এখন তরঙ্গ তে লেখা পাঠান প্রতিমাসের ৫ থেকে ২০ তারিখ অবধি

সুমন্ত্র বোস



কবিতা (সাধারণ বিভাগ)



কোলকাতা

লাল হয়ে যাওয়া পুবের আকাশ, যেন রোজ সকালে আমার কানের কাছে এসে মন্ত্র পরে যায়,
আর ভর হয়ে আশা মেঘ নিজের মধ্যে নিজের গল্প বলে।
দূর থেকে ভেশে আশা নামাজ, হাত বুলিয়ে যায়ে আধ জাগা শহরটার উপর।
সূর্য যখন নতুন দিনের বার্তা আনে,
আমার রাত জাগানো কবিতাগুলো, কোথায় যেন কোন মধুর স্বরে মিলিয়ে যায়,
আদরের বিছানাটা হঠাৎ আবার আঁকড়ে ধরার বৃথা চেষ্টায় পরিশ্রান্ত হয়ে ফিরে আসে।
সকালের খবরের কাগজ, যখন পুরনো রাতের দোরগোড়ায়ে ধাক্কা মারে,
অ্যালার্ম ক্লক এর আওয়াজ আর দুধের বাটিতে উপছে পরা দুধের গন্ধ, ডেকে দিয়ে যায়ে গোটা শহরটাকে।
তৈরি করে নতুন একটা যুদ্ধের জন্য,
তৈরি করে কিছু হারিয়ে যাওয়া সম্পর্ক, নতুন করে গড়ে তলার জন্য।
এইভাবে আরো অনেক ছোটো, বড়ো গল্পের মধ্যে, আমার শহরটা রোজ নতুন করে, বেঁচে ওঠে।





শরীর

পুবের আকাশটা আজ যেন আরো লাল হয়ে এসেছে,
ভোর হয়ে আসা মেঘগুলো, আজ নিজেদের মধ্যে নিন্দে করছে।
ঘুম থেকে উঠে নিজের প্রতি একরাশ ঘেন্যা আর শরীরে অনেকটা ব্যথা নিয়ে, শহরে পা রাখলো রমা।
রমার মা নেই, ছোট্টবেলা থেকেই সে এই শহরটাকে, মা বলে মেনে নিয়েছে,
আজ তার মজবুরি তে নুইয়ে পরা চোখটা, তুলতে পারলোনা সে,
আস্তে আস্তে সে এগিয়ে চলল, তার কাদা মাখা পথে। মনের মধ্যে অনেক চিন্তা ঘুরছিলো।
মনের কাছে প্রশ্ন করছিলো বারবার,
এবার? এরপর? কথায়ে শেষ এই গল্প?
সারাদিনটা তার ক্ষোভ, এবং নাম না জানা অদ্ভুত এক কষ্টতে কেটে চলেছে,   
তার  অনেকদিন কার পুরনো প্রেমিক, আজ তার চোখের দিকে তাকাতে পারেনি,
আজ সে তার শরীর বিক্রি করেছে, ভাসিয়ে দিয়েছে তার আধপোড়া মনটাকে।
অচেনা শহরের অন্ধকার গলিগুলো, আজ তাকে গ্রাস করে নিয়েছে,
নিজের মায়ের মতো শহরের কাছে, আজ সে দাম দিয়ে কেনা বাজারের এক পুতুল হয়ে গেছে।
হ্যা, হয়েতো আজ থেকে লোকে তাকে নংরা বলবে,
বলবে তার মতো বাজারু মহিলাদের মন বলে কিছু থাকেনা, থাকে কেবল শরীর।
কিন্তু,
তার ছেলেকে আজ নতুন স্কুলের জামায় খুব স্মার্ট লাগছিলো,
চার ছক্ষু ছেলেটির মুখে, ওই হাল্কা হাসি, আর রমার চোখের দু ফোটা জল,
আরো একবার ভুল প্রমান করে দিলো, কলকাতার এই নিষ্ঠুর দিক টাকে।


সুমন্ত্র বোস

দ্বাদশ শ্রেণী।
স্কুল - দা মডার্ন অ্যাকাডেমি।


No comments:

Post a Comment