এখন তরঙ্গ তে লেখা পাঠান প্রতিমাসের ৫ থেকে ২০ তারিখ অবধি

প্রবীর রায় (ছোট)


বিভাগ : কবিতা (সাধারণ বিভাগ)


অহংকার মাঝে প্রেম

একটি ক্ষুদ্র মাটির প্রদীপ শিখা সমগ্র ব্রহ্মাণ্ড আলোকিত করছে,কই তারতো কোনো অহংকার নেই।
পশু,পাখি,গাছ আরো অনেকে তাদের সব উজাড় করে দিচ্ছে আমাদের,কই তাদেরতো কোনো অহংকার নেই।
ক্ষুদে পিপীলিকার দল আপন মনে নিজেদের কর্ম করে, কই কখনোতো তারা একলা হয়না।
তবে হে মানুষ তোমার এতো অহংকার কেন?
তুমি যা করো সবতো তোমার নিজের জন্য,তবে কেন অভিশপ্ত জীবনে মত্ত হয়েছো।
এজীবন মূল্যহীন,কখন কি হবে তা কেউ জানেনা,তবে কেন পাগলামি।
বিবেক জাগাও,অন্ধকার থেকে আলোতে ফেরো, আপন করে নাও সকলকে,কাউকে ওচোখে দেখনা।
তাহলে এক অমূল্য অনুভূতি অনুভব করবে,যার কোনো মালিক নেই,নেই প্রতিদ্বন্দ্বী।
থাকবে শুধু তুমি আর তুমি, সাথে সেই হারানো প্রেম।।



বানভাসি

সারাটা জগৎ ছেয়ে গেছে বন্যার অভিশাপে,
মূলত গগন রোষে ভেসেছে মানুষের ই পাপে।
যে দিক চায় জল থই-থই,ডুবন্ত সব কিছু,
জল যে আজ মানুষ মেরেছে,দাফনিল লাশ মাটি নিচু।
আলোর ধরা আঁধার হলো,কান্না চারিদিকে,
কাড়ছে জীবন ভাসছে ঘর-বাড়ি, দেখছি স্বপ্ন ফিকে।
শিশু কাঁদছে আপন খোয়েছে,মিশেছে জল তলে,
বৃদ্ধ কাঁদছে সন্তান হারিয়ে,মরিতে চলে দলে-দলে।
সরকারি সাহায্য আসছে যেটুকু, ছিনছে পিশাচেরা,
গরীব মরে পেটে বালিশ চাপায়ে,বস্ত্র সবি ছেড়া।
আনাজ অভাবে দেহ কঙ্কাল,রোগে করেছে বশ,
লোভী মেতেছে গুটোতে সেথা,নাম-প্রতিপত্তি-যশ।
মাঠছারা হয়েছে মানুষ,ছেড়েছে বাস-ভুঁই,
এত নয়ন জল ঝরছে গোপনে,কোথা লুকিয়ে থুই।
স্বপ্ন দেখেছিল কাল সকালে,কাটিবে মাঠ ফসল,
সব যে মিথ্যে এখন,বানভাসিতে মাতলো জল।
যে শিশুটি হাটাও শেখেনি,ফোটেনি মুখে বুলি,
প্রাণ ত্যাগীল,বাস্তব ছবি রুপ গড়িল ক্ষুদ্র রংতুলি।
আগামীর কথা বিস্মরণ রহিল,দুখ ছায় গোচরে,
পাবেনা কেহ আর সেক্ষণ, যা গিয়েছে বিতে ভুবনে।
বন্যার গর্ভে লুকায়িত আশা,পিষ্ট এ সংসার,
নীশ্বঃ এখন শূন্য জীবন, সরকার দিলো বাসা।
সুর্য যেন সেইক্ষণ হতে ভুলিল উদয়ন-আলো,
বৃষ্টি ঝরে অবিরত বজ্রপাত জোরালো।
সর্বস্ব পতিতের ছিনিয়া বরিষণ, নব পথে চলে ভগীরথে
ধনী -লোভীর কারণে বেড়েছে দূষণ, বিষাক্ত সর্প দংশিল সাধারণ জীবন।

প্রবীর রায়
হিলি দক্ষিণ দিনাজপুর

No comments:

Post a Comment