কবিতা (সাধারণ বিভাগ)
আকাশ-তার
হাত বাড়ালেই তোমাকে ছোঁয়া যায় না
তোমার আঙ্গুলের স্বত্ব যার,
তাকে লুকিয়ে কেড়ে নিয়েছি সব
সেদিনের সেই সাদাকালো টেলিভিশান দেখাতো শ্বেতশ্যাম কৃষ্ণচূড়া, পলাশ, আর তার মাঝে কপোতাক্ষের আনাগোনা। চঞ্চল, ইতিউতি পাখনা, সবুজ ফ্রিল ফুলতোলা। মৃত শকুন গুনতে গুনতে সর্বনাশী ভয় ভয় হরিণী... নদী তৈরি করে বদনামি; মেয়ে, পায়রা হবি আর?
অথচ সে পর্দায় মসলিন নয়,
ভারি আসমানজমিন একত্রিত করে রাখা
বসন্তের অপেক্ষায় নদীর বুকে হঠাৎ লাফিয়ে পড়েছে দাবদাহ
কাঁঠালতলায় চাঁদ উপচে আসে ফাটা চাতালে। বৃন্ত শব্দার্থ চুপিচুপি তাড়াহুড়োয় মুখস্থ। জানালা গলে বনসাইয়ের চোখ রাঙ্গানির মাঝে মাঠে ফণী-মনসা। নাগকেশর দেখেছো কখনো? তবে বলি, কচুরিপানার শয়তানিতে জড়িও না।
আকাশের পুড়ে যাওয়ার আভাসে কেউ বলেছিলো
ঢেকে দিয়ে যাও…
এক গালিচা সজনেসাদা তোমার স্বপ্নে ছিল, সেখানে বিদেহী ইচ্ছেরা। জোরবরাত আমার আবছায়া তোমার চোখে পড়ে না। সেতু ভেঙ্গে গেলে, আমি সাঁতার শিখে যাই তোমার প্রাণের তাগিদে। আজ তুমি যোজন মাপো...
তোমার প্রশ্নের উত্তরে সে বলে গেল,
অভিনয়ের আরেক নাম শ্বাসকষ্ট।
কালো
আকাশ মনে পড়ে সন্ধ্যেয় ফানুস ভাসলে
তুমি মাটির শরীর ধরতে হাত পোড়ার ভয় পাও
প্রদীপের গর্ভে সলতে ডুবে থাকে
জ্বলে যাবার আশায়
খাঁচায় আঁচ লেগেছে
তুমি শুধু দেওয়ালের কালি দেখলে!
যুদ্ধবাজ তোমার নরম হাত
দাগ কেটেছে সাবলীল
ঘর-বার বার-ঘর...
ভোর ডুবে গেলে
ফিরিয়ে দিই এক একটা ক্ষমাহীন শ্বাস
তোমাকে।
*****
No comments:
Post a Comment