এখন তরঙ্গ তে লেখা পাঠান প্রতিমাসের ৫ থেকে ২০ তারিখ অবধি

শ্যামাপদ মালাকার


কবিতা: সাধারণ বিভাগ



-------মলাট-----

আধপোড়া একটা ইতিহাস দেবো, একটা 'মলাট' দিয়ে দেবে? শুধু মলাট।

পাথরের দুয়ার ছুঁয়ে ছুঁয়ে ফিরছিল যবে, ভেবেছিলাম তীর পাবে, পাইনি। নিষ্ফল সহানুভূতির লহরে সে আবার -নখ, চুল নিয়ে ফিরে এসেছে!

দেখ,-মায়াহীন অলসের শেষ আঙ্গুলটাই কেমন চটকিয়েছে, -ইস্! কি বিবর্ণ হয়ে গেছে ভেতরটা- 'মলাট' চাই-ই!।

সন্দেহ করবোনা পাতা উল্টেছো কি না,-"অরণ্যের এক বিন্দু রক্ত যবে ছুঁয়ে ফেলে শহরের পিচ্ -বাঁচার শেষ ইচ্ছে মাগে করুণার এক ফোঁটা!"-তাছাড়া চেয়ে নেওয়া এঁঠোসিগারেটের ক'টা
টান ছাড়া আর তেমন  কিছু নেই সেখানে- -

তারপর,-কোনো  সম্পাদকের উঠোনে ধর্ণা দিয়ে- ভারী কবি  একটা চেয়ে নেব, 
মাপাতে চাই,--ওটাতে কি শুধু নেশাকাটানো এঁঠোটানের ধোঁয়ায় আছে!
না,-"কালের অভিনয়ের মানবিকতায়"-ব্যর্থ বেকারত্বের কিছু দীর্ঘনিঃশ্বাসও সাঁতরাচ্ছে!



স্পর্শ

লোক-মুখে শুনেছি,- -তোমার স্পর্শে হৃৎপিণ্ড বদলে যাচ্ছে নাকি!
আচ্ছা,-আমার ক্রোধী - লোভী - লালসাময় মনটা- -আষাঢ়ের মাটির মতো ফুলে উঠেছে- -ওটাকে উপড়িয়ে ঐখানেই,-তামাটেবর্ণ কৃষকের একটা সহজ বুক রোপে দিতে পারবে!?

সেই পাগবাঁধা চাষীটার কথা বলছি, যে,- পতাকা তোলার সময় ফ্যালফ্যাল করে চেয়ে রয়- - - সেও কি তোমার মতো সীমান্তের রঙ'টা দেখতে পায়?
'লালে' মাখা আর্তনাদ - চিৎকার - নিস্তেজ হয়ে আসা আঙ্গুলের শেষে কার নড়ে ওঠে ধূলিমাখা পা'!

আচ্ছা,-এই বুকের স্পর্শটা আছে,--
মাতা-পিতার বিচ্ছেদেও যে কিশলয়টি মৃদুমলয়ে ফিক্- - ফিক্ করে হেঁসে ওঠে!?।।

শ্যামাপদ মালাকার
পিতা:- খাঁন্দু মালাকার
মাতা:- নোনীবালা মালাকার
গ্রা:- চন্দনপুর
পো:- জোড়দা
থানা:- ইন্দপুর
জেলা:- বাঁকুড়া।

******

No comments:

Post a Comment