এখন তরঙ্গ তে লেখা পাঠান প্রতিমাসের ৫ থেকে ২০ তারিখ অবধি

মানসী মন্ডল



কবিতা (সাধারণ বিভাগ)



গুরু দক্ষিণা

একে একে সবাই মিলে হটে গেছে পিছু
বলল সবে আমার দ্বারা হবে নাকো কিছু।
অল্প বয়সের অপক্কতায় দেখি সরষে ফুল
তুমিই শুধু সাহস দিয়ে ভাঙিয়ে ছিলে ভুল।

আমার জন্য লড়লে তুমি দিয়ে সবটুক
আনন্দে ভরসায় ভরলে দুর্বল এ বুক।
সাথে ছিলে সাথে আছো দিলে আশ্বাস
সেটুকুতেই ছিল আমার অঘাত বিশ্বাস।

স্নেহের হস্ত সদাই তুমি রেখেছ শিরোপরে
বৃন্ত থেকে আমায় তুমি দাওনি যেতে ঝ'রে।
করেছ মানুষ মনের মতোন সাধ্য টুকু দিয়ে
পরিণামে দিই নি কিছুই,তোমার খুশি নিয়ে।

গোপনে তুমি কত দিয়েছ,নেইকো হিসাব তার
আমার স্বপন সত্যি করতে ভুলেছ লোকাচার।
দশের একজন হতেই হবে আশীষ দিলে তুমি
"গুরু দক্ষিণায়" নেই কিছু তাই চরণখানি চুমি।

সদাই আমার সাথে থেকে জুগিয়েছ মন বল
আফশোষ হয় পারিনি দিতে মনের মত ফল।
তোমাকে পেয়েও পেলাম না যে আদর্শ হুবুহু
ব্যর্থ আমি রয়েই গেলাম, চেষ্টা করেও বহু।

আপনার অসফল ছাত্রী
                      




নবপ্রেম

এত দিন কোথায় ছিলে বল আমায় একটু ভেবে,
বুকটা ছিল ভীষণ খালি, ভরা ছিল চাপা দুখে।
হঠাৎ করে হাজির হয়ে ভরলে আমায় প্রেম পরশে;
ছিল যত জমা ব্যথা, ভুলিয়ে দিলে এক নিমেষে।
সোহাগে তোমার গরবিনী পড়ে না পা মাটিতে যে-----
জানতে চাও মনে আমার বসত করে কোন জনা সে?
বলতে গেলে হাজার কথা ভীড়ে আসে মুখে আমার,
অন্তরে সে বিরাজ করে এড়িয়ে সবার দৃষ্টি  আড়াল।
নিজের ভেবে যে হাতটি আমার, ধরেছ আপন করে;
ছাড়ো যদি পথ মাঝতে যাবই আমি প্রাণে মরে।।




পরকীয়া

আমার বৃত্তে ছিলাম আপন খেয়াল বশে
স্বামী সন্ততিতে ,সুখী পরিবার।
কেন করলে বাধ্য, লঙ্ঘিতে লক্ষ্মণ রেখা?
জীবনখানা করতে ছারখার।

কোন সাহসে বাড়ালে, আমার পানে হাত!
মাগিলে ভিখ তুমি সাধু বেশে,
উদার মনে ভুলে পেরোতেই সীমানা আমার
অসাধু রুপ দেখি চারপাশে।।

রাবণ বেশে কেন লুটিলে, ঠুনকো মর্যাদা?
কীই বা পেলে সীতা হরণে!
জটায়ু নেই যে কোথাও, ঢাকিতে সম্মান
কলঙ্কিনী করে আমায় আত্মজনে।

অগ্নি পরীক্ষা তো দিয়েই চলেছি বার বার।
সতীত্ব তবুও  হয়নি প্রমাণ!
পরকীয়াতে কানু -পিরীতি লাগি ----
রাধারই কেন যত বদনাম!


মানসী মন্ডল
দাসকলগ্রাম
বীরভূম, নানুর।

No comments:

Post a Comment