এখন তরঙ্গ তে লেখা পাঠান প্রতিমাসের ৫ থেকে ২০ তারিখ অবধি

দীপক আঢ্য



কবিতা (সাধারণ কবিতা)



নারী ও শীতলতম কবিতা

শীতলতম কবিতার কথা ভাবতে ভাবতে
তাকিয়ে দেখি নিজেই কখন মাছ হয়ে গেছি
গভীর জলে, একাকী, অতিক্ষুদ্রকায়।

ক্রমশ আমার শরীর বাড়তে লাগল
বাড়তে লাগল পাখনা পুচ্ছ চোখ
আমার সাথেই বাড়ছে জলের গভীরে লুকিয়ে থাকা শ্যাওলাও
আমার গোলাকৃতি চোখদুটো আরও সুডৌল কিঞ্চিৎ অতিকায়
হঠাৎই দেখলাম শতশত ফণা
আমার চারপাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে রঙবেরেঙর
আরও অনেক অনেক মাছেরা
তারা আমাকে দ্যাখে, ঘাড় ঘোরায়।

ফিসফিস কথারা বুদবুদ হয়ে ওঠে
কৌতূহল - কৌতূহল -কৌতূহল
একদিন সত্যিই আমিও রঙিন হতে চাইলাম
গায়ে গা ঘেঁসলাম, পাখনায় পাখনা, পুচ্ছর সাথে পুচ্ছ
আস্তে আস্তে দেখলাম আমার শরীরের আঁশটে গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে জল থেকে জলে
শীতলতম কবিতার পাণ্ডুলিপির প্রত্যেকটি শব্দ
হয়ে উঠেছে মকরের হিংস্র দাঁত
আর আমি সম্পূর্ণা এক নারী

আমি সম্পূর্ণা এক নারী, অথচ
প্রত্যেক মুহূর্তে পালিয়ে বেড়াচ্ছি দূরে -- নিজের থেকে আরও তফাতে
কেবল নিজেকেই খোঁজার জন্যে।




অটোওয়ালার কড়চা

অটোওয়ালা জানে এই তার রুট
আহ্নিকগতি বার্ষিকগতি --স্কুলের ভূগোলখাতা
দড়কচা মেরে পড়ে আছে হারানো স্কুলে
ট্রাফিকসিগন্যাল ছেড়ে দিলে
বউ এর মুখঝামটা আর মেয়ের বায়না
সাইলেন্সার পাইপের ধোঁয়া হয়ে বেরোয়
চোখ জ্বলে। থুতু দিয়ে তবুও গুনতে হয় ফি-দিন ভাড়ার টাকা
মালিকের খর হাসিতে সবসময় ভ্রুকুটি
এফএম থেকে সুরেলা কন্ঠে ভেসে আসে
গাঙ্গেয় উপত্যকায় গভীর নিন্মচাপের সতর্ক বার্তা!


দীপক আঢ্য
গ্রাম +পোঃ -- ধলতিথা
থানা -- বসিরহাট
জেলা - উঃ ২৪ পরগনা
সূচক - ৭৪৩৪১২
চলভাষ - ৯৪৩৪৫৬২৬৩৪

No comments:

Post a Comment