এখন তরঙ্গ তে লেখা পাঠান প্রতিমাসের ৫ থেকে ২০ তারিখ অবধি

তথাগত নিস্তব্ধ




কবিতা (সাধারণ বিভাগ)



।।ব্রা। এবং অন্যান্য লেখোনী।।

ক্যানেস্তারার ফুটো। ফুটে ওঠে জলে।
ঝামটা দিয়ে মেজাজ। ঝালর চিরে ফ্যালে।
শরীরের হাড়। শরীরের বুক। শরীরের পলক।
শরীরে দ্যাখা যায়।

ব্রা। এর ভিতরের মাংস ধ'রে রাখছে ব্রা। ক্যাবাৎ।
যতদূর চোখ যায়। ক্যাঙারু পাহাড়।
ঝাড়ানো পাথর। পাথরের উপর ব্রা। ছেড়ে রেখে আসি।
ব্রা'র সমাধি নারী। ম'নে রাখে না।



।।আকাশমুগ্ধ মা।।

ঠোঁটের বিনয়ী ক্রিম। আইসক্রিম। ঠোঁটে-ই রেখে আসি।
আশেপাশের মরাগুলো। ঠোঁট ছিঁড়ে খায়।
ডেডবডি প'চে আসে। তলপেটের ডিম। ঠোঁটের ভাপে বেরিয়ে যায়।

গরম উত্তাপ। সিদ্ধ হওয়া বাচ্চার। ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে প্রসিদ্ধ মাংস। তার।
শিশুর আকাশমুগ্ধ মা। তোমারও শিশু সেদ্ধ হচ্ছে পলে
পলে গরম জলে। তুমি শিশুমাংসের ফ্যান গেলে দাও।

চুমো বাঁচিয়ে নিয়ে। দোকানে বিক্রি ক'রছে যে মেয়ে। তার চুমোর
দাম অনেক বেশী। স্পর্শনীয়। ও ওষ্ঠ্যের চুমো যত বেশী বিক্রি হয়
বাজারে। মেয়েটির তত বেশী ঘ্যাম বাড়ে।

টুকরো টুকরো ঘুমের কাচ। প্রজাপতি হও। ঘুমের চোখ ডানা পেয়ে যাক।
চোখের ঘুম কাচ পেয়ে যায়। আমি কাচের পরে মাথা রেখে। দিব্যি ঘুমিয়ে যাই।



।।আদর্শ হাসপাতাল।।

ওষুধের খুন। ছিপি খুললে পাচ্ছি। মুখ চাপড়াতে চাপড়াতে। হাসির
পয়েন্টে আগুন লেগে যায়। হি হি হি। হা হা হা। আমি হাসাহাসি ভুলে
যাচ্ছি। আমি প্রেমে পড়বার বয়স নিয়ে। বছর নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছি।

গামছার ফলন। গামছায় তুলে আনি। তুলে রাখি। ফসলের ভার।
সম্ভার হয়। দূরের জমিন অদূরের বুকে টেনে নি। পাড়ার লাঠিয়াল
ক'রবে আমার কি।

সুন্টুর ঘুমে। স্বপ্ন নেই তেমন। যা কিছু মগ্নতা আমার। ছাঁকা পাওয়া
তরলে গরম বিষ। সরল মধুর চাক ভেঙে ফেলি আমি। মোম গ'লে
যায়। মধু প'ড়ে যায়।

আদর্শ হাসপাতালের। রোগী মরে বেশী। নিহত নার্সিংহোম
নার্সে ভরা। যে বেডে শুতে যাও। শুতে চাও। সে বেডে মরা।
মরার নিষ্পত্তি শ্মশান জানে। ভালো-ই জানে।



।।কাফতান।।

দাঁতের পিয়ানো বাজে। আমি ভাবতুম পাখিদের গান।
বাসের স্ট্র্যাণ্ডে মঠ নেই কোনো। মঠের পোশাক পথে প'ড়ে থাকে।
মফস্বলে ঘোরে সোনালী কাফতান।

এইবার শব নিয়ে ভ্রমণ। দড়িতে হাত বেঁধে বেঁধে শব টেনে আনি।
মাইল মাইল টেনে আনি। গাড়ির টান। নাড়ির টান। শবের ছাল
খুলে যায়। হাড় ফেটে যায়।

অতো দূরে চ'লে গেলে। নদী পেলে না। হিম্মৎ নিয়ে নদী ছুটে
চ'লে যায়। নাটমন্দিরের ৫জন কবি। ৫জন সন্ন্যাসী। কাকে
বলে নদী। জানেনা।



।।রবীন্দ্রসংগীত।।

কুকুরকে যা-ই ভাবো। ব্লেড বানাতে পারবে না।

আমার পুকুরে জল নেই কোনো। হলুদ বাসি হ'য়ে প'চে
আছে মাছ। আমি মাছের দুঃখ কারে জানাবো।

আমার গাঁয়ের মেয়েগুলো বড়ো ছেনাল। রবীন্দ্রসংগীত
শোনাতে গেলে। পর্ণগ্রাফির ডায়লগ মারে। ওহো্ বেবি,,,,ওহো্ বেবি,,,,,,,,

আমি বুঝতে পারি না। গাঁয়ের মেয়েরা এখনো ক্যানো। রবীন্দ্রসংগীত শোনে না।।



তথাগত নিস্তব্ধ

2 comments:

  1. এ এক ভিন্ন যাত্রা। নিহত কুসুমের ঘ্রাণ পাই।

    ReplyDelete
  2. দারুণ।শব্দপ্রকাশের প্রয়োগটিও অনবদ্য

    ReplyDelete