এখন তরঙ্গ তে লেখা পাঠান প্রতিমাসের ৫ থেকে ২০ তারিখ অবধি

মৌসুমী রায় ঘোষ


বিভাগ : কবিতা (সাধারণ বিভাগ)


সহবাস

কবিতা সঙ্গম সেরে অবসন্ন|
ঠোঁটের কোনে শব্দের গ্যাঁজলা
জট পাকায়|
ফেনিল ছন্দেরা লালা হয়ে
গরিয়ে নামে গাল বেয়ে|
চাদর ভিজতে থাকে|
শারীরিক উত্তেজনায় গলন্ত রাত
অন্ধকার হয়ে জমে আছে মোমদানির নীচে|
লজ্জায় নিভে যাওয়া বাতি দুহাতে ছড়ায়
মুঠো মুঠো ধূমেল আকাশ|
কিছু জোনাকি ঢুকে পড়েছিলো আড়ি পাততে|
তারা আলোর বিন্দুতে সাজাচ্ছে ফুলশয্যা|
নিশ্চুপ সাক্ষী আঁতুর|
জন্মাবে শিশু কবিতা|




অগ্নিপরীক্ষা ও বারি বর্ষন

জঙ্ঘম-ঊরু|
সতীচ্ছদ| আচ্ছাদন|
প্রমান লোপাট|
সতীত্ব| উপায়ন্তর|
অগ্নি| সীতা|
লুক্কায়িত|
উর্বরা-গহীন|
মায়ের কোল|
মমতা| দুঃখকাতরা|
বারি বর্ষন|
সিক্ত| গন্ডদেশ|
শরীরমোচড়|
রমণী-কাতরা|




অতিক্রান্ত

খিদের পেটে আগুন|
পোড়ায় চোরাবালি|
লোনাজল টগবগ ঘোড়া|
সুনামী আছড়ে
পড়ে বালুত্যকায়|
গড়াতে গড়াতে
ইতিহাস পেরিয়ে যায়|
আমার ওপর বর্তেছে
কণিষ্কর কাটামুন্ডু
খোজার ভার|
রণাঙ্গন আর ধ্বংসস্তূপ
হাতড়ে যাই আজকাল|
বস্তুটা কতটা রাস্তা
পার করেছে কে জানে!
আর টেনে নিয়ে যাচ্ছে আমাকেও|
নেশা ছুটে চলার|
নেশা হাতড়ে বেরানোর|
পায়ের তলার সরষে
আজ অঙ্কুরিত হয়ে গাছ|
তবু বেড়ে যাওয়া|
থামা নেই|




ডাকছে নিশি

ডাকে সে শহরের সমুদ্র, খোলা মাঠ,
শহরের বুকে তুমুল বৃষ্টিপাত| মনের
গভীরতম অন্ধকার প্রকোষ্ঠে যত্নে রাখা
ডায়েরীর পাতার ভাঁজে ডাক দিয়ে যায়|
চোখের আয়নায় আকাশের ছায়া| সমুদ্র
শহরের| জল উপছে অকস্মাত্‍বৃষ্টিপাত|
তীব্র লোনা বাতাসে আলোড়িত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ|
শরীর-মন লবণাক্ত| মাঝ সমুদ্রের বুকে উড়ন্ত
আলবাট্রসের ক্ষীন ধ্বনি কানে এসে
বাজে| উড়ে যাওয়ার মুহুর্তে শালিকের
ছেড়ে যাওয়া ডাকের মতো একটা রেশ
থেকে যায়| এ কিসের ইঙ্গিত? কোন
অজানা সুতোর টানে দিশেহারা জীবন তরঙ্গ?
অব্যহতি দাও, নিস্কৃতি দাও আমায়, দয়া করো!
পেছনে পড়ে থাক নিশির আকুতি|
দৃষ্টি সামনে, থাক নিরন্তর পদক্ষেপ|




মৌসুমী রায় ঘোষ
৮৬৯ ৭৪৮ ৩১২১ / ৯৩৩ ৯১০ ৫২৯৩
পি-৬২, কালিন্দী হাউসিং স্কিম,
কলকাতা-৭০০০৮৯,
ওয়েস্ট বেঙ্গল, ভারত
gmausumir@gmail.com




No comments:

Post a Comment