কবিতা : সাধারণ বিভাগ
বিষাদ
একটা স্নানাগার ভেসে বেড়ায়, সূর্যাস্তের কাছাকাছি
সন্ন্যাসী রঙের কাছ দিয়ে ভিজে যায় সারাদিনের বিষাদ
পাখনা ঝাড়া সময় নিয়ে টলটল করে ঝিলের জল-
স্নানঘর মানেই নিজেকে দেখার একমাত্রিক পথ
পানকৌড়ির চক্ চকে শরীর নিয়ে যতই অহংকার করুক
আকাশ, আত্মকথায় জুড়ে থাকে বিস্তারিত দিগন্ত -
নিঃশ্বাস
নাক বরাবর ঝরে পড়া জলফোঁটার দিকে তাকালে
কেন যে মাছিটা নাকের উপর ভনভন করে, আর
হাত নেড়ে তাড়াতে চাই দুর্গন্ধের ঝিঁঝিঁ আওয়াজ
হাতছানির কাছাকাছি পিচ রাস্তার গর্ত থেকে
নিশ্চিত পতনের অস্বস্তিকর বাতাস ফিরিয়ে আনে
নিঃশ্বাস, মেঘ আর সূর্যের দো-টানায় ঢেউ মাখে জীবন
সামগান
নির্জনতা প্রার্থনা করি বারবার, পথের দুপাশে
শিশু আকাশমনিও আমার সাথে একমত- স্নায়ুতে
জমা হতে থাকে মাথার খুলির মতো নীল রং - হাঁটি
আর লুপ্তপ্রায় নয়ানজুলির পচাজলের শালুক
মহাশূণ্য নিয়ে টান মারে লোমকূপে - সামগানের জানলায়
নিজেকে নিয়ে ঘামছি আর নিচে মাছ ভুঁট দেয় -
লক্ষ্মীকান্ত মণ্ডল |
বরদা, মোহাড়,
পশ্চিম মেদিনীপুর -৭২১১৬১
মোবাইল - ৯৭৩৩৬০২৯০৩
মেল- mandallk69@gmail.com
পশ্চিম মেদিনীপুর -৭২১১৬১
মোবাইল - ৯৭৩৩৬০২৯০৩
মেল- mandallk69@gmail.com
ঝরে পড়া জলে অনন্ত বিষাদের সুর,
ReplyDeleteআমি নিশ্চুপ বসে রই
দিগন্ত থেকে ছুটে আসা বাতাস
আমায় ভালোবাসার কথা শুনিয়ে যায়।