কবিতা (সাধারণ বিভাগ)
ফিরে দেখা
পরস্পরের আঘাতে জলপট্টি-দুটো সবুজ মন।
এ ওর দিকে একমুঠো শহর ছুঁড়ছে,
জানলা আঁকা বিকেল ওদের মাঝে রেলিং নামিয়েছে।
তবুও মন্ত্রপূত প্রেমের গন্ধে পালক খোয়ালো ওই দুজন।
-এই বুঝি প্রেম হল।
#
দূরপাল্লার ট্রেনে দূরত্বের সিটে মুখ ঘুরিয়ে- ওরা দুজন।
পরের স্টেশনে ওরা নামবে,এলোমেলো ব্যাগ-সুটকেস
জামা কাপড়ে খানিক অভিমান এবং উষ্ণ গর্জন।
-এই বুঝি ঝগড়া হয়েছে।
#
এখন ছেলেটি উত্তাপের গোলার্ধে,সংযমের গোলার্ধে বিছানার প্রান্তিক।
কিছু সময় পরে মেয়েটিও নগ্নতার হ্রদে স্নাত।
দূর থেকে যা বুঝলাম,আত্মসমর্পণ ও মোটামুটি স্বাভাবিক।
-এই বুঝি মিলন হল।
#
আসলে কোত্থাও কিছু হয়নি।
না প্রেম
না ঝগড়া
না মিলন
-হয়েছে নিজেরই অতীত রোমন্থন।
হে নৈঃশব্দ্য
হে সমকামী,
শব্দদূষণে শরীক তোমাদের কথোপকথন।
তোমরাও সেই মৃত্যু দিয়ে মৃত্যু ঠেকাতে ব্যস্ত,
আয়ূরেখা বরাবর হেঁটে চলছে সমুদ্রমন্থন।
#
হে উভকামী,
তোমার একগালে রক্ত,অন্যটিতে উচ্ছাসের আবির।
আবির দিয়ে কি রক্ত ঢাকা যায়?
তোমার দুটো নৌকোই ধ্বংস হবে।
সময়ে দমকল ডাকো,নইলে মুখ ঢাকবে কালো
আবির।
#
হে যৌনদাসী,
মালসায় রাখা বিষ মাখানো পরমান্ন তুমি
তোমার আত্মা কে দিয়ো না।
পাথুরে ললাট তোমার অযোগ্য,
আমরা তোমাকে বোবা মানুষ উপহার দেব।
যদি নিষিদ্ধ জলাশয়ে মুক্তো ও খুঁজে আনো,
তোমাকে দিতে পারি শুধু জাগতিক মূর্ছনা।
#
হে নৈঃশব্দ্য,
লাশের কোনো গন্ধ নেই!
রক্তের কোনো রং নেই!
ক্ষয়ের কোনো ক্ষতি নেই!
তবুও তুমি আছো – বিস্ফোরণের গন্ধে রঙিন ক্ষতচিহ্ন হয়ে।
****
No comments:
Post a Comment