এখন তরঙ্গ তে লেখা পাঠান প্রতিমাসের ৫ থেকে ২০ তারিখ অবধি

অনন্যা রায়


গল্প : নীতি গল্প


অমল, বিমল ও একটি ঋষি

একটি রাজ‍্য ছিল। রাজ‍্যের নাম মণিপুর। সেই মণিপুর রাজ‍্যে থাকত দুজন কৃষক। একজন আমল আর একজন বিমল। এরা দুই ভাই। একদিন তারা যখন চাষ করছিল, হঠাৎ তারা দেখল কোথা থেকে একটি ঋষি আবির্ভূত হল। সেই ঋষিটি প্রথমে অমলকে বলল - ‘হে ভায়া’ আমার তো কিছুই নেই! আমি গরিব। আমাকে একটু ফসল দিয়ে সাহায্য করুন। অমল বলল - না না ভায়া না তুমি যাও এখান থেকে। আমি তোমায় এসব দিতে পারব না। সাহায্য করতে পারব না। তারপর সে বিমলের কাছে গেল, সে তাকেও একই কথা বলল আর বিমল তৎক্ষণাৎ সেই ঋষিকে অর্ধেক ফসল দিয়ে দিল।
হঠাৎ তারা দেখে সেই ঋষি আর ঋষি নেই সে এখন দেবাতায় পরিণত হয়ে গেছে। অমল ও বিমল সেই দেবতাকে প্রণাম করল এবং বলল - ‘হে ঋষি মহাশয় আপনি কীভাবে ঋষি থেকে দেবতা হয়ে গেলেন’ ?
তখন দেবতা বললেন - ‘আমি দেবতা, কোনো ঋষি মহাশয় নই। তখন অমল জিগ্যেস করল - তাহলে আপনি পৃথিবীতে এলেন কেন ? দেবতা বলল - আরে আসলে স্বর্গের কিছু স্বর্ণ মোহর বেশি হয়ে গেছে, তাই ভাবছিলাম কাউকে দিয়ে দিই। আমি ভেবেছিলাম পৃথিবীর মানুষকে দেব। তার জন্যে তোমাদের পরীক্ষা নিচ্ছিলাম। অমল তুমি স্বর্ণ মোহর আর পাবে না। অমল জিগ্যেস করল - কেন ? দেবতা বলল - তুমি তো ঋষিকে
অর্থাৎ ঋষির বেশে আমাকে ফসলের একটি দানার টুকরোও দিলে না। তাহলে তোকে দেব কি করে ? বিমলই স্বর্গের স্বর্ণ মোহর পাবে। অমল বলল - বাবা আমায় কিছু দিন। দেবতা বলল, না তুই পাবি না। বিমলই পাবে। বিমল বলল - জয় বাবা, জয় বাবা, জয় বাবার জয়।
অনন্যা রায় ৷
মিশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী ৷
শিশুকাল থেকেই ছড়া, তাৎক্ষণিক গল্প লেখাতে অভ্যস্থ অনন্যা ৷ দৈনিক সংবাদপত্রের সাহিত্য বিভাগ সহ নানান পত্রপত্রিকায় নিয়মিত লেখে অনন্যা ৷ লেখালেখির পাশাপাশি ন্যাশনাল জিমন্যাস্ট হিসেবে সে যথেষ্ট সুপরিচিত নাম ৷ ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ার সময় তার একটি তাৎক্ষণিক রচিত গল্প এখানে দেওয়া হল ৷

*****

No comments:

Post a Comment