এখন তরঙ্গ তে লেখা পাঠান প্রতিমাসের ৫ থেকে ২০ তারিখ অবধি

বিশ্বজিৎ লায়েক



কবিতা (সাধারণ বিভাগ)




বাথরুমে একা একা স্নানের মতো সাবান পিছলে যায়

জয়ন্তকে চিঠি লিখতে বসে লেখা হল শক্তির কথা
তার নতুন বাড়ির পিছনে যে পেঁপে গাছ
অপরিপক্ক ডিম্বাশয়ে ঘুরছে মাতাল হরিণের স্বপ্ন

স্টিফেন হকিং-এর ধৈয্যের পাশে
আমার কবিতার স্বপ্নকে আস্তে আস্তে বসতে বলে
আমি চায়ের জল বসালাম
একশো ডিগ্রির ছেঁকা দিয়ে বললাম — দেখো কেমন লাগে
কবিতা লেখা কৃষি কাজের চেয়ে ঢের সোজা
সমু কী বুঝল জানি না, বলল — এমন পতিত জমি

আমার পিতামহ
সাড়ে তিন কিলো মাংসের দামে বলেছিলেন — যাও, বছরখান চষে খাও
লোকটা চষে খেতে খেতে চুষেও খেল
বাবা কিছু বলেননি এতদিন
চুপচাপ দেখেছেন আলুর দর কতটা নামলে
চাষীর গলার দিকে দড়ি আসে নেমে
আর আমি কবিতা লিখতে লিখতে
বাথরুমে একা একা স্নানের মতো সাবান পিছলে গিয়ে
                              উঠে পড়লাম পাবলিক বাসে





কোমলগান্ধার

বিরাট ফ্রেমে কোন কল্প নেই কোমল অভিঘাত
বাম দিকে বেঁকে গেছে ভাঙনের উলু
‘আমের তলায় ঝামুর ঝুমুর কলাতলায় বিয়ে’
খাই
খাও
খেয়োখেয়ি
কোলাজে গাঁথা ওপারে ভৃগুর আঙুল
দেখ প্রেম,  দেখ দ্বন্ধ, যন্ত্রণা... দেখ দেখ...
অনুসূয়া দেখল—
‘আজ জ্যোৎস্নারাতে সবাই গেছে বনে’


বিশ্বজিৎ লায়েক

আমি একটি সরকারি চাকরি করি।
খাই দাই ঘুরে বেড়াই।
কবিতা পড়ি।
আর অঙ্ক ফিজিক্স নিয়ে আলোচনা করতে ভালোবাসি।
মূলত চাকরির সময়টুকু বাদ দিয়ে আমি একা একা ঘুরেই বেড়াই।
সকাল সাতটায় ঘুম থেকে উঠে বেরিয়ে পড়ি
তারপর বো বো ঘোরাঘুরি।
অফিস।
তারপর আবারও ঘোরাঘুরি।
গোটা শহর কলকাতায়।
বাসায় ফিরতে ফিরতে রাত ১২টা হয়ে যায়।
এর বেশি কিছু পরিচয় আমার নেই।

No comments:

Post a Comment