত

কি চাও শকুন?
এই ভাগাড়ে কোন দেহ মরে নি
আত্মা মরে পচন ধরেছে।
এসো, ঠুকরে ঠুকরে খাও আত্মার উচ্ছিষ্ট অংশ!

শরীর ও আত্মার কৌণিক দূরত্ব মেপে
লেগুনায় ঝোলা দেহ এলিয়ে দেই বিছানায়।
ভীষ্মের শরশয্যা আমার অসংখ্য ক্ষত শরীরে
ঘাম আর মাংসের অভিস্রবণে অসহ্য যন্ত্রণা।

আত্মা! আত্মা!! আত্মা কই!!!

দরকার নেই, ওখানে বাসা বাধে কীটেরা।
বিছানার দাবায় ছককষি শরীর বাঁচানোর
উঠে আসে এলকোহল চোখের মৃত্যুঞ্জয়ী
বলে,কাল রাতে ভেবেছিলাম তোমায়
পুরোটা রাত ছিলে কাছে?'
দুই স্তুপ মাংসপিণ্ড ঢাকা পড়ে বুকের পর্দায়
ভাবি তবে ওখানেই হোক আমার আজন্মবাস।

আত্মা খুঁড়ে খেতে থাকুক মাংসাশী শকুন!





মাতাল সমাচার

একটা মাতাল
আমার কাঁধে ভর দিয়ে চলে
চলে হাসে চিৎকার করে গালি দেয়
সুযোগ মতো বমি করে, বমি করে
লোকের মাঝে অথবা নির্জনে
কখনো রাস্তায় কখনো গায়ে।

ভয়ে ভয়ে থাকি সারাক্ষণ
এইবুঝি জেনে গেলো লোকে!

ভেঙে ট্রাফিক রুলস্
আমারে টেনে নিয়ে চলে
পড়ে কর্পোরেশনের কাটা রাস্তায়
কখনো ঢাকনা খোলা ম্যানহলে।
গায়ে মেখে গু-মুত, নর্দমার কাঁদা
চাটায় রাস্তার নেড়িকুত্তা দিয়ে!

কি রসে মাতাল
কি ভাবে মাতাল
এই ভেবে চলি আমি।
কখনো হোচট খেয়ে পায়ে
বলে, দেখে শুনে চল পথ
শালা মালাত হইলি নাকি!!

****

1 comment: