সমকামনা
যখন ছোট্ট ছিলাম তখন স্বাভাবিক ভাবেই পুতুল নিয়ে খৃলতাম বয়স ক্রমশ বাড়তে লাগলো পুতুল থেকে পুতুল এর সংসারের প্রতি টান জন্মালো আর একটু বড়োহলাম তখন যেন পুতুল এর মায়ের ছায়া নিজের আদলে বদল হলো। খেলা টা যে কখন বাস্তব হয়ে গেল সে বিষয়ে খেয়াল ছিলো না।
যখন বয়ঃসন্ধি সমস্ত শরীরের তার উষ্ণ পরশ বোলাচ্ছে তখন কাম রসের স্রোতে ভেসে যেতে চাইলো মন শরীরের প্রতি টি রক্ত বিন্দু চাইলো তখন এক পুরুষের স্পর্শ, স্তব্ধ হলাম মুহূর্তে অনুভূতি কে অনুভব করে বুঝতে পারলাম না পত্তন করব নাকি পতন ! অবশেষে শরীরের চাহিদার হাতছানি তে এগিয়ে গেলাম। যৌবন যখন প্রথম শরীরে আঁচড় কাটলো সে ছিল এক হিংস্র পুরুষের বাগানো থাবা তারপরে এহেন আঁচড় ছোবল থাবা দংশন অনেকেরই দেওয়া উপহার পেল সেই নরম কচি শরীরে । সবথেকে কঠিন ছিল যখন এগুলো একই সঙ্গে বর্ষিত হলো জীবনে সে হলো আমার একান্ত আপন আমার গর্বের সমাজ । কিছু সমাজ এর গুষ্টির গাঁ* মারা বোদ্ধা চো* মানুষ আমায় দেখে বলে উঠলেন মাগীপানা ছেমড়াটার আবার দাড়ি গজিয়েছে , পাসের থেকে এক বছর 20 র এক দাদা বলে উঠলেন এই ঔ রকম বলো না , সোন ভাই আজ সন্ধ্যায় পড়া শেষ করে অমাদের বাড়িতে আসিস কেউ নাই লুডো খেলব সান্ত্বনা পেয়ে এগিয়ে গেলাম লুডো খেলা শেষে রক্তাক্ত যন্ত্রণা নিয়ে বাড়িতে ফিরলাম । পরদিন সেই দাদাই প্রথম বলে উঠলেন গাঁড় খানা বানিয়েছে দেখ ঠাসানো মাগীও হেরে যাবে অন্য জন বল্লো আমার তো এই হিজরে টাকে দেখেই ঠাটিয় ওঠে হাঃ হাঃ হাঃ । লজ্জায় অপমানে নিজের চোখের জল নিজেই পানকরলাম মনেহলো বিষ ও বুঝি এর থেকে মধুর । হঠাত্ ছন্দ পরিবর্তন হলো এলো এক মহান মানুষ কাছেটানলো সমোবেদনা জানালো ভালোবাসা দিলো মর্যাদা দিলো সুখের স্নেহের চুড়ান্ত শীমায় নিয়ে গেলো চল্লো দীর্ঘ 9বছর আচমকা একদিন বলেদিলো তুই সমকামী, মানুষিক রূগী ডাক্তার দেখা আমায় জালাতোন করবিনা আর কখনও । ভেঙে দুমড়ে মুষড়ে টুকরো হয়ে গেলাম এই যান্ত্রিক যন্ত্র যন্ত্রণা কাউকে বলতে পারলাম না কিন্তু গুঁড়িয়ে জাইনি। অর্ধনারীশ্বর শব্দটি সুনতে বুঝতে খুব ভালো লাগে সাটাকে মেনে নেওয়া বা মানিয়ে চলাটা কী ততোটাই সমান ? পুরুষের শরীরে নারীর মনোন এ এক অধরা মায়া , সবই মায়া ।
।।।ধন্যবাদ ।।।
পার্থপ্রতিম দাস
No comments:
Post a Comment