এখন তরঙ্গ তে লেখা পাঠান প্রতিমাসের ৫ থেকে ২০ তারিখ অবধি

চন্দ্রলেখা মহান্তী



কবিতা (সাধারণ বিভাগ)



"জীবন-স্রোতস্বিনী"

তুমিই আমাকে চিনিয়েছিলে,কবিতার
নদ-নদী,নাকি প্রেমের রাজা-রানী !!

আমি তো শুধু ধুলো পথের বাঁকে,বাঁকে
ব্যস্ত উজানের দাঁড় বাওয়াকেই জানতাম
জীবন-প্রবাহ,আলোড়িত স্রোতস্বিনী …




"সাদা কাগজের পাখিরা"

পাখিমন গুলি দলবদ্ধ
জোড়ে- বিজোড়ে, ডালে ডালে

মিলনে, বিরহে, ত্রিভুজে
দ্বৈতে- একাকীত্বে

নীল আকাশ শুধু সাদা কাগজেই
ওড়ার ছন্দ মেলালে




"একটি গোলাপের মৃত্যু"

ফুলদানির গোলাপটি মৃত্যুর পরেও
কিছু দিন, সুগন্ধ ছড়িয়েছিলো...
"অতিস্বপ্নে মৃত্যু"
পোস্ট মর্টেম রিপোর্ট লিখেছিলো...

প্রতি পাঁপড়িতে নীল প্রেমের
প্যাথোজেন ছিলো…




" অনস্তিত্বে অস্তিত্ব "

ধ্বংসস্তুপে বাঁচা, জীর্ণ বটগাছ
দীর্ঘশ্বাস ফেলছে...
নতুন মার্বেল পাথর বাঁধানো প্রাসাদের
গোলাপ ঝাড় ছোঁয়া বেদীটার গায়ে l





"অপ্রকাশ্য... জিজ্ঞাসা"

তোমার শেষ কবিতাটা, পড়া হলোনা
অনন্ত প্রশ্ন নিয়ে, রয়ে গেলো উন্মুখ পথচিহ্ন...
আবার আগত ছিলো মেঘ শ্রাবণ
গঞ্জে গঞ্জে, বিক্রীত প্রণয়ের বৃষ্টি ভেজা কদম
তোমারই রুদ্ধ দুয়ার, একরাশ নৈঃশব্দের প্রতিধ্বনি

শুধুই তো উড়ে এসেছিলো, কয়েকটা পান্ডুলিপি
সেই টুকুতেই তোমাকে চেনা বাকিটুকু ছিলো
গুহার অন্ধকারে পথ হারোনো কল্প ছায়াপথ...

এখনো তোমার প্যাপিরাস কঠিন দেওয়ালে
লিখে রাখা কিছু মনের প্রতিলিপি
অগণিত বহুবারেও বুঝিনি তার মর্মার্থ
পারিনি পড়তে অনন্ত সাধ্য সীমাহীন আকাঙ্ক্ষায়
প্রাচীন মিশরীয় চিত্রলিপি
হায়ারোগ্লিফিক্সের মতো !!

দুর্বোধ্য পাঠহীন অতলে সে কথা
অসীম জিজ্ঞাসায়
কিছু কি লেখা ছিলো, অপ্রকাশ্য হৃদয় ভাষায় ??

চন্দ্রলেখা মহান্তী
Residence....কলকাতা 
শখ... যে সব ভাবনারা ছড়িয়ে থাকে ,ছুঁয়ে
যায়... তাদের শব্দ রঙে, এলোমেলো ক্যানভাস আঁকা...


No comments:

Post a Comment