এখন তরঙ্গ তে লেখা পাঠান প্রতিমাসের ৫ থেকে ২০ তারিখ অবধি

সম্পাদকীয়




সম্পাদকীয় ডেস্ক থেকে রাহুল :


হাটিহাটি পা পা করে এগিয়ে গেলাম আরো এক মাইলস্টোনের দিকে। তৈরি হলো ওয়েবজিন।তৈরি হলো আরো ছড়িয়ে পড়ার উন্মাদনা। এই কৃতিত্ব সকলের।পুরো টিম কাজ করেছে দারুণ ভাবে।আর সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য জ্যোতির্ময়, তার কথা আলাদা করে না বলে এড়িয়ে যেতে পারবো না।তবুও সব সফলতার আড়ালে ব্যর্থতা থাকে।আর সে দায়ভার কেবলই আমার।
কিছু নতুন বিভাগ শুরু হলো।যেমন হেপ্টাম্যানিয়াক ও খনন্।কিছু কথা বলি,কিছু স্মৃতির ভীড়কে সামনে রেখে।
তরঙ্গ প্রথম দিন থেকে তার উদ্দেশ্য স্পষ্ট করেছে।সৎ শিল্পের প্রতি দায়বদ্ধতা।তরুনদের ফোকাস করা ইত্যাদি।কারণ,তরঙ্গ বর্তমানতা ও আগামীর কাছে দায়বদ্ধ।আর অতীত থেকে শিক্ষা।তরঙ্গ প্রসেসকে মানে।বলা ভালো চলমান প্রসেস।যেখানে শিল্পের প্রকৃত উদারতা আছে।সততা অবশ্যই।তাই আজ তরঙ্গ আরো একবার সীমানা মুক্তির কথা বলে।সেটা ভাষায়,মননে,চিন্তনে ও যাপনে।শূন্য থেকে এক বা এক থেকে শূন্য : কোনো ইজম্ নয়,বাদ নয়।তরঙ্গ পর্যবেক্ষণে বিশ্বাসী, বিবর্তনে বিশ্বাসী।তাই সেইসব চিন্তাবিদকে,যারা ভাষাকে ভেঙে গড়ার কথা বলেন, তরঙ্গ তাদের সকলকে প্রণাম জানায়

হেপ্টাম্যানিয়া কি।কেন : প্রথম সংখ্যা থেকে তরঙ্গ যার মুখোমুখি হয়েছে,তা হলো অশ্লীলতার মাত্রা।আদপে এই শ্লীল বা অশ্লীল কি।শেখালো কারা।তরঙ্গ বিশ্বাস করে শিল্পযাপনে অশ্লীলতা মেনে নেওয়ার অর্থ নিজের সত্য প্রকাশের দুর্বলতাকে আড়াল করা।কারণ যা চিন্তন = তাই আদপে সত্যি ও সৎ = তাই প্রকৃত যাপন।অতএব একথা মাথায় রেখেই এই কাউন্টার ম্যানিয়ার প্রতি জেহাদ।(হেপ্টা = ছয়) +(ম্যানিয়া = ভয়) → হেপ্টাম্যানিয়া।এই বিভাগে সেই ছয়টি কবিতার সিরিজ প্রকাশিত হবে,যা জেহাদ করতে চায় : দৃষ্টি, সমাজ,রাষ্ট্র - সকলের প্রতি
খনন : এই বিভাগটি সেইসব নবাগতদের জন্য যারা কোনোরকম কোনো অনুকরণ ছাড়াই নিজস্ব ভাষা ও অবস্থান তৈরি করতে পেরেছে বা চেষ্টা করছে।আর এটুকু দৃঢ় বিশ্বাস নিয়ে বলাই যায়,এরা আগামী সাহিত্যের মুখ ও ভাষা।যদিও এরা কেউই পরিচিত মুখ নয়।ভার্চুয়াল জগৎ থেকে উঠে আসা এইমুখগুলোকে তরঙ্গ শ্রদ্ধা করে এবং তাদের উত্তরণে পাশে থাকার তাগিদ অনুভব করে।এই বিভাগে থাকছে তাদের সাক্ষাৎকার,সাথে কবিতা।যেহেতু সাক্ষাৎকার পর্ব থাকছে,তাই কবি পরিচিতি আলাদা করে থাকছে না
আগামীতে এরকম আরো বিভাগ আসবে।আরো কথা হবে।আরো পথচলা হবে।কারণ,দৃঢ় বিশ্বাস : পথযাপনেই শিখতে হবে পথ চলা

এ পর্যন্ত এসে সম্পাদকীয় থেমে যাওয়া উচিত ছিলো।কিন্তু না।কিছু কথা কনফেস্ করা উচিত ব্যক্তি রাহুল গাঙ্গুলীর ও তার লেখনী ধারার।কারণ,নিজের কাছে বহুসত্ত্বার মূল প্রকৃতি সেই এক।ব্যক্তি রাহুলের অসহায়তা আছে,দ্বন্দ্বের যন্ত্রণা আছে।তারও প্রেম আছে,যৌনতা আছে,আঘাত আছে।একথা অস্বীকার করার নয়।কথাগুলো আসছে কেন।কারণ,সম্পাদক থাকতে গেলে কবিত্ব সত্ত্বাকে ভাঙতেই হয়।কারুর পাশে থাকতে হয়।কাউকে ঘাত দিতে হয়।গোষ্ঠীর ভিতর থাকতে হয়।যদিও,একজন প্রকৃত কবি কখনোই গোষ্ঠীবদ্ধ নন।হতে পারেন না।অথচো,লেখনীর স্বীকৃতি কোনো গোষ্ঠীই পারেন দিতে।অন্ততপক্ষে ইতিহাস আজ পর্যন্ত সে কথাই বলে।তাই এই কথাগুলো মেনে নেওয়া সর্বদা যন্ত্রণাদায়ক।অথচো,কবি বা সম্পাদক : কোনো দায়িত্বকেই এড়াতে পারি না।এই পরস্পর বিরোধীতাও যন্ত্রণাদায়ক।তবু দিনের শেষে স্রেফ একটা কবিতার সাথেই চরম নোংরামো, নিষিদ্ধ সহবাস
হয়তো।কখনো।কোনোসময়।চূড়ান্ত।সঙ্গমপ্রস্তুতিতে।নিস্তব্ধতায়।নৈরাজ্যে।বিস্ফোরণে।খুঁজেপাবো।প্রকৃতসমাধান
আশা রাখাই যেতে পারে।

********

No comments:

Post a Comment