এখন তরঙ্গ তে লেখা পাঠান প্রতিমাসের ৫ থেকে ২০ তারিখ অবধি

রাহুল গাঙ্গুলী


বিষয় : কবিতা (কবিতার ল‍্যাব)



আইনস্টাইন : ৩য় জানলার মুখ
----------------------------------------------------------
প্যান্টের চেন খুললে হাওয়ুই
হুশ।১ম চড়াই = ২য় চড়াই <<< হুশশশ্ >>>
লিথিয়াম পোষাক [অঅঅ।বমির মরচে] ৩য় চড়াই

ওহো রাহুল শ্যেইম্ {{{ শিমেল্ }}}! ' জৌনতা হাপুস্

বাঁড়া আর কালোজাম ঋতুস্রাব।হার্পূন লীনতাপ

মা
আমার মা।পরিকল্পিত যৌন বুলেট্

ব                 ব
       ফ।।ফ।         ছুরি
  র                র


সু - শা - ঐ - হে : আসলহীন কাকাতুয়া লাল্

দম্ মারো দম্ : চরস্ সন্ধির সান্তিউপত্যকা।ওহু
ট্রিগারের চাপ : সানি লিওন ও সারদা স্ক্যাম


বিষয় : পত্রিকা সমালোচনা



তাবিক : কিছু ভিন্ন কথা
------------------------------------------------------------
কবিতা = ক  বি  তা = তা  বি  ক = তাবিক

একটু আশ্চর্য হয়তো হতে হয়, লেখার শুরুতে এরকম সমীকরণ কেন।উল্টে দেওয়া কথায় পরস্পর বিরোধীতা থাকে, কিন্তু তা আবার সমান হয় নাকি।হয়।এই কারণেই হয়, কারণ এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ড, তার অসীমতা, শূন্যের ভিতর উপকরণগত অসীম সময়, এই অনির্দিষ্ট গভীরতার প্রকৃতি, এই শরীরের আত্মস্থ প্রতিটা পদার্থ এবং চার্জড্ কণা : এরা সকলেই সাম্যে বিশ্বাস করে।অর্থাৎ কোনো এক স্তরে সৃষ্টি ও ধ্বংস বা নির্মাণ ও বিনির্মাণ সকলের মান সমান, পরিবর্তিত ও বিবর্তিত শুধু রূপ।আর এখানেই শক্তির মূল দ্বন্দ্ব।যেমন, একটি দোলক : তার অবস্থান সবসময় অস্থায়ী।সামনে হোক বা পিছনে হোক, সরন কিন্তু নিত্য।Absolute ফর্মে আমরা স্থায়ী থামার রূপ দেখলেও, সে কিন্তু আত্মগত ভাবে কখনোই থামে না।
এখন কথা হলো : এতো ভূমিকা কেন?দরকার আছে।কারন, এই সময়ে যারা এই দ্বন্দ্ব (couple) মেলাবার কাজ করছেন, তাদের ভিতর তাবিক পত্রিকা প্রথম শ্রেণীতে ইতিমধ্যেই উত্তীর্ণ।ইউনিভার্সিটির একদল দামাল doers, বলা ভালো চূড়ান্ত তাবিকিয়ান স্বপ্ন আকছে একসাথে।ব্র্যাকেটের ভিতর নয়, খুল্লম বলি : এদের এখন থেকে এই নামেই ডাকা উচিত।সেতুবন্ধন কি করে তার জন্য সাগর সঙ্গম খনন করেই এগোতে হবে।আসুন, তাহলে খোড়া যাক।একটু একটু করে চালাই ড্রিল :

যে কোনো পত্রিকার গুরুত্বপূর্ণ রসদ হলো তার সম্পাদকীয়।কারণ, সম্পাদকের সেটি নিজস্ব explanatory notes।সেখানে তিনি বুঝিয়ে দেন, তার উদ্দেশ্য তথা পত্রিকার বৈশিষ্ট্য ও গন্তব্যের অভিমুখ।কোনটা প্রকাশিত হবে, কোনটা নয়, কেনোই বা?এসবের ফসল তিনি আগে থেকেই জেনে রাখেন।তাই তাবিক সম্পাদক শুরু করেন এভাবে : "গোটা সংখ্যাটাই এ সংখ্যার সম্পাদকীয়।" হ্যা, এটাই পত্রিকা সর্বপ্রথম লাইন।এর আগের সংখ্যাতে ছিল 'কবির নাম নয়, কবিতা পড়ুন।'আর এখানে আছে "সম্পাদককে তেল মারার পরিবর্তে সেটুকু সময় পড়াশোনা করুন, নিজেকে জারিত করুন।"
আগের সংখ্যাটির নাম ছিলো 'রবিঠাকুর ও ডার্মিকুল' সংখ্যা, আর এটা "কলাবউ"।নাম বৈচিত্র্যে যে উন্মাদনা তাবিকিয়ানরা দেখাচ্ছে, তা ভাববার বিষয়।এই সংখ্যায় রয়েছে ৩৭জন কবির একটা করে কবিতা, ৪জন কবির দুটো করে, ২জনের সিরিজ, ৩জন কবির ৩টি করে এবং বিশেষ প্রবন্ধ কবি, চিন্তাবিদ এবং কবিতাডিহি পত্রিকার সম্পাদক অনিন্দ্য রায় লিখিত জ্যামিতিক কবিতা।প্রথমেই বলা যায় তাবিকিয়ানা কখনোই নামের পিছনে ছোটে নি।ছোটে নি, তথাকথিত পাঠক আব্দারের আহ্লাদী সোহাগের পিছনে।বরং কবিতা এখানে হাড়-মাংস-মজ্জা-স্নেহ-প্রোটিন পরিহিত জ্যান্ত মানুষ : কখনো ভাবুক, কখনো ট্রমা, কখনো ওষুধ, কখনো সমীকরণ, কখনো প্যারাডক্স।এক অদ্ভুত ডিসকোর্স অক্ষরের ছত্রেছত্রে।আসুন সেই মাটি খোড়া ডিসকোর্সের কিছু নমুনা দেখি।

প্রথমেই শুরু হয়েছে ৩ x ৩ (৩জন কবির ৩টি করে কবিতা) বিভাগ।পরিতোষ হালদারের 'পাখি' এখানে কবির সাথে ভাব করে, তারপর জেনে যায় কবিরাও পাখির মাংস খায়।আর কবি উপলব্ধি করে "অরণ্যের পথে যেতে যেতে পাখিটি শিকার হয়ে গেছে"।'ত্রিভুজ' দেখায় সম্পর্কিত এক অকথন।'শিকারি' কবিতায় পাখি → হরিন → মেয়ে → মা → হরিন → পাখি।আর : "ক্লান্ত শিকারি আকাশের দিকে তাক করে থাকে।/তার চোখে শৈশবের বর্ষা "।পরবর্তী আরেক তরুণ তুর্কী অরবিন্দ চক্রবর্তী দেখিয়েছেন মেটাফরের বৈচিত্র্য।'সান্ধ্যভাষা' কবিতায় "চাঁদ দেখতে বসলে কিছু তারা মেনকার ভূমিকায় যায় / চোখের পরকীয়ায় যায় দেউলের দৃশ্যমহাজন।" এরকমই 'কুস্তিজীবন' এবং 'পলায়নপ্রবণ' (ত্রিভুজ একটা চরিত্র।কাউকে যখন সে খুন করবে বলে শয়নযাত্রায় একাদশী ফাদে।)আরেক কবি সুমন মল্লিক লিখেছেন সময়ের চিত্রকল্প।তার তিনটি কবিতা : 'অশ্রুমিশ্রিত অলাত' / 'আগন্তুক' / 'হিমেরাসের মান্দাসে' ঐন্দ্রজালিকের চিত্রকল্প জাগলিং।

পরবর্তী বিভাগ : ১ x ৩৭।শুরু করেছেন কবি সুজিত দাস।'চুমুটুমু ইত্যাদি' : চুমুটি রাখা আছে টি-শার্টের কলারে / ফুলের তোড়ায়।ফারজানা মণি তার 'হত্যা অথবা বীন' : ভ্রূণেরা ঘুমিয়ে গেলে / সন্ধ্যা গর্ভবতী হয় - / পর্দার আড়ালে খুলে যায় শামুকের খোলোশ।ব্রতশুদ্ধ তার 'গোলাপ.কম' কবিতায় নিয়ে এসেছেন শব্দসূত্র এবং তার ব্যাখ্যা বিস্তার।"আমরা যারা প্রেমিক / আমরা যারা চাঁদ খাই / আমরা যারা হরিবোল / আমরা যারা মাতাল" প্রতিটা সূত্রের বিস্তার শুরু হয়েছে বিরুদ্ধ গতি প্রয়োগ করে।বৈশাখী রায়চৌধুরী 'একটি শিকারের দৃশ্য' কবিতায় দেখাচ্ছেন "তারপর গভীর থেকে গভীরতায় পৌঁছে যাওয়া শিকারেরা / একদিন নিজেই হবে উঠবে শিকারি"।পিন্টু পাল 'সরলরেখা' কবিতায় তুমি একটা গাছ সম্পর্ক দেখিয়েছেন প্রতিটা সরলরেখা যেমন মহাশূন্যে / অদৃশ্য বিন্দু নিয়ে / হেটে চলে / যতোক্ষন।রত্নদীপা দে ঘোষ রচিত 'বিকল্প' বা কৌস্তুভ দে সরকারের 'ডিমিটাল' অবশ্যই অন্য মাত্রার।সুপ্রিয় গঙ্গোপাধ্যায় লিখেছেন হাইকু, তার 'ঋতুচক্র' কবিতায় : দাঁত হাসে / কাশফুল মেশে বীর্যে, / দুর্গা হাটে।সাথীর 'ম্যানগ্রোভ' বা জগন্নাথ দেব মন্ডলের 'এইসব জীবন, এইসব মৃত্যু' ভাবনার জগতকে আন্দোলিত করে।কবি কুমারেশ তেওয়ারী 'আকাশকুসুম' এ লিখছেন "অভিসার থেকে এইবার ঝরে পড়বে / বজ্রগর্ভ ফুল", শুভম লিখেছেন টেক্সট্ ফর্মে 'একটি না-কবিতা'।সীমান্ত হেলাল 'নিস্তব্ধ কপাট' কবিতায় লিখছেন "আমার ধার্মিক প্রেমিকা ডেটিংয়ে এলে চুমু খেত। / খুলে দিত ছিছিংপুরের নিবদ্ধ কপাট"।পবন বর্মন লিখছেন 'রাত জাগা সংলাপ' : "সৎ শতাংশের স্টেশন নেই? / প্রতিবেশীর খুঁত খুঁতানি থামেনি তখনো!"।অরিন্দম ভাদুড়ী এনেছেন 'বৃত্ত", কৌশিক চক্রবর্তী একেছেন 'মেঘ'।অয়ন মন্ডল 'ডিজিটাল' এ বলছেন "ক্রসিং-এ দাঁড়িয়ে সরিয়ে সরিয়ে দিচ্ছি / একটা / দুটো / হাজারটা / টাইপে ভুল হলে মেশিনের সাতখুন মাপ"।দেবাঞ্জলি ভট্টাচার্য 'অপজন্ম' এ লিখছেন "আমরা প্রত্যেকে এক একথা চলমান ট্রেনের মতো, কামরায় ভাগ করা শরীর।"মৌ দাশগুপ্তের 'চারটি বিশাখা' কবিতাটি হাইকু হলেও স্বতন্ত্র।দীপ্তি চক্রবর্তী দেখালেন এক অন্য 'ভাগশেষ' : "তারপরেও থেকে যায় কিছু ভাগশেষ / অ্যাসিড হামলায় আহত  গৃহবধূ"।দুর্লভ সরকার তার 'ভুল' কবিতায় লিখছেন "যতবার তুমি নোঙর ফেলবে / আর ওড়াবে রঙিন ওড়না পাঁজর মাঝে / জেনো, তুমি ভুল করছো"।নির্মলেন্দু কুন্ডু 'খেলা' কবিতায় লিখছেন "একটা লুডোর ছক, / চারিদিকে থইথই সাপ, / একটামাত্র মই, / উঠতে পারলেই কেল্লাফতে!"।তারেক কাজী 'সফর' কবিতায় "তাহলে এমন কিছু দাও / যা আর কোনোদিন ফেরত / দিতে হবে না"।জয়ন্ত বিশ্বাস 'ভাসা' কবিতায় শুরু করেছেন ব্যক্তিগত ভ্রমণকথার উপপাদ্য।বিপ্লব রায় তার 'ছায়া' কবিতায় চলমান সম্পর্কের ইঙ্গিত দিলেন একটি মানুষ ও পাখির পারস্পরিকতায়, যেখানে মানুষটি ইচ্ছাকৃত ভাবে পাখিটিকে উড়তে বলছেন, এবং তা না হওয়ায় পাখিটির মাথা কেটে তার ভিতরে ঘাপটি অবস্থায় নিজেকেই দেখছেন।ঐন্দ্রিলা মহিন্তা এই সময়ের আরেক সম্ভাবনাময় কবি, তার 'ফর্মোফ্রেম' কবিতায় : "বিশ্রামরত প্রজাপতি মুখ, পিয়ানোর কিছু রিডে / আজও ছায়া দিয়ে ঢলে।।"
দেবযানী বসুর 'ধাত্রীপুরুষকে' আরেকটি হার্ডহিটিং মাত্রার কবিতা।"দেশোয়ালি কমেডিয়ানটিকে মনে পড়ে।রান্নার শব্দ আর অস্ত্রে হোলস্কোয়ারের টুপি পড়িয়ে দিত।যাতে ঘা না হয়।"
অভিষেক ঘোষের 'ধুলোয় পড়া বিস্কুট খেতে খেতে' টেক্সট্ ফর্মাটে একটা আত্মখোঁজের ভার্স।তেমনই অনবদ্য মোহম্মদ শাহুবুদ্দিন ফিরোজের 'জলপর্ব' কবিতাটি।তাপস বিশ্বাস 'টেনিস' কবিতায় বলেন "মাথা থেকে স্নায়ু ছিঁড়ে নামে / ফাঁপা রবারের বল", তেমন এই সময়ের আরেক উল্লেখযোগ্য কবি মহাদেবশা 'একটি কবিতা' তে বলছেন "গোপন রহস্য বিদ্যমান / এইভাবে কতকাল বসে আছে ফুল"।সৌম্যদীপ দাস আরেক সম্ভাবনাময় কবি 'দু-টাকায় চারটে' কবিতায় : ফুটপাথে বিক্রি হচ্ছে 'ম্যাজিক রিয়েলিসম্'।প্রভাস মন্ডল প্রভূত সম্ভাবনায় 'প্রস্থানদৃশ্যের জলছাপ' কবিতায় লিখছেন "রোদ নেমে যায় তন্ত্রঘন ঠোঁটে। / সারারাত বসে আছে ডানা।" তৈমুর খানের কবিতা 'নামের তালিকা' য় পাচ্ছি "যুবতী স্রোতের কাছে কে চাইবে বাঁশি? / বংশীধ্বনিতে পুড়ছে শহর"।অনীশ আহমেদ গাজি 'বেদবাক্য' লিখেছিন যতিচিহ্ন বিহীন টেক্সট্ প্রয়োগে।সৈকত সরকার 'কুমোরটুলি' তে লিখছেন "জানকী-আঙুল"।সম্ভাবনাময় অবর্তু 'মূর্খের লেখা একটি' তে বলছেন "জানি না লাল রঙের মলাট কতখানি অগ্রাহ্য / বিজয়ী রাজারা কখনো লিপস্টিক পড়ে কিনা"।

এবার যে বিভাগটি পেলাম ২ x ৪ : চারজন কবির দুটো করে কবিতা।প্রথমেই ওভারবাউন্ডারী মারলেন জ্যোতির্ময় রায়।'ব্ল্যাকক্যানভাস' কবিতা ৪টি মাত্র শব্দ নিয়ে, যা সোজাসুজি বা কোণাকুণিতে একেকটি ভিন্ন কবিতাকে বহন করে।'ঘৃণা' কবিতায় : দুমুঠোনুন ভাত... বেশ্যামেয়েটাঘামে"।মনোজিৎ দাস এই সময়ের আরেক গুরুত্বপূর্ণ কবি : লিখেছেন 'শেভড পর্ণমোচী' (ফল বীজ পাতাসহ চিনিয়েছ গাছ / পিস্টন রঙের যাপন), তেমনই 'আষাঢ়ের নাব্যতা' (আরাম অন্দরে রান্নাবাটি / নাব্যতার হইচই)।প্রদীপকুমার ঘোষ, এইসময়ের আরো একজন কবি যিনি প্রায়শই নানান্ পরীক্ষানিরীক্ষা করছেন : নতুনত্ব এনেছেন তুলনামূলক কবিতার ফর্ম প্রয়োগে।দুটি পাশাপাশি কলাম এবং সাতটি রো : সাদৃশ্য বা বৈসাদৃশ্য যেভাবে পড়েছি আমরা (কবিতা : ডিফারেন্স পোয়েট্রি : ধর্ম ও বিগ্যান)।আবার 'ভর-শক্তির সমতুল্যতা' কবিতায় : e = mc2 এ mকে বলছেন "হৃদয়ের মজ্জা - যার অস্থিতে হাড় নেই"।

পরের পর্বটি সিরিজ কবিতার।জয়িতা ব্যানার্জী গোস্বামী 'চ্যাটবক্স' কবিতায় কাজ করেছেন এক দৈনন্দিন চিত্রকল্পের রূপান্তরকরণের উপর (গাড়ির এ সি সারিয়ে রেখো সময় করে / গতবারের মতো ওভাবে ট্রাফিক জ্যাম সুদ্ধ শহুরে আলো / জানলা ঠেলে ঢুকে পড়লে... / ভেতরটা পাবলিক টয়লেটের মতো মনে হয়)।
এই পর্বে জয়ীতার মতোই আরেক সম্ভাবনাময় কবি জ্যোতির্ময় মুখার্জী, লিখেছেন "ফিনকি দিলো সাদা স্রোত / স্পর্শ মুখে 'ব' / স্লেট-পেন্সিল থাক / আয়না আঁকে ঝুরো নগ্নতা)।

সবশেষে রয়েছে কবি, চিন্তাবিদ, ডাক্তার অনিন্দ্য রায়ের প্রবন্ধ 'জ্যামিতিক কবিতা'।এই সময়ে তার এইসব প্রবন্ধ আগামী সময় নিশ্চিতভাবেই মনে রাখবে।আছে বিশ্বখ্যাত ইংলিশ কবি জর্জ কোলরিজের একটি চিঠি ও কবিতা, যা ইউক্লিডের প্রথম proposition নিয়ে।আছে Rita Dove এর একটি কবিতা (সম্পাদ্য সমাধান করলে আমাদের বাড়িও, বোধের বাড়ি, চেতনার বাড়ি বড়ো হতে থাকে)।এছাড়া Tom Billisborough এর Geometric Shapes কবিতায় ৩-পঙক্তিতে জ্যামিতির ত্রিমাত্রিক আকৃতি নিয়ে কবিতা। আছে বাংলা কবিতায় জ্যামিতির প্রয়োগ (তোমার বৃত্ত এবং আমার ত্রিভুজ পারস্পরিক সংঘর্ষে লিপ্ত হয় / আমরা দুজনেই ছিটকে পড়ি .... : জ্যামিতিক কবিতা, রতন দাস) বা (এখন ছেলেকে জ্যামিতি শিখাই / কীভাবে একটি কোণ দুই ভাগে চিরে ফেলতে হয় : মানচিত্র পাঠ, প্রবীর রায়), বিপ্লব গঙ্গোপাধ্যায় রচিত 'ত্রিভুজ' কবিতার উদাহরন :
a = স্বপ্ন
b = লড়াই
c = অবরোধ
a+b > c
ত্রিভুজের দুটি বাহুর যোগফল তৃতীয় বাহুর চেয়ে বড়ো।

এছাড়াও আমরা দেখি আরো উদাহরণ আছে : বিশ্বজিৎ লায়েক (সঠিক দাম্পত্যের ধারনা) এবং বারীন ঘোষাল (জ্যামিতি) এবং পরেশ মন্ডল (কম্পোজিশন ১)।
প্রবন্ধটি অতি জরুরি, এ কথার অবকাশ নেই।


যাইহোক, শেষ করার আগে আরো কিছু কথা না বললেই নয়।বহুজনে বহুমাত্রিক বলবে, মন্দজনে মন্দ কথা বলবে, যারা নতুন ভাষায় লিখছেন, তাদের মতো বলবেন।আদপে কিন্তু সময়ের সাক্ষর।সময়ের হিজিবিজি।তাবিকিয়ানরা হ্যাংওভার করুক, খনন্ করুক।নিষিদ্ধ যোনীমুখে শস্যচাষ হোক, হোক আরেকটা সাংষ্কৃতিক হুল্লোড়।হোক সেই দার্শনিকের মহাবেদ : যা দুমড়ে মুচড়ে বলবে, অসফল কবিতা হয় না, শুধু হয় সময়ের জারন - বিজারণ (বিছানার নগ্নতা থেকে নখ্)।

বিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ :  পড়বেন না।যাদের লিঙ্গ অ্যাটাক্ রোগ আছে, বা চান একটু ছেনালির রামধনূ।কারণ, অনেকেই বলেছেন : তেনার পরিবার নাকি হাঁশফাঁশ করছে রাহুল নামক অতিসম্পৃক্ততায় পরিবার লজ্জা পাচ্ছে।যে কারণে অশ্লীলতার অপরাধে সম্পাদকহীন।জেহাদের স্পর্শে অক্ষর গোনা : ডোডোপাখীর "ঋ"
বাকিটা আপনাদের, যারা ভবঘুরেকে হিংসা করে পেট্রোল ভরছেন এবং যারা রাষ্ট্র ও সমাজগতো যৌনযৌন পদার্থ দেখলেই প্রোটিন ও স্নেহ ভাবেন

এলোপাথাড়ি আলোচনা।হুমহুম্ : রাহুল

শব্দরূপ : রাহুল গাঙ্গুলী

জন্ম তারিখ ঃ ১০ই আগস্ট

জন্ম সাল ঃ ১৯৭৮

জন্মস্থান : দুর্গাপুর, পশ্চিম বঙ্গ 

যোগাযোগ ঠিকানা ঃ ২৮ নং শরত পল্লী,পোস্ট অফিস - বাঁশদ্রনী, কলকাতা-৭০০০৭০।

পেশা ঃ সিভিল ইঞ্জিনিয়ার

প্রকাশিত গ্রন্থ ঃ নিজের নেই।বিভিন্ন লিটিল ম‍্যাগাজিন

সম্পদনা ঃ নেই

ইমেইল ঃ rahul.ganguli29@rediffmail.com

মোবাইল ঃ +৯১ ৯৭৪৮৯৭২৮৮৯

কিছু কথা : কবিতার দায় শুধু সময়কে দেখা বা তুলে ধরা নয়। দৄশ্যের সামনে দাঁড়িয়ে অবজেক্ট ও সাবজেক্ট রুপে নিজেকে প্রশ্ন করা এবং নিজের ভেতর তার উত্তর খোঁজা - পোস্ট উত্তর-আধুনিক কবিতায় এই প্রয়োগটাই বড্ড প্রয়োজনীয়। সেই অবস্থান থেকেই যাবতীয় পরীক্ষা।

No comments:

Post a Comment