কবিতা : সাধারণ বিভাগ
মরীচিকা
চোখের সামনে একটা মুক্তির মরীচিকা।
কাছে যাই, শুধুই পালায়।
জ্যোৎস্না আকাশের চাঁদটা জানে
কতগুলো রাত জেগেছি,
শেষ হেমন্তের বুড়ো সবুজ পাতা দেখেছে
অপেক্ষা করতে করতে নীল ধোঁয়া
জ্যোৎস্না আকাশের চাঁদটা জানে
কতগুলো রাত জেগেছি,
শেষ হেমন্তের বুড়ো সবুজ পাতা দেখেছে
অপেক্ষা করতে করতে নীল ধোঁয়া
কেমন আঁচড় কেটেছে।
পাথরের দুয়ার চেয়েছি ভাঙতে,
কিন্তু অন্ধকারে অমাবস্যা হয়ে মুখ ঢেকেছে রাস্তা।
অবশেষে বিষন্নতার জঙ্গলে পথ হারিয়ে,
দুহাতে দুমুঠো হতাশা নিয়ে
পাথরের দুয়ার চেয়েছি ভাঙতে,
কিন্তু অন্ধকারে অমাবস্যা হয়ে মুখ ঢেকেছে রাস্তা।
অবশেষে বিষন্নতার জঙ্গলে পথ হারিয়ে,
দুহাতে দুমুঠো হতাশা নিয়ে
এখনো সেই মরীচিকার খোঁজে—
রাস্তায় আমি।
রাস্তায় আমি।
শেষের খোঁজে
নিশ্চূপ হয়ে দেখে যাই প্রতিদিন—
মিথ্যের মিছিল।
মিথ্যের ভয়ে সত্যেরা গলা দাবিয়ে রাখে,
শুধু খসখসে গলায় শোনা যায়—
শেষ কোথায়?
উন্নত সভ্যতা— পাশবিকতার পাহাড় চারদিকে,
একাকী কাক বিবর্তিত আঘাতে অবাক চায়,
ক্লান্ত দুপুরের হলদে স্নান লজ্জায় রাঙা হয়।
অন্ধকারে মুখ লুকোয় নক্ষত্র —
আর বইয়ের পাতার লুকোনো অক্ষর
জানতে চায় তার সত্যতা।
এক বুক ঢেউ নিয়ে সমুদ্র প্রশ্ন করে—
আর কতদিন?
গোধূলিবেলায়
আবেগের নদী আজ নিশ্চল
ইচ্ছেরা ক্লান্ত হয়ে দিয়েছে পাড়ি বহুদূরে—
এ মনের সমুদ্রে ঢেউ আর আসেনা,
মুখ ফিরিয়েছে ছোটো ছোটো ভাবনার পাখিগুলো,
ফিরে গেছে তারা নিজের বাসায়,
—ক্লান্ত তুমি, ক্লান্ত আমি।
স্বপ্নগুলো আজ মিথ্যে,
বাস্তবের শিকড় ছুঁতে পারেনি ওগুলো!
অন্যের ঘাম মাখো তুমি আজ,
নিজেকে আড়াল করো অন্যের চুলের পর্দায়।
অন্যের মনের বাসায় তুমি আজ সুখী বোধ হয়!
আজ এত পথ একা হেঁটে
বাঁকানো নদীর ধারে,
যদি কখনো ধুলোময় ফাঁকা রাস্তায়
পড়ন্ত বিকেলের গোধূলিবেলায়,
ক্ষণিকের জন্য আবার যদি সময় থমকে দাঁড়ায়,
দেখে নিতে চায় আমাদের অতীতের সোনালি পাতাগুলো,
মুখোমুখি যদি দেখা হয় আবার দুজনার—
মুহূর্তের জন্য থমকে দাঁড়িয়ে ,
তুমি কি বলবে আবার?
—‘ এখনো ভালোবাসি তোমায়! ’
অন্তরা চ্যাটার্জী |
বর্তমানে কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগে স্নাতকোত্তর পাঠরতা।সাহিত্যের প্রতি অনুরাগ আর কবিতার প্রতি ভালোবাসা থেকেই কবিতা লেখা।
No comments:
Post a Comment