এখন তরঙ্গ তে লেখা পাঠান প্রতিমাসের ৫ থেকে ২০ তারিখ অবধি

বার্তা সাহিত্য (যৌথবিতা)


বার্তা সাহিত্য (যৌথবিতা)


অংশগ্রহনে ‘এখন তরঙ্গ’
Whatsapp group-এর সদস্য/সদস‍্যাবৃন্দ)


(Edited)

যমুনাবতী হে নূতন বৌ ঠান দিদির শাষন
প্রেয়সী যাপন।
র এর রক্তে গীতবিতান সাদা কালো
নিশিদিন কাঁদি তাই

র এর সামনে র
আয়নাদার হে চিরন্তনী।

তুমি যে তুমি
সেই তব ঋণ
আমি মোর প্রেম দিয়ে
শুধি চিরদিন

যে প্রেমে মন মানে না
আর কি ছলনা
প্রাচ্যে প্রকাশ্যে এ সে চুপ
বাকিবকেয়া লেনদেন
হারের পর হার।

হারের মালা জুড়ে
যে কাঁটা তুমি   আঁকলে পরে
তিমির কোষে থেকে
             ফড়িং পাতা ওড়ে

যে জ্যোৎস্না শুষে নদী ক্লান্ত
স্মৃতি ছেড়া তুলোর কালচে
দাগের টিটকিরি আর সইবে না
মাঠশেষের কুয়াশা

আমি মুক্ত দেখেছি
ঝিনুকের অন্তরালে,
তোমার ওই চাপা কান্না
রাত টা খুব কষ্টে পোহালে!

কান্নার সোহাগে
            ভিজলে ঝিনুক
চাঁদ ওঠে হঠাৎ আকাশে

চিন্তার পাহাড় ভেঙে পড়েছে
আবেগের কান্নার বৃষ্টি,
সবই মিশে একাকার

মিশুক
  কিছু প্রেম
          কিছু অপ্রেম
সঙ্গমে নির্মম
       উদাসীন পুকুর ঘাট

আকাশ থেকে নিংড়োনো মশাল
 শীতঘুম চুবিয়ে নেয়

তাল গাছের ছায়া
পুকুরের জলে,
একটি মনের আভাষ
উথলে পড়ে।।

ইস্তেহারে প্রেম লিখেছি
ব্যর্থ চুমুর বিজ্ঞাপণে
চোখের জলের সমীকরণ
কেবল রাতের আয়না জানে।

চুম্বনে চুবিয়ে নিলে
         অস্থির সীমানা
গোমরা দুপুর
         ঠোঁটের কিনারায়

রক্তাভ ঠোটের কিনারা
চুঁইয়ে পড়ে জোছনা

আয়না কলুষিত করে
আমাদের কোনো দোষ নেই
পলকা সুখে
           ভিজিয়ে গোড়ালি
পথিকেরা এখন পরিযায়ী

এখনো কষ্ট দেয়
মনে পড়ে প্রেয়সীর কথা
রক্ত চিঠি এখনো আমার স্মৃতি,
প্রেম ছিল রঙীন উপকথা।

জ‍্যোৎস্না, সে তো আকাশী আলেয়া

পরিযায়ী  সুখের আড়ালে
সিক্ত অনুভুতির বালুকনা

সীমানায় ভাটা ভিজে ভিজে
     অষ্টাদশীর সেতার তোমায় ছুঁয়ে

সেতার এর তারে যুগলবন্দী
বাজুক রিনিঝিনি

উল্লাসের বোষ্টমী খঞ্জনী ছুঁয়ে
অষ্টাদশীর আধকাঁচা জ‍্যোৎস্নায়

একতাল সুরের ধ্বনি
স্বরাগে বেজেই চলে।

অষ্টাদশী জোছনার ওম
মেখে থাকে সাদা পাতার খসখস

পায়ের সুকুমারী মেঘ
    কুয়ো চুঁইয়ে পড়ে স্বেদ

বাজুক তবে
         সে।তার
কুয়ো চুঁয়ে
        লখিন্দরের ভেলা

ভাসমান ভেলা
জাগে হাঁসঘুম ভাঙা পুস্করিনী

বেহুলা এখনো কাঁদে,
চোখে তার জল
ভালোবাসার টানে
খোঁজে অমৃত ফল

ভাঙা চিরকুট
    আনন্দ আঁকাবাঁকা

চুঁইয়ে পড়া স্বেদবিন্দু
বুন্দ বুন্দ জমে আঁখিপটে

তোমার পুকুর !গড়নে দুপুর
       আলনা রোদের টুপুর টাপুর

চাঁদ ডুবে গেলে
       বিষন্ন বেহুলা
অন্ধকারে রাত খোঁজে

চোখ নেমে গেলে
     নখের দ্বীপে জেগে ওঠে শূন্য
ফেরারী

ফেরারী চেতন জমে
ওজন স্তরে

ঘুম ভেঙে গেলে
       চোখের দূরত্বে
ফেরারী চাঁদের খুনসুটি
রাত খোঁজা আঁধার
কুটে মরে জোনাকি আকর
অনন্তের বারমহলের চোকাঠি কল্কা
ইন্দনে তারে কল্পবৃক্ষ কোরো না।।

জোনাকিরা আঙুল ছুঁয়ে
তারা ছোঁয়ার অপেক্ষায়

এখনো অস্ত যায়নি
যুগের শ্রেষ্ঠ রবি,
মনে গাঁথা আছে
তাঁরই চরণের ছবি।
শুধু সরল ভাতের গন্ধে
অন্তপূরী আমার বারাঙ্গনা

ঘুম চোয়ানো ঘু ঘু জমিন
       পাতা খাকি আলেকজান্দ্রিয়ার
মরু শুকোয়

নিষিদ্ধ গোলাপ রাতে
        অতর্কিত মরু ঝড়

মরুতে ভিজিয়ে বালি
কানের পাশে কনকচাঁপা
প্রকাশ্যে গাইলাম যবে

রোবটের ভয়ে পৃথিবী আতঙ্কিত,
ভূত এখন শ্বশানের বা কবরের গন্ডি পেরিয়ে আসেনি
তাই ভূত এখন আতঙ্কিত
নিজের স্বাধীনতায়

মরু ঝড় ভাসমান মরিচীকার আড়ালে

কাকে ধরি কাকে ছাড়ি
রবি নিয়ে কাড়াকাড়ি

হয়ত ছাড়ার সাহস নেই আমার,
আমি এখন ধরাধরিতেই ব্যস্ত।

কনকচাঁপার আড়াল
মুখরিত কলতান

রবিতে রবিরশ্মি ব্রাউন সিনেমা
কেউ যাবে না

চারিদিকে উল্লুক ফাঁদে
    তোমার ছায়ার লম্বদৈর্ঘ্য  : আঁকশি টেপা
            পড়ন্ত গোলাপ

পড়ন্ত গোলাপ সুবাস
ম ম মুখরিত বয়ান

গুলাবের বেসামাল ইঙ্গিত
টলে পড়ি ফরেন লিকারের ফেনায়

রবির ঘেরাটোপে
         আমাদের কবিতা
কখন যেন বাসন্তিক
          রেডোডেনড্রোন

মগজ খুঁটে হেঁটে চলে
আলের প্রজাপতি

ফেনায়িত লিকার
চেনা গন্ধের আধার

কবি বলিল, ওহে শরৎ
ফেসবুকে প্রেম করব ভাবছি।
শরৎ কহে, পেলে নাকি কোনো রমণী?
একজন পাঠিয়েছে রিকুয়েস্ট  নাম তার অনিলাদেবী,
দেখি পটাতে পারি নাকি!
শুনে শরৎ একগাল হেসে মনে মনে কহে, ওটা তো আমারই ফেক আইডি।।

অনন্তে তুমি চাও
রবির প্রতিক্ষা ফুরাবার নয়
অসমনীয়ার বিচার

ভাবছি, কেন ছাড়লাম
ভাবছি, জিভের স্পর্শে
   ভিজে গেলে পৃথিবী
সারিয়াল
         বাড়তি অচেনা

প্রজাপতির ডানায়
ভাসমান কল্পনার মোম

একী স্মৃতি না কল্পনা
     কমলিনী সত্যিই জানেনা

সন্দেহে আজ পা
পরিমিত যূথিকা মালা
না দোলাতেই দোলে

বিচারে বিষ আছে
      বিচারে পাতাবাহার
শুকিয়ে গেলে
        হলুদ পুতুলঘর

অনেক মেয়ে ঠোটে চুম্বন করেছি,
পাইনি কিছু আর,
সিগারেট -এর শেষ টানে
আছে দো জাহান।।

কল্পনা নয় মিতে
এযে সত্যি ষোলোয়ানা

দুর্বার
প্রগাঢ় প্রদোষ
নিবে যায় রতির প্রদীপ
ভররাত জ্বলে
অবশেষে…

কল্পনার চোখের জল ঘন আতর
ছাড়ালে না ছাড়ে
ভীষণ অত্যাচার

আমি বিড়ি প্রেমী
বাদামী চামড়ার
      স্পর্শে
           ভেজা আমার ঠোঁট

চুল থেকে খসে পড়া
মিথ জোছনা
     আলো *র* কাকাতুয়া নাচায়

ভীষন অন্ধকার
অত‍্যাচারে লিবিডো নির্বিচারী

বিড়ি সে তো দেশি,
এখন তো বাজারময় করেছে
পতঞ্জলি,
সে বিড়ির স্বাদই অমৃত
টেনেছ তার সুখটান?

সুখটুকু সাদাপালকে বন্দী থাক
আমি অসুখে অসুখী

আলোকিত জোছনা মাখো
তব কবরীতে

অন্তরালে বেসামাল *হে* মন্দ
আসক্তি যখন সঙ্গ
যাযাবর অযৌনজনন।।

জীবন এখন ধোঁয়ায় ধোঁয়াশা
সেটা প্রাকৃতিক নয়
এটা কষ্টের বোঝা!

সত্য হোক সত্য হোক
মুছুক যাতনা যত

জ‍্যোৎস্না ভেজা শরীর ছুঁয়ে
ভেজা হৃদয়
         বিচ্ছেদ মাপে

মায়া কানন খুঁড়লেই
     আকাশ চাতকের কবর
তুমিওলা ঘাসবিছানায়  
      *হে* বুনন খবর

বিচ্ছেদ মাপা পরিমাপ
অসমর্ত এ যাপন যত

কষ্ট।রেণু।মধু
শর্তহীন ধোঁয়ার ভালোবাসায়

মুছে যাক মায়া মুছে যাক সব
অনন্ত বিস্ময় আকাশপট
এ ছলনা
*হে* কিছুই জানো না

পেটে পুরে কিছু
    ফিরে আসছি
           নিঃশর্ত অপেক্ষায়

সশর্ত স্বত্বসহ মুক্তিফৌজ

ছলনা বুঝি র হে?
নয় গো নয় এ সবটুকু
সে তুমি মিছে যতই ভাবো

আমি আমার আমকে আমিত্বে আমার
তুমিতো কবেই তুমি হয়েছো

আমি আমার আমাকে আমিত্বে আমার
তুমিতো কবেই তুমি হয়েছো

হে তবে নীরব হোক্
       বার বার টোপরের বিপ্লবী
গেয়ে ওঠে

*যেথা আমি যাই নাকো*
*তুমি প্রকাশিত থাকো*

তাই বুঝি হই
মনে মোরা সই

তাই কি হয় মিতে?
তুমি ছাড়া সব যে মিছে

কোনো রেখাই সরল নয়
জ্যামিতির বাইরে
অন্য ঢেউ
সংগ্রামের শেষেও সংগ্রাম

নোনতা জলে স্বপ্নেরা সাঁতার কাটে
ঠিকানায় ঠিক পৌঁছে যাবে

তবে কেটে যাক মায়া
অনন্তপাত ঘুচুক বন্ধন
*বন্ধু বিদায়*

ফিরাবারে *হে* আমার হেলানো বটের ছায়ে।
বিন্দুপাত নয়নী পারে

*এক বিন্দু নয়ন জল*
*টলমল টলমল*

চিঠি ছুটে গেলে
  গলে পড়ে নোনা দেউলে রানার

*আ মরি লাবণ্যময়ী*

চুরমুরে পুড়ে যায়
   শোক সেঁকা কাজলা

লন্ঠন আলো নাহি

লুপ্ত সেতার...
খামে ভেজা ইতিকথা
রানার ছুটেছে যেথা

যাহা এ জন্মে অদর্শন
তাকে তীব্র দৃষ্টি বেমানান

আজ বুঝি
সে জন্ম শেষ।

আমি পুরাতন ভাবতে ভাবতে পুরাতনে লীন
আমি বৃদ্ধকাক
সুরে বেসুর।।

কৌণিক বাতাসা ভিজতে থাকে
      ভরা মালকোশ উলগুলানে

কাজল কালো কালিতে  লিখবো ঠোঁটের কলংকনামা
কালা কানে মোহন বাঁশি কুয়াশার কালোয় নাচে

কোথা থেকে কোথা এলো
   খুঁজে
           পেতে
                     চোখ গেলো

কোন্ পুরাতন প্রাণের টানে
এসেছে *মন*

সশব্দ বন্দিত সুর
ফেরারী হওয়ার ডাক

এ সময়ে আমি নিরুত্তর
শুধালে জবাব নাই।
*বন্ধু যাই...*

ওরা তোরা
        একটু সবুর কর
(অ)সুখটান নিতে (দে)
         আমারে অবসর

পিরিচ খসে পাগলাঝোরা
     বাসির  বাঁশি  শুনতো কারা !

পাথুরে অগ্নুৎপাতে দাবানল  প্রত্যাশি
পাখির ডানায় লেগে  ফসফরাসের ভ্রম

অবসরে মনের খোঁজ
কুড়িয়ে পেলেই ওভারডোজ

পাগলঝোরা বাঁশির সুরে
উচাটন মন তবু অকারন

ওভারডোজ মরফিন চুমুক
রিঙ রিঙ ভরা অলিন্দে
সেপিয়ার সুখটান

তোমার ঠোঁটে প্রতিবার ইতিহাস হয়ে যায়

অকারণ কমলা দুপুরে
     ভরে ওঠে অমাবস্যার *র*বি

প্রহসন প্র‍্যাকটিস
মেটামরফোসিস!

অকারণে অবাক দুপুর
               উষ্ণ ও নরম
তোমার পালকের আশঙ্কায়

অকারন বুঝি?
তাই মনে মনে সই
অবচেতনে কথা কই?

আশঙ্কার নীল ফসফরাসে
দহন আঁকা মোজাইক

শরীরে জমে অকারণ ভালোগা
          ইচ্ছে হলে
সেড়ে নেবো বিগব‍্যাং প্রাকটিস

ইতি উঠে নেচে নেচে
    সিন্ধু পিদিমে বুক ভেসে
ঝরা কেতকীঘ্রাণ : কাকপোড়া ঔরষপতন

মোজাইক ঘাসের পাতায়
মোজাইক তোমার গোলাপী গালে
ছুঁয়ে ফেললে
          হাওয়ায় মাখামাখি
'বসন্ত এসে গেছে'

ঔরসে প্রতিবার
          আকাশ খুনি
দুটি নৌকা বিচ্ছেদ মাপলে
         শেষটানে দেয়ালা সংসার

বসন্ত পলাশ সুবাস
মুখরিত মুগ্ধতার
মৌনতা

অমাবস্যার গায়ে জোছনার আঁচ
রামধুনুরা মাতাল হয়ে কাঠগড়ায়

পূর্ণ খরতর অপেক্ষায়
ট্রাফিক জ‍্যামে
          অচেনা আগন্তুক

আগন্তুক ট্রাফিক জ্যাম
থেমে থাকা সময় রেডিয়াম

*র*
দুপুর গড়ানো একটা ঋ দেবে
যাতে তোমার *হে* শান্তিতে ঘুমোয়

সময় আমাদের পিয়ানোবাদক
সাজানো বাগানে
          মরশুমী সোহাগ

সোহাগী পিয়ানো আদর
পরিযায়ী মরশুম মুহুর্ত

বৃষ্টির কি কোনো নাম থাকে?
ভিজিয়ে নিলে
        জল-জোনাকি হয়ে যায়

পূর্বাভাসে নিম্নচাপ
অপেক্ষা
        বৃষ্টিভেজা বিছানায়

সময় কে চার রাস্তার মাঝে দাঁড় করা
মেপে কান ধরে উঠবস
তাতে থাক পৃথিবী দাঁড়িয়ে
আমরা যাবনা হারিয়ে

অস্থি আজ কাগুজে নৈকায়
রোগা নদীর তীর নাই

পাতার নখে বিড়ালে *র* চুল
         নবম আসামীর বাগদত্তা

ভেজা বৃষ্টি বিছানা চাদর
কুষুমিত পুষ্প আদর

সাজানো ফুটপাত
          চারমাথার মোড়
দাঁড়ালে
         ইতিহাস ভুলে যাই

তীর নদীর ধার মাপে
কাগুজে নৌকার পাল

আদর
      ঠোঁটাঠোঁটি হলে
রোদ ওঠে না
            মেঘ ঘনঘ

আদর
      ঠোঁটাঠোঁটি হলে
রোদ ওঠে না
            মেঘ ঘনঘোর

ঘনঘটা মেঘের আড়াল
ভারী বৃষ্টির পুব আকাশ

মেঘের বুকে হাত রাখলে
                   ঠোঁটে ঋণ জমে

আকাশ পানে অভিমান
ফলগুধারায় রাত্রিস্নান

যে পাঁজরে পাঁজরে কালশিটে দাগ
সে কী ভোলে কাঠের চাকা
বুলি সর্বস্ব রঙ রাজনীতি
গোলা যে আগ ফাঁকা

রাতের দহনে শেষরাতে
কবিতা লিখি
               চার-প্রেতে
(দুটি পেতনীও
      এখন লিঙ্গ ভুলে
                 এক নৌকার আসামি)

আমারটা ছেড়ে ভাই
চরিত্রদোষ আছে তাই

অভিমানী ফল্গুধারা
নিঃশর্ত বহমান

উল্লাসে নারীটির আগুন আদর
ঠোকাঠুকি।ঠোঁটাঠোঁটি
           অশুদ্ধ ব‍্যাকারণে

কাটা ঠোঁট ঋণ নাই
হাত পুড়িয়ে দিন খাই

মাঝপথের পথিক
                  কখনো
                         ডাঁয়ে
                              কখনো
                                      বাঁয়ে

বয়ে গেছে ভাবতে
সময় ভুলে ডাকতে

বুকে টেনে
         কাঙাল সোহাগ

তবে তাই হোক
চাইনা অকারণ দুর্ভোগ

লোডশেডিং হলে মাঝরাতে
মুখ লুকাও
          ঘামে ভেজা বিছানাতে

শর্তগুলো বাহন সেজে দরাদরি করে
সুখের দাম চড়ছে

যে সোহাগে ক্লান্ত লাল জলে
ভোরের শিশির ঝড়ে

প্রতিবার নীল শ্বাসে
                  থমথমে
                         বিচ্ছেদ মাপে

এখন আর চুম্বনে সেই স্বাদ নেই,
এখন তো মৃত দেহে তেই চুম্বন করতে আকৃষ্ট
দেহভোগীরা।

চাল বেয়ে পড়ে জল
বসে আজও কোনে অবিচল

ঝমেঝমে তরুণী মোহে
       বাতাসী শুকনো তাপ

তোমার ফলন্ত চাঁদে
               পিঠ রেখে
বাঁশি বাজায় অশরীরী

(শরীর তো শরীর নয়
পুঁইশাক
        আর
              উচ্ছে চচ্চড়ি)

    *ফিরিল না, চাহিল না, পাষাণ সে।*
*কথাটিও কহিল না, চলে গেল গো ॥*
    *না যদি থাকিতে চায়   যাক যেথা সাধ যায়,*
*একেলা আপন-মনে   দিন কি কাটিবে না।*
    *তাই হোক, হোক তবে--*
        *আর তারে সাধিব না ॥*

এসব পেরিয়ে
        আমার হাত জমে
তোমাকে চাওয়ার অভ‍্যাসে

এখন বর্ষার চরিত্রের দোষ
সব ঋতুতেই অভ্যেস

বালিশের মখমলে আমার আমি আমিতে লুকোই
কান্নাগুলোর ডেসিবেল অসীম সীমা খোঁজে

কথা কিছু আছে
        অন্ধকারে যেতে যেতে
রিংটোনে
           মেঘমোল্লার

লোডশেডিং এর দাপটে
কখন যে ভোর এসেছে

প্রতিশব্দে প্রতিশ্রুতি
                     রাতগাজন

_সেও  ফিরবে না_
  *বাতাসে কীট ভাসালো*

আধাল বিড়িটা আমাই দিও
নির্জন রাতে সর্গ সুখেরকাঁটা
যদি আসে




(Unedited)


[25/11, 8:40 PM] শাল‍্যদানী:
যমুনাবতী হে নূতন বৌ ঠান দিদির শাষন
প্রেয়সী যাপন।
র এর রক্তে গীতবিতান সাদা কালো

*শাল্যদানী*

[25/11, 8:41 PM] ঐন্দ্রিলা মোহিন্তা:
নিশিদিন কাঁদি তাই

[25/11, 8:43 PM] শাল‍্যদানী:
র এর সামনে র
আয়নাদার হে চিরন্তনী।

[25/11, 8:44 PM] ঐন্দ্রিলা মোহিন্তা:
তুমি যে তুমি
সেই তব ঋণ
আমি মোর প্রেম দিয়ে
শুধি চিরদিন

[25/11, 8:48 PM] শাল‍্যদানী:
যে প্রেমে মন মানে না
আর কি ছলনা
প্রাচ্যে প্রকাশ্যে এ সে চুপ
বাকিবকেয়া লেনদেন
হারের পর হার।

[25/11, 8:53 PM] ঐন্দ্রিলা মোহিন্তা:
হারের মালা জুড়ে
যে কাঁটা তুমি   আঁকলে পরে
তিমির কোষে থেকে
             ফড়িং পাতা ওড়ে

[25/11, 8:59 PM] জ‍্যোতির্ময় মুখার্জি:
যদি স্লাইস পোয়েট্রি করতে পারো
সামনের সংখ‍্যায় থাকছে

[25/11, 9:01 PM] কৃষ্ণেন্দু দাস ঠাকুর:
যে জ্যোৎস্না শুষে নদী ক্লান্ত
স্মৃতি ছেড়া তুলোর কালচে
দাগের টিটকিরি আর সইবে না
মাঠশেষের কুয়াশা

[25/11, 9:03 PM] নিজামউদ্দীন মোল্লা:
আমি মুক্ত দেখেছি
ঝিনুকের অন্তরালে,
তোমার ওই চাপা কান্না
রাত টা খুব কষ্টে পোহালে!

[25/11, 9:08 PM] জ‍্যোতির্ময় মুখার্জি:
কান্নার সোহাগে
            ভিজলে ঝিনুক
চাঁদ ওঠে হঠাৎ আকাশে

[25/11, 9:09 PM] নিজামউদ্দীন মোল্লা:
চিন্তার পাহাড় ভেঙে পড়েছে
আবেগের কান্নার বৃষ্টি,
সবই মিশে একাকার

[25/11, 9:12 PM] জ‍্যোতির্ময় মুখার্জি:
মিশুক
  কিছু প্রেম
          কিছু অপ্রেম
সঙ্গমে নির্মম
       উদাসীন পুকুর ঘাট

[25/11, 9:12 PM] ঐন্দ্রিলা মোহিন্তা:
আকাশ থেকে নিংড়োনো মশাল
 শীতঘুম চুবিয়ে নেয়

[25/11, 9:13 PM] নিজামউদ্দীন মোল্লা:
তাল গাছের ছায়া
পুকুরের জলে,
একটি মনের আভাষ
উথলে পড়ে।।

[25/11, 9:14 PM] আর্যতীর্থ:
ইস্তেহারে প্রেম লিখেছি
ব্যর্থ চুমুর বিজ্ঞাপণে
চোখের জলের সমীকরণ
কেবল রাতের আয়না জানে।

[25/11, 9:15 PM] জ‍্যোতির্ময় মুখার্জি:
চুম্বনে চুবিয়ে নিলে
         অস্থির সীমানা
গোমরা দুপুর
         ঠোঁটের কিনারায়

[25/11, 9:16 PM] তুলি রায়:
রক্তাভ ঠোটের কিনারা
চুঁইয়ে পড়ে জোছনা

[25/11, 9:16 PM] জ‍্যোতির্ময় মুখার্জি:
আয়না কলুষিত করে
আমাদের কোনো দোষ নেই
পলকা সুখে
           ভিজিয়ে গোড়ালি
পথিকেরা এখন পরিযায়ী

[25/11, 9:17 PM] নিজামউদ্দীন মোল্লা:
এখনো কষ্ট দেয়
মনে পড়ে প্রেয়সীর কথা
রক্ত চিঠি এখনো আমার স্মৃতি,
প্রেম ছিল রঙীন উপকথা।

[25/11, 9:17 PM] জ‍্যোতির্ময় মুখার্জি:
জ‍্যোৎস্না, সে তো আকাশী আলেয়া

[25/11, 9:17 PM] তুলি রায়:
পরিযায়ী  সুখের আড়ালে
সিক্ত অনুভুতির বালুকনা

[25/11, 9:18 PM] ঐন্দ্রিলা মোহিন্তা:
সীমানায় ভাটা ভিজে ভিজে
     অষ্টাদশীর সেতার তোমায় ছুঁয়ে

[25/11, 9:18 PM] তুলি রায়:
সেতার এর তারে যুগলবন্দী
বাজুক রিনিঝিনি

[25/11, 9:19 PM] জ‍্যোতির্ময় মুখার্জি:
উল্লাসের বোষ্টমী খঞ্জনী ছুঁয়ে
অষ্টাদশীর আধকাঁচা জ‍্যোৎস্নায়

[25/11, 9:19 PM] নিজামউদ্দীন মোল্লা:
একতাল সুরের ধ্বনি
স্বরাগে বেজেই চলে।

[25/11, 9:19 PM] তুলি রায়:
অষ্টাদশী জোছনার ওম
মেখে থাকে সাদা পাতার খসখস

[25/11, 9:19 PM] ঐন্দ্রিলা মোহিন্তা:
পায়ের সুকুমারী মেঘ
    কুয়ো চুঁইয়ে পড়ে স্বেদ

[25/11, 9:20 PM] জ‍্যোতির্ময় মুখার্জি:
বাজুক তবে
         সে।তার
কুয়ো চুঁয়ে
        লখিন্দরের ভেলা

[25/11, 9:21 PM] তুলি রায়:
ভাসমান ভেলা
জাগে হাঁসঘুম ভাঙা পুস্করুনী

[25/11, 9:21 PM] তুলি রায়:
পুস্করিনী*

[25/11, 9:22 PM] নিজামউদ্দীন মোল্লা:
বেহুলা এখনো কাঁদে,
চোখে তার জল
ভালোবাসার টানে
খোঁজে অমৃত ফল

[25/11, 9:22 PM] জ‍্যোতির্ময় মুখার্জি:
ভাঙা চিরকুট
    আনন্দ আঁকাবাঁকা

[25/11, 9:23 PM] তুলি রায়:
চুঁইয়ে পড়া স্বেদবিন্দু
বুন্দ বুন্দ জমে আঁখিপটে

[25/11, 9:23 PM] ঐন্দ্রিলা মোহিন্তা:
তোমার পুকুর !গড়নে দুপুর
       আলনা রোদের টুপুর টাপুর

[25/11, 9:23 PM] জ‍্যোতির্ময় মুখার্জি:
চাঁদ ডুবে গেলে
       বিষন্ন বেহুলা
অন্ধকারে রাত খোঁজে

[25/11, 9:24 PM] ঐন্দ্রিলা মোহিন্তা:
চোখ নেমে গেলে
     নখের দ্বীপে জেগে ওঠে শূন্য
ফেরারী

[25/11, 9:25 PM] তুলি রায়:
ফেরারী চেতন জমে
ওজন স্তরে

[25/11, 9:26 PM] জ‍্যোতির্ময় মুখার্জি:
ঘুম ভেঙে গেলে
       চোখের দূরত্বে
ফেরারী চাঁদের খুনসুটি

[25/11, 9:26 PM] তুলি রায়:
রাত খোঁজা আঁধার
কুটে মরে জোনাকি আকর

[25/11, 9:26 PM] শাল‍্যদানী:
অনন্তের বারমহলের চোকাঠি কল্কা
ইন্দনে তারে কল্পবৃক্ষ কোরো না।।

[25/11, 9:27 PM] জ‍্যোতির্ময় মুখার্জি:
জোনাকিরা আঙুল ছুঁয়ে
তারা ছোঁয়ার অপেক্ষায়

[25/11, 9:28 PM] নিজামউদ্দীন মোল্লা:
এখনো অস্ত যায়নি
যুগের শ্রেষ্ঠ রবি,
মনে গাঁথা আছে
তাঁরই চরণের ছবি।

[25/11, 9:28 PM] জ‍্যোতির্ময় মুখার্জি:
শুধু সরল ভাতের গন্ধে
অন্তপূরী আমার বারাঙ্গনা

[25/11, 9:28 PM] ঐন্দ্রিলা মোহিন্তা:
ঘুম চোয়ানো ঘু ঘু জমিন
       পাতা খাকি আলেকজান্দ্রিয়ার
মরু শুকোয়

[25/11, 9:29 PM] জ‍্যোতির্ময় মুখার্জি:
নিষিদ্ধ গোলাপ রাতে
        অতর্কিত মরু ঝড়

[25/11, 9:30 PM] শাল‍্যদানী:
মরুতে ভিজিয়ে বালি
কানের পাশে কনকচাঁপা
প্রকাশ্যে গাইলাম যবে

[25/11, 9:30 PM] নিজামউদ্দীন মোল্লা:
রোবটের ভয়ে পৃথিবী আতঙ্কিত,
ভূত এখন শ্বশানের বা কবরের গন্ডি পেরিয়ে আসেনি
তাই ভূত এখন আতঙ্কিত
নিজের স্বাধীনতায়।

[25/11, 9:30 PM] তুলি রায়:
মরু ঝড় ভাসমান মরিচীকার আড়ালে

[25/11, 9:30 PM] জ‍্যোতির্ময় মুখার্জি:
কাকে ধরি কাকে ছাড়ি
রবি নিয়ে কাড়াকাড়ি

[25/11, 9:31 PM] জ‍্যোতির্ময় মুখার্জি:
বৌঠান is typing
দাড়িবাবা লিখিং

[25/11, 9:31 PM] নিজামউদ্দীন মোল্লা:
হয়ত ছাড়ার সাহস নেই আমার,
আমি এখন ধরাধরিতেই ব্যস্ত।

[25/11, 9:31 PM] তুলি রায়:
কনকচাঁপার আড়াল
মুখরিত কলতান

[25/11, 9:31 PM] নিজামউদ্দীন মোল্লা: 😁😁😁😁😁

[25/11, 9:31 PM] শাল‍্যদানী:
রবিতে রবিরশ্মি ব্রাউন সিনেমা
কেউ যাবে না

[25/11, 9:31 PM] ঐন্দ্রিলা মোহিন্তা:
চারিদিকে উল্লুক ফাঁদে
    তোমার ছায়ার লম্বদৈর্ঘ্য  : আঁকশি টেপা
            পড়ন্ত গোলাপ

[25/11, 9:31 PM] ঐন্দ্রিলা মোহিন্তা:
🤔
[25/11, 9:32 PM] তুলি রায়:
পড়ন্ত গোলাপ সুবাস
ম ম মুখরিত বয়ান

[25/11, 9:32 PM] শাল‍্যদানী:
গুলাবের বেসামাল ইঙ্গিত
টলে পড়ি ফরেন লিকারের ফেনায়

[25/11, 9:33 PM] জ‍্যোতির্ময় মুখার্জি:
রবির ঘেরাটোপে
         আমাদের কবিতা
কখন যেন বাসন্তিক
          রেডোডেনড্রোন

[25/11, 9:33 PM] ঐন্দ্রিলা মোহিন্তা:
মগজ খুঁটে হেঁটে চলে
আলের প্রজাপতি

[25/11, 9:34 PM] তুলি রায়:
ফেনায়িত লিকার
চেনা গন্ধের আধার

[25/11, 9:34 PM] নিজামউদ্দীন মোল্লা:
কবি বলিল, ওহে শরৎ
ফেসবুকে প্রেম করব ভাবছি।
শরৎ কহে, পেলে নাকি কোনো রমণী?
একজন পাঠিয়েছে রিকুয়েস্ট  নাম তার অনিলাদেবী,
দেখি পটাতে পারি নাকি!
শুনে শরৎ একগাল হেসে মনে মনে কহে, ওটা তো আমারই ফেক আইডি।।

[25/11, 9:34 PM] শাল‍্যদানী:
অনন্তে তুমি চাও
রবির প্রতিক্ষা ফুরাবার নয়
অসমনীয়ার বিচার

[25/11, 9:34 PM] জ‍্যোতির্ময় মুখার্জি:
ভাবছি, কেন ছাড়লাম
ভাবছি, জিভের স্পর্শে
   ভিজে গেলে পৃথিবী
সারিয়াল
         বাড়তি অচেনা

[25/11, 9:34 PM] তুলি রায়:
প্রজাপতির ডানায়
ভাসমান কল্পনার মোম

[25/11, 9:35 PM] ঐন্দ্রিলা মোহিন্তা:
একী স্মৃতি না কল্পনা
.
     কমলিনী সত্যিই জানেনা

[25/11, 9:35 PM] শাল‍্যদানী:
সন্দেহে আজ পা
পরিমিত যূথিকা মালা
না দোলাতেই দোলে

[25/11, 9:36 PM] জ‍্যোতির্ময় মুখার্জি:
বিচারে বিষ আছে
      বিচারে পাতাবাহার
শুকিয়ে গেলে
        হলুদ পুতুলঘর

[25/11, 9:36 PM] নিজামউদ্দীন মোল্লা:
অনেক মেয়ে ঠোটে চুম্বন করেছি,
পাইনি কিছু আর,
সিগারেট -এর শেষ টানে
আছে দো জাহান।।

[25/11, 9:36 PM] তুলি রায়:
কল্পনা নয় মিতে
এযে সত্যি ষোলোয়ানা

[25/11, 9:37 PM] সোনালী মন্ডল আইচ:
দুর্বার
প্রগাঢ় প্রদোষ
নিবে যায় রতির প্রদীপ
ভররাত জ্বলে
অবশেষে…

[25/11, 9:37 PM] শাল‍্যদানী:
কল্পনার চোখের জল ঘন আতর
ছাড়ালে না ছাড়ে
ভীষণ অত্যাচার

[25/11, 9:37 PM] জ‍্যোতির্ময় মুখার্জি:
আমি বিড়ি প্রেমী
বাদামী চামড়ার
      স্পর্শে
           ভেজা আমার ঠোঁট

[25/11, 9:37 PM] ঐন্দ্রিলা মোহিন্তা:
চুল থেকে খসে পড়া
মিথ জোছনা
     আলো *র* কাকাতুয়া নাচায়

[25/11, 9:38 PM] জ‍্যোতির্ময় মুখার্জি:
ভীষন অন্ধকার
অত‍্যাচারে লিবিডো নির্বিচারী

[25/11, 9:38 PM] নিজামউদ্দীন মোল্লা:
বিড়ি সে তো দেশি,
এখন তো বাজারময় করেছে
পতঞ্জলি,
সে বিড়ির স্বাদই অমৃত
টেনেছ তার সুখটান?

[25/11, 9:39 PM] জ‍্যোতির্ময় মুখার্জি:
সুখটুকু সাদাপালকে বন্দী থাক
আমি অসুখে অসুখী

[25/11, 9:39 PM] তুলি রায়:
আলোকিত জোছনা মাখো
তব কবরীতে

[25/11, 9:39 PM] শাল‍্যদানী:
অন্তরালে বেসামাল *হে* মন্দ
আসক্তি যখন সঙ্গ
যাযাবর অযৌনজনন।।

[25/11, 9:40 PM] নিজামউদ্দীন মোল্লা:
জীবন এখন ধোঁয়ায় ধোঁয়াশা
সেটা প্রাকৃতিক নয়
এটা কষ্টের বোঝা!

[25/11, 9:40 PM] তুলি রায়:
সত্য হোক সত্য হোক
মুছুক যাতনা যত

[25/11, 9:40 PM] জ‍্যোতির্ময় মুখার্জি:
জ‍্যোৎস্না ভেজা শরীর ছুঁয়ে
ভেজা হৃদয়
         বিচ্ছেদ মাপে

[25/11, 9:41 PM] ঐন্দ্রিলা মোহিন্তা:
মায়া কানন খুঁড়লেই
     আকাশ চাতকের কবর
তুমিওলা ঘাসবিছানায়  
      *হে* বুনন খবর

[25/11, 9:41 PM] তুলি রায়:
বিচ্ছেদ মাপা পরিমাপ
অসমর্ত এ যাপন যত

[25/11, 9:41 PM] জ‍্যোতির্ময় মুখার্জি:
কষ্ট।রেণু।মধু
শর্তহীন ধোঁয়ার ভালোবাসায়

[25/11, 9:42 PM] শাল‍্যদানী:
মুছে যাক মায়া মুছে যাক সব
অনন্ত বিস্ময় আকাশপট
এ ছলনা
*হে* কিছুই জানো না

[25/11, 9:42 PM] জ‍্যোতির্ময় মুখার্জি:
পেটে পুরে কিছু
    ফিরে আসছি
           নিঃশর্ত অপেক্ষায়

[25/11, 9:43 PM] শাল‍্যদানী:
সশর্ত স্বত্বসহ মুক্তিফৌজ

[25/11, 9:43 PM] তুলি রায়:
ছলনা বুঝি র হে?
নয় গো নয় এ সবটুকু
সে তুমি মিছে যতই ভাবো

[25/11, 9:44 PM] শাল‍্যদানী:
আমি আমার আমকে আমিত্বে আমার
তুমিতো কবেই তুমি হয়েছো

[25/11, 9:45 PM] শাল‍্যদানী:
আমি আমার আমাকে আমিত্বে আমার
তুমিতো কবেই তুমি হয়েছো

[25/11, 9:45 PM] ঐন্দ্রিলা মোহিন্তা:
হে তবে নীরব হোক্
       বার বার টোপরের বিপ্লবী
গেয়ে ওঠে

*যেথা আমি যাই নাকো*
*তুমি প্রকাশিত থাকো*

[25/11, 9:45 PM] তুলি রায়:
তাই বুঝি হই
মনে মোরা সই

[25/11, 9:46 PM] তুলি রায়:
তাই কি হয় মিতে?
তুমি ছাড়া সব যে মিছে

[25/11, 9:47 PM] সোনালী মন্ডল আইচ:
কোনো রেখাই সরল নয়
জ্যামিতির বাইরে
অন্য ঢেউ
সংগ্রামের শেষেও সংগ্রাম

[25/11, 9:47 PM] বিজন পন্ডিত:
নোনতা জলে স্বপ্নেরা সাঁতার কাটে
ঠিকানায় ঠিক পৌঁছে যাবে

[25/11, 9:48 PM] শাল‍্যদানী:
তবে কেটে যাক মায়া
অনন্তপাত ঘুচুক বন্ধন
*বন্ধু বিদায়*

ফিরাবারে *হে* আমার হেলানো বটের ছায়ে।
বিন্দুপাত নয়নী পারে

*এক বিন্দু নয়ন জল*
*টলমল টলমল*

[25/11, 9:49 PM] শাল‍্যদানী:
😭😭😭😭😭

[25/11, 9:49 PM] ঐন্দ্রিলা মোহিন্তা:
চিঠি ছুটে গেলে
  গলে পড়ে নোনা দেউলে রানার

[25/11, 9:50 PM] ঐন্দ্রিলা মোহিন্তা:
*আ মরি লাবণ্যময়ী*

চুরমুরে পুড়ে যায়
   শোক সেঁকা কাজলা

[25/11, 9:52 PM] অর্ণব মন্ডল:
লন্ঠন আলো নাহি

লুপ্ত সেতার...
খামে ভেজা ইতিকথা
রানার ছুটেছে যেথা

[25/11, 9:54 PM] শাল‍্যদানী:
যাহা এ জন্মে অদর্শন
তাকে তীব্র দৃষ্টি বেমানান

আজ বুঝি
সে জন্ম শেষ।

আমি পুরাতন ভাবতে ভাবতে পুরাতনে লীন
আমি বৃদ্ধকাক
সুরে বেসুর।।

[25/11, 9:54 PM] ঐন্দ্রিলা মোহিন্তা:
কৌণিক বাতাসা ভিজতে থাকে
.
      ভরা মালকোশ উলগুলানে

[25/11, 9:56 PM] বিজন পন্ডিত:
কাজল কালো কালিতে  লিখবো ঠোঁটের কলংকনামা
কালা কানে মোহন বাঁশি কুয়াশার কালোয় নাচে

[25/11, 9:57 PM] জ‍্যোতির্ময় মুখার্জি:
কোথা থেকে কোথা এলো
   খুঁজে
           পেতে
                     চোখ গেলো

[25/11, 9:57 PM] ঐন্দ্রিলা মোহিন্তা:
কোন্ পুরাতন প্রাণের টানে
এসেছে *মন*

[25/11, 9:58 PM] শাল‍্যদানী:
সশব্দ বন্দিত সুর
ফেরারী হওয়ার ডাক

এ সময়ে আমি নিরুত্তর
শুধালে জবাব নাই।
*বন্ধু যাই...*

[25/11, 9:59 PM] জ‍্যোতির্ময় মুখার্জি:
ওরা তোরা
        একটু সবুর কর
(অ)সুখটান নিতে (দে)
         আমারে অবসর

[25/11, 9:59 PM] ঐন্দ্রিলা মোহিন্তা:
পিরিচ খসে পাগলাঝোরা
     বাসির  বাঁশি  শুনতো কারা !

[25/11, 9:59 PM] অর্ণব মন্ডল:
পাথুরে অগ্নুৎপাতে দাবানল  প্রত্যাশি
পাখির ডানায় লেগে  ফসফরাসের ভ্রম

[25/11, 10:02 PM] বিজন পন্ডিত:
অবসরে মনের খোঁজ
কুড়িয়ে পেলেই ওভারডোজ

[25/11, 10:03 PM] তুলি রায়:
পাগলঝোরা বাঁশির সুরে
উচাটন মন তবু অকারন

[25/11, 10:04 PM] তুলি রায়:
ওভারডোজ মরফিন চুমুক
রিঙ রিঙ ভরা অলিন্দে
সেপিয়ার সুখটান

[25/11, 10:06 PM] জ‍্যোতির্ময় মুখার্জি:
তোমার ঠোঁটে প্রতিবার ইতিহাস হয়ে যায়

[25/11, 10:07 PM] ঐন্দ্রিলা মোহিন্তা:
অকারণ কমলা দুপুরে
     ভরে ওঠে অমাবস্যার *র*বি

[25/11, 10:08 PM] শাল‍্যদানী:
প্রহসন প্র‍্যাকটিস
মেটামরফোসিস!

[25/11, 10:08 PM] জ‍্যোতির্ময় মুখার্জি:
অকারণে অবাক দুপুর
               উষ্ণ ও নরম
তোমার পালকের আশঙ্কায়

[25/11, 10:09 PM] তুলি রায়:
অকারন বুঝি?
তাই মনে মনে সই
অবচেতনে কথা কই?

[25/11, 10:10 PM] তুলি রায়:
আশঙ্কার নীল ফসফরাসে
দহন আঁকা মোজাইক

[25/11, 10:10 PM] জ‍্যোতির্ময় মুখার্জি:
শরীরে জমে অকারণ ভালোগা
          ইচ্ছে হলে
সেড়ে নেবো বিগব‍্যাং প্রাকটিস

[25/11, 10:11 PM] ঐন্দ্রিলা মোহিন্তা:
ইতি উঠে নেচে নেচে
    সিন্ধু পিদিমে বুক ভেসে
ঝরা কেতকীঘ্রাণ : কাকপোড়া ঔরষপতন

[25/11, 10:11 PM] জ‍্যোতির্ময় মুখার্জি:
মোজাইক ঘাসের পাতায়
মোজাইক তোমার গোলাপী গালে
ছুঁয়ে ফেললে
          হাওয়ায় মাখামাখি
'বসন্ত এসে গেছে'

[25/11, 10:13 PM] জ‍্যোতির্ময় মুখার্জি:
ঔরসে প্রতিবার
          আকাশ খুনি
দুটি নৌকা বিচ্ছেদ মাপলে
         শেষটানে দেয়ালা সংসার

[25/11, 10:14 PM] তুলি রায়:
বসন্ত পলাশ সুবাস
মুখরিত মুগ্ধতার
মৌনতা

[25/11, 10:14 PM] বিজন পন্ডিত:
অমাবস্যার গায়ে জোছনার আঁচ
রামধুনুরা মাতাল হয়ে কাঠগড়ায়

[25/11, 10:15 PM] জ‍্যোতির্ময় মুখার্জি:
পূর্ণ খরতর অপেক্ষায়
ট্রাফিক জ‍্যামে
          অচেনা আগন্তুক

[25/11, 10:17 PM] তুলি রায়:
আগন্তুক ট্রাফিক জ্যাম
থেমে থাকা সময় রেডিয়াম

[25/11, 10:17 PM] ঐন্দ্রিলা মোহিন্তা:
*র*

দুপুর গড়ানো একটা ঋ দেবে
যাতে তোমার *হে* শান্তিতে ঘুমোয়

[25/11, 10:17 PM] জ‍্যোতির্ময় মুখার্জি:
সময় আমাদের পিয়ানোবাদক
সাজানো বাগানে
          মরশুমী সোহাগ

[25/11, 10:19 PM] তুলি রায়:
সোহাগী পিয়ানো আদর
পরিযায়ী মরশুম মুহুর্ত

[25/11, 10:19 PM] জ‍্যোতির্ময় মুখার্জি:
বৃষ্টির কি কোনো নাম থাকে?
ভিজিয়ে নিলে
        জল-জোনাকি হয়ে যাই

[25/11, 10:20 PM] জ‍্যোতির্ময় মুখার্জি:
পূর্বাভাসে নিম্নচাপ
অপেক্ষা
        বৃষ্টিভেজা বিছানায়

[25/11, 10:20 PM] কৃষ্ণেন্দু দাস ঠাকুর:
সময় কে চার রাস্তার মাঝে দাঁড় করা
মেপে কান ধরে উঠবস
তাতে থাক পৃথিবী দাঁড়িয়ে
আমরা যাবনা হারিয়ে

[25/11, 10:21 PM] কৃষ্ণেন্দু দাস ঠাকুর:
অস্থি আজ কাগুজে নৈকায়
রোগা নদীর তীর নাই

[25/11, 10:22 PM] ঐন্দ্রিলা মোহিন্তা:
পাতার নখে বিড়ালে *র* চুল
         নবম আসামীর বাগদত্তা

[25/11, 10:22 PM] তুলি রায়:
ভেজা বৃষ্টি বিছানা চাদর
কুষুমিত পুষ্প আদর

[25/11, 10:22 PM] জ‍্যোতির্ময় মুখার্জি:
সাজানো ফুটপাত
          চারমাথার মোড়
দাঁড়ালে
         ইতিহাস ভুলে যাই

[25/11, 10:24 PM] তুলি রায়:
তীর নদীর ধার মাপে
কাগুজে নৌকার পাল

[25/11, 10:24 PM] জ‍্যোতির্ময় মুখার্জি:
আদর
      ঠোঁটাঠোঁটি হলে
রোদ ওঠে না
            মেঘ ঘনঘ

[25/11, 10:24 PM] জ‍্যোতির্ময় মুখার্জি:
আদর
      ঠোঁটাঠোঁটি হলে
রোদ ওঠে না
            মেঘ ঘনঘোর

[25/11, 10:25 PM] তুলি রায়:
ঘনঘটা মেঘের আড়াল
ভারী বৃষ্টির পুব আকাশ

[25/11, 10:26 PM] জ‍্যোতির্ময় মুখার্জি:
ঠোঁটাঠোঁটি
শব্দটা মনে হয় অভিধানে নেই

বাংলা ব‍্যকারণে  উপর যার দখল আছে, সে একবার এটা বিশ্লেষণ করে দেখোতো, ঠিক হবে কীনা।

[25/11, 10:26 PM] শাল‍্যদানী:
ঠিকঠাক

[25/11, 10:26 PM] জ‍্যোতির্ময় মুখার্জি:
মেঘের বুকে হাত রাখলে
                   ঠোঁটে ঋণ জমে

[25/11, 10:27 PM] বিজন পন্ডিত:
আকাশ পানে অভিমান
ফলগুধারায় রাত্রিস্নান

[25/11, 10:27 PM] জ‍্যোতির্ময় মুখার্জি:
আভিধানিক?

[25/11, 10:27 PM] কৃষ্ণেন্দু দাস ঠাকুর:
যে পাঁজরে পাঁজরে কালশিটে দাগ
সে কী ভোলে কাঠের চাকা
বুলি সর্বস্ব রঙ রাজনীতি
গোলা যে আগ ফাঁকা

[25/11, 10:27 PM] কৃষ্ণেন্দু দাস ঠাকুর:
আজ

[25/11, 10:27 PM] শাল‍্যদানী:
চুমাচুমি ~ ঠোঁটাঠোটি

দারুণ সৃজন

[25/11, 10:28 PM] কৃষ্ণেন্দু দাস ঠাকুর:
দরকার কী অভিধানে
যখন মেতেছি সৃষ্টি সুখের উল্লাসে

[25/11, 10:29 PM] জ‍্যোতির্ময় মুখার্জি:
রাতের দহনে শেষরাতে
কবিতা লিখি
               চার-প্রেতে

(দুটি পেতনীও
      এখন লিঙ্গ ভুলে
                 এক নৌকার আসামি)

[25/11, 10:30 PM] শাল‍্যদানী:
আমারটা ছেড়ে ভাই
চরিত্রদোষ আছে তাই

[25/11, 10:30 PM] তুলি রায়:
অভিমানী ফল্গুধারা
নিঃশর্ত বহমান

[25/11, 10:30 PM] জ‍্যোতির্ময় মুখার্জি:
উল্লাসে নারীটির আগুন আদর
ঠোকাঠুকি।ঠোঁটাঠোঁটি
           অশুদ্ধ ব‍্যাকারণে

[25/11, 10:31 PM] বিজন পন্ডিত:
কাটা ঠোঁট ঋণ নাই
হাত পুড়িয়ে দিন খাই

[25/11, 10:31 PM] জ‍্যোতির্ময় মুখার্জি:
মাঝপথের পথিক
                  কখনো
                         ডাঁয়ে
                              কখনো
                                      বাঁয়ে

[25/11, 10:31 PM] শাল‍্যদানী:
বয়ে গেছে ভাবতে
সময় ভুলে ডাকতে

[25/11, 10:32 PM] জ‍্যোতির্ময় মুখার্জি:
বুকে টেনে
         কাঙাল সোহাগ

[25/11, 10:32 PM] কৃষ্ণেন্দু দাস ঠাকুর:
তবে তাই হোক
চাইনা অকারণ দুর্ভোগ

[25/11, 10:32 PM] তুলি রায়:
অন্যদিকে চলে যাচ্ছে তো

[25/11, 10:33 PM] জ‍্যোতির্ময় মুখার্জি:
লোডশেডিং হলে মাঝরাতে
মুখ লুকাও
          ঘামে ভেজা বিছানাতে

[25/11, 10:33 PM] বিজন পন্ডিত:
শর্তগুলো বাহন সেজে দরাদরি করে
সুখের দাম চড়ছে

[25/11, 10:33 PM] কৃষ্ণেন্দু দাস ঠাকুর:
যে সোহাগে ক্লান্ত লাল জলে
ভোরের শিশির ঝড়ে

[25/11, 10:34 PM] জ‍্যোতির্ময় মুখার্জি:
প্রতিবার নীল শ্বাসে
                  থমথমে
                         বিচ্ছেদ মাপে

[25/11, 10:34 PM] নিজামউদ্দীন মোল্লা:
এখন আর চুম্বনে সেই স্বাদ নেই,
এখন তো মৃত দেহে তেই চুম্বন করতে আকৃষ্ট
দেহভোগীরা।

[25/11, 10:34 PM] কৃষ্ণেন্দু দাস ঠাকুর:
চাল বেয়ে পড়ে জল
বসে আজও কোনে অবিচল

[25/11, 10:34 PM] ঐন্দ্রিলা মোহিন্তা:
ঝমেঝমে তরুণী মোহে
       বাতাসী শুকনো তাপ

[25/11, 10:35 PM] জ‍্যোতির্ময় মুখার্জি:
তোমার ফলন্ত চাঁদে
               পিঠ রেখে
বাঁশি বাজায় অশরীরী

(শরীর তো শরীর নয়
পুঁইশাক
        আর
              উচ্ছে চচ্চড়ি)

[25/11, 10:36 PM] শাল‍্যদানী: *গেল গো--*
    *ফিরিল না, চাহিল না, পাষাণ সে।*
*কথাটিও কহিল না, চলে গেল গো ॥*
    *না যদি থাকিতে চায়   যাক যেথা সাধ যায়,*
*একেলা আপন-মনে   দিন কি কাটিবে না।*
    *তাই হোক, হোক তবে--*
        *আর তারে সাধিব না ॥*

শুভরাত

[25/11, 10:36 PM] জ‍্যোতির্ময় মুখার্জি:
এসব পেরিয়ে
        আমার হাত জমে
তোমাকে চাওয়ার অভ‍্যাসে

[25/11, 10:36 PM] কৃষ্ণেন্দু দাস ঠাকুর:
এখন বর্ষার চরিত্রের দোষ
সব ঋতুতেই অভ্যেস

[25/11, 10:36 PM] বিজন পন্ডিত:
বালিশের মখমলে আমার আমি আমিতে লুকোই
কান্নাগুলোর ডেসিবেল অসীম সীমা খোঁজে

[25/11, 10:37 PM] জ‍্যোতির্ময় মুখার্জি:
কথা কিছু আছে
        অন্ধকারে যেতে যেতে
রিংটোনে
           মেঘমোল্লার

[25/11, 10:37 PM] কৃষ্ণেন্দু দাস ঠাকুর:
যে তোমায় ছাড়ে ছাড়ুক আমি তোমায় ছাড়ব না

[25/11, 10:39 PM] কৃষ্ণেন্দু দাস ঠাকুর:
লোডশেডিং এর দাপটে
কখন যে ভোর এসেছে

[25/11, 10:40 PM] জ‍্যোতির্ময় মুখার্জি:
প্রতিশব্দে প্রতিশ্রুতি
                     রাতগাজন
থেকে যাও
          পত্রিকার পাতায়
         সীমাবদ্ধ সীমানায়

(এবার বন্ধ করলে সুবিধা হয়, এটা পরবর্তী সংখ‍্যায় যাবে)

[25/11, 10:41 PM] শাল‍্যদানী:
*বেশ তবে তাই হোক।।*
*এই অবধি থাক।*

[25/11, 10:41 PM] ঐন্দ্রিলা মোহিন্তা:
_সেও  ফিরবে না_

  *বাতাসে কীট ভাসালো*

[25/11, 10:42 PM] কৃষ্ণেন্দু দাস ঠাকুর:
আধাল বিড়িটা আমাই দিও
নির্জন রাতে সর্গ সুখেরকাঁটা
যদি আসে
******



No comments:

Post a Comment