কবিতা : সাধারণ বিভাগ
টেলিপ্যাথি
জলের কার্নিশ থেকে
ধীরে ধীরে শ্যাওলার সংলাপ
মুছে যায়। দাগ রাখে। ভালোবেসে ভেসে যায় জলে।
নীরব শীতের ছায়া
এফোঁড় ওফোঁড় করে দেয়
জ্বলে যায় দহনে আবেগ। নড়ে ওঠে
অতীত হিমেল স্মৃতি-মূল।
অক্টোপাসের মতোই জড়িয়ে রেখেছি দেহ ইড়া পিঙ্গলায়
রোদন জলধি তীরে হেসে নেয় রোদ
বৈরী অনলের মতো
চুপিচুপি দেখা হয়। কথা হয়। রোজ
অতীত পান্থশালায়।
তোমার স্পর্শেরা সব নেমে আসে টেলিপ্যাথি হয়ে।
অনিকেত
আজীবন জলে বাঁচি গতিময় ভাসমান স্রোতে
ফেলে আসা পুকুরের বিচ্ছেদ মেনে নেয় জলেরা,
সাবেকি নিয়মে মাছ এঁকে বেঁকে গহনে নদীর...
এরা তবু কেউ নয় তীর-স্রোত-উপত্যকা। ডেকে যায় বাদলের বৃষ্টি।
কোনো অনুযোগ নেই? কেনো অভিযোগ নেভে তেলহীন দ্বীপের ভেতর?
প্রবাহী জ্যোৎস্না কেনো ঢেকে রাখে আলাপন অন্ধকার স্রোতের তলায়?
তবু,
সময় চিনিয়ে দেয়-- পরিচয় কিছু নেই, প্রয়োজনে নাম দেওয়া হয়।
*****
নাম গৌরাঙ্গ মণ্ডল
গ্রাম ডুমুরজুড়ি
পোস্ট-মানকানালী
জেলা-বাঁকুড়া
থানা বাঁকুড়া
পিন 722132
মোবাইল 9635180576
মেইল mgouranga420@gmail.com
No comments:
Post a Comment