এখন তরঙ্গ তে লেখা পাঠান প্রতিমাসের ৫ থেকে ২০ তারিখ অবধি

জয়িতা ভট্টাচার্য


কবিতা : সাধারণ বিভাগ



কয়েক পা এগিয়ে…

আরো কয়েক পায়ে পা
এগিয়ে যাওয়া যাক
নশ্বরতার দিকে
কয়েক পা অসুখের,
কটি রুগ্ন সুখের..........

প্রতি এগিয়ে যাওয়া যাক ।
মেনে নেওয়া যাক সংশয়
আর ডাল ভাতের গল্প ।

প্রান্তর পরে আছে শূন্য
এসো গড়ে তুলি নবান্ন ।
শিশিরে স্নাত সেই ক্ষেতে
সন্ত্রাস ময় সে অতীতে...
ফেলে দিয়ে  অর্বাচীনের
স্বপ্ন ; নিয়ে যাবে আমাদের
বিশেষ কোনো ব্যাভিচারের
পথে ।আমরা এগিয়ে যাব
 জীবনের দিকে না মরণ
আজ শুধু সেই কথা ভাবো

আরো কয়েকটি
প্রহরের শেষে
ঘটেনা নতুন
কোনো প্রত্যাশা ।
তবু এগিয়ে থাকি মিছিলে
প্রতিটি অসাড় স্লোগানে ॥



শীত কবিতা

ওই ট্র্যান্ফরমারের ছায়ায় বসে
কবিতা লেখে ছেলেটা
ধনেপাতা আর পালং ,
মূলো আর শীত দিয়ে ।
ছেঁড়া প্লাসটিকে কবিতা লেখে ছেলেটা ।
কালচে গায়ে ধূলো । খড়ি ওঠে ।
সামনে পানের পিক,বালি,
আর পায়ের ছাপ।
রোজই দেখতে পাই ।
কিনতে চাই কিছু হয়ে ওঠেনা ।
অনেকেই কেনেনা কবিতা ।
হয়ে ওঠেনা বলে ।
দুটি মেয়ে যায়  ইস্কুলে ,
পুরুস্টু কমলা লেবু
চোখ দিয়ে খেয়ে নেয় ছেলেটা
খালি ক্ষিদে পায় ।
রাত হলে শুকিয়ে যায় কবিতা
আসে স্বপ্ন ।দেশী মদ ,গাঁজা আর
ধোঁয়া ওঠা ভাত ।
একটুকরো আলু ,আরো ভাত ।

ছেলেটা কবিতা লেখে রোজ ,
বুকে কফ জমে ।
কবিতার মতো নেতিয়ে পরে রুগ্ন মুলো
লালচে চোখে দেখে ধূলো
বালি , শাড়ির পার,
ঘাসফুল........
কেউ পড়েনি ।
আমরা পড়িনা কেউ ওর
শুকিয়ে যাওয়া কবিতা ।

জয়িতা ভট্টাচার্য
শূন্যদশকের কবি ও কথাশিল্পী।
পেশায় শিক্ষক।
কলকাতা নিবাসী এই সাহিত্যিকের প্রথম কাব্যগ্রন্থ
"নিঃশব্দ শিশির হৃদয়"
ও প্রকাশিতব্য কাব্যগ্রন্থ "সন্ত্রাসকে ভালোবেসে"।
তিনি পশ্চিমবঙ্গ তথা উত্তর পূর্ব ভারত ও বাংলাদেশের বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় নিয়মিত কবিতা, গল্প ও প্রবন্ধ লিখে থাকেন।

No comments:

Post a Comment