এখন তরঙ্গ তে লেখা পাঠান প্রতিমাসের ৫ থেকে ২০ তারিখ অবধি

মৌসুমী ভৌমিক


কবিতা: সাধারণ বিভাগ



রাজপথ

আমি নিতান্ত  এক পথ। 
এক ছোট্ট শিশু আধো আধো স্বরে কথা বলতে বলতে যখন 
আমার বুকে ছোট্ট ছোট্ট পায়ে হেঁটে চলে এক গর্বিত বাবার 
মতো তখন আমার অনুভূতি। তাকে হাঁটতে সাহায্য করার 
জন্য যেন দুহাত বাড়িয়ে থাকি। 

যখন তুমি ও তোমরা কত আবেগে
ভালবাসার শপথে হেঁটে চলো তখন 
আমার বুকে লক্ষতারার আলো জ্বলে। 
এক স্বর্গীয় দ্যোতনায় ভরে যায় মন। 

সেই আমি তো পৃথিবীর রাজপথ। 

কিশোরীর পায়ের মৃদুমন্দ তালে 
কখনও আমি অতি সাবধানী পিতা  ।
আনন্দে উচ্ছল যখন সে নেচে নেচে ধায়
খুশির সমারোহে তখন আমার চওড়া বুকের ছাতি। 

আমার বুকে যখন ধর্ষণ,  খুন, ছিনতাই হয় -
কী ভীষণ লজ্জা  !  পৃথিবীর বুক থেকে অবলুপ্ত হবার সমস্ত পন্থা আমি খুঁজি। 
তখন ভাবি তোমাদের জন্য প্রয়োজন নেই সভ্যতা, 
প্রয়োজন নেই অতি আধুনিক বাহনের। 
প্রয়োজন নেই কোনো পথের --
তোমরা বোধ হয়  আদিম মানুষ হয়ে গুহাতেই ভাল থাকবে।



প্রতিনিয়ত


বাতাসে বাতাসে মিথেনের গন্ধ
লবণাক্ত ঢেউ খোঁজে 
                          সমুদ্রের গন্ধ। 
বালির পাহাড়ে তরঙ্গায়িত সোডিয়াম
ফুসফুসের শিরায় শিরায় জ্বলজ্বলে রেডিয়াম। 
প্রতিনিয়ত সাদা ক্যানভাসে আঁচড়ের দাগ
অন্তরীক্ষের কালো পর্দায় 
                         ওজোনের ভাগ।

*********

কবিতাপাঠ

মেঘবালিকা
কন্ঠে ও কলমে : মৌসুমী ভৌমিক


ইস্ , বড্ড হিংসে করি তোমায় মেঘবালিকা-
ঐ মায়াবী দেশে রূপোলী জ্যোৎস্নায় মাখামাখি
দেখি তোমার ঐ আকাশে বাতাসে কানাকানি 
আর বৃষ্টি রোদের জানাজানি।
পরীদের বেশ ছেড়ে যখন তুমি
বৃষ্টি হয়ে ঝরে পড়ো সেই তুমি 
তখন আরও অপরূপা।
বড্ড হিংসে হয় তোমাকে-
ঐ সূর্যের রৌদ্রছটায় স্পর্ধিত তোমাকে --
চাঁদের মোহময়ী মায়ায় দুলালী তোমাকে --
কালবৈশাখীর ঘন কালোরূপে ভয়ংকরী তোমাকে--
বড্ড হিংসে করি তোমাকে মেঘবালিকা---

**********
মৌসুমী ভৌমিক
জন্ম: দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার সাফানগর গ্রামে। স্নেহময় পিতা মহেন্দ্র নাথ প্রামাণিক ও মাতা বুলু প্রামাণিকের ছায়ায় বেড়ে ওঠা। বর্তমানে সরকারী চাকুরীরতা। ছোটবেলা থেকে সাহিত্যানুরাগী। দুই কন্যা সন্তানের জননী, স্বামী প্রভাস ভৌমিকের উৎসাহে লেখালেখির প্রয়াসে নিয়োজিত।

*****

No comments:

Post a Comment