কবিতা (সাধারণ বিভাগ)
অপেক্ষারা
অপেক্ষারা এক একটা গাছ। স্লো মোশান। আলো ঘষা হচ্ছে বিছানায়। ঘড়ির ভেতরে একটা ঘড়ির মতো নিজের বাইরে নিজে যে সময়টা। কাবিল একটা ইন্টারল্যুড। ঢালু স্মৃতি স্থির হয়ে আছে ওখানে। অন্যমনস্ক একটা রঙ। সার্ভিস রোড বরাবর এগিয়ে যাওয়া কবিতাগুলো। ক্রিয়া ভেঙে ভেঙে দিনগুলো সম্পর্ক হয়েছে। এই যে সংখ্যাগুলো ঝরে পড়ছে আর হেঁটে যাচ্ছি তার মধ্যে দিয়ে। একটা লালচে তারিখ। ভাষায় বড়ো বড়ো ঋতু উঠছে দু-একটা।
অবনির্মাণ
জলবায়ুভর্তি সেসব ফসিল সারারাত উড়ে যায় বয়লার-বাড়ির দিকে। পায়ের আঙুল অবধি পৌঁছতে বেঁকে যায় কিছু শীতকাল। ফিকে অক্ষর। প্রায় একইরকম দেখতে পরপর কয়েকটা ফাঁপানো দীর্ঘ বাক্য পেরিয়ে আসি। দেখি, ধীরে, লুপে পড়ে যাচ্ছে আমাদের সমস্ত প্রিয় সিনট্যাক্সগুলো। দৃষ্টির সবটাই প্রেডিক্টেবল তখন। স্বাদেরও। এভাবে কোরক কোরক বলে ডাকতে, পাখি হচ্ছে মাংস-নির্মিত এক আলপনা। ভুল হয়। সমকৌণিক এক ব্যবধানের ভেতর বড়ো হতে থাকে আমাদের ছেঁটে রাখা দৃশ্যগুলো। স্বীকৃতি নামের উপপাদ্যের কাছে ফিরে যাওয়ার জন্য এইসব অছিলা ব্লাশ করছে। অর্থাৎ, বোর হচ্ছে ক্যামেরা এখানে। মনে রাখা সেইসব স্বাদের ভেতর আবার চলে যাচ্ছে আমাদের ভুলে যাওয়া জিভ। আগাছাবাগানের দিকে রঙিন ছাতা হাতে নিয়ে চলে যাচ্ছে। ভাষা অবধি চলে যাওয়া অবয়ব দুলে উঠছে তার পরিস্থায়ী কাঠামোসুদ্ধ…
নীলাব্জ চক্রবর্তী জন্ম – অগাস্ট ১৯৭৭ |
প্রকাশিত বই –
- পীত কোলাজে নীলাব্জ (জানুয়ারি ২০১১, ৯য়া দশক)
- গুলমোহর... রিপিট হচ্ছে (ই-বুক) (নভেম্বর ২০১৩, বাক)
- প্রচ্ছদশিল্পীর ভূমিকায় (জানুয়ারি ২০১৪, কৌরব)
- লেখক কর্তৃক প্রকাশিত (জানুয়ারি ২০১৭)
- আপনার বার্গার আরও মজাদার বানিয়ে তুলুন (জানুয়ারি ২০১৮, ঐহিক)
ভালোলাগা – গানের পুরনো আর কবিতার নতুন।
স্বপ্ন – মনের মতো একটা শর্ট ফিল্ম তৈরী করা।
No comments:
Post a Comment