এখন তরঙ্গ তে লেখা পাঠান প্রতিমাসের ৫ থেকে ২০ তারিখ অবধি

কুমারেশ তেওয়ারী


বিভাগ : কবিতা (সাধারণ বিভাগ)


কলামন্দিরে

কলামন্দিরের চৌকাঠ ডিঙিয়ে ভেতরে ঢুকলেই দেখবে গায়ের থেকে খুলে পড়া ফাজিলনামা দৌড়ে পালিয়ে যাচ্ছে রাস্তায়। খুব ভারি এক অভিকর্ষিয় বল এসে বসছে তোমার চোখের পাতায়। চাইছে গড়ে উঠুক একটা সেতু। তোমার মূর্তের সঙ্গে ছবি ও ভাস্কর্যের বিমূর্তের।

হয়তো কোনো ন্যুড ছবির কাছে দাঁড়াতেই দেখলে কুহু ডেকে উঠল দেহজ কোকিল। অথচ তখন কোনো পর্ণমোচী থেকে পাতা ঝরাচ্ছে পতঝর। বুঝে নিয়ো এও এক হিপনোটিজম। “হবা‘’-র অন্তর্লীণ খেলা। চাইছে যে কোনো আদম এসে রেখে যাক বিনিময়।

আবার হয়তো দেখলে একটা অন্ধকার টানেলের দিকে মুখ, দাঁড়িয়ে রয়েছে এক তেলরঙা মানুষ। যদি হঠাৎ পেয়ে যাও এক দিব্যদৃষ্টি মুহূর্তের, দেখবে অন্ধকার নয় একশ সূর্য জ্বলে আছে টানেলের গর্ভিণী পেটে।

হয়তো দৃষ্টি আটকে গেল এক গাছের ভাস্কর্যে। দেখলে গাছে ডালে ডালে কত ফল। কিছু ফল পড়ে আছে নিচে। মর্টিফিকেশনে যেতে।

নীচু হয়ে খুব ক্লোজ সটে নিয়ে গেলে লেন্স দেখবে গাছের প্রতিটি ফলে জড়িয়েমড়িয়ে আছে এক-একটি কক্ষপথ। প্রতিটি ফলে লেগে আছে পূর্ব-পশ্চিম।


কুমারেশ তেওয়ারী

জন্ম আসানসোলের কন্যাপুরে সত্তর দশকের মঝামাঝি।পড়াশোনা করেছেন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে।বর্তমানে নিজস্ব টিউটোরিয়ালে শিক্ষকের ভূমিকায়।কবিতা চর্চার শুরু ছাত্রাবস্থা থেকেই। তবে সেই অর্থে সিরিয়াস লেখালেখির বয়স ৮-৯ বছর।প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ ৫ টি—নেমে আসা  অন্ধকারে/ জুড়ন পুকুর (প্রিয়শিল্প প্রকাশন, কলকাতা)/ নক্ষত্রের গান (কবিতাসীমান্ত, কলকাতা )/ ব্যালেরিনা ও নকশি কাঁথায় নষ্ট গন্ধ, প্রতিভাস, কলকাতা)/ মিরর এফেক্ট (কবিতাপাক্ষিক, কলকাতা)।মূলত কবিতায় লেখেন এবং বাণিজ্যিক ও অবাণিজ্যিক বহু পত্রপত্রিকায় লিখে চলেছেন।   লেখালেখির পাশাপাশি “কায়াকবিতা” নামে একটি পত্রিকাও সম্পাদনা করেন এবং “কবিতা আশ্রম” পত্রিকার সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য।





No comments:

Post a Comment