এখন তরঙ্গ তে লেখা পাঠান প্রতিমাসের ৫ থেকে ২০ তারিখ অবধি

'এখন তরঙ্গ' বইমেলা সংখ্যা (দশম সংখ্যা)


প্রকাশকাল : ২৬ জানুয়ারি, ২০১৮

প্রধান সম্পাদক : জ‍্যোতির্ময় মুখার্জি
সহ-সম্পাদকগণ :
  • বিজন পণ্ডিত
  • ঐন্দ্রিলা
  • তুলি রায়
  • দিব‍্যায়ন সরকর


সর্বসত্ব সংরক্ষিত
তরঙ্গ পরিবারের পক্ষ থেকে
শাল‍্যদানী
Founder & Chairman,
Taranga House



------------: সূচীপত্র :---------


কবিতা (সাধারণ বিভাগ) : মনোজ দে, শান্তা কর রায়, শুভঙ্কর পাল, দেবদূত, প্রভাত চৌধুরী, তৈমুর খান, দীপ মন্ডল, দেবারতি চক্রবর্তী, সৌম‍্যজিৎ আচার্য, নাসির ওয়াদেন, মলয় রায় চৌধুরী, অরিন্দম মিদ্যা, সোনালী মন্ডল আইচ, সব্যসাচী সরকার, অনিন্দিতা ভট্টাচার্য্য, নাফছি জাহান, সৌভিক ঘোষ, রুনা দত্ত, জয়ীতা ব্যানার্জী গোস্বামী, আরতি বোস, রুমেলা দাস, সুদীপ গুপ্ত, স্বপ্না মিদ্যা, তুষারকান্তি রায়, বিশ্বজিৎ লায়েক, মৌসুমী ভৌমিক, সমীরণ ঘোষ, নীলিমা দেব, মঞ্জু বন্দ্যোপাধ্যায় রায়, আরিফুর রহমান, শুভদীপ ভট্টাচার্য্য, মহাদেবাশা, সুদীপ ব‍্যানার্জি, উদিত শর্মা, শিল্পী সিংহ, অন্তরা চ্যাটার্জী, ড: মীনা মুখোপাধ্যায়, অর্পণ কুমার মাজি, শ্যামাপদ মালাকার, মণিদীপা বিশ্বাস কীর্তনিয়া, মুরারি সিংহ, জয়িতা ভট্টাচার্য, নীপবীথি ভৌমিক, অর্ঘদীপ পানিগ্রাহী, স্রোতস্বিনী ভট্টাচার্য, মধুমিতা ঘোষ, লক্ষীকান্ত মন্ডল, বিশ্বরূপ বিশ্বাস, পায়েল পাসোয়ান, বৈশাখী চ্যাটার্জী, উমাপদ কর, বিতান দে, কৌস্তভ রায়, পিয়াল রায়, অর্ণব মন্ডল, অমল বসু, অনুপ বৈরাগী, সুশীল হাটুই, শৈবাল পাল, দেবাশীষ রায় চৌধুরী, আর্যতীর্থ, শঙ্খ ঘোষ

কবিতা (কবিতার ল‍্যাব) : দেবযানী বসু, রাহুল গাঙ্গুলী, অনুপ বৈরাগী, অর্পণ কুমার মাজি

গদ‍্যকবিতা : পাবলো শাহি, মৌসুমী রায় ঘোষ, অবিন রায়চৌধুরী

সিরিজ কবিতা (ধারাবাহিক) : আশির ব্রত চৌধুরী

আঞ্চলিক উপভাষার কবিতা : ভুজুঙ মাঝি

ছড়া : মানসী মন্ডল, দেবজ্যোতি নন্দী, মোঃ অাখ্তারুজ্জামান অাশা, অঙ্কিতা চ্যাটার্জী, ফিরোজ আখতার

লিমেরিক : গোবিন্দ সরকার, পায়েল খাঁড়া, ডঃ রমলা মুখার্জী,

শামেরিক : মঞ্জুর মোর্শেদ রুমন,

হাইকু : নিবেদিতা মজুমদার, ড: মীনা মুখোপাধ্যায়


ছড়াক্কা : ‘ছড়াক্কা তরঙ্গ’ (নির্বাচিত ছড়াক্কা সংকলন)

◆ প্রচ্ছদ : বাসুদেব মন্ডল
◆ সংকলক : শাল‍্যদানী
◆ ভূমিকা : সতীশ বিশ্বাস

◆ ছড়াক্কায় : নবনীতা দেব সেন, যশোধরা রায় চৌধুরী, মন্দাক্রান্তা সেন, চৈতালী চট্টোপাধ্যায়, মৃণালকান্তি দাশ, প্রণবকুমার মুখোপাধ্যায়, শ্যামলকান্তি দাশ, মতি মুখোপাধ্যায়, ঈশিতা ভাদুড়ী, রাণা চট্টোপাধ্যায়, শঙ্খশুভ্র পাত্র, বিকাশ গায়েন, মৃণাল বসু চৌধুরী, অরুনিমা রায় চৌধুরী, তৃষ্ণা বসাক, রানা জামান, অর্পিতা বন্দ্যোপাধ্যায়, দেবাশিস মুখোপাধ্যায়, সুপ্রকাশ আচার্য্য, কপোতাক্ষী ব্রহ্মচারী (চক্রবর্তী), শ‍্যামশ্রী রায় কর্মকার, দিশারী মুখোপাধ্যায়, মমতা দাস, টুম্পা মিত্র সরকার, পঞ্চমী গোল, মৃদুল দাশগুপ্ত, অসীম সরকার, শ্যামল শীল, হরেকৃষ্ণ দে, মানবেন্দ্র ব‍্যানার্জী, অর্ঘ্য দে,নিখিল পান্ডে,  সৈকত গোস্বামী, সবিতা বিশ্বাস, সুস্মিতা সেন, উৎপলকুমার ধারা, অমিয়কুমার সেনগুপ্ত, উমায়ের সাআদাত, শংকর দেবনাথ, বাসুদেব দাস, সুবীর ঘোষ, অরিতা চ্যাটার্জী, মিতালি রায়, স্বপনকুমার বিজলী, বাসুদেব খাস্তগীর, চন্দনকৃষ্ণ পাল, সুশীল পান্ডে, আসলাম প্রধান, মারজানা সাবিহা শুচি

◆ ছড়াক্কা বিষয়ক প্রবন্ধ : তৈমুর খান

◆ ছড়াক্কার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে ছড়াকারদের অভিমত।


প্রবন্ধ : শ্রীমৎ স্বামী শিবানন্দজী মহারাজ, মলয় রায় চৌধুরী, প্রবীর রায়, পবিত্র চক্রবর্তী, শ্যামাপদ মালাকার, দীপেন ভূঞ্যা, অনিন্দ্য রায়

আত্মজীবনীমূলক গদ‍্য(ধারাবাহিক) : প্রভাত চৌধুরী

একটি প্রতিবেদন - একটি প্রতিবাদ (কবি দোলা ঘোষালের আর্তনাদ) : স্বপ্না মিদ‍্যা

মুক্ত গদ‍্য : মুরারি সিংহ, প্রনবেশ চক্রবর্তী, পৃথা রায় চৌধুরী, পদ্মাবতী রায় চৌধুরী, ফিরোজ আখতার

বেবীটক্ : অমিতাভ প্রহরাজ

উপন‍্যাস(ধারাবাহিক) : জ্যোতির্ময় রায়

গল্প (বড়ো/ছোট/অণু) : সুফিয়া নাসরিন, শুভঙ্কর পাল, অরিন্দম মিদ্যা, চন্দ্রাবলী ব্যানার্জী, অনুভব অর্ক, প্রতিমা বসু, শ্যামাপদ মালাকার, জয়শ্রী ঘোষ, নূপুর সেনগুপ্ত, শীর্ষেন্দু দত্ত

কবিতাপাঠ : মৌসুমী ভৌমিক, ডঃ রমলা মুখার্জী

চিত্রাঙ্কন : সমীরণ ঘোষ, অরিন্দম মিদ্যা, পাবলো শাহি

ফটোগ্রাফি : দেবারতি চক্রবর্তী, রুনা দত্ত, স্বপ্না মিদ্যা, অনুভব অর্ক

ধন‍্যবাদান্তে
সম্পাদক মন্ডলী,
‘এখন তরঙ্গ’
সাহিত্য বিভাগ, তরঙ্গ হাউস

সম্পাদকীয়



অতঃপর এক অন্তর্লীন দ্রোহ
.
অভিসার। সাজানো বাগান
.
স্বাগত। ফুলে ও কাঁটায়
.
নিবিড়তর স্পর্ধায় কলম ছুঁয়ে আমাদের প্রাত্যহিক পাপ

আর, ধানাইপানাই না করে প্রথমেই দুটি কথা স্পষ্ট করে ঘোষণা করে দিই,
এক, আমরা প্রাতিষ্ঠানিক হয়েও প্রতিষ্ঠান বিরোধী।
দুই, 'এখন তরঙ্গ’ লিটল ম‍্যাগাজিন নয়।

খুব অদ্ভুত লাগছে তাই না ? কীভাবে সম্ভব একই সাথে দুটি পরস্পর বিরোধী অবস্থান ?
কীভাবে ও কীভাবে এবং কীভাবে ???
আসুন এবার খুঁজি সেটাই এবং এই খোঁজের পথে আমাদের প্রথমেই হেঁটে যেতেই হবে ‘এখন তরঙ্গে’র মধ্যে দিয়ে আড়াআড়ি, চোখ রাখতেই হবে ‘এখন তরঙ্গে’র চরিত্রে,
‘এখন তরঙ্গ’ কী ও কেন, এই প্রশ্নের উত্তরে।

খুব স্পষ্ট করে একটা কথা আমরা আগেই ঘোষণা করেছিলাম, ‘এখন তরঙ্গ’ হতে চায় বাংলা সাহিত্যের এমন একটি সাহিত্য পত্রিকা যেখানে সবাই স্বাগত।
সব গোষ্ঠী, সব ইজম্, সব ধারার কলম অনায়াসে মিলবে ও মেলাবে, ঢেকে দেবে সেই সমস্ত ফাটল, যা বাংলা সাহিত্যের গায়ে পুরনো ক্ষতের মতো যন্ত্রণা এবং যন্ত্রণার ইতিহাস লিখে চলেছে প্রতি মুহূর্তে। সোজা কথায় ‘এখন তরঙ্গ’ হতে চায় বাংলা সাহিত্যের একটি Open platform। অবশ্য আর চায় নয়, আমরা চেয়েছিলাম এবং পেরেছি। আমরা প্রমাণ করতে পেরেছি একটি মাত্র সাহিত্য পত্রিকা অনায়াসে বেঁধে ফেলতে পারে সাহিত্যের সমস্ত ধারা, ভেঙে ফেলতে পারে আমি-তুমি, আমরা-তোমরার দীর্ঘ ধূসর ইতিহাস।

ভয় ছিল, চিন্তায় ছিলাম পারবো তো? কিন্তু বিশ্বাস ছিলো আমাদের নিজেদের উপর, আর বিশ্বাস ছিলো আপনাদের উপর।
হ‍্যাঁ, আপনাদেরই উপর।

কিন্তু প্রশ্ন হলো এমন পত্রিকার প্রয়োজন কেন? কী প্রয়োজন সাহিত্যের সব ধারাকে ধরার ? তা করতে গিয়ে এই যে এতো লেখা একটা সংখ‍্যায়, তা কী একমাসে কেউ পড়ে ফেলতে পারবে?

পারবেনা তো, জানি তো। তবু দরকার আছে, কেন? আচ্ছা বইমেলার প্রয়োজন কী? কারো যদি প্রয়োজন হয়, বইয়ের দোকান থেকে পছন্দের বইটি নিয়ে পড়ে ফেলতেই পারে। তাহলে বইমেলার দরকার কোথায়? একসাথে এতো বই ! এত্তো বই ! এতো ধরনের বই,
পাশাপাশি।কাছাকাছি।মুখোমুখি।কোলাকুলি
কেন? প্রয়োজন কী? একজনের পক্ষে কী সব বই হাতে তুলে নিয়ে দেখাও সম্ভব?
না, সম্ভব নয়, তবু বইমেলার প্রয়োজন ঠিক যে কারণে, ‘এখন তরঙ্গে’র প্রয়োজন ঠিক সেই কারণেই।

ধরা যাক, ‘ক’ বাবু লেখেন আপডেটেড কবিতা, আর ‘খ’ বাবু ছড়া। এই দুই বাবুর মুখোমুখি তো দূরের কথা, কানাকানি হওয়াও অসম্ভব কোন পত্রিকায়, এমন কোনো পত্রিকাই প্রায় নেই। কেউ পড়েনা, দেখেনা, শোনেনা নিজের গন্ডির বাইরে অন্য কিছু। নিজের মত ও পথটিকেই ঠিক এভারেস্টের মাথায় চাপিয়ে ঢাক, ঢোল কাঁশির হুঙ্কারে মহোৎসব। ঠিক এইখানেই প্রয়োজন পড়ে একটি আয়নার, মুখোমুখি নিজের সাথে….

‘এখন তরঙ্গ’ আসলে সেই আয়নাটি।
এখন তরঙ্গ’ প্রতিটি কলমের সামনে ঝুলিয়ে দিয়েছে একটি প্রশ্ন,
তুমি শ্রেষ্ঠ? তুমিই শ্রেষ্ঠ? এবং তুমিই শ্রেষ্ঠ?
তুমি যা বলো, যা করো, সেটাই একমাত্র ?
তুমি ছাড়া বাংলা সাহিত্য কানা? খোঁড়া?
ভাবো, একটু ভাবো, আর একবার ভাবো, চোখ মেলে চেয়ে দেখো তোমার চারপাশের কলমদের, তাঁরাও নিজেদের মতো এঁকে চলেছে ছবি, যেমন তুমি আঁকো। এবার বলো তো তুমি আদতে কী ও কেন?
উত্তর একটাই তুমি একটি কলম মাত্র। অন্য অনেক কলমের মতো তুমিও এঁকে চলেছো কিছু ছবি। এই টুকরো টুকরো ছবির কোলাজেই গড়ে উঠেছে বাংলাসাহিত‍্যের পূর্ণ একটি রূপ। তোমার ছবিটি একটি টুকরো মাত্র। না তুমি, না তোমার কলম নিয়ন্ত্রন করতে পারে বাংলা সাহিত্য। তোমার ধারাটিও বাংলা সাহিত্যের নিয়ন্ত্রক নয়।

এখান থেকেই শুরু হয় আমাদের যাত্রা, আমরা মাথা নুয়েছি শুধুমাত্র বাংলা ভাষার কাছে। কোনো একটি পত্রিকা, যা সাহিত্য পত্রিকার মুখোশের আড়ালে আদতে একটি রাজনৈতিক পত্রিকা, তার দাদাগিরির শেষের শুরু হয়ে গেছে। বাংলা সাহিত্যের নিয়ন্ত্রক হবে একমাত্র বাংলা সাহিত্য নিজে, প্রত‍্যেকটি কলম স্বীয় ক্ষমতায় লিখে যাবে নিজের মতো করে, কারো বলার অধিকার নেই, এটা ঠিক বা এটাই ঠিক এবং এইভাবেই ঠিক। কলম নিজেই খুঁজে নেবে তার পথ এবং সে যে পথে চলবে সেটাই সঠিক। এভাবেই ভিন্ন ভিন্ন ধারার কলমের কোলাজেই উৎকৃষ্ট হবে বাংলা সাহিত্য তথা বাংলা ভাষা।

আমরা নির্মূল করতে চাই ‘দাদাবাদ’ (‘ডাডা’ নয়)। চাই নয়, করব এবং করবই,
কথা দিলাম।

আমাদের কোনো ভাড়াটে কলম থাকবে না কোনদিন। খুব স্পষ্ট ভাবে ঘোষণা করছি,
‘এখন তরঙ্গ’ তৈরী করবেনা কোনদিন কোনো কবি/লেখক গোষ্ঠী।

আমাদের সহযোগী, সহমর্মী বা আমাদের অফিসিয়াল মেম্বারদের লেখাও যে ‘এখন তরঙ্গে’ ছাপা হবেই এমন নিশ্চিত শর্তে বিশ্বাস রাখিনি আমরা, রাখবোও না।(এই নিয়মটি যাতে অনিয়মে পরিণত না হয় তার জন্য প্রধান সম্পাদক হিসাবে আমি কখনো 'এখন তরঙ্গে' লিখবনা)।

‘এখন তরঙ্গে’ লেখা প্রতিটি কলম থাকবে স্বাধীন, পূর্ণ স্বাধীন। কলম যা চায় তাই লিখবে, পত্রিকার জন্য বদলে ফেলতে হবে না কলমের নিজের ভাষা।
‘এখন তরঙ্গ’ কোনদিন কোনো কবি/লেখকের সাথে এমন কোনো শর্ত ঝোলাবে না যে, ‘এখন তরঙ্গে’ লিখতে গেলে অমুক পত্রিকায় লিখতে পারবেনা বা ‘এখন তরঙ্গে’ লিখতে গেলে ঢাক, ঢোল, কাঁসি নিয়ে নেমে পড়তে হবে ‘এখন তরঙ্গে’র নাম সংকীর্তন করতে।
এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ‘এখন তরঙ্গে’র লেখা কলমের পূর্ণ অধিকার আছে ও থাকবে পত্রিকাটির সমালোচনা করার এমনকি বিরোধিতা করারও, তার জন্য কখনও তার লেখা বাতিল হবে না। (যদিও কোনো লেখা ঠিক বাতিল হয়না, আমাদের কোনো অধিকার বা যোগ্যতা নেই, কোনো লেখাকে বাতিল বলে দেগে দেওয়া। কিন্তু পত্রিকার জন্য আমাদের লেখা বাছাই করতেই হয়, লেখা বাছাইয়ের একটিই মাত্র সূত্র হতে পারে, তা হলো, সবচেয়ে বেশি ভালোলাগা লেখাগুলোকে বেছে নেওয়া। 'এখন তরঙ্গ' সেই সূত্রই মেনে চলে ও চলবে।)

এখানেই আমরা প্রাতিষ্ঠানিক হয়েও প্রতিষ্ঠান বিরোধী। এখানেই আমরা একই পথের পথিক ‘লিটল ম্যাগাজিনে’র সাথে। তবু ‘এখন তরঙ্গ’ লিটল ম্যাগাজিন নয় কেন ? আমরা এবার সেই উত্তরটিই খুঁজবো।

আচ্ছা, লিটল ম্যাগাজিন আদতে কী?
লিটল ম্যাগাজিন একটি দ্রোহ, একটা আওয়াজ, কিছু বলতে চাওয়া, কিছু শোনাতে চাওয়া, লিটল ম্যাগাজিন আদতে একটি আন্দোলন। লিটল ম‍্যাগাজিন আদতে আপাত দূর্বলের হার নিশ্চিত জেনেও, নিজ শক্তিকে স্বীকার ও শ্রদ্ধা জানিয়ে আপাত শক্তিশালী প্রাতিষ্ঠানিক অচলায়তনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা। প্রতিটি লিটল ম্যাগাজিনের নিজস্ব এবং নির্দিষ্ট একটি বক্তব্য আছে, সাহিত্য যাপন নিয়ে আছে নিজস্ব এক রূপ রেখা, আমাদের নেই। আমরা কিছু বলতে চাইনা আমরা শুনতে চাই। আমরা শুনতে চাই প্রতিটি কলমের নিজস্ব ভাষা। আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে চাইনা কলমকে, কলম নিয়ন্ত্রণ করুক ‘এখন তরঙ্গ’কে। যেহেতু আমাদের নিজস্ব কোনো ভাষা নেই, যেহেতু আমাদের নিজস্ব কোনো বক্তব্য নেই, যেহেতু আমরা ঝুলিয়ে দিইনি কোনো মূলো, যেহেতু আমরা কখনো বলিনি, ‘এখন তরঙ্গে’ লিখতে গেলে এইভাবে লিখতে হবে এবং এইভাবেই লিখতে হবে, তাই ‘এখন তরঙ্গ’ লিটল ম্যাগাজিন নয়।

অতঃপর, নিশ্চিত হার জেনে যুদ্ধ করার ইচ্ছা আমাদের নেই, আমরা যুদ্ধে নেমেছি জিত নিশ্চিত জেনে, প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে তাই আমরা সম-শক্তির সূত্রে আস্থা রেখেছি।


জ‍্যোতির্ময় মুখার্জি
Chief editor at 'এখন তরঙ্গ'

তরঙ্গ পরিবারের বার্তা



চেয়ারম্যান ডেস্ক থেকে :

তরঙ্গ বইমেলা সংখ্যার সূচীপত্র আপনারা সবাই পেয়ে গিয়েছেন তাই নতুন করে আর কিছু বলছি না। প্রতিবারের মতো এবারের সংখ্যাও নতুন ও পুরাতনের সংস্পর্শে সজীব।  অসংখ্য লেখা পেয়েছি। কাজে কাজেই মেল বাছতে আমাদের যথেষ্ট কষ্ট পেতে হয়েছে। যাদের লেখা মনোনীত হয়েছে তাদের অভিনন্দন। যাদের লেখা এবারে রাখতে পারলাম না, তাদের প্রতিও আমরা সমবেদনা জানাই। সবাইকে অজস্র ধন্যবাদ এভাবে পাশে থাকার জন্য।  ভবিষ্যতে আরো প্রবলভাবে সহযোগীতার আশা রাখছি আপনাদের কাছ থেকে।

তরঙ্গ ইউ-টিউব চ্যানেল, তরঙ্গ থিয়েটার ও নাট্য সংস্থা, তরঙ্গ প্রকাশনী(আগত) সব মিলিয়ে তরঙ্গ এক বহুমুখী মাত্রা।

আর কিছুক্ষনের মধ্যে প্রকাশিত হতে চলেছে আমাদের পত্রিকা।  সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ ও ভালোবাসা তরঙ্গ থেকে।  সবাই খুব ভালো থাকুন।


শাল্যদানী
ফাউণ্ডার এন্ড চেয়ারম্যান
তরঙ্গ হাউস

বিশ্বরূপ বিশ্বাস


কবিতা : সাধারণ বিভাগ



।।খলিফার লাভা। ১টি লেখোনী।। 

অসাধারণ দেয়ালে অসাধারণ ফুটো। নিজের সক্রেটিস অটোগ্রাফে
চালু। বিপ্লব খাড়া হ'লো নাকি সাংঘাতিক ঢালু। নাকি শুধু-ই আলুথালু।
তা বুঝেসুঝে কার্যতে অপরাগ খলিফার লাভা। মাংসের তালু।

ফতোয়ার লোকেরা উটের পিঠে চ'লেছে। আমি কি চললুম সেথা কামদুঘা
ফতোয়া নিয়ে। নিজেকে জারি ক'রে জাতীয় খাঁড়ি পার হই। পারাপার হই।
গার্হস্থ্য সংসারে গ্রাম্যচেয়ারম্যান ডেকে পাঠায় আমায়।

আমার কি আমি আছে। আমার কি তুমি আছে। সদরের অন্দরে আমার কি
আছে চেরাগ। আমার কি আছে করোটিকা। ঠোকাঠুকি নিয়ে তার প্রমাণ
পাই না। চোখাচুখি নিয়ে তাই চুমে যাই বুক। পোয়াতির ঠোঁট।

যাবতীয় ছলকানো আর১টা চোষায় শেষ। নিজের জলযন্ত্র পল পল। অনুপল।
ছল করে না। যে হাঁয়ে আগুলি এলো সে হাঁয়ে আদরো এলো। গ্লাসের সরবৎ
পেয়ে গ্যালো। পরোয়াহীন চুমুক।

সারারাতের কণ্ঠস্বর কবোষ্ণ গানেগানে ধুলাকীর্ণ। নিজের আত্মঘাতী টানে টব।
টানে টপ পিস্তলের ট্রিগার। কতটা চৌকি পেলে লাশ শুতে পারবে। কতটা চৌচির
হ'লে হালকা হবে লাশ। তা মরবার আগে দেখে নাও। সম্পূর্ণ ওজন ক'রে।

কুকুরের দাঁতে দাঁতে পুলকের ভার। নিজের মুখের হাড় বুকের হাড় খুলে দিই
খাবারের থালে। যে গালে চুমো খায় সে গালে খাবারো খায় মানুষ। প্রেমের
দিওয়ানা তাই প্রতারক ঠোঁট। অস্ত্রেকাটা জিভ।

মরালের শুভ্রতা ম'নে রাখে কি মরাল। আমার দিনের শেষে আমার খাটে
চ'ড়ি আমি। আমার চেয়ারে ব'সি আমি। আমার খাটের পায়া পা বেঁধে
রাখে। আমার বসার চেয়ার বসা ম'নে রাখে। ভুলে যায় না।।



।।শিতিকন্ঠ লিখু।।১টি লেখোনী।।

জলের অন্তরঙ্গ বুদ্বুদে মুক্তা। পাথর। বাদামী নৌকা। আমি সুগন্ধ। আগুন নীল মদে ঢাললাম। জল শেষ। ঝিলমিল প্রস্থান। টেরিকাটা চাঁদে ফাঁকির কৌশল। ঢেউ গুণে গুণে স্মরণীয় মরণ। মরক। অনন্ত জল। খারিজ করলাম বদনাম। মৃতনারী অবলা। বর্ষাফল খায়। আমি বিশ্বাস করিনা অনুভব যে না দিতে পারে তাকে রাখা কোথায় যাবে প্রেমের শুদ্ধতম পাহাড়ে।যদিও রমণী-রমণ লাস্যময়ী সালংকারী সুড়সুড়ি দিয়ে হয়রান পংক্তিতে তাই আরোগ্যলাভ সংশোধন চায় সাহংকারী হ'য়ে। আমি রাখবো কি তার মরাপ্রলাপ নাকি যাবো বয়ে সেই ভাবে শিপ্রানদীর কিনারে শিতিকন্ঠ লিখু নিয়ে একাকী। তবে হ্যাঁ আরো প্রতিবাদ হোক তাই দেখি মালপত্র ঝেরেমুছে তারপর না হয় ক'রে দেবো সাফসাফাই। লঘুমুহূর্তের ভার কমাবো নারী যদি তোমাকে কাছে পাই।।

বিশ্বরূপ বিশ্বাস

নীপবীথি ভৌমিক


কবিতা : সাধারণ কবিতা



ফুলটস

দৃশ্যপট জুড়ে সবুজ মাঠ। লক্ষ্য ভেজে
সংখ্যার পাহাড়ে,
তুমি কি মৃত্যু গোণো এভাবেই ?


সহজ রাস্তা, অথচ কেন যে হঠাৎ লক্ষ্যভেদ !
মাঝে মাঝে ফুলটস বল ও যে ধোঁকা দিয়ে যায়।


আর ক্যাচ লুফে নেয় চিত্রগুপ্ত, তার লাল খাতার পাতায়।





তবুও লিখে যাই---

অক্ষর ছুঁয়ে কখনো বিষাদ মাড়োয়া, কখনও বা ঢেউ ভাঙা ভাটিয়ার


আমার সমস্ত শব্দ খাতা যখন দ্যাখে পাঠকের ভালোবাসা, হয়ত তখনই কলম ছুঁয়ে লেখা হয়   সম্পাদকীয় অভিমান !


---তবুও এ জাগা আমার। জেগে থাকি মুক্তকলমে


জয়ী হোক আর নাই বা হোক অক্ষেরর মাঝে ‌শব্দের অভিযান ।


অন্তরা চ্যাটার্জী


কবিতা : সাধারণ বিভাগ



মরীচিকা

চোখের সামনে একটা মুক্তির মরীচিকা।
কাছে যাই, শুধুই পালায়।
জ্যোৎস্না আকাশের চাঁদটা জানে
কতগুলো রাত জেগেছি,
শেষ হেমন্তের বুড়ো সবুজ পাতা দেখেছে
অপেক্ষা করতে করতে নীল ধোঁয়া
কেমন আঁচড় কেটেছে।
পাথরের দুয়ার চেয়েছি ভাঙতে,
কিন্তু অন্ধকারে অমাবস্যা হয়ে মুখ ঢেকেছে রাস্তা।
অবশেষে  বিষন্নতার জঙ্গলে পথ হারিয়ে,
দুহাতে দুমুঠো হতাশা নিয়ে
এখনো সেই মরীচিকার খোঁজে—
রাস্তায় আমি।


শেষের খোঁজে

নিশ্চূপ হয়ে দেখে যাই প্রতিদিন—
মিথ্যের মিছিল।
মিথ্যের ভয়ে সত্যেরা গলা দাবিয়ে রাখে,
শুধু খসখসে গলায় শোনা যায়—
শেষ কোথায়?
উন্নত সভ্যতা— পাশবিকতার পাহাড়  চারদিকে,
একাকী কাক বিবর্তিত আঘাতে অবাক চায়,
ক্লান্ত দুপুরের হলদে স্নান লজ্জায় রাঙা হয়।
অন্ধকারে মুখ লুকোয় নক্ষত্র —
আর বইয়ের পাতার লুকোনো অক্ষর
জানতে চায় তার সত্যতা।
এক বুক ঢেউ নিয়ে সমুদ্র প্রশ্ন করে—
আর কতদিন?


গোধূলিবেলায়

আবেগের নদী আজ নিশ্চল
ইচ্ছেরা ক্লান্ত হয়ে দিয়েছে পাড়ি বহুদূরে—
এ মনের সমুদ্রে ঢেউ আর আসেনা,
মুখ ফিরিয়েছে ছোটো ছোটো ভাবনার পাখিগুলো,
ফিরে গেছে তারা নিজের বাসায়,
—ক্লান্ত তুমি, ক্লান্ত আমি।
স্বপ্নগুলো আজ মিথ্যে,
বাস্তবের শিকড় ছুঁতে পারেনি ওগুলো!
অন্যের ঘাম মাখো তুমি আজ,
নিজেকে আড়াল করো অন্যের চুলের পর্দায়।
অন্যের মনের বাসায় তুমি আজ সুখী বোধ হয়!

আজ এত পথ একা হেঁটে
বাঁকানো নদীর ধারে,
যদি কখনো ধুলোময় ফাঁকা রাস্তায়
পড়ন্ত বিকেলের গোধূলিবেলায়,
ক্ষণিকের জন্য আবার যদি সময় থমকে দাঁড়ায়,
দেখে নিতে চায় আমাদের অতীতের সোনালি পাতাগুলো,
মুখোমুখি যদি দেখা হয় আবার দুজনার—
মুহূর্তের জন্য থমকে  দাঁড়িয়ে ,
তুমি কি বলবে আবার?
—‘ এখনো ভালোবাসি তোমায়! ’

অন্তরা চ্যাটার্জী
বর্তমানে কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগে স্নাতকোত্তর পাঠরতা।সাহিত্যের প্রতি অনুরাগ আর কবিতার প্রতি ভালোবাসা থেকেই কবিতা লেখা।

অঙ্কিতা চ্যাটার্জী


ছড়া


কবিতারা

কবিতারা ডানা মেলে উড়ে যায় বহুদূর,
তারা জানে সব কথা —
লুকানো মনের ব্যথা,
খবর রাখে তারা যত গোপন অন্তঃপুর।

তারা বাসা বাঁধে  ওই সুদূর ঠিকানায়,
ডাকে আকাশ—
মেখে নেয় বাতাস,
তারা চলে যায় দূরের ওই সীমানায়।

কখনো পড়ে দেখো সময় করে ,
মিশে থাকা জীবনছবি—
সৃষ্টি  করেন কবি,
হৃৎপিন্ডে আবদ্ধ প্রানটার পরে।

যদি বলি কবিতা শুধুই আমার,
তারা কথা বলে—
নিজের পথে চলে,
জানি ক্ষনপরে তুমি বলবেই কবিতা শুধু তোমার।


অঙ্কিতা চ্যাটার্জী। 

শ্রেণী — দশম।
বিদ্যালয় — উষাগ্রাম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়।

অনিন্দ্য রায়


প্রবন্ধ



-------------
                অঙ্ক কবিতা
                      উপবিভাগ
                --------------------------
                ------------------

Kazmier Maslanka অঙ্ককবিতাকে ভাগ করেছেন পাঁচ ভাগে।
 Mathematics poetry বা অঙ্ককবিতাঃ এখানে শব্দ দিয়ে রচিত কবিতা যেখানে বিষয়ে বা ভাবনায় অঙ্কের প্রভাব ।
অঙ্কতে ভাসা ভাসা জ্ঞান আছে আমার – যদিও
অঙ্কতে শূন্য পেয়েছি বহুবার
এখন কেউ যদি আমাকে প্রশ্ন করেন ( a+b)2 =কী ?
আমি দেখাব
বিদ্যাসাগর সেতুর দু-পাশে দাঁড়িয়ে থাকা দুটি খুঁটি
অর্থাৎ গঙ্গার পশ্চিমের খুঁটিটিকে যদি আমি a2 ভাবি
অবশ্যই পূর্বপারের খুঁটিটিকে ভাবতে হবে b2
মাঝখানে যুক্ত হবে এক স্রোতস্বিনী নদী এবং
তার ওপরের ঝুলন্ত ব্রিজটি হবে 2ab  

সুতরাং
(a+b)2= a2+2ab+b2=বিদ্যাসাগর সেতু।
ঠিক সেরকমভাবেই আমাকে যদি কেউ আবার প্রশ্ন করেন
(a-b)2= কী?
আমি দেখাব অনতিদূরে দাঁড়িয়ে থাকা রবীন্দ্রসেতুর সেই খুঁটি দুটি,
বিশ্লেষণ যাবতীয় এখানে একই।
শুধুমাত্র তফাৎ ফর্মুলা মাইনাস্‌ এবং এর উত্তর আরো সহজ
রবীন্দ্রসেতু বয়সে বৃদ্ধ, অপরিসীম ক্লান্ত সে, তাই প্রশ্ন আসে

কতদিন বয়ে যাব এই চঞ্চল সেতু এভাবে?
কিছু মানুষ – কিছু যান-জট
যদি তুলে আনা হয় সেখান থেকে,
এই পুরোনো সেতু নিশ্চয় কিছুটা হাঁপ ছেড়ে বাঁচবে
সুতরাং
(a-b)2= a2-2ab+b2=বিদ্যাসাগর সেতু।

আজ বুঝি
কেন আমি অঙ্কে শূন্য পেয়েছিলাম বহুবার…..
     ( কেন আমি অঙ্কে শূন্য পেয়েছিলাম /পিনাকীরঞ্জন সামন্ত)

আমি জানি ১+১=১
আর আমাকেই গুনতে হবে কটা ফল আছে

গেল দু'বছর একটাও ফলেনি,এবার ফলের ভারে নুয়ে পড়েছে
আমাদের গাছ।যেমন তেমন গাছ নয় পেয়ারার গাছ

পেয়ারাইতো প্রেম,প্রথম প্রেম
ডাঁশা-পাকার তফাৎ জেনেছি।আহ্লাদ জেনেছি।সেই বলছে,
ফল গুনতে না পারলে,পাতা গুনে দাও।কটা পাতা হলুদ হয়েছে,
বলতে হবে এও

আমি জানি ১+১=০
(পেয়ারা পিরিত/নির্মল হালদার)


 Mathematical visual poetry বা গাণিতিক দৃশ্য কবিতাঃ এই কবিতায় শব্দ এবং/ অথবা ছবির ওপর দৃশ্যগতভাবে গানিতিক চিহ্ন এমনভাবে ব্যবহার করা হয় যাতে কবিতাটি ব্যক্ত হয়।
 Karl Kempton-এর রচনায় আমরা এরকম কাজ দেখি


(Mathematical Zen Poems / Karl Kempton)
a=স্বপ্ন
    b= লড়াই
    c=অবরোধ
    a+b  > c
    ত্রিভুজের দুটি বাহুর যোগফল তৃতীয় বাহুর চেয়ে বড়।
(ত্রিভুজ / বিপ্লব গঙ্গোপাধ্যায় )

Equational poetry , সমীকরণ  কবিতা  আমরা তাকেই বলবো , যখন একটি কবিতা লেখা হবে  সমীকরণের আকারে  সমান চিহ্নের দু পাশে রাশিগুলিকে এমন ভাবে সাজানো যেন দু পাশের সাম্য /সমতা থাকে তাকেই যদিও সমীকরণ বলে , তবুও মাঝের চিহ্নটি হতে পারে=, > . < , ,বা সমানুপাতিক বা অন্য যে কোনো কিছু  যা দুপাশের মধ্যে সম্পর্ক সিগনিফাই করবে এবং সংখ্যা, অক্ষর , শব্দ , বা বাক্য / বাক্যাংশ দু পাশে বসিয়ে রচিত হবে সমীকরণটি


( mathemaku No. 6a/ Bob Grumman)

Visual mathematical  poetry বা দৃশ্য  গাণিতিক কবিতাঃ এখনে একটি দৃশ্যকবিতার বিষয় হল গণিত । শব্দ ব্যবহৃত হবে না, হলেও তা ন্যূনতম।


(Connie Tettenborn)
Pure maths poetry  : কোনো শব্দই ব্যবহৃত হবে না, সংখ্যা ও গণিতের চিহ্ন দিয়ে রচিত হবে কবিতাটি। number poetry এই ধরণের কবিতা।  Kazmier ম্যাজিক স্কোয়ারকেও এই জাতীয় কবিতা বলেছেন।   
শুধুমাত্র সংখ্যা দিয়ে কবিতা লেখা কি সম্ভব? ছন্দ, মিল দিয়ে? ধরা যাক একটা লিমেরিক, সম্ভব?
1,264,853,971.2758463
এইটা? হ্যাঁ, একটা লিমেরিক, নিয়ম মেনে, ঠিকঠাক।
লিখেছেন Leigh Mercer
আসুন, পড়া যাক...
1,264,853,971.2758463
আসুন উচ্চারণ করে পড়ি
One thousand two hundred and sixty-
Four million eight hundred and fifty-
Three thousand nine hun-
Dred and seventy-one
Point two seven five eight four six three.
তো, এই হল Number limerick

অনিন্দ্য রায়
জন্ম: ২৮শে জানুয়ারি ১৯৭১,
বাঁকুড়া
লেখালেখি শুরু : নব্বইয়ের দশক
প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ : তিরিশে ফেব্রুয়ারি
স্পার্ক অ্যাভেনিউ
কাগজের হারপুন
এক পঙ্‌ক্তির অনিন্দ্য রায়
সম্পাদনা : কবিতাডিহি