এখন তরঙ্গ তে লেখা পাঠান প্রতিমাসের ৫ থেকে ২০ তারিখ অবধি

চেয়ারম্যান ডেস্ক থেকে

'তরঙ্গ হাউসে'র তরফ থেকে বিশেষ বার্তা



কিছুদিন আগে পর্যন্ত ম্যাগাজিন প্রকাশের সময় আসলে ভীষণ ব্যস্ততা থাকতো আমার। যতদিন পিডিএফ বানানোর কাজ করেছি, পূজোপার্বণ টা বাদ দিয়ে আগের ছটা ম্যাগ। ইতিহাস তা। আজ ব্লগজিন। বানানোর দায়িত্ব হাউসের অন্য এক সদস্যের। সংসার আজ অনেক বড়। কাজও তাই ভাগ করা। এই যেমন এখন আমি অফিসিয়ালি হাউসের চেয়ারম্যান হিসাবে লিখছি। হা হা হা
এইকদিনে তরঙ্গ অনেকটা এগিয়ে গেছে লক্ষ্যে। হাউসের নিজস্ব ব্লগ। সেই ব্লগে হাউসের প্রতিটি ডিপার্টমেন্ট। প্রকাশ করেছি Governing Body, সিলেকশন এর মাধ্যমে গঠন করেছি Council. ভাগ করে দিয়েছি কাজগুলো। চালু করেছি ব্লগে নতুন বিভাগ 'হঠাৎ চমক', নিজে হাতে বেছে নিচ্ছি প্রতিদিন আমাদের ওয়াটস আপ গ্রুপের কবিদের লেখা কবিতার মধ্যে একটা-দুটো, বেছে নেওয়া কবিতাটি সরাসরি প্রকাশ পাচ্ছে ব্লগে এবং সেই কবিতার সাথে মানানসই ছবি অথবা শব্দ নিজে হাতে লিখে বা এঁকে দিচ্ছি। প্রতিমুহুর্তে পাঠক এবং লেখক সবার সরাসরি যোগাযোগ থাকছে ব্লগের সাথে, হাউসের সাথে।
এবার আসি এই ব্লগজিন নিয়ে। বেশ কিছুদিন ধরেই কথা চলছিলো ব্লগজিন নিয়ে। আমি এবিষয়ে যথেষ্ট পারদর্শী নই, তাছাড়া সঠিক হাতের ছোঁয়া প্রয়োজন ছিল। জ্যোতির্ময়(মুখার্জি) আমদের সাহায্য করেদিল। হাউস ওর কাছে ঋণী। নতুন বেশ কিছু বিভাগ এসেছে এই সংখ্যায়। তার মধ্যে একটির নাম খনন। সেদিন ছিলো বিজয়া দশমীর সকাল, বড়দের প্রণাম করতে গিয়ে রাহুলদাকে ফোন করি, কথায় কথায় হঠাৎ প্রস্তাব দি নতুন একটা বিভাগ খোলার, শুধু মাত্র নতুনদের হাইলাইট করতে, রাহুলদা রাজি হন এবং আমি নিজেই সেই বিভাগের নামকরণ করি। খনন চালু করা হল এই সংখ্যা থেকে, এছাড়া আরো নতুন কি কি বিভাগ থাকছে তাও এতক্ষণে জেনে গেছেন।
নাটকের গ্রুপ ভালো আছে। দীপাবলি আর এই উৎসবের মেজাজ কেটে গেলেই আবার রিহার্সাল। অনেক পরিকল্পনাতো আছে। ঠিকঠাক করে ফেলতে পারলেই হল।
সবশেষে কিছু বিষয় পরিস্কার করা প্রয়োজন। গভর্নিং বডি আর কাউন্সিল কি এবং কেন। তরঙ্গের স্বরূপ একটি হাউস, কোনো এনজিও নয়। রীতিমত গভর্নমেন্ট রেজিস্টার্ড এবং ইনাকাম ট্যাক্স - সেল ট্যাক্স ফাইল করা। অবশ্যই ফাউণ্ডার এন্ড চেয়ারম্যান হিসাবে আমি আছি। কিন্তু খাতায় কলমে মালিক হিসাবে থাকলেও বাস্তবে তা আমি নিজের সম্পত্তি হিসাবে রাখিনি এবং চাইও না। তাই আমি তরঙ্গের একটি গভর্নিং বডি বানিয়ে নিজের একছত্র ক্ষমতা ভাগ করেছি। যাবতীয় ডিসিশন গভর্নিং বডিই নেবে। গভর্নিং বডির অধীনে থাকছে একটা কাউন্সিল, যার কাজ হাউসের নীতিনির্ধারণ করা, আইনশৃঙ্খলা দেখা, এবং গভর্নিং বডিকে প্রত্যক্ষ রূপে সাহায্য করা। এছাড়া আছে প্রতিটি বিভাগ এবং তাদের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধানরা। এইভাবে একনায়কতন্ত্রকে তরঙ্গ থেকে মুছে এনেছি সবাই রাজার আইন।
আজ এইটুকুই থাক। বাকী কথা পরে হবে।
শুভ দীপাবলির আলোর পথের শুভেচ্ছা

শাল্যদানী
চেয়ারম্যান
তরঙ্গ পরিবার



শাল‍্যদানী




No comments:

Post a Comment