কবিতা : সাধারণ বিভাগ
■ হেমন্তের কবিতা
সরু পথে যাইতে অনেক দূর
বনের পথ
তবু ঘাসকে লাবণ্য দেয় রোদ্দুর ও আর্দ্র শিশির
আর ঘাসফড়িঙকে দেয় ঘাস
তেমনি হরিণকে লাবণ্য দেয় ঘাস
বাঘকে লাবণ্য দেয় হরিণ
তবু সরু পথে যাইতে অনেক দূর
অনেক দূরে তার বাড়ি
মাঝপথে অনেকগুলো নদী
কিন্তু রাতে লন্ঠন হাতে নিয়ে ওরা কারা
দ্রুত হেঁটে পেরিয়ে যাচ্ছে ওই পথ
ভিনগ্রহের কেউ?! তারা কি কৌশল জানে
নদী পেরুনোর!
আমরা তো নদীতে নামার আগে কাপড় খুলে
সেই কবে গামছা পরেছি
স্রোতে গামছা ভেসেও গিয়েছে, অনঙ্গ
তবু গাছেরা যে বাকল পরিয়েছিল
বট গাছের ঝুরিতে যে শেকল ছিল
যা দিয়ে আমরা প্রথম পালিত পশুদের
পায়ে বেঁধেছি
যাতে হারিয়ে না য়ায় স্নেহ।
সরু পথ। ধানখেতের আলপথ তাতে
কি আলপনা দিয়েছে কেউ হেমন্তে!
---------------------------------
রচনাকাল : রখেড়া, ২৪/১০/২০১৭, রাত্রি ১২.২০
■ মিথ্যেকথার ভূমিকা
মিথ্যে কবিতা লিখলে মহাভারত অশুদ্ধ হয়
কিন্তু একটু আধটু মিথ্যে কথা বললে না
মহাভারত অশুদ্ধ হয় না
বরং শুদ্ধ হয় প্রেমের গল্প গুলি ঠিকঠাক
বসন্তের পাতায় পাতায় ফুলে ও পল্লবে
আমাদের গোপন প্রেম
বাড়িতে জানতে দিইনা আমরা
যে কৌতুকে রামী ও চন্ডীদাস
যে কৌতুকে কৃষ্ণ ও রাধিকা
বাড়িতে মিথ্যে কথা বলে।
ফেসবুকের ইনবক্স অথবা whatsappএর নাগাল
বাড়ির লোক আর জন্মেও পাবে না
কারণ সে দীর্ঘ পাসওয়ার্ড
স্বামীর পাসওয়ার্ড স্ত্রী জানবে না
স্ত্রীর জানবেনা স্বামী
প্রেমিকের জানবেনা প্রেমিক
প্রেমিকারটা প্রেমিক না
আহা এইসব মিথ্যের ভেতর
আমাদের বেঁচে বর্তে থাকা গুলি
হয়তো লোভনীয় মায়ার মুকুরে
জ্যোৎস্না প্রভাবিত নদীরা মাঠের মাঝে নাচে
অর্ধনগ্ন
কারণ জঙ্গল কতটাই বা ঢাকে !
তোমাকে আমি হারিয়েছি সত্যি কথা বলে।
------------------------------ ------------
রচনাকাল: রখেড়া, ১৪-০৮-২০১৭ রাত্রি ৩.৪০
■ ধর্মের কবিতা
ধর্মের কবিতা লিখি তাই পবিত্র সূর্য ওঠে
পূর্ব দিকে রাঙা হয়
ওই রাঙা আলোর পথে
আলোকের অজস্র রশ্মি অজস্র রজ্জুতে বদলে যায়
ওই রজ্জুতে টান খেয়ে ক্রমশ এগিয়ে আসে
সূর্যদেবতার রথ
ওই রশ্মি মানে রজ্জু মানে রশি
আমরা চাষারা টেনেছি
যারা পূর্বজন্মে পশুপ্রপালন কে জীবিকা করেছিলাম
চাষারা টেনেছে কেন ?
কারণ সূর্য না উঠলে সালোকসংশ্লেষেই হবে না
ফলে মাঠময় শস্যখেতে শস্যই ফলবে না
সবজি খেতে সবজি, মহুল গাছে মহুল
আঙুরলতায় আঙুর !
ফসল না ফললে চাষারা ব্যর্থ ,ব্যর্থ সমগ্র গ্রাম
ধর্মের কবিতা লিখি
গণিকালয়ের কথা আজ আর লিখবো না
কারণ সে কথা লিখতে গেলে
আগে সূর্যকে ডোবানো দরকার।
------------------------------ --
রচনাকাল: রখেড়া ১৪-০৮-২০১৭ রাত্রি ১২.৩০
রুদ্র পতি
জন্ম : ১৮ আগস্ট, ১৯৬৮
পিতামাতা : জগবন্ধু পতি ও যশোদাময়ী পতী
রসায়নে সাম্মানিক
আইটিআই সহ নানা বিষয়ে পড়াশোনা
নেশা : অ্যাক্রোস্পেস মহাকাশ, ইউক্লীডিয় জ্যামিতি চর্চা, রসায়ন চর্চা, সবজি চাষ ও গরু চরানো
তিনি লেখেন : স্বপ্ন ভেঙে যায়, ফের স্বপ্ন দেখি
প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ : প্রান্তিক চাষা (১৯৯৩)
লেদ অথবা অথবা অসম্পৃক্ত হাইডোকার্বন (২৯৯৩)
এ বছর শ্রাবণ ভালো (২০০৪)
বেকারের কবিতা (২০০৪)
গুচ্ছমূল (২০০৫)
****** |
No comments:
Post a Comment