এখন তরঙ্গ তে লেখা পাঠান প্রতিমাসের ৫ থেকে ২০ তারিখ অবধি

হঠাৎ চমক




আয়তকার রমণী


ঐন্দ্রিলা মহিন্তা


০১.
হিংলাজের মোজাইক শানবাক্সে 
দলাওঠা প্যালেস । কাসুন্দির বাতাসে 
    মঁ   মঁ  শ্বাস 
                     ডিসটেম্পার আঙুলে 
                   বটের ছাপ লেগে থাকে 

০২.
গলায় ঠাসা কঞ্চি 
এলোচুলে কালশিটে মাখে 
চেরিখুঁটে আঁকা ঠোঁটে : ইন্দ্রচমক 

জ্বলন্ত মেঘের কয়লায়
সরলরেখার পিথাগোরাস 

০৩.
কাঞ্চন স্লাইসের জমা খণ্ড 
ভূমধ্যসাগরের আপেল 

সাদা হাতে লোহার পাতার 
শূন্য তর্জনী 

টিমটিমে জমা ভ্রমর 
ছায়ার কাঠিন্য মাপে 






তোমার সমাধি ফুলে ফুলে ঢাকা / কে বলে আজ তুমি নাই.........




১-সহজিয়া চক্রব্যূহের প্রতিআক্রমণ
---------------------------------------------------------------
সময়টা ২০০৮।তখন কম্পিউটার জনপ্রিয় হতে শুরু করেছে।আমরা বিভিন্ন সফটওয়্যার নিয়ে ঘাটাঘাটি করছি।প্রায় দৈনন্দিন জীবনের অঙ্গ হয়ে উঠছে এই ডিজিটাল প্রযুক্তি।সরকারি চাকরি করি স্বাস্থ্য বিভাগে।পোস্টিং কোচবিহার।রাজনৈতিক সংগঠনের সাথে সম্পর্ক ছেদের পর লেখালিখি বহুবছর হলো বন্ধ।এমনই এক মুহূর্তে কিছু রুমমেটের অতি উৎসাহ ও প্রশ্রয়ে আবার শুরু হলো কবিতা লেখা।তখন শক্তি চট্টোপাধ্যায় পড়লে কাদি, সুনীল গাঙ্গুলীর কাছে নীরার পাঠশালা, জীবনানন্দ বাড়াচ্ছেন বোধ, শঙ্খ ঘোষ বা সমর সেন প্রভৃতি সকলেরই কাছে বাড়াচ্ছি অনুভূতি।অথচো, কেন জানি না নিজেই উপলব্ধি করছি কি যেন হচ্ছে না।যে ভাষায় নিজের আগ্রাসন চারিয়ে দিতে চাই তা কোথায় পাবো।
হাতে দ্বিতীয় বারের মতো চলে এলো বেশ কয়েকটি বই, অনলাইন ও প্রিন্টেড ছোটো পত্রিকা।যেমন, কবিতা পাক্ষিক থেকে পোস্টমডার্ন ৩০০ কবিতার সঙ্কলন, অনলাইন কৌরব, কালিমাটি, আই দুয়েন্দে ইত্যাদি।আর তখনই পরিচয় বারীন ঘোষাল নামটির সাথে।সেটা যে পরবর্তীতে কখন নিজের অজান্তে বারীনদা হয়ে গেলো বুঝি না আজও।অথচ, বিশ্বাস করুণ ব্যক্তিগত পরিচিতি কখনো ছিলো না।
কমলালেবুর বাগানে হাসিস ঝরে পড়ছে : স্রেফ এই একটা লাইন ভিতরটা ভাঙচুরের ক্ষেত্রে যথেষ্ট ছিলো।একেএকে হাসিস্ তরণী, সৎকার ইত্যাদি একের পর এক।এই শেষ কলকাতা বইমেলাতেও দেখলাম।হাতে নিয়ে বাড়ি ফিরলাম আলেকজান্ডার ও খালকো (প্রকাশনা ঐহিক)।ভেবেছিলাম এই তো মানুষটা, যাই না দুদন্ড কথা বলে জিরিয়ে আসি।কিন্তু না।আদরের বোহেমিয়ানপনা হয়তো কবির জন্মসিদ্ধ অধিকার।আজ সে বারীন - ল্যান্ডের অতিচেতনায় ঢুকে পড়েছে সশরীরে প্রত্যক্ষভাবে।আজ সে দেখতে পাচ্ছে মহাজাগতিক তেজস্ক্রিয় প্রসব।আজ সে বলতেই পারে কবিতায় ভিলেনরাই পারে সুখী গয়নাকে তছনছ করতে।আমরা চিরকালই এক দর্শক বেলুনের ভূমিকায়।অন্ততপক্ষে এটুকু কো-রিলেশনের জন্য অপেক্ষা করাই যায়

কয়েকটা লাইন একটু অযাচিত হয়েই আসুক।অন্ততঃ ইচ্ছে করছে


পর্যায়ক্রমে যেকোনো ১টি কবিতায়
----------------------------------------------------------------
নাভির ভিতর রয়েছে প্লুটোনিয়াম খনিজ

আমরা।এই মুহূর্ত থেকে স্রেফ হিসেবী আড়াল

নিসপিসে হাত : ছুয়ে দেওয়া ম্যাজিকে আবারও

পোড়া ব্লাউজের তলায় গরম চামড়া।ক্ষতি নেই

রক্ত মাংস মজ্জার অনুচক্রিকা সংরক্ষিত

ভাবছি : শেষরাতের ভিসুভিয়াস ও আদিম সঙ্গম

আদপে এসব চলমান মেটারনিটিক ফ্রেম

শাদাকালো হ্যালোজেন থেকে হোক শুরুবাদ

কিংবা : বর্ষার ব্যবচ্ছেদ।নাড়িতে শুকোচ্ছে চুনজল

হিমঘরের প্রতিআক্রমন : ক্রমশঃ নগ্নতাটুকু চুষেচুষে



শ্রদ্ধাযাপনে তরঙ্গ পরিবার
🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏





হঠাৎ চমক


অমীমাংসিত


কিছু আহ্লাদ ছাড়পত্র পেলে
বাতাস বাজাতে থাকে হুইসেল
ঊষর মরুতে সবুজ বনানী
বায়োপিক এঁকে চলেছে শিল্পী
দেয়াল চিত্রগুলো সব পুরোনো
আইকন বন্দী আর কতদিন ?

ভাঙ ভাঙ ভাঙ কারা

আমার অনুভব এখন উল্টো
পাহাড়ি প্রপাতটা খুব চেনা
কল্পরাজ্যে নয় বাস্তব ছুঁয়ে
বাতাস জুড়ে কেবল গোপনীয়তা

ঝিঁঝিঁ আর রাত চুমুর

ব্যারিকেড বেঁধে মিছিল ককটেল
জিন এর তাড়নায় দাবায়
শকুনির নিত্য বেপরোয়া বাজি
তোমার আমার সংহতি বলে

গঙ্গা তেরি ম্যায়লি হ্যায়

টলতে টলতে হেঁটে যায়
জনমত জনপথ কাগজে কলমে
সবার বুকেই একটা নদী
সাঁতার শিখছি পুঁজিবাদীর সুইমিংপুলে..

©Sonali Mandal Aich


হঠাৎ চমক



কবিদের বর

     রাজ     

ভাঙা কাঁচে জমে থাকা বাস্পে
মোমদেহের জলপ্রপাত 
অজান্তেই  ছোঁয়াছুয়ি
স্তব্ধমিছিল ও এিকোন শব্দের
একটিই  সরল রেখা। 

শূন্যতে তুমি 
শূন্যতে কবিতা, শূন্যতে শেষ
আর শূন্যতেই আমার সহবাস। 

জলন্ত দাবানলে একটিই চাঁদ 
যে চাঁদে একমাএ তুমিই কলঙ্ক । 

জানি তোমার ছোঁয়াই O2
আজ  CO2 হয়
জানি তোমার ছোঁয়াই
ইতিহাসে আজও সন্ধ্যে নামে
জানি তোমার ছোঁয়াই
কবিরা আজ নিজেকে  
শাহজাহান ভাবে। 

কখন যে ফুসফুসে প্রেম জমে
 কখন যে একটু ছোঁয়াই জ্বর আসে
আর কখন যে ফাঁপা শরীরে 
 শব্দরা জোর খাটাই
সে কথা কবিদের  বর 
   কবিতাও জানে না । ।




হঠাৎ চমক



মুন্ডমালা
মহাদেব নাথ


অন্ধকার মুছে ফেলো নিশা
তপ্ত শরীরের হিমালয় থেকে ঝরে পড়ুক
থোকা থোকা কাদা

এসো মেঘা এই অন্ধকারের শপথে
প্রদীপের ভেজা বাদামের পতাকা তুলি

ভেঙে ফেলি মগডালের বিপ্লব খিস্তিখেউড়
ডুবিয়ে ফেলি হার্দিক ছাতার ক্লোজাপ

নেবুলার ভিতর এঁকে ফেলি
আমাদের বাতাবি লেবুর কচি ঘাস
ভালবাসার এই কাঙালিপনায় ধুয়ে যাক
give এন্ড take পলিসি

মেঘা এই চন্দ্রালু প্রেমের কাঁসর বাজছে
শঙ্খ বাজছে…
এখন শুধু পায়রা উড়ার পালা

তারপর শুধু তুমি আর তুমি
ভেঙে যাক দরজার আভিজ্যাত মুন্ডমাল




'এখন তরঙ্গ' অষ্টম সংখ‍্যার জন্য লেখা আহ্বান


লেখা পাঠান
আগামী ০৫/১১/২০১৭ তারিখের মধ্যে

মেল বডিতে টাইপ করে
বা doc ফাইলে।
লেখার সাথে এক কপি ছবি
এবং পরিচিতি পাঠাবেন।

বিষয়সমূহ :

১। কবিতা
  • সাধারণ বিভাগ (যে কবিতাটি আপনি ছাড়া বাকি সবাই বলে কোবিতা, সেটিও নির্দ্বিধায় পাঠাতে পারেন)
  • কবিতার ল‍্যাব (বাজুক রুদ্র সংগীত উচ্চ তানে)

২।গল্প (অণু/ছোট/বড়)
৩। মুক্ত গদ‍্য
৪। প্রবন্ধ
৫। বই/পত্রিকা/সিনেমা আলোচনা
৬। ভ্রমণ


# উল্লিখিত সময়ের পরে জমা হওয়া কোনো লেখা গৃহীত হবে না এবং একমাত্র মেল আইডি তে পাঠানো লেখাই গৃহীত হবে।

(ব‍্যতিক্রম সম্ভব একমাত্র বিশেষ ভাবে আমন্ত্রিত লেখার ক্ষেত্রে)



হঠাৎ চমক


ক্ষোভ


বিজন পন্ডিত

অলংকার অহংকার প্রসাধনী বর্ম...
মাঝে মাঝেই চুপকথায়
ডুব দেয় রূপকথা।
মনের মাথায় একমণ মাথা
ভর করেছে আজ
সমীকরণগুলো সমীরণে এলোমেলো,
হাতগুলো হাতড়ে খুঁজে বেড়াই
অভিমানের মানহানি-
শিখণ্ডীরও  শিখণ্ডী চাই।



'এখন তরঙ্গ' (সপ্তম সংখ্যা)


প্রকাশকাল :   ১৯ অক্টোবর, ২০১৭
প্রধান সম্পাদক : রাহুল গাঙ্গুলী
সহ-সম্পাদকগণ : বিজন পণ্ডিত
                            সঙ্গীতা পাল
                            ঐন্দ্রিলা মোহান্তি
                            দেবব্রত মাইতি
                        

সর্বসত্ব সংরক্ষিত                                 
তরঙ্গ পরিবারের পক্ষ থেকে

শাল‍্যদানী
(Chairman, Taranga House)            



                                     জ‍্যোতির্ময় মুখার্জি                                         (CIC, Taranga House)
                                             
                             


-: সূচীপত্র :-


সম্পাদকীয়:-
রাহুল গাঙ্গুলী


তরঙ্গ হাউসের পক্ষ থেকে বিশেষ বার্তা:-
শাল‍্যদানী


১। সাধারণ বিভাগ:-

  • কবিতা
    • জোনাকি পাঠ
      • অনিন্দ্য রায়
      • কুমারেশ তেওয়ারী
      • দেবাশিস মুখোপাধ্যায়
      • সঙ্গীতা পাল
      • সুজিত মান্না
      • নবকুমার পোদ্দার
      • ফারজানা মণি
      • ব্রতশুদ্ধ
      • ঐন্দ্রিলা মোহিন্তা
      • অনুরূপা পালচৌধুরী
      • অর্ণব মন্ডল
      • রুমেলা দাস
      • অনুপ বৈরাগী
      • সবর্ণা চ‍্যাটার্জ্জী
      • সৌম‍্যকান্তি চক্রবর্তী
      • অরিন্দম ভাদুড়ী
      • সুদীপ ব‍্যনার্জি
      • সন্দীপ দাস
      • কৃষ্ণেন্দু দাসঠাকুর
      • কৌস্তভ সোম
      • দেবদূত

  • কবিতার ল‍্যাব
    • জ‍্যোতির্ময় রায়
    • জয়দীপ রায়

  • হেপ্টাম‍্যানিয়াক
    • রাহুল গাঙ্গুলী
  • গল্প
    • ছোট গল্প
      • অতনু গঙ্গোপাধ্যায়
      • সুদীপ্তা পাল
    • অণু গল্প
      • সিলভিয়া ঘোষ
      • সুব্রত দাস
    • বড়ো গল্প
      • পিনাকি চক্রবর্তী

  • প্রবন্ধ/মুক্ত গদ‍্য
    • মুক্ত গদ্য
      • জ‍্যোতির্ময় মুখার্জি
  • পত্রিকা/বই/সিনেমা আলোচনা
    • পদক্ষেপ পত্রিকা
      • আলোচনায় রাহুল গাঙ্গুলী

  • সাক্ষাৎকার
    • খনন (নতুন কবি)
      • তুলি রায় (সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ঐন্দ্রিলা মোহিন্তা)
      • রশ্মি মজুমদার (সাক্ষাৎকার নিয়েছেন রাহুল গাঙ্গুলী)
৩।শব্দশ্রুতিরূপ
  • অনুরূপা + রাহুল
৪। ফিরে দেখা
  • ‘এখন তরঙ্গ’ ষষ্ঠ সংখ্যা থেকে
    • তনুশ্রী বাগ
    • রিক্তা চক্রবর্তী



(সূচীপত্রে উল্লিখিত নামের পরম্পরা কখনোই কোনো ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য রাখেনি।)






~: সকলকে দীপাবলির প্রীতি ও শুভেচ্ছা :~

🙏🙏🙏🙏



সম্পাদকীয়




সম্পাদকীয় ডেস্ক থেকে রাহুল :


হাটিহাটি পা পা করে এগিয়ে গেলাম আরো এক মাইলস্টোনের দিকে। তৈরি হলো ওয়েবজিন।তৈরি হলো আরো ছড়িয়ে পড়ার উন্মাদনা। এই কৃতিত্ব সকলের।পুরো টিম কাজ করেছে দারুণ ভাবে।আর সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য জ্যোতির্ময়, তার কথা আলাদা করে না বলে এড়িয়ে যেতে পারবো না।তবুও সব সফলতার আড়ালে ব্যর্থতা থাকে।আর সে দায়ভার কেবলই আমার।
কিছু নতুন বিভাগ শুরু হলো।যেমন হেপ্টাম্যানিয়াক ও খনন্।কিছু কথা বলি,কিছু স্মৃতির ভীড়কে সামনে রেখে।
তরঙ্গ প্রথম দিন থেকে তার উদ্দেশ্য স্পষ্ট করেছে।সৎ শিল্পের প্রতি দায়বদ্ধতা।তরুনদের ফোকাস করা ইত্যাদি।কারণ,তরঙ্গ বর্তমানতা ও আগামীর কাছে দায়বদ্ধ।আর অতীত থেকে শিক্ষা।তরঙ্গ প্রসেসকে মানে।বলা ভালো চলমান প্রসেস।যেখানে শিল্পের প্রকৃত উদারতা আছে।সততা অবশ্যই।তাই আজ তরঙ্গ আরো একবার সীমানা মুক্তির কথা বলে।সেটা ভাষায়,মননে,চিন্তনে ও যাপনে।শূন্য থেকে এক বা এক থেকে শূন্য : কোনো ইজম্ নয়,বাদ নয়।তরঙ্গ পর্যবেক্ষণে বিশ্বাসী, বিবর্তনে বিশ্বাসী।তাই সেইসব চিন্তাবিদকে,যারা ভাষাকে ভেঙে গড়ার কথা বলেন, তরঙ্গ তাদের সকলকে প্রণাম জানায়

হেপ্টাম্যানিয়া কি।কেন : প্রথম সংখ্যা থেকে তরঙ্গ যার মুখোমুখি হয়েছে,তা হলো অশ্লীলতার মাত্রা।আদপে এই শ্লীল বা অশ্লীল কি।শেখালো কারা।তরঙ্গ বিশ্বাস করে শিল্পযাপনে অশ্লীলতা মেনে নেওয়ার অর্থ নিজের সত্য প্রকাশের দুর্বলতাকে আড়াল করা।কারণ যা চিন্তন = তাই আদপে সত্যি ও সৎ = তাই প্রকৃত যাপন।অতএব একথা মাথায় রেখেই এই কাউন্টার ম্যানিয়ার প্রতি জেহাদ।(হেপ্টা = ছয়) +(ম্যানিয়া = ভয়) → হেপ্টাম্যানিয়া।এই বিভাগে সেই ছয়টি কবিতার সিরিজ প্রকাশিত হবে,যা জেহাদ করতে চায় : দৃষ্টি, সমাজ,রাষ্ট্র - সকলের প্রতি
খনন : এই বিভাগটি সেইসব নবাগতদের জন্য যারা কোনোরকম কোনো অনুকরণ ছাড়াই নিজস্ব ভাষা ও অবস্থান তৈরি করতে পেরেছে বা চেষ্টা করছে।আর এটুকু দৃঢ় বিশ্বাস নিয়ে বলাই যায়,এরা আগামী সাহিত্যের মুখ ও ভাষা।যদিও এরা কেউই পরিচিত মুখ নয়।ভার্চুয়াল জগৎ থেকে উঠে আসা এইমুখগুলোকে তরঙ্গ শ্রদ্ধা করে এবং তাদের উত্তরণে পাশে থাকার তাগিদ অনুভব করে।এই বিভাগে থাকছে তাদের সাক্ষাৎকার,সাথে কবিতা।যেহেতু সাক্ষাৎকার পর্ব থাকছে,তাই কবি পরিচিতি আলাদা করে থাকছে না
আগামীতে এরকম আরো বিভাগ আসবে।আরো কথা হবে।আরো পথচলা হবে।কারণ,দৃঢ় বিশ্বাস : পথযাপনেই শিখতে হবে পথ চলা

এ পর্যন্ত এসে সম্পাদকীয় থেমে যাওয়া উচিত ছিলো।কিন্তু না।কিছু কথা কনফেস্ করা উচিত ব্যক্তি রাহুল গাঙ্গুলীর ও তার লেখনী ধারার।কারণ,নিজের কাছে বহুসত্ত্বার মূল প্রকৃতি সেই এক।ব্যক্তি রাহুলের অসহায়তা আছে,দ্বন্দ্বের যন্ত্রণা আছে।তারও প্রেম আছে,যৌনতা আছে,আঘাত আছে।একথা অস্বীকার করার নয়।কথাগুলো আসছে কেন।কারণ,সম্পাদক থাকতে গেলে কবিত্ব সত্ত্বাকে ভাঙতেই হয়।কারুর পাশে থাকতে হয়।কাউকে ঘাত দিতে হয়।গোষ্ঠীর ভিতর থাকতে হয়।যদিও,একজন প্রকৃত কবি কখনোই গোষ্ঠীবদ্ধ নন।হতে পারেন না।অথচো,লেখনীর স্বীকৃতি কোনো গোষ্ঠীই পারেন দিতে।অন্ততপক্ষে ইতিহাস আজ পর্যন্ত সে কথাই বলে।তাই এই কথাগুলো মেনে নেওয়া সর্বদা যন্ত্রণাদায়ক।অথচো,কবি বা সম্পাদক : কোনো দায়িত্বকেই এড়াতে পারি না।এই পরস্পর বিরোধীতাও যন্ত্রণাদায়ক।তবু দিনের শেষে স্রেফ একটা কবিতার সাথেই চরম নোংরামো, নিষিদ্ধ সহবাস
হয়তো।কখনো।কোনোসময়।চূড়ান্ত।সঙ্গমপ্রস্তুতিতে।নিস্তব্ধতায়।নৈরাজ্যে।বিস্ফোরণে।খুঁজেপাবো।প্রকৃতসমাধান
আশা রাখাই যেতে পারে।

********

চেয়ারম্যান ডেস্ক থেকে

'তরঙ্গ হাউসে'র তরফ থেকে বিশেষ বার্তা



কিছুদিন আগে পর্যন্ত ম্যাগাজিন প্রকাশের সময় আসলে ভীষণ ব্যস্ততা থাকতো আমার। যতদিন পিডিএফ বানানোর কাজ করেছি, পূজোপার্বণ টা বাদ দিয়ে আগের ছটা ম্যাগ। ইতিহাস তা। আজ ব্লগজিন। বানানোর দায়িত্ব হাউসের অন্য এক সদস্যের। সংসার আজ অনেক বড়। কাজও তাই ভাগ করা। এই যেমন এখন আমি অফিসিয়ালি হাউসের চেয়ারম্যান হিসাবে লিখছি। হা হা হা
এইকদিনে তরঙ্গ অনেকটা এগিয়ে গেছে লক্ষ্যে। হাউসের নিজস্ব ব্লগ। সেই ব্লগে হাউসের প্রতিটি ডিপার্টমেন্ট। প্রকাশ করেছি Governing Body, সিলেকশন এর মাধ্যমে গঠন করেছি Council. ভাগ করে দিয়েছি কাজগুলো। চালু করেছি ব্লগে নতুন বিভাগ 'হঠাৎ চমক', নিজে হাতে বেছে নিচ্ছি প্রতিদিন আমাদের ওয়াটস আপ গ্রুপের কবিদের লেখা কবিতার মধ্যে একটা-দুটো, বেছে নেওয়া কবিতাটি সরাসরি প্রকাশ পাচ্ছে ব্লগে এবং সেই কবিতার সাথে মানানসই ছবি অথবা শব্দ নিজে হাতে লিখে বা এঁকে দিচ্ছি। প্রতিমুহুর্তে পাঠক এবং লেখক সবার সরাসরি যোগাযোগ থাকছে ব্লগের সাথে, হাউসের সাথে।
এবার আসি এই ব্লগজিন নিয়ে। বেশ কিছুদিন ধরেই কথা চলছিলো ব্লগজিন নিয়ে। আমি এবিষয়ে যথেষ্ট পারদর্শী নই, তাছাড়া সঠিক হাতের ছোঁয়া প্রয়োজন ছিল। জ্যোতির্ময়(মুখার্জি) আমদের সাহায্য করেদিল। হাউস ওর কাছে ঋণী। নতুন বেশ কিছু বিভাগ এসেছে এই সংখ্যায়। তার মধ্যে একটির নাম খনন। সেদিন ছিলো বিজয়া দশমীর সকাল, বড়দের প্রণাম করতে গিয়ে রাহুলদাকে ফোন করি, কথায় কথায় হঠাৎ প্রস্তাব দি নতুন একটা বিভাগ খোলার, শুধু মাত্র নতুনদের হাইলাইট করতে, রাহুলদা রাজি হন এবং আমি নিজেই সেই বিভাগের নামকরণ করি। খনন চালু করা হল এই সংখ্যা থেকে, এছাড়া আরো নতুন কি কি বিভাগ থাকছে তাও এতক্ষণে জেনে গেছেন।
নাটকের গ্রুপ ভালো আছে। দীপাবলি আর এই উৎসবের মেজাজ কেটে গেলেই আবার রিহার্সাল। অনেক পরিকল্পনাতো আছে। ঠিকঠাক করে ফেলতে পারলেই হল।
সবশেষে কিছু বিষয় পরিস্কার করা প্রয়োজন। গভর্নিং বডি আর কাউন্সিল কি এবং কেন। তরঙ্গের স্বরূপ একটি হাউস, কোনো এনজিও নয়। রীতিমত গভর্নমেন্ট রেজিস্টার্ড এবং ইনাকাম ট্যাক্স - সেল ট্যাক্স ফাইল করা। অবশ্যই ফাউণ্ডার এন্ড চেয়ারম্যান হিসাবে আমি আছি। কিন্তু খাতায় কলমে মালিক হিসাবে থাকলেও বাস্তবে তা আমি নিজের সম্পত্তি হিসাবে রাখিনি এবং চাইও না। তাই আমি তরঙ্গের একটি গভর্নিং বডি বানিয়ে নিজের একছত্র ক্ষমতা ভাগ করেছি। যাবতীয় ডিসিশন গভর্নিং বডিই নেবে। গভর্নিং বডির অধীনে থাকছে একটা কাউন্সিল, যার কাজ হাউসের নীতিনির্ধারণ করা, আইনশৃঙ্খলা দেখা, এবং গভর্নিং বডিকে প্রত্যক্ষ রূপে সাহায্য করা। এছাড়া আছে প্রতিটি বিভাগ এবং তাদের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধানরা। এইভাবে একনায়কতন্ত্রকে তরঙ্গ থেকে মুছে এনেছি সবাই রাজার আইন।
আজ এইটুকুই থাক। বাকী কথা পরে হবে।
শুভ দীপাবলির আলোর পথের শুভেচ্ছা

শাল্যদানী
চেয়ারম্যান
তরঙ্গ পরিবার



শাল‍্যদানী




অনিন্দ্য রায়

বিভাগ : কবিতা (জোনাকি পাঠ)



শ্বাসপাতাল


শিমুলচারার কাছে উবু হয়ে রোদ, ওখানে রাখার মতো কবিতা পাইনিপাতাদের করতল, আকাশবিম্বের প্রতি তার পক্ষপাত, মেলে ধরে। আমি তর্জনী বাড়াই। স্পর্শের নিকটে গিয়ে হাওয়ার অঙ্গুরীয় খুলে যায়,হারায় মুকুর তবে কি যা দেখেছি এতোদিন সকলই ওল্টানো ! অভিকর্ষ বন্ধ হলে আজ সব প্রতিবিম্ব নতুন সাজাই


টুপির ভেতরে বন, পুরুষেরা খরগোশ, মেয়েরা পায়রা, অশেষ রুমাল আছে তাদের সম্পর্কে পাতা, গাছে গাছে কাগজের ফুল। আমার ভূমিকা নেহাতই দর্শকে,র মাঝেমধ্যে হাততালি দিয়ে সব কিছু সক্রিয় করেছি আর তোমার চোখের ফাঁকি আলোর দূরত্বে গিয়ে চমকে উঠেছে 


অনিন্দ্য রায়

জন্ম: ২৮শে জানুয়ারি ১৯৭১, বাঁকুড়া
লেখালেখি শুরু : নব্বইয়ের দশক
প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ : তিরিশে ফেব্রুয়ারি
স্পার্ক অ্যাভেনিউ
কাগজের হারপুন
এক পঙ্‌ক্তির অনিন্দ্য রায়
সম্পাদনা : কবিতাডিহি





কুমারেশ তেওয়ারী

বিভাগ : কবিতা (জোনাকি পাঠ)



কার্নিভালের কাছে

কার্নিভালের কাছে রেখাচিত্রগুলো জমা দিয়ে
কিনে নেবো একটুকরো গগনবিলাস
তবু কেউ আমাকে গগনবিহারী বললে
তার হাতে কিছুটা মরীচিকা ধরিয়ে দিয়ে
উতরোল ঢ্যামনামোতে ঠেসে ভরে দেবো কানাঘুষো 

##
এরপর প্লেটোনিক জগাই-মাধাই হয়ে
সাড়ে তিনঘন্টার অ্যালকোহল এপিসোড গাইতে গাইতে
হরি হে মাধব ভাঙ্গা কলসি কোথায় পায় গৌর

##
পেচ্ছাবের ইনফেকশন থেকে কোথায় পালাও বাৎসায়ন
মাইরি বলছি আমাকে আর জাহান্নাম চিনিও না
আদার ব্যাপারীর এই আঁতলেমিটুকু সহ্য করে
কিছুটা ক্ষেমা রেখে যাও 

##
আমি ফসিলের সঙ্গে ফসলকে গুলিয়ে ফেলেছি বলে
কান ধরতে বলার লজ্জায় দ্যাখো কেমন নেতিয়ে পড়ছে জিভ


কুমারেশ তেওয়াররী

জন্ম আসানসোলের কন্যাপুরে সত্তর দশকের মঝামাঝি।পড়াশোনা করেছেন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে।বর্তমানে নিজস্ব টিউটোরিয়ালে শিক্ষকের ভূমিকায়।কবিতা চর্চার শুরু ছাত্রাবস্থা থেকেই। তবে সেই অর্থে সিরিয়াস লেখালেখির বয়স ৮-৯ বছর।প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ ৫ টি—নেমে আসা  অন্ধকারে/ জুড়ন পুকুর (প্রিয়শিল্প প্রকাশন, কলকাতা)/ নক্ষত্রের গান (কবিতাসীমান্ত, কলকাতা )/ ব্যালেরিনা ও নকশি কাঁথায় নষ্ট গন্ধ, প্রতিভাস, কলকাতা)/ মিরর এফেক্ট (কবিতাপাক্ষিক, কলকাতা)।মূলত কবিতায় লেখেন এবং বাণিজ্যিক ও অবাণিজ্যিক বহু পত্রপত্রিকায় লিখে চলেছেন।   লেখালেখির পাশাপাশি “কায়াকবিতা” নামে একটি পত্রিকাও সম্পাদনা করেন এবং “কবিতা আশ্রম” পত্রিকার সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য।


দেবাশিস মুখোপাধ্যায়

বিভাগ : কবিতা (জোনাকি পাঠ)


লিরিক

এই তো দুপুর হাতে
হাত না রেখে চলে গেল
কিশোরী সময়
হেমন্তের ফ্রক তার গায়ে
বুকে মরা কাশ
উপেক্ষার চোখ অস্বীকার করলে
সমস্ত ব্যাকরণ
পড়ে থাকে কাঠামো শুধু
পুকুরের পাড়ে
প্রজাপতিহীন এক  
না রিলিজ সিনেমা
দৃশ্যত ফুরিয়ে আসে
সন্ধ্যা সন্ধান পায় না আর


অস্থির

পাথরের সাথে আজ কথা হল
অক্টোবরের
এত বৃষ্টির পর দেহ ঘঁষে
আগুন এলো না
উৎসবের পর শব্দে শুধু জল
বাজারে ফুলের দাম চড়া

খাবার টেবিলে ভীষণ কালো মেঘ
খিচুড়ির ওপর ভাজা
আর্সেনিকের আঙ্গুল
পোকাধরা দাঁত
মুখে তুলে ধরছে

একটা যুদ্ধের কথাবার্তা
একবারও  স্নায়ুর
প্রসঙ্গ আনে নি
তবুও ভুত নিয়ে
সেটাই তাড়িয়ে নিয়ে গেল কিছুক্ষণ

দেবাশিস মুখোপাধ্যায়

কবি পরিচিতি

কবি দেবাশিস মুখোপাধ্যায় এর জন্ম কুলটিতে এবং বর্তমান তিনি হাওড়ার 
বাগনানে বাস করেন ।তার কবি জীবন 
শিশুকাল থেকে । 
কলকাতার ইন্দ্রাণী পত্রিকায় যখন কবিতা প্রকাশ হয় তখন কবি দশম শ্রেণি 1983. এরপর প্রথম কবিতার বই
1997ক" কবিতার একখন্ড মুখ" । এরপর 
কর্মসূত্রে বাগনানে এবং দ্বিতীয় কবিতার বই "আজকাল পরশুর গল্প ",
এরপর এখন বাংলা কবিতার কাগজ 
প্রকাশ করে " শূন্য কিন্তু শূন্য নয় " ,
পত্রলেখা থেকে " ভূমিকা প্রেমের কবিতার " , কবিতা ক্যাম্পাস থেকে 
" বিষন্ন রেখার পারে " এবং সুতরাং থেকে " ভেনাস বিউটি পার্লার " এবং 
নতুন পাতার গন্ধ " । কবি কবিতায় 
বাঁচতে চান

                           

সঙ্গীতা পাল

বিভাগ : কবিতা (জোনাকি পাঠ)


অসুখ


এখন পৃথিবীর গভীরতম অসুখ,
ব্যালাড তাই রচিত হয়না আর
ডুয়ার্সের উষ্ণতায় গ্লোবালাইজেশনের ছাপ
বসন্ত এখন পলাশমুখী নয়
বাঁশির করুণ সুর শোনা যায়না এখন
অসুখ ছাড়বে না, ওষুধ পাওয়া যায়নি
শহুরে হাওয়ায়-মুছে গেছে গ্রামীণ কথা
জোছনায় আলোকিত হৃদয় নিঃশেষিত
মদেশিয়া যুবক মাদল ভুলে পপ্ সিঙ্গার ,
সভ্যতা বদলেছে যেমন ভাবে বদলায় সময়

সঙ্গীতা পাল

কবি উবাচ:

1992 থেকেই কবিতা গল্প লিখছি।উত্তর বঙ্গ সংবাদ এ বুক রিভিউ করতাম।আকাশ বানী তে নিয়মিত কবিতা পাঠ করি।স,সি এন chanele বৈঠকী আড্ডায় বসি। প্রকৃতি পাঠ শিবির করি।নাটক করতাম। এখন নাটকের মিউজিক করি।abstract art করি।গীটার শখে বাজাই।আগে আবৃত্তি করতাম। এখন আবৃত্তির school বন্ধ।পেশায় শিক্ষক।নেশা ঘুরে বেড়ানো।প্রকৃতির সাথে নিবিড় সম্পর্ক। 5 টা কাব্য গ্রন্থ।এডিটর মেঘ বৃষ্টি রোদ্দুর পত্রিকা।

সুজিত মান্না

বিভাগ : কবিতা (জোনাকি পাঠ)



কোনো এক রাত্রির কাছে চিঠি


এতদিনে জেনেছি
প্রত্যেকটা রাত্রির এক একটা শৈলী আছে
নিষ্ঠুর মৃত্যুর পাহাড়কে ট্রেক করে
                                      অনেকেই নিরিবিলি হয়ে ওঠে ।
একটা রাত্রি রাত্রির মতো করে বাড়িটাকে ঘুরে দেখে
কিছু চেনা শব্দ সীমানায় ঢুকলেই
                                       গোপনতা আরো নির্জন হয়ে ওঠে

ওরাই কি আমায় সচেতন হতে শেখায় ?

তুমি শিখিয়েছো গলি অন্ধকার হয়ে উঠলে
প্রেম দেখাতে নেই
মাথা নিচু করে
মাটির হয়ে উঠতে হয়

সত্যিই কি বয়স একথা মেনে নেয় ?

আমি তো ছায়ার মুখ সরিয়েছি অনেকবার ,
কথা বলি অসীমে মনখারাপ নিয়ে গিয়ে
আসলে বদলাতে বদলাতে হয়তো
অনেক ছায়াকেই
আমরা শৈশব ভোলাচ্ছি


সুজিত মান্না ।

জন্ম ২৩শে সেপ্টেম্বর ১৯৯৭ ,

পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটালের খাসবাড় নামক গ্রামে ।

এখনো নিজস্ব কোনো বই প্রকাশ হয়নি । অন্তহীন নামে একটি ওয়েবজিন সম্পাদনা করেন।

ভারত ছাড়াও আরো চারটি ভিন্ন দেশের বাংলা পত্রিকা এবং সংবাদপত্রে কবিতা প্রকাশ হয়েছে এবং নিয়মিত বেরোচ্ছে । এই মুহূর্তে ইংরেজির ছাত্র । কবিতাতেই বিচরণ বেশি । এছাড়া কিছু গল্প ও প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায়।