এখন তরঙ্গ তে লেখা পাঠান প্রতিমাসের ৫ থেকে ২০ তারিখ অবধি

ইন্দিরা ব্যানার্জী



কবিতা (সাধারণ বিভাগ)



আজ-কাল
(গোলকুন্ডা ফোর্ট এর উদ্দেশ্যে)

খিলানের পর খিলান, স্তম্ভের সমান্তরালে স্তম্ভ, দেওয়ালে ডায়মন্ড কাটিংএ শব্দ প্রতিফলনের টেকনিক, ঝুল বারন্দা, নাচমহল, বেগম মহল, প্রসাধন কক্ষ, শস্য ভান্ডার, তিনশো ষাট টা সিঁড়ি পেরিয়ে দেওয়ানী আম-দেওয়ানী খাস।

চারমিনার স্টাইলের পরিত্যক্ত মসজিদ, সিঁদুর রাঙা ভাঙা পাথর জগদম্বার আলয়, স্বল্প নোংরা জমা জল নাকী ছিলো  বৃষ্টি জল সংরক্ষণ ব্যবস্থা, রামদাসকে বারো বছর কয়েদ রাখা জেল যেন রাম-সীতা-হনুমান মন্দির...
ভাঙা-চোরা টুকরো পাথর অতীতের জীবন্ত দলিল হয়ে মূর্তমান।

আজ যা নাগরিক কোলাহল পূর্ণ অতি ঘন বসতির দ্বৈত নগর তা কখনও জনশূন্য জঙ্গল ছিলো আর আজ যা পরিত্যক্ত ভাঙা ইমারত ঐতিহাসিক স্মৃতি সম্বলিত হেরিটেজ তা কখনও অত্যাধুনিক সভ্যতার প্রাণকেন্দ্র ছিলো...

সময়ের সাথে সাথে ভবিষ্যৎ বর্তমানে আর বর্তমান অতীতে, আর অতীতের প্রতি পাতা গড়ে ইতিহাস....




দোলাচল

সন্দেহ আর বিশ্বাসের চৌকাঠে দাঁড়িয়ে, দোলাচলে,
কোন দিকে পা দেবে বা দেবে না...

মস্তিষ্ক না মন,
কার হাতে সমর্পণ করবে নিজেকে???

মাথা দায়বদ্ধ অধিকার-কর্তব্যে, নীতি-নিষ্ঠায় যেন চুল বিকিয়ে;
আর মন, সে বাঁধনহারা পাগলপারা, কোন জোর খাটে না, কোন নিয়ম মানে না...

মাথার  বিচারে, নিজেই রুদ্ধ হবে আলো-বাতাসহীন কংস-কারাগারে অপরাধীর মতন...

যদি মন আর শরীর একাকারে পা ফেলতে পারো খোলা আকাশের তলে, দেখবে এক আঁজলা রোদ্দুর অপেক্ষায় সাদরে বরণ করতে তোমায়...


No comments:

Post a Comment