এখন তরঙ্গ তে লেখা পাঠান প্রতিমাসের ৫ থেকে ২০ তারিখ অবধি

রশ্মি মজুমদার


বিভাগ : কবিতা (সাধারণ বিভাগ)


অযৌক্তিক সিরিজ ১

---------------------------
**
কল্পনার আঁচড়= ডুবুরীর শীতালাপ

ঘুমিয়ে পড়া ক্ষতদের স্বপ্নে ফিরে আসে চাবুক
চাবুক হাতে সময় পুরনো দলিল উপুড় করে দিচ্ছে।
**
ব্যস্ততম শরীর= মানতে শেখা মন

দ্রবণের বাতিলের মতো মানভূমি হরতালে বসে
ঘুঁটি সাজায়। এবং  আরেকবার শোচনীয় হাসি।
**
টেবিলের ঘড়ি= ছবি সুযোগের

পলে পলে ছিঁড়ে ফেলা বিখ্যাত ম্যাগাজিন কভার
প্রজাপতির মতো ঘোরে হিসাবের গর্ভে, আলাপ চাইতে।
**
ল্যাপটপের খোলস= পরীক্ষার সূচনা

অন্তিম হতাশায় বৃত্তের বাড়ি ফেরা, পুরনো ভাড়া
সঞ্চয়ের দামে উত্তর আসে নেট ফল শূন্য, অবাক সমস্ত ওষুধ।




স্ক্রিনশটঃ


বিছুটিদলের কর্মকাণ্ড শেষ হলে স্ক্রিনশট নামক বিশুদ্ধ বাজারের জমিজিরেত মুখ দেখায়
প্লটে প্লটে ভাগ করে দিলে প্রাপকের সংখ্যা গুণিতক হারে বৃদ্ধি পেতে থাকে


এতটা শিথিলতা ভাবা যায়নি
সমস্ত খেসারত দাম বুঝে দুরপাল্লার ফ্লাইট বুক করে, আর
অব্যবহিত ফলরূপে তাদের ঝাড়া হাতপা বেয়ে নেমে আসে অক্ষর প্রতিশ্রুতির স্তবক


সুযোগ্য পাপড়িদের জড়ো করলে
বাঁধা ধরা নৌখাত পেড়িয়ে গত বর্ষার জমা জল এসে হাত নাড়ে
বড় ব্যস্ততায় মাখা শীর্ণ অপরিচিত মুখ হাওয়া কেটে চলে যায় অগুনতি মেট্রোর খোঁজে


আরও কিছুটা বাতিল খাতার কোঁচকানো মুহূর্ত
রিফ্লেক্ট করে ওদের গায়ে লেগে থাকা কিছু উৎকট সাদা রঙ
ঠিক এই মুহূর্তে সমস্ত চেতনা তোমার ছায়ার অফার ফিরিয়ে দিতে উদ্বুদ্ধ হই!


ঝটপট সাজ বিহীন যুদ্ধে যেমন রঙিন প্রবণতা মুছে যায় কাশ শরীর থেকে
দীর্ঘ ভাবসম্প্রসারণের পরে
হালকা ব্লেড দিয়ে অবিশ্বরদের একফুঁয়ে নিভে যাওয়া মোমের রূপ দিতে বসি ভরদুপুরে।




আমাদের উদাহরণঃ

অর্ধনগ্ন মাঠ বরাবর যে কটা গলিত চোখ ফ্যাট ফ্যাট করে চেয়ে থাকে
কোনও এক সময়ে তাদের নাম দেওয়া হয়েছিল
যেমন
অত্যন্ত ভালবেসে ভাঙা হাতুড়িদের ঘরের এক কোণে ফেলে রাখা
অথবা
নরম শিউলিদের পুজো বাক্স অবধি না যেতে দিয়ে গলা টিপে মেরে ফেলা
কিম্বা ভাবো
আমাদের মাঝে ইক্যুয়াল চিহ্নটাকে জাস্ট কলা দেখিয়ে পেট চিড়ে দেওয়া

বিশ্বাস করো
এরকম কিছু “টুকরোটাকরা” মরচে পড়া ঠোঁটের কোণায় এখনও লেগে আছে
লাইন করে নমুনার পাতা হাজির করলে সংখ্যাদের শুধু বয়সই বাড়ে

আসলে
প্যারারাল রাস্তারা অপরিচিতই থাকতে চায় (শহুরে সমাজ কিনা!),
নিদেনপক্ষে নিঃস্পৃহ প্রতিবেশীর উদাহরণ হয়ে



প্রাক্তনঃ


প্রাক্তন বললে তার নাম উচ্ছিষ্টের খাতায় জমা পড়ে
প্রক্রিয়াটা অনেকটা এরকমঃ


পর্ব শুরুতে পরিচয়ের ভিত আঁকা
জলখরচের অবাধ মিশেল... সহজ পথ না ধরে
সে ভিজে হয় আলটপকা খুঁটি


অসময়ের ঝড়ে পড়লে বাক্যরা সব দিশেহারা
কমতির সাথ নেয়... ক্রমশ শব্দে
ছোট হতে হতে হাসিচিহ্নে সে হয় বন্দী


এ টু জেড... জেড টু জেড... চাকার কথায় ফিরে ফিরে আসে ইতিহাস
লেখাগাছেদের বাতাসে মুড়ে উড়ে যায় আরেকটা দিন,
নেহাত অস্তিত্বের কারণে বসত থাকে
নয়তো এসব কিছুই যাযাবর ।


রশ্মি মজুমদার

সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার।
এই মুহূর্তে একটি বহুজাতিক সংস্থায় কর্মরতা



No comments:

Post a Comment