বিলাপাঞ্জলি
(ফিরে দেখা একশো তেত্রিশের সেকেলে রেলিং । তাদের তরজমার অলিখিত জংবিলাপে ফসিল হয়ে ওঠে হিমেল শালে ডাইনির সূর্যবন্দনা ! তারই যাত্রার উড়ন্ত সাক্ষ্য স্বরূপ এই নৈবেদ্য ডালি .....)
রবি: কানের কাছে শীতের ছাদে গরম নিশ্বাস
হেকেটি: তোমার প্রত্যেকটা শ্বাসে নতুনের বারান্দা
তবে আজ তাতে জমাট কুয়াশাধুলো
রবি: তাই বুঝি একা ছাদে পুরনো হতে এসেছো হে?
হেকেটি: পুরনো চূর্ণি তোমার ধারা নয়হেকেটি: চিরনূতনের হে আজ ফেকাশের মালিনী
রবি: রাগ বুঝি এমন ভাবেই সাঁঝেরবাতি? নাকি
অভিমানী লাল গোধূলি নালিশ?
হেকেটি: তব ভালে ভানু উঠুক ফুটে
নবীন যাবে শীতজোছনায় টুটে
রবি: নবীনা আলিঙ্গনের ভুজপাশে দূরে ঠেলার চেষ্টা।
মানাচ্ছে না হে
হেকেটি: অতিথি বরণ করে নেওয়া
ক্ষণকালের বাতায়ন
পান উপচে পরছে
ঘুঙুর উপাসকের দোরে
শুনতে পেয়েও এড়িয়ে যাবে ?
এ সাজ তোমার নয় রবি
রবি: সেকি এসেছে? নাকি আনিয়েছো?
বিন্দু বিন্দু প্রশ্রয়কে এভাবে আশ্রয়হীন করা
সাধনায় বাসনাহীন সাধ!
বাহ বৌঠান বাহ!
হেকেটি: সর্বকালে হেমডোরে বেঁধেছে
প্রত্যেকটি কাষ্ঠল জিহ্বা
তবু এ দায় শুধুই কী চোরাপথের বিসর্জিত আঁখির!
তবে তাই হোক
বিষ পান ঢের ভালো দোষের ঘরে
তবে প্রত্যেকটা ভোরের খঞ্জনিতে
মুছে দিও ডাইনির ইতিবৃত্ত
রবি: ছিঃ বৌঠান
বন্ধু তুমি আমার মননের ঘরে।
তাই বলে এই দাবী!
সময়ের ঘরে এমনতর ভাঙন!
চাইনি এ ছুটি
এই ছুঁয়ে বলছি...
(হাত ধরে)
হেকেটি: দলছুটের ঘরে বন্দিনী যে আকাশ
তার হদিশ কী তোমায় মানায়
তোমায় বেঁধে রাখা এযে অশ্বমেধে গোলাপচাষ
রবি: সেই দলছুট কবি যদি নিজেকে নির্বাসিত করে
তোমার ঘরে
রাখবে না তোমার রবিকে?
হেকেটি: চন্দন মালিকা নয়নে জড়ায়ে
মম সিক্ত শবে
আছো কী সেই দুবাহু বাড়ায়ে
রবি: বলতে পারো কবে আমি পুরুষ হয়েছি
আর কবে তুমি নারী?
স্মৃতিসাক্ষী তারারা আজো আছে চেয়ে,
আজ তা দেবে কি মুছে?
হেকেটি: ধ্রুবসাঁঝে সলতে ভিজিয়ে
পুলকিত চাঁদোয়ায়
কনিষ্ঠার আহুতিতে
এভাবেও ফিরে আসা যায় ?
রবি: বৌঠান আমি বিয়ে করবো না!
হেকেটি: ভ্রম পোষা খাঁচার পাখিচঞ্চু
ভুলিয়ে দেবে শীতলতার রূপটান
খুলে খুলে ঝুলে যাবে
আলনাভেজা গান
রবি: দুপুর বেলার পান চাই
নন্দনে ফুল চাই
চায়েতে নুন চাই
উপহাসের হাসি চাই
তোমার রবির ডাইনি চাই
হেকেটি: ফুটে উঠবো উড়ন্ত নবাগত পঙক্তিতে
ভুলিয়ে দেবে কনকনে উত্তাপ
রবি: একবার যদি ভিজিয়েছো কবিকে তবে মোহনার গল্পে তা ফুরিও না
মুগ্ধতায় সে কাঁপতেই চায়
বারবার
হেকেটি: এ ঋণ চুলের ঘূর্ণিতে বিছিয়ে রাখবো
অন্ধকরা রেকাবিতে
রবি: প্রকাশ্যে বলছি আজ তোমাতেই লীন সে
নয়নসুখ আলাপে, তোমাতেই মিশে থাকবে কবির কান্না
কবির অন্তরে তুমিই কবি
হেকেটি: যে নদী অপ্রকাশিত পলি কলিজাভরে পান করে দিবারাত্র তার বুকে জ্বলন্ত তুমির বাসা
ভিজিয়েছে তবু পোড়াতে পরেনি
রবি: বিশ্বাস কর তার বাগদান মিথ্যে নয়। নবনীল ধারায় সে সবুজ পান্না
শুনতে পারো না আর রবির কান্না?
হেকেটি: অলিখিত মেহগিনির মৌসুমি আদেশ খণ্ডন
এযে প্রতিকূলের রামধনু
রবি: তোমার রোমাঞ্চিত যমুনায় স্নানার্থী পথিকের প্রতি এত অবেহালা কেন?
আমার তপ্ত ডানার শেষ পরিণতি অন্য কেউ?
হেকেটি: তব স্বেদযুথিকা অকৃপণ ভালে
বাতায়ন চাঁদ রভঁসে গোঙালে
হেথা নয় হেথা নয়
অন্য কোথাও
অন্য কোন খানে
( কম্পমান স্বর )
রবি: আজো ব্যাধিঘোরে জীর্ণতা মনে,
মৃত্যুর পাশে বসে ফুলের জন্ম দিয়েছি খাতা জুড়ে।
সে কেবল তোমার পানে চেয়ে বৌঠান।
(হাটু গেড়ে বসে পরে রবি)
হেকেটি: একী করছো রবি
নন্দনকাননে মর্ত্যের ঘ্রাণ
ফিরে যাও
রবি: ফিরিয়েই যদি দেবে
তবে অন্ধ কর এই নপুংসক কবিকে
ঘৃণায় দহিত হোক অসমাপ্ত চুম্বন তোমার
হেকেটি: ( কাঁপতে কাঁপতে )
ফিরে যাও
চিঠিগুলোতে অনামী শীতঘুম এঁকো
এ কোটরের অলিখিত জোনাকি
তোমারই থাকলো : মনে মনে
রবি: কথা দিলুম
কেহ জানিবে না মোর গভীর প্রণয়
কেহ দেখিবে না মোর অশ্রুবারিচয়
হেকেটি: তোমার হাতের সব ক্ষমতায়
আকাশনীলা ফুটুক
রবি: একী ভীষণ অভিশাপ ডাইনি
এ কবি চায়নি, চায়নি!
হেকেটি: গানের আঁচে সিক্ত কর তাকে
চিরকালের ফাঁকে
রবি: কথা দাও তবে,
আর কোনো দিন ডাকবে না ঘরে?
আর কোনো দিন কাঁদবে না ভোরে?
আর কোনোদিন রূমাল হবে না লাল
কথা দিলাম
কবির কলমে বাঁঁচবে চিরকাল
হেকেটি: শুনতে পাচ্ছ
বিলাপের ফোয়ারা উপচে পড়ছে
কেউ যেন সোনাঝুড়িতে
ডাইনি পুরাণ আঁকছে
মুক্তি ..... ( মৃদু হেসে )
এতে তোমায় হারায় সাধ্য কার
রবি: বিদায় অধ্যায়যুক্তা হিমেল হাওয়া
বিদায় আমার আসা যাওয়া
বিদায় আমার নষ্ট পাতার ধন
বিদায় আমার যা কিছু অকারণ
বিদায়! বন্ধু বিদায়!
হেকেটি: ( আবদারের সুরে )
পরজনমে মৃত কৃষ্ণচূড়া ভরা ছাদ
লিখে দেব তোমার থুড়ি
আমাদের নামে
রবি: সেদিন তুমি কবি হবে
আমি হব চাতকপাখীর গান
কথা দিলাম
থাকবে না অভিমান!
হেকেটি: বিসর্জিত বাদ্যি মোছে
তব শ্বাসপল্লবে
নন্দন সে তো তোমারই দান
ফিরায়ে দেব না
শত সিন্দুক অভিমান
রবি: (মাথা নীচু করে ফিরে যাতে যেতে থমকে দাঁড়িয়ে পিছন ফিরে)
জেনে রেখো মিসেস কাদম্বরী,
তোমারেই করিয়াছি জীবনের ধ্রুবতারা।
পাল্টাতে পারবে না।
(অন্ধকারে সব মায়া মিলিয়ে গেল)
সমাপ্ত
###কোন ব্যক্তি আক্রমণ বা চরিত্র আক্রমণ আমাদের কাম্য নয় সব চরিত্র বাস্তবে কল্পনার কোলাজ - ফিনিক্স।
রবিঠাকুর বুননে শাল্যদানী
আর
হেকেটি আঁচে ঐন্দ্রিলা মহিন্তা
(ফিরে দেখা একশো তেত্রিশের সেকেলে রেলিং । তাদের তরজমার অলিখিত জংবিলাপে ফসিল হয়ে ওঠে হিমেল শালে ডাইনির সূর্যবন্দনা ! তারই যাত্রার উড়ন্ত সাক্ষ্য স্বরূপ এই নৈবেদ্য ডালি .....)
রবি: কানের কাছে শীতের ছাদে গরম নিশ্বাস
হেকেটি: তোমার প্রত্যেকটা শ্বাসে নতুনের বারান্দা
তবে আজ তাতে জমাট কুয়াশাধুলো
রবি: তাই বুঝি একা ছাদে পুরনো হতে এসেছো হে?
হেকেটি: পুরনো চূর্ণি তোমার ধারা নয়হেকেটি: চিরনূতনের হে আজ ফেকাশের মালিনী
রবি: রাগ বুঝি এমন ভাবেই সাঁঝেরবাতি? নাকি
অভিমানী লাল গোধূলি নালিশ?
হেকেটি: তব ভালে ভানু উঠুক ফুটে
নবীন যাবে শীতজোছনায় টুটে
রবি: নবীনা আলিঙ্গনের ভুজপাশে দূরে ঠেলার চেষ্টা।
মানাচ্ছে না হে
হেকেটি: অতিথি বরণ করে নেওয়া
ক্ষণকালের বাতায়ন
পান উপচে পরছে
ঘুঙুর উপাসকের দোরে
শুনতে পেয়েও এড়িয়ে যাবে ?
এ সাজ তোমার নয় রবি
রবি: সেকি এসেছে? নাকি আনিয়েছো?
বিন্দু বিন্দু প্রশ্রয়কে এভাবে আশ্রয়হীন করা
সাধনায় বাসনাহীন সাধ!
বাহ বৌঠান বাহ!
হেকেটি: সর্বকালে হেমডোরে বেঁধেছে
প্রত্যেকটি কাষ্ঠল জিহ্বা
তবু এ দায় শুধুই কী চোরাপথের বিসর্জিত আঁখির!
তবে তাই হোক
বিষ পান ঢের ভালো দোষের ঘরে
তবে প্রত্যেকটা ভোরের খঞ্জনিতে
মুছে দিও ডাইনির ইতিবৃত্ত
রবি: ছিঃ বৌঠান
বন্ধু তুমি আমার মননের ঘরে।
তাই বলে এই দাবী!
সময়ের ঘরে এমনতর ভাঙন!
চাইনি এ ছুটি
এই ছুঁয়ে বলছি...
(হাত ধরে)
হেকেটি: দলছুটের ঘরে বন্দিনী যে আকাশ
তার হদিশ কী তোমায় মানায়
তোমায় বেঁধে রাখা এযে অশ্বমেধে গোলাপচাষ
রবি: সেই দলছুট কবি যদি নিজেকে নির্বাসিত করে
তোমার ঘরে
রাখবে না তোমার রবিকে?
হেকেটি: চন্দন মালিকা নয়নে জড়ায়ে
মম সিক্ত শবে
আছো কী সেই দুবাহু বাড়ায়ে
রবি: বলতে পারো কবে আমি পুরুষ হয়েছি
আর কবে তুমি নারী?
স্মৃতিসাক্ষী তারারা আজো আছে চেয়ে,
আজ তা দেবে কি মুছে?
হেকেটি: ধ্রুবসাঁঝে সলতে ভিজিয়ে
পুলকিত চাঁদোয়ায়
কনিষ্ঠার আহুতিতে
এভাবেও ফিরে আসা যায় ?
রবি: বৌঠান আমি বিয়ে করবো না!
হেকেটি: ভ্রম পোষা খাঁচার পাখিচঞ্চু
ভুলিয়ে দেবে শীতলতার রূপটান
খুলে খুলে ঝুলে যাবে
আলনাভেজা গান
রবি: দুপুর বেলার পান চাই
নন্দনে ফুল চাই
চায়েতে নুন চাই
উপহাসের হাসি চাই
তোমার রবির ডাইনি চাই
হেকেটি: ফুটে উঠবো উড়ন্ত নবাগত পঙক্তিতে
ভুলিয়ে দেবে কনকনে উত্তাপ
রবি: একবার যদি ভিজিয়েছো কবিকে তবে মোহনার গল্পে তা ফুরিও না
মুগ্ধতায় সে কাঁপতেই চায়
বারবার
হেকেটি: এ ঋণ চুলের ঘূর্ণিতে বিছিয়ে রাখবো
অন্ধকরা রেকাবিতে
রবি: প্রকাশ্যে বলছি আজ তোমাতেই লীন সে
নয়নসুখ আলাপে, তোমাতেই মিশে থাকবে কবির কান্না
কবির অন্তরে তুমিই কবি
হেকেটি: যে নদী অপ্রকাশিত পলি কলিজাভরে পান করে দিবারাত্র তার বুকে জ্বলন্ত তুমির বাসা
ভিজিয়েছে তবু পোড়াতে পরেনি
রবি: বিশ্বাস কর তার বাগদান মিথ্যে নয়। নবনীল ধারায় সে সবুজ পান্না
শুনতে পারো না আর রবির কান্না?
হেকেটি: অলিখিত মেহগিনির মৌসুমি আদেশ খণ্ডন
এযে প্রতিকূলের রামধনু
রবি: তোমার রোমাঞ্চিত যমুনায় স্নানার্থী পথিকের প্রতি এত অবেহালা কেন?
আমার তপ্ত ডানার শেষ পরিণতি অন্য কেউ?
হেকেটি: তব স্বেদযুথিকা অকৃপণ ভালে
বাতায়ন চাঁদ রভঁসে গোঙালে
হেথা নয় হেথা নয়
অন্য কোথাও
অন্য কোন খানে
( কম্পমান স্বর )
রবি: আজো ব্যাধিঘোরে জীর্ণতা মনে,
মৃত্যুর পাশে বসে ফুলের জন্ম দিয়েছি খাতা জুড়ে।
সে কেবল তোমার পানে চেয়ে বৌঠান।
(হাটু গেড়ে বসে পরে রবি)
হেকেটি: একী করছো রবি
নন্দনকাননে মর্ত্যের ঘ্রাণ
ফিরে যাও
রবি: ফিরিয়েই যদি দেবে
তবে অন্ধ কর এই নপুংসক কবিকে
ঘৃণায় দহিত হোক অসমাপ্ত চুম্বন তোমার
হেকেটি: ( কাঁপতে কাঁপতে )
ফিরে যাও
চিঠিগুলোতে অনামী শীতঘুম এঁকো
এ কোটরের অলিখিত জোনাকি
তোমারই থাকলো : মনে মনে
রবি: কথা দিলুম
কেহ জানিবে না মোর গভীর প্রণয়
কেহ দেখিবে না মোর অশ্রুবারিচয়
হেকেটি: তোমার হাতের সব ক্ষমতায়
আকাশনীলা ফুটুক
রবি: একী ভীষণ অভিশাপ ডাইনি
এ কবি চায়নি, চায়নি!
হেকেটি: গানের আঁচে সিক্ত কর তাকে
চিরকালের ফাঁকে
রবি: কথা দাও তবে,
আর কোনো দিন ডাকবে না ঘরে?
আর কোনো দিন কাঁদবে না ভোরে?
আর কোনোদিন রূমাল হবে না লাল
কথা দিলাম
কবির কলমে বাঁঁচবে চিরকাল
হেকেটি: শুনতে পাচ্ছ
বিলাপের ফোয়ারা উপচে পড়ছে
কেউ যেন সোনাঝুড়িতে
ডাইনি পুরাণ আঁকছে
মুক্তি ..... ( মৃদু হেসে )
এতে তোমায় হারায় সাধ্য কার
রবি: বিদায় অধ্যায়যুক্তা হিমেল হাওয়া
বিদায় আমার আসা যাওয়া
বিদায় আমার নষ্ট পাতার ধন
বিদায় আমার যা কিছু অকারণ
বিদায়! বন্ধু বিদায়!
হেকেটি: ( আবদারের সুরে )
পরজনমে মৃত কৃষ্ণচূড়া ভরা ছাদ
লিখে দেব তোমার থুড়ি
আমাদের নামে
রবি: সেদিন তুমি কবি হবে
আমি হব চাতকপাখীর গান
কথা দিলাম
থাকবে না অভিমান!
হেকেটি: বিসর্জিত বাদ্যি মোছে
তব শ্বাসপল্লবে
নন্দন সে তো তোমারই দান
ফিরায়ে দেব না
শত সিন্দুক অভিমান
রবি: (মাথা নীচু করে ফিরে যাতে যেতে থমকে দাঁড়িয়ে পিছন ফিরে)
জেনে রেখো মিসেস কাদম্বরী,
তোমারেই করিয়াছি জীবনের ধ্রুবতারা।
পাল্টাতে পারবে না।
(অন্ধকারে সব মায়া মিলিয়ে গেল)
সমাপ্ত
###কোন ব্যক্তি আক্রমণ বা চরিত্র আক্রমণ আমাদের কাম্য নয় সব চরিত্র বাস্তবে কল্পনার কোলাজ - ফিনিক্স।
রবিঠাকুর বুননে শাল্যদানী
আর
হেকেটি আঁচে ঐন্দ্রিলা মহিন্তা
******
No comments:
Post a Comment