*তন্ত্রাদি দর্শন*
কৌল শাস্ত্র ও পুরান অনুসারে শিবের তিনটি রূপকে পূজা করা হয় যেমন কৃষ্ণশিব(মহাকাল),শ্বেতশিব(সৃষ্টির বেগ)এবং শিবলিঙ্গ(বিন্দু)।
সৎ বা অতিশূণ্যতা রূপী শিব হচ্ছেন মহাকাল-যার রঙ কৃষ্ণবর্ণ বা ধুম্রবর্ণ।কৃষ্ণবর্ণ বোধাতীত তাই মহাকাল বোধাতীত।এই অবস্তা কেন্দ্রে বিষ্ফোরোনের পূর্বের অবস্থা।তাই পরমপুরুষ শ্রীকৃষ্ণ ,কৃষ্ণ বর্ণ।শিবকে পরম পুরুষ বোঝাতেই আদি শিব বা মহাকালের রঙ কৃষ্ণ বর্ন।
মহাকালের বা মহাশূণ্যতারূপী পুরুষের মধ্যে যখন "আমি"বোধ জন্মায়(ইচ্ছা শক্তি)তখনই উদ্ভব হয় সৃষ্টির বেগ।এই চিৎ শক্তি বোধ বা জ্ঞানকে শ্বেতবর্ণ দিয়ে বোঝানো হয়।এই জন্য এই অবস্তার শিবকে শ্বেতবর্ণ দেওয়া হয়েছে।তাই সদাশিব শ্বেতবর্ণের।
এই বিন্দুরূপি জ্ঞানশক্তি যুক্ত সদাশিব যখন বিষ্ফরিত হন,তখন ওঠে প্রচন্ড শব্দ।এই শব্দকে ওঁকার ,প্রনব বা শব্দব্রহ্ম।
এই শব্দ ব্রহ্মই প্রকাশমান চৈতন্য যার থেকে বিশ্বব্রহ্মান্ড সৃষ্টি হয়েছে।তাই বেদে বলা হয় -"নাদকাত্মনং জগৎ"।
জয় ঠাকুর
জয় মা
শ্রীমৎ স্বামী শিবানন্দজী মহারাজ
(রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশন)
******
No comments:
Post a Comment