এখন তরঙ্গ তে লেখা পাঠান প্রতিমাসের ৫ থেকে ২০ তারিখ অবধি

সুনন্দ মন্ডল



কবিতা (সাধারণ বিভাগ)



_______তুমি নেই বলে

ভালোবেসে যে গোলাপটা উপহার দিয়েছিলে
সেও আজ গন্ধ ছড়াতে ভুলে গেছে।

কাছে এসে দুটি কানে যে গল্পকথা শুনিয়েছিলে
আজ তারা বধির হয়ে গেছে।

জড়িয়ে ধরে যে চুম্বনে ঠোঁট ভিজিয়ে দিয়েছিলে
নিকোটিনের জ্বালায় কালো হয়ে গেছে।

মধুর হাসি কিংবদন্তি বাতাসে ভাসিয়েছিলে
খোলা মাঠে এলোমেলো হয়ে পড়ে আছে।

আঁধার রাতের মায়াবী জোছনা হয়ে এসেছিলে
আজ জোছনা নেই শুধুই কৃষ্ণপক্ষ।

নীর ছাড়া পাখি হয়ে দুটি হাত ধরেছিলে
সে হাত আজ কর্মহীন লক্ষ্যহীন।

মনের মন্দিরে যে গভীরে তুমি স্নিগ্ধ
সেখানে না পাওয়ার দগদগে ক্ষত।

ছুটতে ছুটতে এসে বলেছিলে 'ভালোবাসি'
সব ফিকে পড়ে আছে রঙহীন ঘৃনা।

তবু চোখ খোঁজে সেই নিবিড় প্রেম
তুমি ছাড়া সবই আজ শিশির ভেজা।

আনমনে উল্লাস করে সেই দিনগুলি
শুধু তুমি নেই বলে চোখে আসে জল।




______অপেক্ষার শেষ প্রহরে বসন্ত

বসন্ত মানে শীতঘুম শেষে খোলস উন্মোচন!
দিগন্ত জুড়ে প্রকৃতির ফুলেল শুভেচ্ছা।
স্নিগ্ধ ঝলমলে সূর্যের হাসি
কুয়াশার চাদর সরিয়ে বিশ্বকে নমস্কার।
গাছের পাতায় জমে থাকা ধুলো
পর্নমোচী কিংবা শুকনো কাঠের গায়ে রবার!
পাখিদের কলকাকলি আর
সারাদিন তপ্ততা।

ভূগোলের দু'মলাটে আহৃত জ্ঞান
এই বসন্তে ঢেলে দেওয়া চারিদিকে।
সবুজ বনানীর ফাঁকে এক ফালি চাঁদ
জোনাকির বিন্দু জ্বলে ওঠা রাত
নমঃ ধরণীর বুকে।
নদীর কুলু কুলু সুর ভেসে যায় হাওয়ায়
পাথুরে ঘাটে যুবতীর শীতল ছোঁয়া।
নূপুরে বিরহের মূর্ছনা!

হলুদ ঠেকানো খাম
লাল কালির লেখা পৌঁছে যায়
বন্ধনের বার্তা নিয়ে দোরে।
খোঁপা চুলে দিন গুনে যাওয়া মেয়েটি
বসন্তের ছোঁয়ায় ফিরে পায় প্রাণ।
বাড়ির দাওয়ায় গোলাপের চকমকি
পাশে দোলে মরা শাখী বটের ছায়া।
পুরুষ ফেরার অপেক্ষায়!

অপেক্ষার শেষ প্রহরে বসন্ত
দম্পতির বুকে জ্বালে আগুন রঙা ফাগুন।

সুনন্দ মন্ডল
কাঠিয়া,মুরারই,বীরভূম
(বেসরকারি বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা পেশা.....ভালোলাগার বিষয় কবিতার নাম দেওয়া নেশা।)


No comments:

Post a Comment