কবিতা (সাধারণ বিভাগ)
প্রাণ
অসীম অন্ধকারে কোনোরকমে কুঁকড়ে
জলের মধ্যে ভাসমান প্রাণ
অসহ্য যন্ত্রণায় চিৎকার করতে করতে
জটিল পথ দিয়ে আসতে হয় আলোর জগতে
সেই আলো বোধগম্য হয় এক কোমল স্নেহের পরশে,
সেই পরশ আগলে রাখে চিরকাল
চেষ্টা করে সমস্ত কষ্ট, যন্ত্রণা কে লাঘব করতে
ধীরে ধীরে আকৃতি বড় হয়
বুদ্ধি বাড়ে জ্ঞানের আলোয়
এই আলোয় কোনো প্রাণ পায় প্রতিষ্ঠা
কেউ বা তলিয়ে যায় অন্য অন্ধকার জগতে
তবু সেই পরশ থাকে জড়িয়ে
সমস্ত শরীরে আত্মায়,
যেটা সে অনুভব করত
অসীম অন্ধকারে ভাসমান অবস্থায়।
মনের ভাষা
কে নেবে কেড়ে আমার ভাষা কে
দিব আমি খুলে মনের ডানা কে
লিখব আমি যা ইচ্ছে তাই
যেমন ভাবে দেখব আমি জীবন টা কে ভাই
কখনোসে আনন্দে ভরা কখনো বিষাদক্লান্ত
সকাল থেকে বিকেল গড়িয়ে দুপুর প্রায় অতিক্রান্ত।
জীবন টাকে দেখলাম প্রাণ ভরে
শিখলাম অনেক কিছু ধীরে ধীরে
সূর্য এর বিভিন্ন রূপের মধ্যে নিহিত জীবনের পাঠ
চন্দ্রের অনবরত ভেঙ্গে গড়ার আর্ট,
সমুদ্রের মতো প্রাণোচ্ছল হও
নদীর মতো সুখ দুঃখ বয়ে যাও,
পাহাড়ের কাছে শেখা শান্ত গম্ভীরতা
ঝরনার কাছে চঞ্চলতা,
শিখেছি আশ্রয় দিতে গাছেদের কাছে
ফুলের মতো সুবাস সৌন্দর্য বিলাতে,
পাখিদের কাছে শিখেছি গান
যখন যেমন তেমন তান,
সহিষ্ণু হও ধরিত্রী র মতো
প্রাণ দাও বায়ুর মতো,
মেঘ হয়ে উড়ে যাও দূর দূরান্তে
আনো সজীবতা সকলের প্রাণে,
আকাশ যেমন উন্মুক্ত উদার
খুলে দাও আপন মনের দুয়ার,
প্রকৃতির কাছে শেখা জীবনের পাঠ
মনের ভাষা কে ব্যক্ত করায় নেই কোনো লাজ।
ওরা
রোদ ঝলমল খুশির হাসি হাসছে সুজ্জিমামা
আনন্দে তাই উঠল মেতে ওদের দুনিয়াটা
মানুষ ওরাও ভুলেই গেছে সভ্য মানুষ জন
একটু স্নেহ ভালোবাসার কাঙাল ও সব মন
ফ্লাইওভারের নীচে কিংবা খোলা আকাশের তলে
বসত ওদের, কাঁপে শীতে ছেঁড়া কম্বলের নীচে
বেলুন বেচে, সাফ করে গাড়ি দিন গুজারা করে
তবু অসভ্য ওরা ঠাঁই নেই ওদের সভ্য সমাজেতে
কোথা থেকে এলো ওরা হদিশ রাখে কে তা
হয়তো কেউ সভ্য সমাজেরি ওদের মাতা পিতা
ওরাও তো ভগবানের দান, নিস্পাপ কুসুম কলি
অজ্ঞানতা, পরিস্থিতি বানায় ওদের সমাজ বিরোধী
আমরা যদি না বাড়াই হাত, না দেখাই শিক্ষার আলো
কেমন করে জানবে ওরা কোনটা মন্দ ভালো
দান নয় ভালোবাসা দিয়ে দেখো ওদের
জগদীশ বোস, বিধান চন্দ্র আছে ওদেরই মাঝে।
No comments:
Post a Comment