এখন তরঙ্গ তে লেখা পাঠান প্রতিমাসের ৫ থেকে ২০ তারিখ অবধি

অসীম সরকার



ছড়া



।।বঙ্গবন্ধু।।

বঙ্গবন্ধু সেখ মুজিবুর তোমায় করি গড়
একাত্তরের মুক্তি যুদ্ধে তুললে তুমি ঝড়!
নির্যাতনের মোকাবিলায় আগলে দাঁড়ালে তুমি
কত শহীদের রক্তে রাঙা বাংলাদেশের ভূমি।

জীবনের মায়া ত্যাগ করে তুমি হুঙ্কারিলে গলা
তোমার ডাকে সাড়া দিয়ে মুক্তির সোপানে চলা,
"হাতা খুন্তি দা বঁটি নিয়ে"...তোমার মহা নির্দেশ
নারী মনেও জাগরণ, খান সেনা হোক শেষ।

স্বাধীনতার স্বপ্নে তুমি এতই ছিলে মগ্ন...
অনিদ্রা আর অনাহারে স্বাস্থ্য হোল ভগ্ন।
তোমার ডাকে সাড়া দিয়ে ভারতীয়রা দিল সাথ
চকিতে যতেক খান সেনারা মাটিতে কুুপোকাত।

মুক্তি যুদ্ধ সমাপনে আকাশ ঝল্ মল্-
বলিষ্ঠ জেহাদি মনোভাব, এনেদিল সুফল।
মায়ের শৃঙ্খল মুক্ত হোল; ফুটলো হাসি মুখে
পরাধীনতার কলঙ্ক মুছে রয়েছে পরম সুখে।

মুজিবুর তুমি শেখালে বাঁচা স্বাধীন পতাকা তুলে
বঙ্গবন্ধু নামটি তোমার দেশ যাবেনা ভুলে।





।। প্রিয় কবি।।

কবির কবিতায় মুগ্ধ আমি, মুগ্ধ সর্বজন...
ভাবের প্রকাশে মোহিত মোরা, তর্কে বিদ্বজ্জন
কাকে যে রাখি অন্তরে মম, কাকে ঠাঁই দেব শিরে
কবি দেখেন নদীর চলন হাজার লোকের ভিড়ে।

কলমে হাসেন কলমে কাঁদেন, কলমে মর্মাহত!
চাঁদের হাসি ষোলোকলা রূপে, মুগ্ধতা অবিরত
পাহাড় দেখেছি উঁচু উঁচু কত করেছি শোরগোল
কবির চিত্তে কল্পনার জাল, নিবিড় শান্ত কোল।

সাগরের ঢেউয়ে মজা করি কত অবগাহনে মাতি
কত সহস্র কবিতা রচনা, সাগরে নিত্য সাথী...
বনবীথি মোরা তাকিয়ে দেখি, কখনও লম্বা মাপি
কবি একাকী শিহরিত হন, পাখির কূজনে কাঁপি।

নীল আকাশে সাদাকালো মেঘ ভাসমান অবিরত
কবির চেতনায় কত না রূপ! মনে ভাসে ক্রমাগত
শস্য শ্যামলা ফলে ফুলে ভরা নানান রূপ বরষণে
কবির মননে ফোটে লাবণ্য... মন ভরে দরশনে।

বড় ছোট বা মাঝারি যে কে! বোঝেনা অবুঝ মন
আমার চোখে সকলে মহান, বাংলা মায়ের ধন।


অসীম সরকার
রহড়া, কলকাতা-৭০০১১৮
০৬/০১/২০১৮
লেখক পরিচিতিঃ- অসীম সরকার, বালিগঞ্জ কসবায় জন্ম...ছাত্রাবস্থা কসবা, তালদি, ঘোলা, নবব্যারাকপুর এ.পি.সি কলেজ। ১৯৭৬- সনে সরকারি চাকরিতে যোগদান। ২০১৫ সালে অবসর গ্রহণ। ছাত্রাবস্থা থেকেই গল্প ছড়া কবিতা ভ্রমণ কাহিনী লেখা শুরু, আনন্দবাজার পত্রিকায় রবিবারে শ্রদ্ধেয় শিব্রাম চক্রবর্তীর 'অল্পবিস্তর' বিভাগে কৌতুক লেখা বহুবার প্রকাশিত হয়। অবসরের পর আবার পুরোদমে লেখার চর্চা শুরু ও বহবার নান

No comments:

Post a Comment