এখন তরঙ্গ তে লেখা পাঠান প্রতিমাসের ৫ থেকে ২০ তারিখ অবধি

হঠাৎ চমক


। মেঘদূত।


সকাল থেকেই বৃষ্টি শুধু।
কোথায় নাকি নিম্নচাপ।
প্রেম পেয়েছে খুব আমারও।
বিরহে তাই মনখারাপ।

মনখারাপের মুখে আগুন।
মোবাইল আছে কি করতে?
কিছু চুমু ভাসিয়ে দিলাম।
পৌঁছে যাবে সে শর্তে।

পৌঁছালো কি মেঘমুলুকে?
ঝমঝমাচ্ছে চতুর্দিক।
তার মনও কি চাইছে আমায়?
হোয়াটসঅ্যাপে একটা টিক।

মন বলছে ফোন করে নে।
বৃষ্টি বলে করিস না।
অমন করে সবদিনে লোক।
আজকে ও পথ ধরিস না।

মেঘের কথায় দম আছে বেশ।
বৃষ্টি কি আর রোজ আসে?
তাকিয়ে আছি ফোনের দিকে।
দেখি কখন খোঁজ আসে।

টাপুর টুপুর, টাপুর টুপুর।
বৃষ্টি পড়ে অঝোরধার।
মেঘবালিকা খুঁজছে কাকে?
কোন প্রেমিকে নজর তার?

মেঘের নারী প্রগলভ।
এক প্রেমিকের স্বভাব নেই।
আমার নজর মুঠোফোনেই।
কিন্তু চুমুর জবাব নেই।

শুধুই কি আর বৃষ্টি নাকি?
সঙ্গে তো ঝড় বিদ্যুৎও।
এমন করেই ভিজতো যে মন,
আলতো হাতে যেই ছুঁতো।

এখন সে হাত অনেক দূরে।
ছোঁয়ার কোনো উপায় নেই।
অগত্যা প্রেম থমকে আছে,
মোবাইল নামক মেঘদূতেই।

কিন্তু এমন বৃষ্টি হলে,
তখন কি আর মন মানে?
হাওয়ায় চুমু দিই ভাসিয়ে,
তার দুটো ঠোঁট সন্ধানে।

ভাসিয়ে দিলাম নাহয় চুমু,
কিন্তু সে ঠোঁট নিচ্ছে কই?
হোয়াটসঅ্যাপের একটা টিকে,
শান্তি আমায় দিচ্ছে কই?

মেঘলা দিনের বৃষ্টিফোঁটা
আমার প্রেমের খবর দিক,
হঠাৎ করে মন ভাসালো,
নীলচে বরণ দুখান টিক।

জবাবীটাও জলদি এলো,
বৃষ্টি তারও মন জুড়ে,
বাকি কথা উহ্য থাকুক,
বাজলো বাঁশি কোন সুরে।


আর্যতীর্থ