এখন তরঙ্গ তে লেখা পাঠান প্রতিমাসের ৫ থেকে ২০ তারিখ অবধি

সোহম হাটুয়া



কবিতা (সাধারণ বিভাগ)




ফিরে দেখা

পরস্পরের আঘাতে জলপট্টি-দুটো সবুজ মন।
এ ওর দিকে একমুঠো শহর ছুঁড়ছে,
জানলা আঁকা বিকেল  ওদের মাঝে রেলিং নামিয়েছে।
তবুও মন্ত্রপূত প্রেমের গন্ধে পালক খোয়ালো ওই দুজন।
        -এই বুঝি প্রেম হল।

#
দূরপাল্লার ট্রেনে দূরত্বের সিটে মুখ ঘুরিয়ে- ওরা দুজন।
পরের স্টেশনে ওরা নামবে,এলোমেলো ব্যাগ-সুটকেস
জামা কাপড়ে খানিক অভিমান এবং উষ্ণ গর্জন।
       -এই বুঝি ঝগড়া হয়েছে।

#
এখন ছেলেটি উত্তাপের গোলার্ধে,সংযমের গোলার্ধে বিছানার প্রান্তিক।
কিছু সময় পরে মেয়েটিও নগ্নতার হ্রদে স্নাত।
দূর থেকে যা বুঝলাম,আত্মসমর্পণ ও মোটামুটি স্বাভাবিক।
       -এই বুঝি মিলন হল।

#
আসলে কোত্থাও কিছু হয়নি।
 না প্রেম
 না ঝগড়া
 না মিলন
-হয়েছে নিজেরই অতীত রোমন্থন।




হে নৈঃশব্দ্য

হে সমকামী,
      শব্দদূষণে শরীক তোমাদের কথোপকথন।
      তোমরাও সেই মৃত্যু দিয়ে মৃত্যু ঠেকাতে ব্যস্ত,
      আয়ূরেখা বরাবর হেঁটে চলছে সমুদ্রমন্থন।

#
হে উভকামী,
       তোমার একগালে রক্ত,অন্যটিতে উচ্ছাসের                   আবির।
       আবির দিয়ে কি রক্ত ঢাকা যায়?
       তোমার দুটো নৌকোই ধ্বংস হবে।
       সময়ে দমকল ডাকো,নইলে মুখ ঢাকবে কালো
       আবির।

#
হে যৌনদাসী,
       মালসায় রাখা বিষ মাখানো পরমান্ন তুমি
       তোমার আত্মা কে দিয়ো না।
      পাথুরে ললাট তোমার অযোগ্য,
      আমরা তোমাকে বোবা মানুষ উপহার দেব।
      যদি নিষিদ্ধ জলাশয়ে মুক্তো ও খুঁজে আনো,
      তোমাকে দিতে পারি শুধু জাগতিক মূর্ছনা।

#
হে নৈঃশব্দ্য,
      লাশের কোনো গন্ধ নেই!
      রক্তের কোনো রং নেই!
      ক্ষয়ের কোনো ক্ষতি নেই!
তবুও তুমি আছো – বিস্ফোরণের গন্ধে রঙিন ক্ষতচিহ্ন হয়ে।


****

No comments:

Post a Comment