এখন তরঙ্গ তে লেখা পাঠান প্রতিমাসের ৫ থেকে ২০ তারিখ অবধি

'এখন তরঙ্গ' (একাদশ সংখ্যা)


প্রকাশকাল : ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮

প্রধান সম্পাদক : জ‍্যোতির্ময় মুখার্জি
সহ-সম্পাদকগণ :
  • বিজন পণ্ডিত
  • তুলি রায়
  • চন্দ্রাবলী ব‍্যানার্জি



সর্বসত্ব সংরক্ষিত
তরঙ্গ পরিবারের পক্ষ থেকে
শাল‍্যদানী
Founder & Chairman,
Taranga House



------------: সূচীপত্র :---------



■ কবিতা (সাধারণ বিভাগ) : আত্রেয়ী নন্দ, ইন্দিরা ব্যানার্জী, দীপক আঢ্য, কাজল দাস, শম্পা মাহাতো, সমাপিকা নাথ, আরিয়ান প্রিয়স, চন্দ্রলেখা মহান্তী, জয়দীপ রায়, আরণ্যক, অমল বসু, অয়ন মণ্ডল, মোনামী মন্ডল, দেবার্ঘ সেন, সায়ন চক্রবর্তী(চামচিকে), প্রসূন মান্না, সুমন্ত্র বোস, ডঃ মীনা মুখোপাধ্যায়, আকাশ সৎপতি, শুভদীপ রায়, গৌতম সমাজদার, আরিফুর রহমান, সুনন্দ মন্ডল, নাফছি জাহান, নাসির ওয়াদেন, অহনা সরকার, শৈবাল পাল, সুদীপ ব্যানার্জী, রুনা দত্ত, সন্দীপ ভট্টাচার্য্য, পিয়ালী সাহা, মৌসুমী ভৌমিক, অমলেন্দু বিশ্বাস, সোনালী মন্ডল আইচ, অনিশা সেন, অনিন্দিতা ভট্টাাচার্য্য, মিঠু নাথ কর্মকার, মৃণালিনী, বিশ্বজিৎ লায়েক, কুমারেশ তেওয়ারী, মুরারি সিংহ, নীলাব্জ চক্রবর্তী, শ্যামশ্রী রায় কর্মকার, অন্তরা চ্যাটার্জী, সবর্না চ্যাটার্জ্জী, শান্তনু পাত্র, মানসী মন্ডল, পায়েল পাসোয়ান, বিশ্বজিৎ বৈদ্য, মঞ্জু  বন্দ্যোপাধ্যায় রায়, সঙ্গীতা মাইতি, সোমা বিশ্বাস, শর্মিষ্ঠা মোহন্ত, শ্যামাপদ মালাকার, প্রভাত চৌধুরী, দিব‍্যায়ন সরকার, তুলি রায়, সোহিনী সামন্ত, সিলভিয়া ঘোষ, দেবারতি চক্রবর্তী, পঞ্চমী গোল, মিতালি রায়, লক্ষ্মীকান্ত মণ্ডল, সুস্মিতা অধিকারী, স্বাতী নাথ, উজ্জ্বল ঘোষ, দেবাশীষ মুখোপাধ্যায়, সঞ্জীব বাউরী, সুমন্ত্র বোস, প্রবীর রায়


■ কবিতা (কবিতার ল‍্যাব) : দেবযানী বসু, রাহুল গাঙ্গুলী, অনুরূপা পালচৌধুরী

■ ছন্দ কবিতা : তুষারকান্তি রায়, আর্যতীর্থ

■ সিরিজ কবিতা (ধারাবাহিক) : আশির ব্রত চৌধুরী

■ ছড়া : লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী, অসীম সরকার

■ লিমেরিক : অর্ণব গরাই

■ হাইকু : অর্ণব গরাই

■ ছড়াক্কা : সতীশ বিশ্বাস, সবিতা বিশ্বাস, মৌসুমী ভৌমিক

◆ প্রবন্ধ : অনিন্দ্য রায় (ধারাবাহিক), সমীপেষু দাস, পবিত্র চক্রবর্তী

◆ সাক্ষাৎকার : মলয় রায়চৌধুরী’র মুখোমুখি জয়িতা ভট্টাচার্য্য

◆ আত্মজীবনীমূলক গদ‍্য(ধারাবাহিক) : প্রভাত চৌধুরী

◆ বেবীটক্ : অমিতাভ প্রহরাজ

◆ মুক্ত গদ‍্য : মুরারি সিংহ, কেয়া রায়, পৃথা রায় চৌধুরী, পৃথা ব‍্যানার্জি, শ্যামাপদ মালাকার

◆ গল্প (বড়ো/ছোট/অণু) : আত্রেয়ী নন্দ, ঈশিতা চক্রবর্তী, সায়ন্তনী নাগ, ডঃ মীনা মুখোপাধ্যায়, গৌতম সমাজদার, ডঃ রমলা মুখার্জি, প্রশান্ত সেন, সুজাতা দাস, বনবীথি পাত্র, অভিষেক মিত্র, প্রদীপ্ত গুপ্ত

◆ পত্রিকা/সিনেমা আলোচনা : কেয়া রায়, অনিন্দিতা ভট্টাাচার্য্য, সিলভিয়া ঘোষ

★ সংকলন (আঞ্চলিক উপভাষা) :  @সোঁদা মাটি

  • প্রচ্ছদ : মৌমিতা ভট্টাচার্য্য
  • সংকলক : বিজন পন্ডিত
  • ভূমিকা : ভুজুঙ মাঝি

লিখেছেন : উজ্জ্বল গরাই, মানবেন্দ্র ব্যানার্জী, উজ্জ্বল সরকার, সোমনাথ দাস চান্দল্য, লিল্টু মন্ডল, বিকি দাস, চৈতালী ঝুমা বক্সী, নিজাম উদ্দিন মন্ডল, সোমা বিশ্বাস,ভুজুঙ মাঝি



ধন‍্যবাদান্তে
সম্পাদক মন্ডলী,
‘এখন তরঙ্গ’
সাহিত্য বিভাগ, তরঙ্গ হাউস

সম্পাদকীয়





ইতিমধ্যে আমার জীবনে ঘটে গেছে একটা তুমুল ঘটনা,
বা, বলা যেতেই পারে, আমার জীবনের এক চরমতম ঘটনা,

প্রলম্বিত তটে কিছু প্রোটিনঘটিত অঙ্গীকার
জড়িয়ে। ভরিয়ে
সীমা ছুঁলো আমাদের জলজ অহঙ্কার

সারাংশ করলে এটাই দাঁড়ায় যে, আমি বাবা হলাম। একটি টুকটুকে মিষ্টি মেয়ের বাবা আমি। একটা অসম্ভব পূর্ণতায় ঘিরে থাকা চারপাশ, আমার সত্ত্বার ভিতর সবটুকু হেঁটে গিয়ে খুঁজে পেয়েছি তাকেই, যাকে আমি চেয়েছি, আমার তবাস্মি।

এই একমাস আমি পুরো ঘেঁটে ছিলাম, কী লেখালেখি, কী সম্পাদনা, একটা অশালীন অনীহা, একটা বিরক্তি। সত্যি বলছি, সাহিত্যজগত থেকে পুরোপুরি দূরে সরে যেতে ইচ্ছা করছিল। নিউটনের তৃতীয় সূত্র মেনে নিয়ে এই অনীহার কারণটুকু খুঁজে নিতে পারেন আপনারা।

না পারিনি দূরে সরে থাকতে, উপায়ও তো ছিল না,

পরিত্যক্ত শরণার্থীর মতো
বহমান উৎসবের
নিজস্ব ক‍্যানভাসে কিছু অর্থহীন অনাসৃষ্টি

একদমই তাই, পরিত‍্যক্ত শরণার্থীর মতোই পৌঁছে গেলাম কোলকাতা বইমেলায়। অর্থহীন তো অবশ্যই এবং অনাসৃষ্টি’ও। (সৃষ্টিশীল মানুষেরা অর্থনৈতিক সমীকরণের বাইরে দাঁড়িয়ে অনাসৃষ্টি করবেনা, তা আবার হয় নাকি? কোনও দিন হয়েছে ?) সারা শীতকাল ধরে চলা কবি/লেখকদের বহমান উৎসব থেকে অবশ্য আমি দূরেই ছিলাম, কিছু ব‍্যক্তিগত আমন্ত্রণ থাকলেও কোথাও যেতে পারিনি। অতঃপর গোয়িং টু ‘কালকুত্তা’......

ভোরে (আদতে আমার কাছে গভীর রাত) ওঠার জন্য কীনা জানিনা, মেজাজটা আমার প্রথম থেকেই রংরুট্ ধরেছিল। জানলাতে মাথা রেখে….কানে দাড়িবাবার ‘কীর্ত্তন’ চালিয়ে এবং হাওয়া গিলে ও মেখেও কিছুতেই মেজাজটা ঠিক হচ্ছিল না, বুঝতে পারছিলাম, কামরা জুড়ে ক‍্যাচড় ম‍্যাচড় ফুলকো লুচির মধ্যে আমি হলাম না ফোলা সেই লুচিটি, যাকে ঠিক পাতে দেওয়া যায় না।
ট্রেনটা তখন হাওড়া ঢুকছে, হঠাৎ ক‍্যাচাৎ ক‍্যাচ্……
সবার মুখে চোখে বিরক্তি, শ্লা….একেই লেট্, আবার লেট করবে…….

হঠাৎ জানলায় চোখ রেখে দেখি, ট্রেনটা পিছিয়ে হাঁটছে….হঠাৎ গরম তেলের মতো চলকে উঠলাম আনন্দে, যাক, আর কোলকাতায় ঢুকতে হবে না।
আরে দূর দূর কোথায় কী, ভুলটা ভাঙলো মুহুর্তেই, যখন মাথার মধ্যে কিলবিল করে উঠলো ফিজিক্সের কিছু সূত্র। অগত্যা নিরূপায় শরণার্থীর মতো প্রবেশ করলাম কোলকাতায়। একমাত্র রেললাইনের পাশে পাথর ফুঁড়ে গজিয়ে ওঠা সরষে গাছটাই
পড়তে পেড়েছিল আমার মনটা, হঠাৎ সে বলে উঠলো, ‘হেথায় তুকে মানাইছেনারেএএএএএ…’


জানিনা কেন, হাওড়া স্টেশন ঢোকার মুখেই একটা চরম বিরক্তি কাজ করে, অথচ কী আশ্চর্য, শিয়ালদহ ঢোকার সময় কিন্তু এটা হয় না। আর কোলকাতা ঢুকলে একটা চরম বিরক্তিকর আঁশটে গন্ধ সবসময় নাকে লেগে থাকে, অসহ্য……..

অতঃপর, হাওড়া স্টেশন থেকে রওনা দিলাম সোজা সল্টলেক। এই সময়টুকু বেশ আনন্দেই কেটে গেল, ট‍্যাক্সির ড্রাইভার কাকুর সাথে একচোট জমিয়ে গল্প।
অতঃপর, অনেকগুলো গেটকে উপেক্ষা করে উনি ঠিক নামিয়ে দিলেন আমাকে চার নম্বর গেটেই, যেখানে অপেক্ষা করার কথা শাল‍্যদানীর। নামলাম, চারদিকে তাকালাম, শাল‍্যদানীকে খুঁজে পেলাম না। হঠাৎ মনে হলো, ড্রাইভার কাকুকে তো বাই বলা হয়নি, পিছনে ফিরে দেখি…….
জীবনে কিছু কিছু সম্পর্ক আসে, যার কোনও নাম থাকেনা, থাকেনা কোনও আকার, তবু টলটলে জলের মতোই চুঁইয়ে চুঁইয়ে পড়ে জীবনের বাকিটুকু জুড়ে।

শাল‍্যদানী গেটের মুখে নাই দেখে বুঝে নিলাম কোথায় থাকতে পারে, অতঃপর ১৬৫…….

বইমেলায় না গেলে আমার জীবনের একটা অংশই অপূর্ণ থেকে যেত, হয়তো জানা হতোনা প্রভাত চৌধুরীকে। প্রভাতজ‍্যেঠুকে চিনতাম ও জানতাম, কিন্তু এবারের বইমেলায় আমার আবিষ্কার প্রভাত চৌধুরী।
(হয়তো জানার বাকি আছে আরও অনেক কিছু, তবে নির্দ্বিধায় স্বীকার করছি, সাহিত্য জগতে উনিই আমার একমাত্র দুর্বলতম স্থান)

অনেক খুঁজে, ভিড় ঠেলে পৌঁছে গেলাম কবিতা পাক্ষিক স্টলে। ঝাঁকড়া চুলের ছেলেটাকে ঠিক চিনতে পারিনি, প্রথম দেখছি তো, অতঃপর আবিষ্কার করলাম ‘সাঁইজি’ আদতে শাল‍্যদানী। মুরারিদা, অমলদা, অতনুদার সাথেও এই প্রথম দেখা। প্রথম দেখা তুলি, স্বপ্নার সাথেও। দেখা হলো, সব‍্যসাচীদা, বেবীদা, শীর্ষেন্দুদা, নাসেরদা, পাবলোদা, শান্তনু, রোশনি, আমার অন‍্যতম প্রিয় বন্ধু সাহানারা…...এবং আরো অনেকের সাথেই।
(বইমেলায় কাটানো মুহূর্তগুলো ও বন্ধু রাজীবের সাথে কাটানো সময়বিতান লেখার ইচ্ছা আছে একটু বড়ো করেই, তাই সম্পদকীয়তে এই অংশটুকু বাদ থাক)

এখন বাজছে ৬.৪৩ আর ১৫ মিনিটের মধ্যেই প্রকাশিত হবে পত্রিকা, তাই উপায় নেই সম্পদকীয়তে আর বিরক্তিকর বকমবকম্ করার। বাকিটুকু বলবে শাল‍্যদানী, তরঙ্গের বার্তায়। শুধু এইটুকুই বলবো, আমরা বিশ্বাস করি নচিকেতার সেই চরম আত্মবিশ্বাসী উক্তিটিতে, ‘অনেকের মধ্যে আমি প্রথম, অনেকের মধ্যে মধ‍্যম, কিন্তু অধম কখনোই নই।’


জ‍্যোতির্ময় মুখার্জি
Chief Editor at 'এখন তরঙ্গ'

তরঙ্গ হাউসের বার্তা



চেয়ারম্যানের ডেস্ক থেকে...

সেদিন বইমেলা গিয়ে অনেক ইকুয়েশন ক্লিয়ার হল। জ্যোতি, আমি, তুলি, স্বপ্না বইমেলায় গিয়েছিলাম, গন্তব্য ঠিক বইমেলা নয়। গন্তব্য ছিলো ১৬৫, কবিতাপাক্ষিক। কোনো সুগন্ধ বা আঁশটে গন্ধ খুঁজে সময় নষ্ট করবেন না। সিম্পল যে কারণে পঞ্চপাণ্ডব দ্রোণের কাছে গিয়েছিল, কারণটা অনকেটা তাই। পৌঁছেছিলাম ২টো নাগাদ। জ্যোতি তখনও গাড়ীতে। প্রথম চমক দিলেন প্রভাত চৌধুরী নিজে। পাশের চেয়ার দেখিয়ে বসতে বললেন। আমিতো অবাক সঙ্গে ভীষণ অস্বস্তি। অমল জ্যেঠু প্রায় হালকা বকে বসিয়ে দিলেন। একে কবিতা পাক্ষিক তার উপরে প্রভাত জ্যেঠুর পাশে বসা তুমুল অনুভব। এমন সময় মঞ্চে প্রবেশ করলেন অতনুদা(গাঙ্গুলী)। টেনে নিলেন বুকে, চললো তার রসালো সংলাপ। সংলাপ নয়, একএকটা আস্ত আপডেটেড কবিতা। এতক্ষণে গোলাপি গোলাপ হয়ে এসে দাঁড়িয়েছে আপনাদের প্রধান সম্পাদক, আমার জ্যোতি। প্রথম দেখা। চমকাবেন না কেউ। আমরা একসঙ্গে কাজ করেছি মাসের পর মাস, যাপন করেছি দিনের পর দিন। দেখা হল সেদিন প্রথম। জড়িয়ে ধরে খুব নিজের নিজের অনুভব পেলাম। নিজেরইতো। তারপর একে একে তুলি আর স্বপ্না এসে হাজির হল। শুরু হল তুমুল আড্ডা। তারপর চারজন মিলে ঘুরে দেখতে গেলাম বইমেলা। প্রথম টার্গেট আমাদের লিটিল ম্যাগের টেবিল। সেখানে গিয়ে প্রথমেই যার মুখোমুখি হলুম তার নাম কবি অতনু ভট্টাচার্য। কুবোপাখি তে নিয়ে গেলেন টেনে। তারপর প্রচুর বই। ওইদিকে ততক্ষনে ফুটে উঠেছে আর একটা মুখ। শীর্ষেন্দু দা(দত্ত)। আবার আলিঙ্গন। জ্যোতি, আমি আর শীর্ষদা মিলে ততক্ষণে চুপিচুপি ধোঁয়াবাজি করে কিছু মতামত দেওয়া নেওয়া চালিয়ে নিয়েছি। সেখান থেকে বেড়িয়েই আবার সামনে প্রিয়জন সব্যসাচীদা(হাজরা)। এই প্রথম কাউকে প্রণাম করতে মন চাইলো। পা ছুঁলাম তার। বুকে টেনে নিলো দাদা। বেশী কথা এগোয়নি। এরপর কিছু প্রয়োজনীয় বই কিনে পুনরায় ১৬৫ এর দিকে। ততক্ষণে মুরারি জ্যেঠু এসে গেছেন। 'এই তো আমার প্রিয় রূপম' বলে বুকে টানলেন। এবার ছবিপর্ব। অতনুদা ফটো সেশন এর প্রস্তাব দিয়ে বললো, 'তরঙ্গ পরিবার নিয়ে ফটোগ্রাফি হোক এবার'।  আমরা সবাই প্রস্তুত। এমন সময় একটা বাচ্চা ছেলের চিৎকার, 'দাঁড়াও দাঁড়াও, আমিও তো তরঙ্গের, দাঁড়াও আমি আসি আগে।' আমি আকাশ থেকে পড়লাম। জ্যোতি আর আমি একে অপরের দিকে অবাক হয়ে চাইলাম। বাচ্চা ছেলেটির নাম প্রভাত চৌধুরী।

এরপর আসি বইমেলার পরের কথায়। প্রভাতের চমক যে আরো বাকী ছিলো তা কে জানতো। সাপ্তাহিক কবিতা পাক্ষিক(৯৩) হাতে পেলাম তিন দিন আগে। তরঙ্গকে নিয়ে খবর করেছেন প্রিয় প্রভাত পুরুষ। খবরের পেপার কাটিং দিয়ে দিলাম পড়ে নেবেন।


এরপর আসি অন্য কথায়। প্রসঙ্গ পাবলিশার্স। তরঙ্গ পাবলিশার্স আর আসছে না, এসে গেছে। এপ্রিলে আত্মপ্রকাশ। উদ্দেশ্য একটাই, কম পয়সায় সেরা বই। সবাই বলে, আমরাও বলছি। পার্থক্য ফলে। যদি চান নিজের বই তরঙ্গ থেকে প্রকাশ করতে তবে পাণ্ডুলিপি নিয়ে যোগাযোগ করুন জ্যোতির সাথে।

ই-বুক প্রকাশ করেছে তরঙ্গ পাবলিশার্স। 'পাঁচের পেনে পঞ্চবেদ'। আর একটা বসন্ত নিয়ে সংকলন আসছে দু একদিনের মধ্যে।

আর কি বলবো। অনেক বলেছি। বাকীটা কাজের মাধ্যমে হোক। বেশী ঢাক পিটিয়ে কি লাভ

ভালো থাকুন, আপডেটেড থাকুন

শাল্যদানী


শাল‍্যদানী

আশির ব্রত চৌধুরী



সিরিজ কবিতা (ধারাবাহিক)




লোককাব্য --৭৩(১)
**************

কেঁদে কেঁদে ঘরে ফিরে নিমজ্জিত শৈশব গোধূলী
ফসলের ক্ষেতে নামে গুপ্তচাঁদ অখণ্ড প্রহর
শরীরে আগুন লেগে ধোঁয়া থেকে স্মৃতির কুণ্ডলী
অভাব শরীর থেকে দানা খুঁটে পাখির নখর।

নিদারুণ কষ্ট নিয়ে নিভে যায় ফুলের মাসিক
বয়স শরীরে গিলে ছাতা থেকে ঝরে যায় শিক
সুখের পতাকা নিয়ে ছেঁড়াদ্বীপে নেমেছে আকাশ
ঘুমের চিতার মাঝে অগ্নি থেকে জেগে উঠে লাশ।

কতদিন কতরাত কান্নাজল সাগরেতে মেশে
জন্ম থেকে হেরে গেছে শরীরের নিকষ পাথর
তবুও গলায় বাঁধে প্রস্ফুটিত গোলাপ সময়
কেউ কেউ জেনে ফেলে রাতে নামে কোথায় সাগর।

চাঁদ থেকে নিভে যায় মাঝেমাঝে আনন্দ সকাল
সুখের সীমানা নিয়ে বসে থাকে রঙিন প্রবাল।





লোককাব্য - ৭৩(২)
**************

নিষিদ্ধ দরজার পাশে জেগে থাকে নিস্তব্ধ প্রহরী
শরীর ফসল ভেবে ডুবে যায় আদ্যপ্রান্ত নখ
সূর্য্যের জিহ্বায় চেটে ফেরীঘাট ডুবে একেবারে
একাকী নিরবে হাঁটে তলোয়ারে ঝুলন্ত মস্তক।

কোথায় ফুটাবে বিষ চেয়ে দেখে সাপের মগজ
কপাটে করুণ সুর চেয়ে নেয় সময়ের দেনা
শরীরে প্রচণ্ড রোদ তবু কাঁপে প্রবল জোয়ার
আয়নায় নিজেকে দেখে ভুলে যায় ভুল বেচাকেনা।

কি করে বুঝানো যায় সময় আসলে উড়াধুরা
তবুও কখনও জাগে সুর হয়ে প্রনয় প্রলাপ
কষ্টের অক্ষরে থাকে। না বলা, শব্দের উড়াউড়ি
গলার শিরায় কাঁদে চুরি করা হারানো সংলাপ।

মানুষের গন্ধ থেকে চেনা যায় ভীড়ের শরীর
কান্না হয়ে ছুটে আসে একলব্যের সকরুণ তীর।




লোককাব্য - ৭২
**************

এবার সত্যিই যাবে সাগরের অনন্ত ভাসান
কতজন এরই জন্য মন থেকে খুলে ফেলে দূর
আনন্দ লুকিয়ে রাখে গতায়ু রোদের কিছু চারা
রাত্রি থেকে নেমে আসে ডুবোচরে স্রোতের সিঁদুর।

তবুও স্রোতের গায়ে আনন্দ রঙের কিছু ভুল
গভীরের ইচ্ছে থেকে কপোতীর রঙ হয় চুরি
নিজেকে ঠকিয়ে রোজ মুঠো থেকে চুরি করে হাত
সীমিত সীমানা নিয়ে মহাকাশে দুঃখী কিছু ঘুড়ি।

অফুরান ঘুম নিয়ে জেগে থাকে হাঁসের বিষাদ
শূন্য  অক্ষে ডুবে যায়।  অকালে সুখের অটোগ্রাফ
রঙধনু চিনে ফেলে পৃথিবীর দুঃখের শরীর
ত্রিফলার নিম্নবুকে অপরাধে কাঁদে কিছু পাপ।

তবুও প্রলাপ লিখে পুকুরেতে চাঁদ ডুবে রাত
ছাতিম শ্মশান থেকে নেমে আসে অকাল প্রভাত।




লোককাব্য ---৭১
**********

কেঁপে উঠে ব্রহ্মতালু ভেসে যায় আদিম যমুনা
প্রাচীন বালক আমি গন্ধ দিয়ে কবিতা সাজাই
বাতাস শুকিয়ে গেলে রোদের শরীর ধরে কাঁদি
বুকের করাত দিয়ে চাঁদ থেকে স্মৃতি পেড়ে খাই।

নিজেকে বেঁচার জন্য স্বপ্নের সদরে বিজ্ঞাপন
আনন্দ নির্বাণ নিলে প্রস্রবণে কুসুম বাতাস
বুকেতে লুকিয়ে রাখি আনন্দের আনন্দলহরি
আমি আর কত জানি সন্ধিস্থলে লুকানো প্রশ্বাস!

কোথায় হারিয়ে যায় ফসলের কবিতার খাতা
কতজন জানতে পারে মন হলো আলাদা প্রত্যয়
দুঃখ নিয়ে উড়ে যায় ক্রুশবিদ্ধ যীশুর শরীর
অশ্রুর গভীর ভীড়ে জল আর কতটুকু সয়।

কখনও গোপন করি সূর্য থেকে হারানো আলোক
আয়নায় লুকানো থাকে প্রত্যেকের হারানো অশোক।
দীঘির সীমানা জানে বৃত্তের গভীরে কত  জল
রাতের শরীর থেকে খসে যায় নীল অনুপল।



লোককাব্য -৭০
************

সময় নিবিষ্ট হলে বদলে যায় পাখিদের তান
গোপনে একাকী ভাসে স্থিরচিত্রে জলেদের মীর
শুধু শুধু শূন্যে ওড়ে লক্ষ্যহীন গাণ্ডীবের তীর
জলের গভীর নীচে শোনা যায় পৃথিবীর গান।

চাঁদকে গোপনে ধরে একা গায় কিশোর লহরী
গভীর বিষাদে কাঁদে রজঃহীন অন্ধ বিষহরি
বিপুল খরার দিনে মাটি আঁকে নিজ প্রতিকৃতি
যে গাছ পলাশ হবে তার সাথে থেকে যাবে স্মৃতি।

অন্ধকারে নেমে আসে ভুলে যাওয়া গাছের শরীর
বিশাল ছায়ার হাতে চুরি হয় শৈশব দেয়াল
কেউ কেউ চেষ্টা করে সাগরের বুকে দিতে আল
অন্ধকার গিলে নেয় মধ্যবুকে প্রাচীন প্রবীর।

গলায় লুকানো থাকে ক্ষতসহ অন্ধ তরবারি
বাউল অন্তর বুনে ক্ষতের গভীরে শুকসারি।





লোককাব্য -৬৯
*************

পুরোনো ব্যথার রাত জাল ফেলে পুকুরের জলে
তুলে আনে গভীরের দগ্ধনীল বক্ররেখা মুখ
পৃথিবীর কোন বাঁকে হারিয়েছে সোনালি অসুখ!
সুখের সাগর খোঁজে রাতের আকাশ পরিমলে।

অনেক গভীর ক্ষত। লগি মাপে ক্ষতের গভীর
পৃথিবীতে মরে যায় নামহীন অমিয় সন্তান
সূর্যের ছায়াকে আঁকে চঁড়ুইয়ের ছোট্ট ছানাখান
শুকানো স্তনের মত ভেঙে যায় নদীদের তীর।

পৃথিবীতে আজও ঘুরে যজ্ঞের অশ্বের শ্বেত ঘোড়া
কোজাগরী জোছনা দেখা আসামীর চক্ষুখান মোড়া।
অক্ষর ভীষণ দোষী ছোট্ট এক বিষের বোতল
একবার ঢুকে গেলে অন্ধকার প্রাচীন মহল।

শ্বাসটুকু টেনে নিয়ে দুঃখটুকু চেপে রাখে হাতে
মৃত্যুর কৌশল নিয়ে চিতাকাঠ ডাক দেয় রাতে।




লোককাব্য-৬৮
*************

এত যে কবিতা লিখি নিষিক্ত বীজের আগমনী
নাভিকুণ্ডে জেগে ওঠে চিতাকাঠ বসন্ত বাতাস
কোনোদিন কেঁদে ওঠে ধ্বংসস্তূপে জ্যান্ত এপিটাফ
বাতাসে দুয়ার টেনে বেঁচে থাকে শুধু দীর্ঘশ্বাস।

দেয়ালে ঝুলন্ত ছবি আয়ুছাড়া দীর্ঘদিন বাঁচে
সমস্ত পৃথিবী জানে চূড়া থেকে ঝরে গেছে রাই
পাখিদের স্তন থেকে খুলে পড়ে রাতের আলাপ
শব্দের শরীর দিয়ে গাছে গাছে করুণ ফলাই।

মুঠোর গভীরে থাকে জীবনের বিগত যৌবন
কোন ছলে কেড়ে নেয় পৃথিবীর ডুবন্ত শিকারী?
হাসি নিয়ে বেঁচে থাকে বেপাড়ায় দুঃখের মৌসুম
নিজের ছবিকে দিয়ে তৈরি করে গুপ্ত চাঁদমারি।

দুধদাঁত ঝরে গেলে হাসি থেকে চুয়ে পড়ে ভোর
নাবাল কিশোর জানে কখন ভাঙবেই ঘরদোর।





লোককাব্য-৬৭
*************

কথাজন্ম মরে গেলে স্বপ্ন থেকে খুলে যায় ঘুম
গভীর বিষাদে আজ নদী টানে পাহাড়ের বিষ
তবুও নীলাভ ডিমে বেঘোরে ঘুমায় কত শীস
ফুসফুসে পাখিরা গায় ধারাপাত একাকী নিঝুম।

নিষিদ্ধ যাপন আঁকে দাগ কেটে বন্ধ চোরাগলি
ফসলের গান লিখে বৈরাগীর আনন্দলহরি
হাসির খোলস দিয়ে কান্না গাঁথে অন্ধ বিভাবরী
কৈবর্ত সকাল গায় কথকের ছিন্ন পদাবলী।

একতারা ফেলে দেয় সহজিয়া মাটির বৈষ্ণব
মাটির আঁচল জানে কাদার গভীরে কত মায়া
কে আর এতটা বুঝে শীর্ষপত্র গড়ে কত ছায়া!
নিজের শীতল বুকে বাস করে উষ্ণ অনুভব।

চুমোর গরলে ঢাকে নিবিষ্ট চাঁদের অহংকার
নিজেকে ডুবিয়ে দিয়ে শূন্যে লিখে শান্ত হাহাকার।



লোককাব্য - ৬৬
**************

শূন্যের ভেতরে থাকে আলোর গোপন জন্মফল
ফাঁসের রশিতে ঝুলে মরে যায় ইঁদুরের কল
যতই গভীরে যাই হাতে ওঠে বিষের কলস
পাহাড়ের ঘাই লেগে মেঘের শরীরে নামে ধস।

রাশিফলে ব্যর্থ আয়ু ষটচক্রে আকুলিবিকুলি
গভীর সঙ্গম শেষে কেঁদে ওঠে আকাশ গোধূলী
স্রোতের মায়ায় পড়ে ডুবে যায় চাঁদের বাগান
গর্ভকুণ্ডে জেগে ওঠে সূর্যের হলুদ শাড়িখান।

সাপের ঠোঁটেতে থাকে জন্ম থেকে বিষের বাগান
দুঃখের অমৃত গায় ভোরবেলা রাতের প্রহরী
হাতের মুঠোতে থাকে সুখের কোমল আশাবরী
মাঝে মাঝে কেঁদে ওঠে গালের গোপন তিলখান।

নীরবে নিভিয়ে ফেলে শব্দের করুণ চন্দ্রাবলী
আকাশ জ্বালিয়ে রেখে নিজের নদীতে ফেলে পলি।




লোককাব্য -৬৫
*************

বালির গভীর বুকে বয়ে যায় অনন্ত সলিল
কোথায় লুকিয়ে রাখে গুপ্তজল মরুর পাথর?
নদীই প্রসব করে বুকের অনন্ত বালুচর
আকাশে অক্ষর খোঁজে গৃহহীন নীল আবাবিল।

শব্দের চোখের নীচে আয়ুরেখা বাস করে কার?
কষ্টের বাকল টেনে চিরকাল সময় বামন
পাখির উড়াল ঠোঁট ছুঁয়ে যায় সুদূরের মন
কে আর অতল খোঁজে? কঙ্কালে কতই হাহাকার।

গাছের ছালের নীচে বেঘোরে ঘুমায় মায়াজল
প্রশাখার ডাল শেখে প্রতিবন্ধী হাতের কৌশল
চোখের মনির তীড়ে গর্ভছেঁড়া সময়ের ফাল
অভিশাপ গিলে খায় স্মৃতিদের পুরোনো দেয়াল।

সময়ের তীর থেকে হাঁক ছাড়ে উদাসী বাউল
রাধার গভীরে আঁকি আস্ত এক বিরহ গোকুল।





লোককাব্য -৬৪
*************

দুয়ারে ভিক্ষার ঝুলি ঘর ছাড়ে চারন যুবক
বুকের করাত কলে ছিন্ন করে সব অভিমান
শালিকের ঘরে রাখে গোধূলির নিঃশব্দের গান
সুগন্ধি স্তনের মুখে কার যেন ঠোঁটের নোলক?

কালের চোখের মিরে বিষ ঢালে সাপের ছোবল
রাত থেকে খুলে নেয় শূন্যতার অসীম ভেতর
অসীম দেনায় ভাসে  লুকায়িত পৃথিবীর চর
সারসের ঠোঁট খোঁজে কোথায় রেখেছে এত ছল।

রাধার চোখের ঘোর কীর্তিনাশা সময় অতীত
মাটি আর কত লিখে সময়ের চরিতাবিধান!
রাতের পঞ্চমগুলো শিরার গভীরে মারে টান
স্রোতের খরায় কাঁদে উদাসী ভিক্ষুক উপবীত।

চাঁদের গভীরে মায়া বাসন্তী রঙের স্বপ্নগুলো
নদীর সূতিকা রোগে চরায় জমেছে আজ ধুলো।




লোককাব্য- ৬৩
**************

বৃষ্টিতে আগুন লেগে নিভে যায় স্তব্ধ চরাচর
অনন্ত অক্ষর নিয়ে পাড় থেকে খুলে যায় শাড়ি
রূপকথা সাক্ষী রেখে গল্প বুনে অন্ধ শুকসারি
নিগূঢ় বৈরাগ্য এলে পাথরের গায়ে আসে জ্বর।

সময়ের চোখে ঘোর মেনে নেয় অকাল নির্বাণ
শরীরের কান্না থেকে খুলে যায় সন্ধি ও সমাস
চাঁদের চৈতন্য বুনে শব্দের প্রগাঢ় অনুপ্রাস
খালের মান্দার কাটি আমি ও অনন্ত রাত্রিখান।

পর্দার জানালা খোলা লেখা আছে প্রবেশ নিষেধ
বিষের বৈধব্য খুঁজে সাপের জিবের ভেদাভেদ
চরায় মাস্তুল কোপে উড়ে যায় দুরন্ত নিশান
বুঝার ত্রিভূজ থেকে ছেঁটে ফেলে শেষ অঙ্কখান।





লোককাব্য - ৬২
**************

এবার ভাসুক ডিঙা স্রোতের গভীরে যতদূর
মুদ্রায় অক্ষর লেখা ভাসানো শব্দের অন্তর্জলী
মেঝেতে ধ্রুবক এঁকে চারপাশে ছিন্ন শব্দাবলী
লোহার বাসর থেকে জেগে ওঠে শব্দের অঙ্কুর।

রোদের জিভের রক্তে প্রজাপতি হয়ে উঠে মথ
জীবন ক্রমশ বাড়ে আয়ু থেকে ছেঁটে যায় দিন
কে কার রক্ষক আজ? ছিদ্র থেকে ঝরে গেছে বীণ
ছড়ানো প্রান্তর থেকে খুঁজে যায় অজস্র বেপথ।

গোপন অক্ষর খুঁজে অনাবাদী পতিত জমিন
চোখের শমিক বৃক্ষ সলিলের ভারে অন্তলীন
গভীর অদেখা হলে রক্ত থেকে হয়ে যায় কুঁড়ি
রাতের শরীর থেকে অন্ধকার হয়ে গেছে চুরি।





লোককাব্য- ৬১
*************

জোয়ার প্রবাহ থেকে ডুব দেয় জোছ্নার পূর্ণিমা
রাত্রিতে এখানে নামে মুটো ভরা শব্দের কঙ্কাল
নারীর জরায়ু ফেটে যেন নামে অবোধ ছাবাল
প্রতিরাতে বদলে দেয় নূপুরের ঘুমের ভঙ্গিমা?

দূর থেকে কারা আনে অবিরাম কাকসুর ভোর?
গাছেদের পেট হলে ভেঙে যায় স্বপ্নের বেঘোর
সময় বাড়ন্ত হলে নিয়তির বৃদ্ধ এক ডাল
ভূমিতে ঈশ্বর নামে। হাঁক ছাঁড়ে আকাল আকাল।

তোমার বিষের থলি সময়ের কতখানি ধার?
ভাটির বাতাস হলে টেনে নেয় হাত থেকে দাঁড়
মাছেরা গাভীন হলে হাতের তালুতে মারে ঘাই
সমূহ আকাল খেয়ে গায়ে বাড়ে আমাদের রাই।



লোককাব্য - ৬০
**************

অবশ লেগেছে গায়ে নেমে গেছে পুরাতন গাছ
যে নদী ঘুমিয়ে গেছে স্তনে তার বিরহের বাঁক
গোপন লুকিয়ে গেলে পাথরের গায়ে দেয় আঁক
হতাশ মাঝির হাত। খুঁজে ডাঙা। আর নীল কাঁচ।

সওদা করে ঘরে ফিরে বিরহের রঙীন কাঙাল
বৃষ্টিতে শুকাতে দেয় জীবনের সমূহ চাদর
তীরবেঁধা পাখি খুঁজে। অন্ধকারে কোথায় কাতর?
হারানো লাঙল থেকে জেগে ওঠে পুরাতন ফাল।

দেখা হবে কোনোদিন নৈঃশব্দের ফলিত আকাশ
পেয়ে যাবো কোনোদিন ঋতুবতী পাখির পালক
জলের কান্নার মাঝে দেখে যাবো হরিণীর শখ
শূন্যকে জড়িয়ে ধরে কারা করে সুপ্ত বসবাস।


আশির ব্রত চৌধুরী