এখন তরঙ্গ তে লেখা পাঠান প্রতিমাসের ৫ থেকে ২০ তারিখ অবধি

অহনা সরকার




কবিতা (সাধারণ বিভাগ)



বৃৎহণ

কেটে ফেলা হাতের জায়গায় যদি একটা মাথা বসিয়ে নেই?
এ প্রশ্ন আমাকে নয়, করা হল, সামনে দাঁড়ানো বছর ৪৫ এর মানুষটিকে, যে পেশায় নিউরোসার্জেন।
কিন্তু উত্তর এল পাশের খামে বন্দী চোখদুটো থেকে, যা নাকি কোন মৃত শিল্পী দিয়ে গেছিলেন আমায়।
"মাথা বসাতেই পারেন তবে তারও কিন্তু কয়েকটা লক্ষ্যহীন আঙুল থাকতে হবে"।
মাথার আঙুল?
"কেন নয়! দেখা কি আসলেই অন্ধত্ব নয়"?

খাঁচায় পোরা সমস্ত শরীরগুলো একসাথে বৃংহণ করে উঠল। আমার দিকে ঘুরে উনি জিজ্ঞাসা করলেন, "আপনার কি মত? আপনার কাটা হাতেই তো"! ..........

আজ থেকে বছর পনেরো আগে এক বিকেল। সাবওয়ে চোখ শুধু ভিজছে দু'একবার। শব্দে যখন দাঁড়িয়েছি, তার অনেক আগেই শিরাংশ ভেসে গেছে দূর! একটা শরীর শুধু তখনও খোলা চোখে বিস্মৃত নক্ষত্রচাহত
আজ এই নিউরোসার্জেন জানতে চাইছেন, হাতে কি মাথা লাগানো যেতে পারে!?

কোণ ছবি থাকলে দেখানো যেত, আসলে ঘরটা একলাই। চারপাশে কিছু মূর্তি বিহীন আয়না, কাঁচ নেই। সামনে দাঁড়ানো নিজেকে আমি, তুমি সে বা তারা ভেবে মাঝে মাঝেই মঞ্চের বাকি পার্ট'টা সেরে নেই অঙ্কে। ও! আমার চেনাটাই তো দেওয়া হয়নি! আমি পেশায় -াকার, কখনও ছবি আঁকতাম মনে পড়লে। বাকি অক্ষরহীন খাম, প্রচুর গিরগিটি আর অনেক

আসলে হৃদয় বলে, শরীর কি আদতেই বহু নয়? খাঁচার দোষ একটাই
শোনা অবসারে আলাদা

কখনও ঘুম ভাঙ্গলে জলচাঁদে মুখ রেখে তেষ্টায় সল্ট পিট। আপনারাও রাখতে পারেন শেখা কথা। তবে আজই নয়, আজ আপন ছাঁদে

দাশবিক সংশোধন। আধিপণ্য অজুহাতের




এইচ জেড

থ কে থ থ দিয়ে গুণ বা ভাগ বা যা খুশি করলে কটা পদ্য লেখা যায় বলুন তো?
দরকার নেই। আসুন আমরা সমবরত আলুর দম লুচি বিকেলের জলখাবারে সাঁটিয়ে
নব ঘোরাতে ঘোরাতে মহানায়ক নায়িকার কোলে তখন!
কিছুক্ষণ আগেই কিছু মানুষ ছুটতে ছুটতে এসে জানাচ্ছে
ছুটতে ছুটতে কাটা ট্রেনের নিচে
ছোটা পা তুলে নিয়েছে দম। চাবিতে নতুন ডিউরাসেল!

ভ্যানিসের কৌটোয় গুঁড়ো দুধের মধ্যে যে মুখটা, সেটা আদতে আমারই ছোট। ছবি খুঁজতে খুঁজতে ক্লান্ত হঠাৎ জানিয়েছে, "দরিদ্র বলে এদেশে কেউ থাকে না!" তারা এখন মুখবন্দী

বস! কোন ক্যামেরায় ভাল জুমিং আসে বলুন তো! আমার আবার বড়'ই ডিএসলারে'র সখ। জলের ছোট ছোট ছোট! ফাগ আর হাউই কখনও মাসতুতো না হয়েও চিনত একে আরেক




বাক্ বনদী

ইয়ার্কি রাখ। আয় বলি
দে ছুঁড়ে
কাটা ঘায়ে
নগদ। রদ। দে বলি

হাড়িকাঠে। মন্দমিঠে
সরজতাজ
জলজ চলে। জবর টানে
বসু! সে তো ধরাই। অ-সাড়

বলছ। বহন। শুনছি হিত
কাদের বাড়ির
রাঙার পিঠে। পুড়ছে মেয়ে
বেজায় শীত

এভাবে তাল কাণা র পর। গাছ নিজেই চোখ তুলে। ওল্টানো বিজকিরি মাতিয়ে
কাকও জানে না আজ স্টাচু ডে!
দে


No comments:

Post a Comment