এখন তরঙ্গ তে লেখা পাঠান প্রতিমাসের ৫ থেকে ২০ তারিখ অবধি

কুমারেশ তেওয়ারী



কবিতা (সাধারণ বিভাগ)




প্লবতার ধ্বনি

গাছের শেকড়ে যে আগুন জ্বলে যাচ্ছে
এতকাল অথবা আবহমান ধরে
সেখানে হাত নিয়ে গেলেই বোঝা যায়
শ্যামসুন্দরের বাঁশিটি প্রাচীন হলেও
সুর সেই আগের মতোই রাই ধনী

তবে কেন আলটিমেটামের বোতাম টিপে
নিষিদ্ধ টোটেমের দিকে যেতে বাধ্য করা
পুরাতাত্বিক নিদর্শনগুলিকে

কেন একটা ঘুর্ণাবর্তের যার নিজস্বী আছে
হাতে আয়না ধরিয়ে বলতে যাওয়া
রুপ আর রূপকের পার্থক্য বুঝতে
যেন সে তার চোখের মণিতে ধরে রাখে
হ্রেষা সম্বলিত একটা ঘোড়ার পদচারণা

এইসব ভুলভুলাইয়াতে পথ না হারানো
গাছের শেকড় জানে কীভাবে তুলে নিতে হয়
ভৌমজল ও তার প্লবতার ধ্বনি



কারুবাগান

কারুবাগানের ভেতরে ঘাস খায় যে ঘোড়ারা
তাদের কারোরই নেই কোনো মনোরমা পাখি
খাজুরাহের সঙ্গমশিল্প নিয়ে ধ্যান করতে করতে
তারা ভুলে যায় কুয়োর ভেতরে নেমে যাওয়া
বালতিরও একটা নিজস্ব ছন্দ আছে

এইসব ঘোড়ারাই আবার কোজাগরী রাতে
আন্তরিক ভাব দেখানোর খেলায়
অসম্ভব পারদর্শী থাকে, হেমন্তকুয়াশা ঢেকে
লক্ষীর পাঁচালি শুনতে শুনতে তারা একেকজন
সপ্তর্ষিমণ্ডলের ঋষি হয়ে ওঠে

কারুবাগানের ভেতরে থাকা এক কাঁটাগোলাপ গাছ
চেঁচিয়ে চেঁচিয়ে শুধু বলতে থাকে তখন
ওইসব ঘোড়াদের রক্তে কোনো হিমোগ্লোবিন নেই
কাঁটার আঁচড়েও তাদের গা বেয়ে নেমে আসতে দেখেনি সে কোনো রক্তধারা





প্যাভলবের কাছে এসে

প্যাভলভের খুব কাছে এসে
বিকার সেরে গেল মনপাগলের
ছন্দ ফিরে পেলো আর পান্তাভাতের কথা
মনে পড়ে যেতেই প্রথমবার
তার চোখে দেখা গেল জলের ফোয়ারা
অবশ্যই লবননাক্ত এবং সোহাগপ্রবন

এতকাল তো শুধুই তার লণ্ডভণ্ড হাসি
কাঠের তলোয়ার নিয়ে কেটে ফেলতে চাওয়া
পৃথিবীর তালেবর শাঁস,শাঁসাল ও বিভ্রম

প্যাভলভের খুব কাছে এসে
হঠাৎ ছন্দহীন হয়ে পড়লো একটি ঘোড়া
নাল ছিঁড়ে ফেলে বজ্রকঠিন দাঁতে
বেড়াল ভঙ্গিমায় কামড়ে দিতে চাইলো
যে কোনো ঘোটকীর স্তন

সন্ধ্যানে জানা গেল তার নিজস্ব ঘোটকীটির
জ্বেলে রাখা আগুনে গা সেঁকতে এসেছিল
সাদা খয়েরি এবং কালো ঘোড়ারা
ঘোটকীও তার কার্ভেচার থেকে
খুঁটে খুঁটে বের করে ছড়িয়ে দিচ্ছিল
নীল রঙের ঢেউ এবং
আরব্যরজনীর কিছু মেঘালুবিভ্রম ধর্মী গল্পগাথা

No comments:

Post a Comment