গল্প : ছোট গল্প
"Please Stop Flirting Guys..It hurts.."
কখনো কখনো আমরা যাকে মনে প্রানে
ভলোবাসে থাকি, যার এক ফোটা কষ্টের কথা শুনলে আমরা আর স্থির থাকতে পারি না ,যার ভালোর জন্য আমরা কঠোর থেকে কঠোরতরো কাজ ও করে থাকি.. .হয়তো এমন কোনো কাজ ও কখনো করি যেটা কখনো নিজের জন্য ও করি নি। আর মানুষটি ই যখন এই সব গুলোকে দেখে মজা পায় আর অন্যের কাছে এই ব্যাপারটি নিয়ে হাসাহাসি করে .... এই রকমি এক গল্প
আজ আমি তোমাদের বলছি ..
তিন্নি,এই সবে কলেজে পা দিয়েছে খুবি শান্ত স্বভাবের ভদ্র,বেশ মিষ্টি মেয়েটি,মনটিও জলের মতন স্বচ্ছ ,বাবা মায়ের এক মাত্র মেয়ে, জীবনে যা কিছু সে চেয়েছে প্রায় তার সব ই পেয়েছে কষ্ট কি সেটা সে তেমন জানেই না.... মা তার আঁচলে সর্বদা বেঁধে রাখে তো তাই... কিনতু তিন্নির স্বভাবের সব থেকে বরো গুন হল সে কখনো অন্নের কষ্টের কথা শুনলে সে আর স্থির থাকতে পারে না। কোনও কিছু ঠিক ভুল না ভাবেই সে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়। এই সেই গুন যার জন্য পরবর্তী কালে তাকে বুক ফাটা কস্ত, চোখের জল আর লোকের মুখে হাসি-মজার পাত্রি করে দিয়েছিল...
আজ কলেজে প্রথম দিন, রাতে তো আনন্দে ঘুমি হল না ঠিক করে, তবে মাঝে মাঝে ভয় ও লাগছিল,কত ছেলে থাকবে,অবশ্য সবাই মোটা-মোটই একি বয়সের হবে আর সবাই বর,সবাই বন্ধুর মতন, কোনও ছোটও বাচ্চা থাকবে না...কত কি শুনেছি কলেজ নিয়ে,T.V. তেও অনেক সিনেমা দেখেছি কলেজ নিয়ে আজ সব নিজের চোখে দেখব... ভাবলেই মনটা কেমন করে উঠছে। তারাতারি ব্রেক ফাস্ট করে রেডি হতে শুরু করলাম আর বেরিয়ে পরলাম...কলেজ এর গেট পেরিয়ে কলেজে প্রবেশ করলাম, এবার একতলা ছেড়ে সিঁড়ি বেয়ে ধীরে ধীরে দোতলাই উঠছে তিন্নি...opps!! আর এ দেখে চলতে পারো
না নাকি ?? sorry!!কিছু মনে করো না please ইচ্ছে করে নয়...আমি দেখি নি তমায়... বলতে বলতেই একটা ছেলে বই গুলো তুলতে থাকলো তিন্নির।তিন্নি তারাতারি বই গুলো তুলে ধাপে ধাপে উপরে উঠতে লাগলো। ছেলেটি সেই জাইগা টি থেকেই বলতে লাগলো 1st year নাকি ?? hello...কি নাম জানতে পারি... কোথায় বাড়ি তমার...??? তিন্নি কোনও কান না দিয়ে সোজা ক্লাস এ চলে গেল। ক্লাস এ এসে রিনার সাথে তিন্নির পরিচয় হল। স্যার এলেন ... ক্লাস শুরু হল ... কিছুক্ষণ পর তিন্নির নজর পড়লো তার ঠিক পাসের বেঞ্চ এ ... ও মা... এ তো সেই ছেলেটা যার সাথে একটু আগেই সিঁড়ি দিয়ে আসার সময় ধাক্কা লাগলো। ক্লাস শেষ হল। ওই ছেলেটি আবার এলো পরিচয় করতে আর sorry ও বলল ওই ধাক্কার জন্য। তিন্নির রিধানের সাথে পরিচয় করে বেশ ভালই লাগলো। তিন্নি যখনি রিধানের সাথে কথা বলে রিধান তার কষ্টের কথা বলে আর তিন্নির রিধানের জন্য খুব খারাপ লাগে... আস্তে আস্তে তারা ভালো বন্ধু হয়ে গেলো। তাদের দু জনের বাড়িতে মেসেজ এ কথাও হতে লাগলো... সে কতো রকমের কথা...
হাসি মজা ইয়েয়ারকি ঠাট্টা ... এই ভাবেই একদিন রিধান তিন্নিকে জিজ্ঞ্যেসা করলো ... বলও তোমার ঠিক কেমন লাইফ- পাটনার চাই? তিন্নি তো হাসতে লাগ্ল... কেনও বলতও...?
রিধানঃ এমনি ই জিজ্ঞ্যেসা করলাম ,বলই না...
তিন্নিঃ ওকে বলছি... যে একটু ভদ্র এক্তু দুষ্টু একটু মিষ্টি হবে, ফ্রী মাইন্ড এর হবে, যার একটা আলাদা পারসোনালিটি থাকবে , যার সমাজে একটা সম্মান থাকবে, বড়দের সম্মান দিতে জানবে ,ছোটো দের ভালবাসতে জানবে আর আমাকে প্রচুর ভালবাসবে এই রকম চাই।
রিধানঃ বাপ রে...!! এতও কিছু!! হু... কোথাই যে আছে সে...??
তিন্নিঃ েনও কেনও ?? বেশি বলে ফেললাম...?? ঠিক আছে তাহলে...
রিধানঃ আরে নাহ তোমার যা মনে এসেছে বলেছও এতে বেশি কমের কি আছে... ঠিক আছে...
তিন্নিঃ হুম...... আর তোমার কেমন চাই??
রিধানঃআমার বেশি কিছু না... আমি আল্প নিয়েই থাকতে পারি ...যদি পাই একটু ভালবাশা।
তিন্নিঃবাহ! গুড গুড!!
রিধানঃহে হে... এই কি করছ এখন??
তিন্নিঃ কিছু না এই বেল্কুনি তে দাড়িয়ে চাঁদ দেখছি... খুব সুন্দর লাগছে আজ চাঁদ টা কে...
রিধানঃ কই চাঁদ গো আমি তো দেখতে পাচ্ছি না।
তিন্নিঃ ওই ত...
রিধানঃ দাড়াও আমি এখন বাইরে আছি... দেখি দাড়াও চাঁদ কোথাই আছে...
তিন্নিঃ পেলে দেখতে...??
রিধানঃ ধুর!!
তিন্নিঃ কি হল??
রিধানঃ তোমার চাঁদ দেখতে গিয়ে আজ আমি মরেই গেছিলাম আর কি...
তিন্নিঃকেন কি হল আবার...??
রিধানঃ কি হল!!! একবার তো গাড়ির নীচে একটু হলেই পরেছিলাম আর কি...আর কতো বার যে হজত খেলাম আঙ্গুল ফেটে রক্ত বেরিয়ে গেল...
তিন্নিঃ হা হা হা...
এইভাবেই সারাদিনে যে কতো কথা হয় কি বলব।।
তিন্নির বেশ ভালোই লাগতো রিধান এর সাথে কথা বলতে ... আস্তে আস্তে দু জন দুজনের কেয়ার করতে লাগ্ল... কি খেলে কি না... এক্তু দেরি হলেই অ্যাই তুমি এখনো খাওনি ...এখনো স্নান করনি ... এখনো ঘুমাও নি... কত কি... দু জনের মধ্যে চলতো কথা।
আর এ দিকে তো কলেজে রিধান আর তিন্নি কে সিনেমার হিরো আর হিরোইন বানানো হয়ে গেছে।তিন্নি আগে কলেজ এলেই সবাই জিজ্ঞ্যেস করে " কি রে রিধান কোথাই? এই সব কথা তিন্নি এতো সব বুঝতও না। ও ভাবতো ওরা খুব ভালো ফ্রেন্ড তাই সবাই জিজ্ঞ্যেস করছে। তিন্নি সব প্রশ্নের সিম্পিল আনসার দিতে লাগলো। এই ভাবেই চলতে থাকে... একদিন তিন্নি রিধানের মোবাইল ঘাটাঘাটি করতে গিয়ে ইনবক্সএ দেখতে পেলো সুমনের সেন্ড করা একটা মেসেজ "কি রে রিদ্ধি তোর বউ তিন্নি কি করছে? বিয়ে কবে করবি তরা?? আদই করবি কিনা... !!! হাহাহাহা...!! তবে পেয়েছিস ভাই একটা, একেবারে ঝাক্কাস আছে মালটা... " মেসেজ তা পরা মুহূর্তেই তিন্নির হার্ট- বিট বেরে গেলো ।।সে আর বুঝতে পারছে না কি করবে... সে কি রিধান ক গিয়ে জিজ্ঞ্যেস করবে।। এই সব কি?? ওরা তো ভালো ফ্রেন্ড তবে এই সব কি।।?? তাও এভাবে...??... কিছুই বুঝতে পারছে না তিন্নি, এইবার তিন্নির কাছে সব স্পষ্ট হতে লাগলো কলেজের সবার মুখের নানান কথা গুলো কি উদ্দ্যেসে বলা হয়... সব।এই সব ভেবে তিন্নি চিন্তাই আছে...কি করবে বুঝতে পারছে না ...।তবে কি রিধান... না না তা কি করে হয় । ও ভালো ও এই রকম ভাবতেই পারে না। ও ত আমাকে বলে আমার বন্ধু... তবে ঠিক ফ্রেন্ড রাই উলটও পাল্টা বলছে... আর ওই ওই ... মেসেজ টার আনসার কি দিয়েছে রিদ্ধি কে জানে ... নিশ্চয়ই ভালো রকম বকা দিয়েছে । কিন্তু কেনো জানি না তিন্নি রিধানের সাথে আর ঠিক তেমন করে কথা বলতে পারছে না।।
আজ কলেজে ফাংশন ...সবাই এসেছে ভালো রকম সাজ গজ করে।তিন্নি ও এসেছে...এসে থেকে রিধানের সাথে কথা হয় নি তিন্নির। শুধু কাছ থেকে কখনো বা দূর থেকে চোখা চোখই হছছে। জানি না আজ কেনও এমন হছছে??
তিন্নিঃ রিধধি কে একটু অন্য রকম লাগছে না রে রিনা...
রিনাঃ কই না তো হুম... তবে আজ তোর দিকে একটু অন্য রকম করে তাকাচ্ছে ...কি ব্যাপার তিন্নি...হুম... কি চলছে তদের?? রিধধির তো চোখ হাঁটছে না তোর থেকে রে... হুম!!
তিন্নিঃ যাহ!! কি যে বলিস না... তেমন কিছু না বুঝলি... আমরা খুব ভালো ফ্রেন্ড ব্যাস আর কিছুই না।
রিনাঃ ও ও তাই বুঝি!! কতো আর মিথ্যে বলবি নিজেকে? এবার স্বীকার করে নে যে তর হয়ে গেছে... হাহাহা!!
তিন্নিঃ মানে? মানে... কি বলতে চাস কি তুই?
রিনাঃকিছু না... বলছি রিধধি ক দেখতে আজ বেশ হ্যান্ড শাম লাগছে...
তিন্নিঃ হুম... লাগছে । চল বাড়ি যাই এবার
রিনাঃ হুম চল।
তিন্নি বাড়ি এলো মোবাইল টা রাখতেই দেখতে পেলো রিধানের মেসেজ " কি গো আজ তুমি আমার দিকে অমন করে তাকাচ্ছিলে কেন??"
তিন্নিঃকই না তো আমি তো কনও রকম করেই তাকায় নি... তুমিই তো তাকাছছিলে...
রিধানঃ আমি!! কি যে বল না... ও হ্যাঁ একটা গান সুনবে...??
তিন্নিঃ কি গান?
ফোন বেজে উঠলো... "রিদ্ধি কলিং"
তিন্নিঃ হুম বল...
রিধানঃ গানটা শোন ও
তিন্নিঃ হুম
রিধানঃ ও... ও... ও... ম্যাই জিসে মিলা হুন... জুদা হ না জায়ু... ম্যাই জিসে জুদা হু... অহা খো না জায়ু... ম্যাই হুন কাস্মা কস্মে...কদম রুক গেয়ে হে... ওয় দেখো জামিন যা রেহি ... ইয়ে কিন রাস্ত ও পে... ইয়ে কিন মাঞ্জিল ম্যা ... মেরি জিন্দেগী যা রেহি... ও... ও... বাই টাটা।
বলে রিধান ফোন টা কেটে দিল... হথাত করে সব কিছু যেনও থমকে গেছিলো মুহূর্তের জন্য শুধু হাঁপাচ্ছিল তিন্নি... কি যেনও একটা ঘটে গেল...।। আজ সকাল থেকেই তিন্নি রিধান কে মেসেজ করেই যাচ্ছে কিন্তু কোন ও রিপ্লাই ই নেই রিধান এর কলেজ ও ছুটি দেখাও হবে না এখন আর...কি যে করে ছেলেটা সারাদিন খবর নেই সান্ধ্যে তে মেসেজ এলো
রিধানঃ কিছু বলবে তো বলও
তিন্নিঃ মানে?? সারাদিন কি করছিলে এতো?? কনও মেসেজ নেই একবার ইনবক্স খুলে দেখো কটা মেসেজ করেছি...
রিধানঃ হ্যাঁ দেখেছি ২০ টা তো... আমি বিজি ছিলাম... শোন ও আমি এখন কথা বলতে পারছি না গুড নাইট
তিন্নিঃ অ্যাই কেন?? শোন ও...
আর কনও রিপ্লাই নেই। এভাবেই চলতে থাকলো এক্সাম ও হয়ে গেল। কিন্তু রিধান কেমন বদলে গেলো। আর তিন্নি বেচারি রিধান কে মেসেজ এর পর মেসেজ করতেই থাকে ।ফোন করে ও আনসার পায় না কিছু... ওর দম ফাটা কষ্ট হতে লাগলো ... শুধু অনেক দিন পর রিপ্লাই এলো
রিধানঃ দেখো আমি টেনশনে আছি... ফালতো ভাঁটাতে পারবো না এখন
তিন্নিঃ মানে?????? কি বলছও কি তুমি আমি তোমার সাথে ভাতাছছি ...???? না তুমি এতো দিন ভাতাছিলে?? কি আনসার দাও...
আর কোন ও রিপ্লাই নেই। তিন্নির চোখ থেকে গর গর করে জল পরতে থাকলো... আজ পর্যন্তও ভাটানো জিনিস টা কি সে জানতো না আর কেও তাকে এই রকম বললও... সে শুধু কাঁদতে থাকে...
আজ থেকে কলেজ স্টার্ট ।তিন্নি কলেজ এলো। রিধানের বাবার শারীরিক অবস্থা খুব খারাপ।তিন্নি প্রতেকদিন রিধানের কাছে তার বাড়ির খবর নিতো। মাঝে মাঝে যখন বারাবারি হয় রিধান স্বাভাবিক ভাবেই চিন্তিত হয়ে পরে। ঠিক একি রকম ভাবে রিধান চিন্তিত হয়ে বসে আছে... তিন্নি ভাবলও হয় তো ওর বাবার কিছু হয়েছে তাই ও এই রকম করছে। তিন্নি এসে বলল - "কি হল বাড়ির সবাই ঠিক তো বাবা কেমন আছেন?"আর ওমনি রিধান গেলো খেপে "অতো ন্যাকামো আমার ভালো লাগে না... ওষুধ চলছে এক্তু ভালোর দিকে বেস"। এই ভাবে কেও কখনো তিন্নি কে বলেনি কিন্তু রিধান টেনশনে আছে ওর মনের অবস্থা টা তিন্নি বুঝতে পারছে তাই কিছু বলল না আর চলে এলো। আর এদিকে তো সারা কলেজে তিন্নি আর রিধান কে নিয়ে কত কি ছড়িয়ে গেছে। তিন্নি মনের দুঃখে কোথাও যে একটু একা বসবে তারও উপাই নেয়... "কি রে একা বসে আছিস? রিদ্ধির সাথে ঝগড়া হল নাকি? হাহাহাহা!!" ... এই সব চলতে থাকলো। তিন্নি কাওকেই কিছু বলতে পারে না নিজের মনে কষ্ট পেতে থাকে। রিধান কেও আর মেসেজ করে না। অনেক দিন পর রিধানের মেসেজ এলো " কি কেমন আছেন মেদাম?" ব্যাস মেসেজ পাবার সাথে সাথে যতও আভিমান ছিল সব উগ্লে দিলো তিন্নি।
রিধানঃ sorry sorry তুমি আমার ভালো ভাবলেও সবাই ভাবে না গো ... তাই আমি একা একা থাকি আর একাই ঠিক আছি ... সবাই শুধু অভিশাপ ই দিয়ে গেছে জিবনে... তাই আর ভালো লাগে না... আমি সবার থেকে একটু আলাদা আর তাই কেও বঝে না আমায় ... একজনও বোঝার কেও নেয় তিন্নি... নিজেকে খুব একা লাগে... অবশ্য মানিয়ে নিয়েছি ... খুব ভালো হয় তো আমি নয়... ভালো কি সেটা হয়তো জানি না... কিন্তু খারাপ কি সেটা ভালো করে জানি আর তুমি বিশ্বাস করো আমি খারাপ না এটা হলপ করে বলতে পারি।
তিন্নির খুব কষ্ট হল কথাগুলো শুনে। সারা রাত ঘুমোতে পারলো না সে। বারে বারে রিধির কথা মনে আসতে লাগলো। এই রকম করেই কখন যেন সকাল হয়ে গেল। কলেজ এলো তিন্নি... প্রতিদিনের মতই কলেজ ক্যান্টিনের পাশে কৃষ্ণ চুরা গাছের ছায়ায় এসে দারিয়েছে... একি!! পূজার সাথে রিদ্ধি কি করছে?? তিন্নি খুব ভয় পেয়ে গেলো ... আর সাথে সাথে রাগ ও হচ্ছিলো খুব... পূজা একটা ফ্লাট বাজ মেয়ে আর ওর সাথে রিদ্ধি গল্প করছে!! তিন্নি রিদ্ধি কে জিজ্ঞ্যেস করলো "পূজার সাথে তুমি কি করছিলে?? কি এত্ত কথা বলছিলে ??
রিধানঃ আরে তেমন কিছু না এই জাস্ট একটু ওই... আরে তেমন কিছুই না বলছি তো...
তিন্নিঃ হুম আর বলবে না কথা।
আজো রাতে তিন্নির ঘুম আসছে না ঠিক বারেবারে কলেজের ওই কথা টা মনে পরছে ....। হথাত করে প্রচণ্ড ঘেমে চোখ খুলে তিন্নি হাঁপাতে লাগলো... খুব একটা বাজে স্বপ্ন দেখল তিন্নি রিদ্ধি কে নিয়ে... আর ঘুমাতে পারলো না সে ... । সকাল থেকেই সে যেনও কেমন হয়ে আছে ।কলেজ গেল।আজ রিদ্ধির সাথে ঠিক করে কথাই হলও না তার ... দু দিন গেলো তিন দিন গেলো চার দিনে পরলও আর তিন্নি থাকতে পারে না খুব কষ্ট হতে লাগলো তার। কখন যেনও সে রিদ্দি কে ভালোবেসে ফেলেছে সে টেরি যেনও পায় নি । সন্ধ্যা কেটে রাত হল ।বই নিয়ে বসে আছে কিন্তু মন অন্য জায়গায় পরে আছে তিন্নির... মাঝে মাঝে চোখের পাতা ভিজে যাচ্ছে... ঠিক এমন সময় রিদ্ধির মেসেজ "কি গো কি করছও? খেয়েছও কিছু?
তিন্নিঃ না।
রিধানঃ কেনও?
তিন্নিঃ জানি না,তুমি খেয়েছ?
রিধানঃআমার কথা ছাড়ো তো ... আমি খেলাম না খেলাম না তাতে কার কি এসে যায় ??
তিন্নিঃ আমার এসে যাই অনেক কিছু বুঝলে... যাও কিছু খেয়ে নাও
রিধানঃ কেন কেন?? তোমার কেন এসে যায়??
তিন্নিঃ কারন আমি তোমায় নিজের অজান্তে কখন জানি না ... রিদ্ধি sorry আমাকে ক্ষমা করে দাও... আমি খুব বড় অপরাধ করে ফেলেছি... আমি তোমায় ভালোবেসে ফেলেছি...রিদ্ধি।
রিধানঃwhat! কি বলছ তুমি!! এটা তোমার ভুল ধারনা তিন্নি... এটা তোমার just infatuation আর কিছুই না।
তিন্নিঃ না আমি সত্যি বলছি রিদ্ধি
রিধানঃsorry কিছু মনে করো না এতো complicated life নিয়ে আমি বাঁচতে পারবো না... আমার মা-বাবা আছে তাদের কষ্ট আমি দেখতে পারবো না।আমার career আছে। আশা রাখি তুমি আমাকে বুঝবে ।
এর পর দিন যায় তিন্নির পেটে কিছু পরে না ।কিছু খেতে পারে না।বাবা-মা চিন্তায় পরে। Doctor এর কাছে জায়।তিন্নিকে hospital এ admit করা হল। ৪-৫ টা স্যালাইন চললও। রিনা এলো তিন্নির কাছে বলল "দারা আমি রিদ্ধি কে call করছি"। রিদ্ধি call ধরে না আর... মেসেজ করা হল রিপ্লাই এলো "sorry আমি তোমায় মেসেজ করতে পারব না"
তিন্নি এখন কেমন একটা হয়ে গেছে... মোবাইল এ আলো জ্বললেই... ছুটে যাই... ফোন এলেই ছুটে যাই ...কিন্তু সে আর ফোন করে না আর মেসেজ ও করে না ... যার জন্য সে ছুটে জায়।কখনো সে ভাবে হয় তো সে কোনও problem এ পরেছে তাই এমন করছে... তখন সে না খেয়ে ঠাকুরের কাছে পরে থাকে তার মঙ্গল কামনার উদ্দ্যেসে ... আবার কখনো ভাবে ও একটা বাজে, ও দিনের পর দিন ফ্লাট করে গেছে ... আই হেট ইয়উ... আই হেট ইয়উ...
এদিকে রিধান কলেজ ছেড়ে অন্য কলেজে admission নিয়েছে ।কলেজ এসে তিন্নি জানতে পারে।এখন আর সে রাস্তাই বেরতে পারে না খুব একটা ... সবাই কতো কি কথা ছরে...কলেজ ও কম যায় যে দিন যায় পাগল করে দেয় সবাই ... কেও একটু ও বোঝে না তাকে... সবায় কেমন যেনও একটা ভাব করে ... হাসাহাসি করে তাকে নিয়ে... তিন্নি কখনো খুব ভেঙ্গে পরে ভাবে আর বেঁচে থেকে কি হবে...?? আবার বাবা-মা এর কথা ভেবে থেমে যায়... ।।
ভালোবেসে কি খুব অপরাধ করেছিলো তিন্নি...?????
********
কবিতা পাঠ
'না-পাঠানো চিঠি, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
'টিউটোরিয়াল', জয় গোস্বামী
ফটোগ্রাফি
চিত্রাঙ্কন
***********
|
No comments:
Post a Comment