এখন তরঙ্গ তে লেখা পাঠান প্রতিমাসের ৫ থেকে ২০ তারিখ অবধি

বিশ্বরূপ বিশ্বাস


কবিতা : সাধারণ বিভাগ



।।অশেষ। ১টি লেখোনী।।

চিঠি আর খবর আমাদের রাত্রিকে পার ক'রছে না। সাধারণ সূর্য বনারণ্যের সূর্য। আমাদের ঘড়ির আঘাত আগাগোড়া-ই ড্যামেজ। ডেকচি ভ'রে শাদা আলো আর রোদ্দুর প'ড়ছে। আমারা ডোরা কেটে যাচ্ছি। দুনো হাতে আগুন রেখে আমরা মোটরবাইক চালাচ্ছি। ঈশ্বরের রাস্তায়।

সুখের নিরালা নেই। আয়নায় সমুদ্র। আয়নায় গুহ্যদ্বার। ভ্রমণ কোথায় ভ্রুনের আর। ভ্রুণস্থ শিশু কোথায় গর্ভে। কি সামান্যে ফুটো খুঁড়ে শিকারীর গর্ত আজ অসামান্য নতমুখ। আর পৃথিবীর মাথাব্যথা ঠেকেছে ডালপালাতে। পাতাতে। আমাদের কীরকম এই মনেধরা বাড়ানো মায়া। মহব্বত। দহনে গান গায়। আর শোকে কাঁদে।

শেষ মেল ছেড়ে রেখে এসেছি জমিতে। জমির খড়কুটোতে। তরল অক্ষর আমাদের অক্ষাংশের আঁচ। আমাদের মোবাইল বিপুল রিংটোনে বাজছে। আমিষ গন্ধ টের পাচ্ছি। আমরা প্রখর টেবিলে ব'সে মাংস আর মদ খাচ্ছি। শীতের রাতে। বউ বাচ্চা রুটির সাথে পৃথিবীর হরিণ আজ খাবার ছাড়া কিচ্ছু না।

সিনেমার অপরাধী অপরাধ ক'রছে। শোবার খামকাখুশীতে কি নির্বিকার মোহ। নিভৃত নৌকায় তুমি জামার বোতাম খুলে ফ্রিজ বানাচ্ছো শরীর। জঙ্গল কোথাও মাঠ হ'চ্ছে না আর। মাঠ কোথাও জঙ্গল হ'চ্ছে না। মাছের আঁশ তুলতে তুলতে। গায়ের আঁশ খুলতে খুলতে। নখ থাকছে না হাতের দশাঙুলে।

কাঁকরমাটি অর্পণ ক'রেছি। পেয়েছি বিসর্জন। পেয়েছি বিবাহ। গর্ভিণী জীবনের পয়লা পোয়াতিকে সঙ্গে নিয়ে। পৌলস্ত্য মানুষের চারপাশে বিবিকে ক'রেছি খাড়া। জীবন প্রতারক নয় তবু জীবনের-ই দ্বারা। তালব্যে আমাদের সমাপনী বিকেলবেলার মালিকানা। হিম্মৎ। আবোল তাবোল হ'য়ে গ্যাছে।

হাবড়ার সদৃশ্যরূপে আমরা কলকাতা খুঁজছি না। ভাবছি দুনিয়ার আকাশ কতটা শান্ত হ'লে জরুরী কাজে ব'সবে মন। জীবন যখন শুকাতে শুরু ক'রেছে তখন লোকাল ট্রেনের জানলা খুলে দিই। পালঙের বিছানা আস্তেসুস্থে সাজিয়ে রাখি। ধীরে ধীরে সমাপ্ত হওয়া জীবনের যাতে ১টা শয্যা মেলে মরার পর। ১টা চিতা মেলে মরার পর।।

বিশ্বরূপ বিশ্বাস

******

No comments:

Post a Comment