এখন তরঙ্গ তে লেখা পাঠান প্রতিমাসের ৫ থেকে ২০ তারিখ অবধি

ডঃ মীনা মুখোপাধ্যায়



কবিতা (সাধারণ বিভাগ)



সই-কথা-১

হৃদয় কাঁদে,
বিষণ্ণ এ আকাশ ৷
কস্তুরী গন্ধ মাখা সে
ছবির মত গ্রামখানি৷

কাজল গাঢ় আঁধার চোখে
কত প্রতীক্ষার সরিতা সংগমে-
নিবিড় ছায়া তোর,
নন্দিত বর্ণে অসহ্য তৃষ্ণার ঢেঈগুলো.....
সাগর প্লাবী প্রেমের তরঙ্গ দোলায় ক্রম -নিমজ্জন....৷

কি  করে  ছেড়ে যাই নদী ?

তোকে ছেড়ে ??
তোর রক্তিম আঁচলে আমার কবিতা কাব্য সব বাঁধা ৷
বিক্ষিপ্ত কামনারা শুয়ে থাক তোর আস্তৃত কোলে ৷

বিষণ্ণতা ছোঁয়া ঝরাপাতার সে মর্মর ৷
যেন স্বপ্ন স্মৃতির চরাচরে খেই হারালো অনিঃশেষে৷
র্নিজনে যন্ত্রণা ভাঙে নদী
তার অগুণতি ঢেউয়ে—
এ সব কবিতার হাটে নৈরাশ্যের দোলাচল,
আশা পীড়িত মৃত্তিকা-সংলগ্ন ইতিহাস ঘনা সাময়িক সামাজিক
র্নৈজন্যের অভিমুখ !
কন্ঠস্বর আকাশে মিলিয়ে!






অনুগল্প




"রইনু চেয়ে"

কর্তার মৃত্যুর পর বাণু দেবী কোলকাতায় তাঁর ছেলের ফ্ল্যাটে এলেন অবশেষে৷ছেলের একান্ত অনুরোধ ও স্বীয় মন পরিবর্ত্তনের আশায়৷বহু কালের সাথী হারিয়ে স্বভাবতঃই বিষাদার্কীণ মন৷বাবার আদ্য-শ্রাদ্ধের পর বিল্টুর প্রবল জেরাজেরি সত্ত্বেও নানান অজুহাত দর্শিয়ে সে যাত্রা নিষ্কৃতি পেয়েছিলেন তিনি স্থানান্তরিত হওয়ার হাত থেকে৷
       ছেলের বাড়ীতে স্বাধীনতার বড় অভাব৷তবুও ঘর-দোরের ব্যবস্থা করে স্থায়ীভাবে থাকবেন ভেবে আসা৷নাতি ও ছেলে প্রচন্ড খুশী৷বৌমার বাহ্যিক আচরণ মন্দ নয়৷ছেলেকে দেখিয়ে 'মা,মা' ডাক আর সময়-অসময়ে মিস্টি বকাঝকা বেশ লাগে৷কিন্ত্তু একটা ব্যাপারে প্রচন্ড অসোয়াস্তি বোধ করছেন তিনি৷দীক্ষিত মানুষ তো!ঠাকুর-মা'র ছবিটি নাহয় ফিবারের মত বিছানার একপাশে রাখলেন৷কিন্তুু স্বামীর ফটোটি!এখানের দেওয়ালে প্রতিকৃতি প্রতিস্থাপন নিষিদ্ধ৷অগত্যা ব্যাগ খোলা আর সংগোপনে জল-মিস্টি দেওয়া!
        নাঃ আর নয়,ছেলেকে বলতেই হবে বাড়ী যাওয়ার প্রস্তাবটা৷
       পরক্ষণেই মনটা একটু দমে যায়৷ছেলে তো এখনও মা জ্ঞানে অস্থির৷নাতিটারও ঠাম্মু অন্ত প্রাণ৷তবুও আসক্তি ত্যাগ বান্ছনীয়৷শ্রীমায়ের কথায় ছায়া -কায়া সমান৷তাই এ গোপন সংরক্ষণ বিসদৃশ!
        দ্বিধা-দ্বন্দ্বের টানা পোড়েনে ছেলের কাছে কথা পাড়তেই বিল্টু বলে —
       —তা বেশ তো মা,এই টিপয়টার উপর রাখোনা ফটোটা৷দেওয়ালে দামী পেন্ট তো!তাছাড়া .....গার্গী.....
        পর্দার পিছনে কর্কশ গলায় গার্গীর তারস্বর —
       —মামদো বাজি পেয়েছো?
       —এ কি পান দোকান নাকি?যত্তো সব জংলিপনা!
     বীণা দেবী হতবাক!
কম্পিত ওষ্ঠে ঁহরি স্মরণ বুঝি বা!


ডঃ মীনা মুখোপাধ্যায়৷

No comments:

Post a Comment