|
তরঙ্গ পরিবার
(শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি চর্চা কেন্দ্র) |
সূর্যের পর আবার সূর্য ওঠে আবার। তরঙ্গের পর তরঙ্গ। চেয়ারম্যান ডেস্ক থেকে প্রথম লিখতে বসলাম। শাল্যদানী ব্যস্ত তাই আমাকেই লিখতে হবে। কিন্তু কি লিখি? এতদিন যা কাজ করেছি হাউসে তা গোপনেই, সামনে প্রথমবার। ভালো আছে তরঙ্গ, খুব ভালো আছে। শাল্যদানী আর আমি মিলে আরো কয়েকজনের সাহায্যে যখন প্রথম তরঙ্গ বানালাম ঠিক সেইদিন থেকে চিন্তনের শুরু আর কাজ। আর কখনো ব্যর্থতা, কখনো সফলতা। প্রথম থেকেই পত্রিকা সফল, শুধু এগিয়ে চলছিলো। কিন্তু সেটা আপনাদের কাছে আসলে একটা অন্য গল্প আছে সেটা আজ বলি আপনাদের। আপনাদের চেয়ারম্যান সাহেব, মানে আমার চিরশত্রু শাল্যদানী পঞ্চম সংখ্যা প্রকাশ করে হঠাৎ লা পাতা। সেই সময়ে জ্যোতির্ময় তরঙ্গ জয়েন করেনি। তখন পত্রিকা সম্পাদক ছিলেন রাহুলবাবু। উনি আর আমরা কয়েকজন লেখা বাছতাম আর শাল্যদানী ডিসাইন করে পিডিএফ বানাতো। শাল্যদানীর ফোন অফ, খোঁজ নেই। আমাকে পর্যন্ত ফোন করছে না। দুমাস পর তাকে খুঁজে আনলাম। উনি ধর্ম করতে গিয়েছিলেন কাউকে কিছু না বলে। তুমুল ঝামেলা করে ফিরিয়ে আনলাম। প্রকাশ পেল পরের সংখ্যা। তারপর কত বাধা বিপত্তি পার করে আজ আমরা 'এখন তরঙ্গ'। আমরাই সেরা। জ্যোতির্ময় নতুন প্রধান সম্পাদক আমার হাউসের পত্রিকা বিভাগের। ওকে অভিনন্দন। যোগ্যতরকে তরঙ্গ বারাবরই গুরুত্ব দেয় এবং দেবে।
এবার আসি নাটকের বিভাগের কথা। ব্যর্থতা। প্রোডাকশন শুরু হল, বিভিন্ন অসুবিধা শেষ করতে দেয়নি আজো। নাট্যকার হিসাবে শাল্যদানী কি পথ দেখায় সে দিকে তরঙ্গ তাকিয়ে আছে।
তরঙ্গ বইমেলায় এবার থাকবে। একা নয়, বন্ধু পত্রিকাওয়ালাদের নিয়ে থাকবে। তরঙ্গ ছুতমার্গ বিশ্বাস করে না। তরঙ্গ গোষ্ঠী বিরোধিতা করে। তরঙ্গ নিজে প্রতিষ্ঠান রূপে প্রতিষ্ঠান বিরোধী।
সামনে তরঙ্গ সিনেমায় হাত দিতে চলেছে। শর্টফ্লিম দিয়ে কাজ শুরু করবে। তারপর দেখে যাক।
তরঙ্গ খোলা জানালা। তুমি দখিনা বাতাস হও...
ভালো থাকবেন। তরঙ্গায়িত হোন।
বিজন কুমার পণ্ডিত
ভাইস চেয়ারম্যান
তরঙ্গ পরিবার
|
বিজন পন্ডিত
ভাইস চেয়ারম্যান
তরঙ্গ পরিবার |
No comments:
Post a Comment