এখন তরঙ্গ তে লেখা পাঠান প্রতিমাসের ৫ থেকে ২০ তারিখ অবধি

পাবলো শাহি


কবিতা: সাধারণ বিভাগ



পনেরো দিনের অধিবক্ষ

আমাদের চিলেকোঠা থেকে এলিজি ধার কওর আমি কবিতার এফিটাপে রেখে

আসি। যদিও কবিতার নামে একটি নারী আছে আমার, তার রোদটুকু, তার সাবান

ও তোয়ালে, তার ভেংচিকাটা মুখ- অভিমানে পুড়তে থাকা অধিবক্ষটুকু আমার...

তার মন খাঁচায় পোরা মেঘ; আমি তার বুক পকেটে জানালা খুলতে গিয়ে বলি,
‘বোতামের দুপুর তোমাকে দিলাম, তার বদলে কলেজে আজ তুমি বাংলা পড়াতে

যেও না।’ কিন্তু সে কবিতা নামের নারীটি-বৃষ্টিতে মেঘবিধাবাদের কান্না শুনতে পায়,

তার আয়নায় চুল আঁচড়ায় অশুভ দেশ থেকে বেড়াতে আসা শাকচুন্নি; বাচ্চা ফোটাবে

বলে তা- দেয় দুখীদেও কুয়োতলা। আর সারাক্ষণ তার সঙ্গে থাকে তিনটে

শালিক। এসব জেনেও তাকে ভুলিয়ে নিয়ে যায় সপ্তর্ষীমণ্ডল। তখন ব্যথাদূরতীত

বীণা তাকে বলে, ‘যে পনেরো দিন তুমি আমাকে হারিয়ে লাল তারামালাদেও সাথে

ছিলে; সে স্মৃতিকে এখন ভুলপাখি ভেবে শরীর তেকে খুলে- কাগজের নৌকায়

ভাসিয়ে দাওজলে। তারপরও আমাদেও চিলেকোঠা থেকে একটু দূওে এই

কবিতার লন, সেখানে মনের অমল বেবদূতেরা সাবান ও গামছা রেখে গেছে।

তবুও আমরা এসব ঘটনার অক্ষরগুলো প্রকাশ করতে পারিনা? এসব জেনেও

আজও তাকে বলি, ‘এসো মহাজগত থেকে নামিয়ে আনি দশখানা নক্ষত্র, সাজায়

কুয়োতলা; যদি কোন একনি øান সেরে তুলে রাখতে পারি- আমাদের রোগ,

বিছানাপত্র, দুঃখের পাজামা ও পেটিকোটগুলি।


আগুনের দিঘি

আমাদের ভেতরের পশুবৃত্তিগুলি কেমন আছড়ে পড়েছে রাষ্ট্রে, সমাজে, রাজনীতিতে; আশ্চর্য আকাওে

ছড়িয়ে পড়েছে খান ইউনিস শহরে। রক্তে গাঢ়পৃথিবী যেন গাজার একটি লোক হয়ে দাঁড়িয়ে দেখছিল-

উটের গ্রীবা, বাবলা কাঁটার ফিসফাসগুলি। হু হু কওে মধ্যাকর্ষণ শক্তি নেমে আসছিল সাফা মারিয়ার

পাহাড়ে, ইলেক্ট্রন-প্রোটন কণায় সকাল ফসকে গিয়ে- কুকুরের চেন ধরা পৃতিভীর সকালে বেড়াতে

বেরোয় বারাক ওবামা। এরমধ্যেই দেবদূত শিশুরা গাজাসিটিতে খাবারের সন্ধানে ছুটোছুটি করে;

আর জাতিসংঘ যেন টিয়াপাখি বোমারু বিমান উপেক্ষা করে কবল বলে যাচ্ছে শেখানো বুলি, ‘যুদ্ধ

থামাও, যুদ্ধ থামাও।’ অথচ শাজাইয়া শহরের ইবতেসাম বাতনিজি’র বক্ষ শুধু তোড়পাড় হয় তার

প্রিয়তম নারীকে বুকে জড়িয়ে ধরবার জন্য। এইসব চিন্তা, আতঙ্ক আর খেজুর গাছের নিচে অরক্ষিত

তাবু একে অন্যকে ভিন্ন বিন্ন ভাবে আকর্ষণ করে আলোড়িত।

আর ভাববো না এসব কথা, শুধু বাল্প জ্বেলে রাতে জেগে থাকি; এক বাটি আলো, খুরমা, আবাবিল

পাখি ও রাফার মা হারা ছোট মেয়েটার জন্য একটি সবুজ রংয়ের ওড়না দেবার প্রতিশ্র“তিময় কবিতা

পাঠাবো বলে। আর আশ্চর্যেও চৌবাচ্চা খুলে রাখি মানবতার বুকে- বলি, ‘তুমি একটা তিতিরপাখি-

মানবতা! গতজন্ম থেকে মানুষকে ভালোবাসার নামে, তোমাকে শুধু তোমাকে ভালোবেসে চলেছি আজীবন।’

তারপরও বলি, ‘তোমাকে খুব ভালোবাসি। -একথা বললেই যুদ্ধ থেমে যাবে?’ অথচ একদিন

আমাদের ভালোবাসার চিলেকোঠা ছিল, ছিল আবে জমজমের কূপ; আজ গিয়ে দেখি ঘর নেই-

তোশক, বিছানাপত্র নেই; কেবল আছে- বুনো দাঁতাল ট্যাংক, শালিকের কাটামুণ্ড, মাছেদেও

ফেলে আসা সংগম স্মৃতি। তারপরও মর্মে জড়ানো শবের ঘরকে ডাকি- যে বেরিয়ে আসে সে

পুড়ে যাওয়া লাশের গন্ধ।আর বেইত হানুনে আমাদেও বোন আতাইত আইয়াদ-এর পা পড়ে থাকতে

দেখি; আতাইত আইয়াদ-এর পা। আগুনেরন দিঘিতে কেবল দুলতে থাকে; দেখি।



চিত্রাঙ্কন

ART: PABLO SHAHI
''''DREAM'''''
acrylic on canvas
22''x32''
2014
ART: PABLO SHAHI
''''venom messase on the moon'''''
acrylic on canvas
32''x42''
2015
ART: PABLO SHAHI
'''' NEW DREAM'''''
acrylic on canvas
32''x42''
2011
ART: PABLO SHAHI
''''RABINDRONATH''''
acrylic on canvas
32''x42''
2015
ART: PABLO SHAHI
''''MY DREAM'''''
acrylic on canvas
32''x42''
2015

************

পাবলো শাহি
বিএ অনার্স,এম এ,পিএইচ ডি   (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়)।
জন্ম-১৯ আগষ্ট ১৯৬৫ যশোরের উপশহরে।
প্রকাশিত গ্রন্হ- ২৬টি কবিতাগ্রন্থ,০৫টি প্রবন্ধ,গবেষণাগ্রন্থ-০২টি,সম্পাদন গ্রন্হ ০২ টি।
মোট গ্রন্থ সংখ্যা ৩৫ টি।
এরমধ্যে ০৫ কলকাতা থেকে প্রকাশিত।
আশির দশকের কবি।
আশির লিটলম্যাগ মুভমেন্টের অন্যতম যোদ্ধা।
কবিতার পাশাপাশি প্রবন্ধ,গবেষণ,গল্প ও চিত্রকলায় বিশেষ ভাবে পারদর্শী।
যোগাযোগ: মোবাইল:0088-01711283813 ই -মেল:pablo.shahi1965@gmail.com
*****

No comments:

Post a Comment