কবিতা (সাধারণ বিভাগ)
নীলকমল (১)
ফিরতি পথেই দেখেছিলাম
আকাশের কোণ ঘেঁষে ছিটেফোঁটা চাঁদ
আমার কথা মিথ্যে হতে পারে,
কিন্তু নীলকমল!
.
স্মৃতিও কী মিথ্যে
আর আজ এই কৃষ্ণচূড়ার লাল
সারি সারি দাঁড়িয়ে আছে
আকাশের দিকে চেয়ে।
.
তুমি ওদের কাছে এসো
ঝরে পড়ার আগে একটিবার ,
ওদেরও জমা কথাই ফুটেছে
ফুল হয়ে।
নীলকমল (২)
দুপুরের দিক বরাবর রাস্তাগুলোয়
সূর্যটা মোটেই কথা শোনে না
তখন বসন্ত দীর্ঘশ্বাস ফেলে,
তুমি কি শুনতে পাও নীলকমল!
.
আমরা কখনও পাশাপাশি হাঁটি
কখনও তুমি সামনে কখনও আমি
হাত ধরিনা মিলিত হইনা,
এক হওয়ার ছাড়পত্র পেয়েও ।
.
অবাঞ্ছিত নীরবতার মাঝে
আমরা কুহুধ্বনি শুনতে পাই
প্রেমের গল্প লিখতে পারার মতো,
ভালোবাসতে পারি না বলে
তুমিও কী কষ্ট পাও নীলকমল!
নীলকমল (৩)
অযত্নের ভালোবাসা পেলেও মন ভরে
কিন্তু অবিশ্বাসী মন নিয়ে যখন
অমৃতকুম্ভের সন্ধান করে মানুষ!
.
প্রতিদিন সকাল হলেই ওরা আসে
অবুঝের মতো আমার হাত ধরে টানাটানি করে,
বাস্তবের সামনে দাঁড় করাবে বলে।
.
আমি ভালোলাগছে না বললে বিস্মিত হয়
অনর্থক ওদের দুশ্চিন্তা আমায় ক্লান্ত করে,
ওদের বায়নায় হেরে যাবার ভয়ে
.
আমি দুচোখ দিয়ে তোমায় খুঁজি, নীলকমল।
নীলকমল (৪)
একদিন সমস্ত রূপকথারা আড়াল খোঁজে
ভীষণ জরুরী মনে হয় বদলে যাওয়া
এবং মনে হওয়াগুলোও
বদলাতে থাকে ক্রমাগত।
.
নিরাময় বলতে তুমি কী বোঝ নীলকমল?
অবুঝের আয়নায় ধরা পড়া মূল্যবোধ
নাকি অবিরাম ধারাপাত
আর ধুয়ে যাওয়া!
.
প্রেম অবিচ্ছেদ্য তবুতো পরিত্রাণ চায়
যুগল। আর পাহাড় চড়ার অভিযান
অসমাপ্ত রাধা কৃষ্ণ
অথবা মেঘ বিলাস!
.
আহ্বান গড়িয়ে পড়ে অন্তরাল থেকে
যখন তুমি চাও আমি চাই না
যেভাবে তুমি চাও,
আমি কিম্বা, অন্যকিছু..
নীলকমল (৫)
সেই যে রাস্তাটা বাঁক নিচ্ছিল চতুর্দিকে
আর আমরা বোবা শালিকের মত,
ধন্যবাদ.....লেখা সাইনবোর্ডটায় একদৃষ্টে,
নীলকমল
আমায় নিয়ে যাবে আবার!
প্রেমের তৃতীয় অথবা মিলনের প্রথম
অথবা অপ্রেম শুরু হওয়ার ঠিক আগের
কুসুম রঙা যে কোনও একদিনে!
এবার থেকে,
আমি প্রেমের কবিতাই লিখব শুধু।
লিখব নিরাময়, আপ্লুত শরীর কথা, অমৃতসম
অনুভূতি, রক্ত সঞ্চালন আর
যাবতীয় আদর আপ্যায়ণ আলিঙ্গন।
আমাদের
বাদবাকি কিছু রাখব না ইতিহাসে।
No comments:
Post a Comment