চেয়ারম্যানের ডেস্ক থেকে...
সেদিন বইমেলা গিয়ে অনেক ইকুয়েশন ক্লিয়ার হল। জ্যোতি, আমি, তুলি, স্বপ্না বইমেলায় গিয়েছিলাম, গন্তব্য ঠিক বইমেলা নয়। গন্তব্য ছিলো ১৬৫, কবিতাপাক্ষিক। কোনো সুগন্ধ বা আঁশটে গন্ধ খুঁজে সময় নষ্ট করবেন না। সিম্পল যে কারণে পঞ্চপাণ্ডব দ্রোণের কাছে গিয়েছিল, কারণটা অনকেটা তাই। পৌঁছেছিলাম ২টো নাগাদ। জ্যোতি তখনও গাড়ীতে। প্রথম চমক দিলেন প্রভাত চৌধুরী নিজে। পাশের চেয়ার দেখিয়ে বসতে বললেন। আমিতো অবাক সঙ্গে ভীষণ অস্বস্তি। অমল জ্যেঠু প্রায় হালকা বকে বসিয়ে দিলেন। একে কবিতা পাক্ষিক তার উপরে প্রভাত জ্যেঠুর পাশে বসা তুমুল অনুভব। এমন সময় মঞ্চে প্রবেশ করলেন অতনুদা(গাঙ্গুলী)। টেনে নিলেন বুকে, চললো তার রসালো সংলাপ। সংলাপ নয়, একএকটা আস্ত আপডেটেড কবিতা। এতক্ষণে গোলাপি গোলাপ হয়ে এসে দাঁড়িয়েছে আপনাদের প্রধান সম্পাদক, আমার জ্যোতি। প্রথম দেখা। চমকাবেন না কেউ। আমরা একসঙ্গে কাজ করেছি মাসের পর মাস, যাপন করেছি দিনের পর দিন। দেখা হল সেদিন প্রথম। জড়িয়ে ধরে খুব নিজের নিজের অনুভব পেলাম। নিজেরইতো। তারপর একে একে তুলি আর স্বপ্না এসে হাজির হল। শুরু হল তুমুল আড্ডা। তারপর চারজন মিলে ঘুরে দেখতে গেলাম বইমেলা। প্রথম টার্গেট আমাদের লিটিল ম্যাগের টেবিল। সেখানে গিয়ে প্রথমেই যার মুখোমুখি হলুম তার নাম কবি অতনু ভট্টাচার্য। কুবোপাখি তে নিয়ে গেলেন টেনে। তারপর প্রচুর বই। ওইদিকে ততক্ষনে ফুটে উঠেছে আর একটা মুখ। শীর্ষেন্দু দা(দত্ত)। আবার আলিঙ্গন। জ্যোতি, আমি আর শীর্ষদা মিলে ততক্ষণে চুপিচুপি ধোঁয়াবাজি করে কিছু মতামত দেওয়া নেওয়া চালিয়ে নিয়েছি। সেখান থেকে বেড়িয়েই আবার সামনে প্রিয়জন সব্যসাচীদা(হাজরা)। এই প্রথম কাউকে প্রণাম করতে মন চাইলো। পা ছুঁলাম তার। বুকে টেনে নিলো দাদা। বেশী কথা এগোয়নি। এরপর কিছু প্রয়োজনীয় বই কিনে পুনরায় ১৬৫ এর দিকে। ততক্ষণে মুরারি জ্যেঠু এসে গেছেন। 'এই তো আমার প্রিয় রূপম' বলে বুকে টানলেন। এবার ছবিপর্ব। অতনুদা ফটো সেশন এর প্রস্তাব দিয়ে বললো, 'তরঙ্গ পরিবার নিয়ে ফটোগ্রাফি হোক এবার'। আমরা সবাই প্রস্তুত। এমন সময় একটা বাচ্চা ছেলের চিৎকার, 'দাঁড়াও দাঁড়াও, আমিও তো তরঙ্গের, দাঁড়াও আমি আসি আগে।' আমি আকাশ থেকে পড়লাম। জ্যোতি আর আমি একে অপরের দিকে অবাক হয়ে চাইলাম। বাচ্চা ছেলেটির নাম প্রভাত চৌধুরী।
এরপর আসি বইমেলার পরের কথায়। প্রভাতের চমক যে আরো বাকী ছিলো তা কে জানতো। সাপ্তাহিক কবিতা পাক্ষিক(৯৩) হাতে পেলাম তিন দিন আগে। তরঙ্গকে নিয়ে খবর করেছেন প্রিয় প্রভাত পুরুষ। খবরের পেপার কাটিং দিয়ে দিলাম পড়ে নেবেন।
এরপর আসি অন্য কথায়। প্রসঙ্গ পাবলিশার্স। তরঙ্গ পাবলিশার্স আর আসছে না, এসে গেছে। এপ্রিলে আত্মপ্রকাশ। উদ্দেশ্য একটাই, কম পয়সায় সেরা বই। সবাই বলে, আমরাও বলছি। পার্থক্য ফলে। যদি চান নিজের বই তরঙ্গ থেকে প্রকাশ করতে তবে পাণ্ডুলিপি নিয়ে যোগাযোগ করুন জ্যোতির সাথে।
ই-বুক প্রকাশ করেছে তরঙ্গ পাবলিশার্স। 'পাঁচের পেনে পঞ্চবেদ'। আর একটা বসন্ত নিয়ে সংকলন আসছে দু একদিনের মধ্যে।
আর কি বলবো। অনেক বলেছি। বাকীটা কাজের মাধ্যমে হোক। বেশী ঢাক পিটিয়ে কি লাভ
ভালো থাকুন, আপডেটেড থাকুন
শাল্যদানী
শাল্যদানী |
No comments:
Post a Comment