কবিতা (সাধারণ বিভাগ)
অপরাধবোধ
তুমি বলো
শরীর বয়সের বশে থাকলে
অপরাধ ।
অশুচির গন্ধ গায়ে মাখলে
অপরাধ ।
মাথার উপর ভগবান পায়ের নীচে শয়তান
মুখের আদল বদলে খুঁজতে হবে অবসান ।
তুমি বলো
ফিরে যাও ঘরে দুহাতে রেখো ধরে
দুঃখের দিন সুখের দিন ঘরের কোটর
খোলামেলা চাতাল ।
সূর্যের ভোর আকাশের রোদের চাদর
ফুলতোলা সকাল ।
তুমি বলো
দেনার ভার দুহাতে থাকলে
অপরাধ ।
কর্তব্য দায়সারা রাখলে
অপরাধ ।
তুমি বলো
ফিরে যাও ঘরে দুহাতে রেখো ধরে
বারোমাস তেরো পার্বণ আদর আপ্যায়ন
সম্প্রীতির দরবার ।
দুই প্রান্তের ঘর উঠোন পৃথিবীর নিকেতন
একান্নবর্তী সংসার ।
ভবিতব্য
যাওয়াই ভালো
দুপায়ে অন্ধকার ঠেলে আর এক নতুন অন্ধকারে ।
যাওয়াই ভালো
আলোর সাঁকো ফেলে আর এক নতুন অন্ধকারে ।
এখন
মাকড়সার জালে ভর্তি দেশের বাড়ি
বেঁচে থাকার তাগিদে বিদেশ পাড়ি
জেনেও ....
একদিন আসতে হবে ফেরত ঘরে
সম্পর্কের সৌরভে দুহাত চার করে ।
দুটি হাত দুটি প্রান্ত
সতর্ক রেখে
দুহাত এক করো বা আলাদা করো
ভগ্নাংশের মধ্যেই খুঁজে নিতে হবে তোমার অবশিষ্ট
আকাশ মাটির গন্ধ তোমার ভবিতব্য
যদিও
তোমার দুহাত আজ সর্বশ্রান্ত অথর্ব
ছেঁড়া ঘুড়ির মতো জীবনের সুতোয়
একলা কাঁটা তারে ।
জরায়ুজ
থাক বয়স দূরে অনেক দূরে গিয়ে
থাক বয়স পাহাড় পাথর চাপা দিয়ে ।
থাক বয়স বন অরণ্যের কালান্তরে
থাক বয়স সাগর জলধির ওপারে ।
বয়সকে
দিও না ঘেঁষতে কোনো কৌশলে কুশল চিঠি সই পাতার হিল্লোলে
পরিচর্যার অজুহাতে শরীরের ভেতরের ঘরে ।
বয়স ধরলে
শরীরের কল্লোলে ক্রমশঃ ভাঙ্গন ধরে
শরীরের বিনুনির গিঁট আলগা করে
শিরদাঁড়ায় কালচে পড়ে ।
পাপপুন্য জল শূন্য জীর্ণ মাটি সামান্য ফসলের গন্ধে
আকাশ মেঘ্ময় ।
নিঃসঙ্গ বাতাসের সন্ততি থাক নিত্য পোশাকের ছন্দে
শরীর অস্তিময় ।
শরীরের ভেতর আর এক শরীর বয়সের মূর্ধায় থির ।
যদিও শরীর .....
আলো অন্ধকারের গমক গমক আঁচের গভীরে
ষোলো আনা লোভ আরো বেঁচে থাকার বৃষ্টি সরস সরোবরে
অন্তর্বাস তত্ত্বের বর্ণের ঝনৎকারে ।
দু’হাত কোলাহল হাতড়ে আরো বেপরোয়া আরো যত্নশীল
সব বয়সের দিন দিগন্ত আঁকড়ে ।
শরীর...... ভিখিরির জাত ক্ষুধিত স্বভাব
জরায়ুজ ।
শরীর...... পুরুষ নারীর স্নাত সংশোধিত পল্লব
জরায়ুজ ।
শরীর...... সংকল্পিত বাস্তব ভাস্কর্য
জরায়ুজ ।
****
No comments:
Post a Comment