বিভাগ : কবিতা (সাধারণ বিভাগ)
কলামন্দিরের চৌকাঠ ডিঙিয়ে ভেতরে ঢুকলেই দেখবে গায়ের থেকে খুলে পড়া ফাজিলনামা দৌড়ে পালিয়ে যাচ্ছে রাস্তায়। খুব ভারি এক অভিকর্ষিয় বল এসে বসছে তোমার চোখের পাতায়। চাইছে গড়ে উঠুক একটা সেতু। তোমার মূর্তের সঙ্গে ছবি ও ভাস্কর্যের বিমূর্তের।
হয়তো কোনো ন্যুড ছবির কাছে দাঁড়াতেই দেখলে কুহু ডেকে উঠল দেহজ কোকিল। অথচ তখন কোনো পর্ণমোচী থেকে পাতা ঝরাচ্ছে পতঝর। বুঝে নিয়ো এও এক হিপনোটিজম। “হবা‘’-র অন্তর্লীণ খেলা। চাইছে যে কোনো আদম এসে রেখে যাক বিনিময়।
আবার হয়তো দেখলে একটা অন্ধকার টানেলের দিকে মুখ, দাঁড়িয়ে রয়েছে এক তেলরঙা মানুষ। যদি হঠাৎ পেয়ে যাও এক দিব্যদৃষ্টি মুহূর্তের, দেখবে অন্ধকার নয় একশ সূর্য জ্বলে আছে টানেলের গর্ভিণী পেটে।
হয়তো দৃষ্টি আটকে গেল এক গাছের ভাস্কর্যে। দেখলে গাছে ডালে ডালে কত ফল। কিছু ফল পড়ে আছে নিচে। মর্টিফিকেশনে যেতে।
নীচু হয়ে খুব ক্লোজ সটে নিয়ে গেলে লেন্স দেখবে গাছের প্রতিটি ফলে জড়িয়েমড়িয়ে আছে এক-একটি কক্ষপথ। প্রতিটি ফলে লেগে আছে পূর্ব-পশ্চিম।
No comments:
Post a Comment