কবিতা (সাধারণ বিভাগ)
আত্মসমর্পণ
প্রতিদিন স্নান সেরে এসে পূজো দিতে যাওয়ার আগে
আমাকে সেলফি তুলে পাঠিও।
ক্ষণস্থায়ী সমস্ত প্রবৃত্তি ময়ূরের পেখমে পারিজাত হয়ে
আমার নীলকন্ঠ মুছে দেবে।
আত্ম-সমর্পণ করছি
আমি তোমার স্নান সেরে আসা মুখের বিন্দু বিন্দু জলে
মা'কে প্রতিফলিত হতে দেখেছি।
প্রতিদিন স্নান সেরে এসে পূজো দিতে যাওয়ার আগে
আমাকে সেলফি তুলে পাঠিও।
ক্ষণস্থায়ী সমস্ত প্রবৃত্তি ময়ূরের পেখমে পারিজাত হয়ে
আমার নীলকন্ঠ মুছে দেবে।
আত্ম-সমর্পণ করছি
আমি তোমার স্নান সেরে আসা মুখের বিন্দু বিন্দু জলে
মা'কে প্রতিফলিত হতে দেখেছি।
দ্রোহ-চর্যা
না পাওয়াটাই সন্তর্পণ যাদের কাছে,
তারা বোধহয় পাওয়ার চিন্তা করে না।
আর যারা স্নান করেনি,
তারা হয়তো ধুয়ে ফেলতে চায়নি সমস্ত আকুলতা।
এভাবেই কবিতা এসছে,
নৈঃশব্দের সমস্ত শব্দরা হয়েছে জড়ো।
ঠোঁটের চামড়া নখের কাছে
আত্মসূচিত হয়ে, করে গেছে বারবার সুপ্ত আকুতি।
স্পর্শ আর ছোঁয়ার মধ্যে যে কতখানি তফাত,
সেটা তোমার পঞ্চভূজ বুক জানান দিয়েছে অভিকর্ষে।
এরকম ভাবেই রচিত হয়েছে বিদ্রোহকাল।
দাহ হয়েছে তৃপ্তির আকাঙ্ক্ষিত সংজ্ঞা।
দেবার্ঘ সেন |
পরিচিতিঃ ভীষণ খামখেয়ালি একজন। ভালোবাসেন অন্ধকার। অন্ধকারে সৃষ্টি খোঁজাই তার নিত্য অভ্যেস। কোনও ছুৎমার্গ নেই। জন্মতারিখটাকে গুরুত্ব দেন না ; গুরুত্ব দেন ভালোবাসাটাকে। একাধিক পত্র পত্রিকায় লেখালিখি করেন, ইচ্ছে হলে নিয়ম ভাঙা ছবি আঁকেন...ব্যস এতটুকুই।
No comments:
Post a Comment